Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Monday, October 13, 2014

সাম্প্রতিক ইস্যু

কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল সাম্প্রতিক ইস্যুতে আমার কোন পোস্ট/মন্তব্য নেই কেন। বড় বড় সেলেব্রেটি সবাই কিছু না কিছু বলছে। আমি এত বড় চেলেব্রেটি হয়ে নীরব কেন? ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে এটা ওটা বললেও আসল কথা কিন্তু বলিনি।
আসল কথা হল, জ্ঞানের অভাব। পড়াশুনার প্রতি সীমাহীন আলস্য। সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে লিখতে হলে রেফারেন্স রাখাও জরুরী। আমার আবার রেফারেন্স খেয়াল থাকে না। কোন একটা ঘটনা পড়লে ঝাপসা ঝাপসা মনে থাকে, কিন্তু কোথায় পড়েছি তা মনে থাকে না। কাজেই সাম্প্রতিক কোন কিছু নিয়ে হালকা কথাবার্তা ছাড়া আমার দ্বারা আর কিছু সম্ভব হয় না।
ও হ্যা, সাম্প্রতিক ইস্যু বলতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী শান্তিরক্ষী বাহিনীর "সন্ত্রাসদমন" ইস্যুর কথা বলা হচ্ছে। আপনারা নিশ্চয়ই প্রতিদিনই দেখতে পাচ্ছেন যে, ৬-১০ বছর বয়সী সন্ত্রাসীরা কত নির্মমভাবে ইসরায়েলী ধ্বংসজজ্ঞ চালাচ্ছে। ইসরায়েলী শান্তিরক্ষী বাহিনী তাদের সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে!
আপনার কি কোন ফিলিংস হয় না? না, আমার কোন ফিলিংস হয় না। আমি শুধু মাউসের স্ক্রল বাটন ব্যবহার করি।
অনেকেই দেখছি SAVE GAZA লিখে বিভিন্ন ধরনের প্রোফাইল পিকচার বা কভার ফটো আপলোড দিচ্ছেন। আমার SAVE GAZA দরকার নেই।
শরীরে যখন কোন ফোঁড়া হয় তখন সেই ফোঁড়ার উপর আপনি যতই মলম লাগান না কেন কাজ হবে না। ফোঁড়া গেলে ভিতর থেকে বিষ বের করে দিতে হবে।বিষ না বের করে মলম দিলে কিছুদিন শান্ত থাকবে তারপর আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। গাজা সেইভ করব? কতদিন সেভ করে রাখা যাবে? ইসরাইল যতদিন থাকবে গাজায় শান্তি থাকবে? কাজেই SAVE GAZA নয় DESTROY ISRAEL হতে হবে। ইসরাইল নেই, গাজা সেভ করার দরকারও নেই। তখন তারা নিজেরাই নিজেদের খেয়াল রাখতে পারবে।
অনেকে ইভেন্ট খুলছেন। নাম দিচ্ছেন PRAY FOR GAZA. ভাল কথা। দোয়াতো করাই যায়। হাত তুলে দোয়া করি সেই দোয়া মাথার উপরে উঠে না। হারাম উপার্জন দ্বারা দেহ চলে। সুদ-ঘুস দিয়ে কেনা জামা পড়ি। সেই দেহ নিয়ে, সেই জামা পড়ে দিনরাত ২৪ ঘন্টা মসজিদে সেজদা দিয়ে পড়ে থাকলেও কোন লাভ নেই।
উপার্জনের পর আসে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। কোথায় যেন পড়েছিলাম কেউ যদি দৃষ্টির হেফাজত করে তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন ঈমানের নূর দেবেন যা সে অন্তরে অনুভব করতে পারবে। ভাল কাজ করা তেমন শক্ত কিছু না। শক্ত হল মন্দ থেকে বিরত থাকা। শরীয়তের নির্দেশ হল, ভাল কাজ করতে হবে। মন্দ কাজ থেকে ফিরতে হবে। তাহলেই আল্লাহর সাহায্য-মদদ আমাদের সাথে থাকবে। এখানে ফিফটি-ফিফটির কোন সুযোগ নেই। আমরা আল্লাহুকে ডাকতে ডাকতে বুক ভাসিয়ে ফেলি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
