অপেক্ষা করতে করতে অস্থির হয়ে গিয়েছে নজরুল। এত সময় লাগে? বিয়ে হয়েছে আজ দশ বছর। এতদিন পরেও এত সাজগোজ করার কি আছে? পার্লারে যে ঢুকেছে আর বেরোনের খবর নেই। এতক্ষন কি করে? যত্তসব!
বিরক্তিতে গজগজ করতে করতে নজরুল হাতের ঘড়ির দিকে তাকাল। দেরি হয়ে যাচ্ছে। রাত ন'টায় দাওয়াতে যাবার কথা। এখন অলরেডী সাড়ে ন'টা বেজে গিয়েছে। অপেক্ষার সময়গুলো যেন কাটতেই চায় না। চারপাশেও এমন কিছু নেই যা দেখে মনোযোগ অন্যদিকে সরানো যাবে।
এসব ভাবতে ভাবতেই পার্লার থেকে বর্ষা বেড়িয়ে এল। বর্ষাকে দেখেই নজরুল অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। এই মেয়েটা তার বউ! তার বউ এত সুন্দর! ঠিক দশ বছর আগে বর্ষাকে দেখে বুকের ভিতর যে চিন চিন ব্যথা অনুভূত হয়েছিল আজকে আবার তেমনি হচ্ছে। হালকা মেকাপে বর্ষাকে অপূর্ভ লাগছে। ঠোটের কোণে রহস্যময় মৃদু হাসি। নজরুল নতুন করে আবারো বর্ষার প্রেমে পড়ে গেল।
নজরুলের দৃষ্টি অনুভব করে বর্ষা একটু লজ্জাই পেল। জিজ্ঞেস করল,
"কেমন লাগছে আমাকে?"
নজরুল বর্ষার হাত ধরে গাড়ি দিকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলল,
"বাসায় চলো। বলছি কেমন লাগছে!"
বর্ষা এবার একটু শব্দ করে হেসে উঠল। তারপর নজরুলের পিছু পিছু গাড়িতে উঠল।
No comments:
Post a Comment