পণ্যবর্জন নিয়ে আর কি বলব? ছয়বছর ধরে অনলাইনে। কমতো দেখলাম না। ফেলানীকে কাটাতারে ঝুলানোর পর একবার রব উঠল ভারতের পন্যবর্জন করো। শাহবাগীরা কিছুদিন আগে পাকিস্তানী পণ্যবর্জনের ডাক দিল। মায়ানমারের বিজিপির হাতে বাংলাদেশের জওয়ান খুন হবার পর মায়ানমারের পণ্যনিয়েও কিঞ্চিত কথাবার্তা উঠেছিল। আর এখন রব উঠেছে, ইহুদি পণ্য বর্জন করতে হবে।
পণ্যবর্জনের কথা উঠলেই নানান কথা চলে আসে। কেউ কেউ তালিকা দিতে শুরু করেন কোনগুলো ইহুদি পণ্য। আমার এত জ্ঞান নেই। আমি কোন তালিকাও প্রকাশ করতে পারি না। আলাদা আলাদা ভাবে পাকিস্তানী পণ্য, ভারতীয় পণ্য, মায়ানমারের পণ্য না দিয়ে বাংলাদেশী পণ্যের তালিকা করা দরকার। সেগুলো ব্যবহার করলেই বাকিসব পণ্য এমনিতেই বর্জন হয়ে যাবে।
সমালোচকদের অভাব নেই। কোনদিন ছিলও না। এইসব আলোচনা করলেও কেউ যদি ভাবে যে, ঠিক আছে আজ থেকে লাক্স সাবান ব্যবহার করব না, কেয়া সাবান ব্যবহার করব (কথার কথা) তবে সেইসব সমালোচকগন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেন। "আপনি একা বর্জন করে তাদের কিছুই করতে পারবেন না।", "পারলে সব কিছু দেশি ব্যবহার করে দেখান।" ," আরে আপনি যে কম্পিউটার ব্যবহার করছেন সেটাইতো ইহুদি পন্য। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের একটা সার্কিট বানানোরই ক্ষমতা নেই।", "কোনটা রেখে কোনটা ছাড়বেন? লোম বাছতে কম্বল উজার হবার দশা হবে।" --ইত্যাদি ইত্যাদি ব্লা ব্লা ব্লা!!
এত সমালোচনার ফাঁকে একটু যাও ইচ্ছে কারো মনে ভিতর জাগে সেটা মরে যায়। বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের মধ্যে সামনে টানার লোক নেই। সবাই পিছনদিকে টানে। কাজেই যেই লাউ সেই কদু। কিছুদিন হয়ত পেপসির বিক্রি একটু কম হবে। অন্যকিছু খাবে। কিন্তু সংকল্প করবে না যে, ড্রিংসই করব না। পেপসি, কোলা, ফান্টা- না খেলে কেউ মারা যাবে না। আর এইগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কিছু করে বলে জানা নেই। একই কথা সিগ্রেটের ক্ষেত্রেও বলা যায়।
স্বাস্থ্যের জন ভাল না, শরীরের জন্য কোন উপকার নেই--সেটাতেই বাঙ্গালী মজে আছে। একইভাবে, দেশের জন্য ভাল না, দেশি পণ্য বাজার পাচ্ছে না--সেইসব পণ্যেই বাঙ্গালী মজে আছে এবং থাকবে। শংকর জাত/মুসল্লী থেকে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করার সুযোগ নেই।
আগে কেউ ভাল কিছু বললে আশাবাদী হতাম। মনেহত, না এখনো সুযোগ আছে। ভাল কিছু করার। এখন আশাবাদী হবার ইচ্ছেটাই মরে গিয়েছে।

No comments: