Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Sunday, October 12, 2014

থিউরী অফ কমপ্লিক্যাসী-১


প্রারম্ভিকা


থিউরী অফ কমপ্লিক্যাসী (নিজস্ব) আমার খুব প্রিয় বিষয়। এ নিয়ে চিন্তা করতে আমার খুব ভাল লাগে। যদিও অনেক ভেবে কিছু কিছু জিনিসের কুলকিনারা করতে পারি না। সব তাল গোল পাকিয়ে যায়। 

আচ্ছা, মানুষের মন কয়টা? ভালবাসার প্রকারভেদ কত? কোন প্রকারের ভালবাসা কি অপর প্রকারের চেয়ে শক্তিশালী? একটা প্রাধান্য দিয়ে কি অন্যটাকে ভুলে থাকা যায়?

পরিবারের মানুষের প্রতি আমাদের ভালবাসা কি পরিবারের বাইরের মানুষটি কেড়ে নিতে পারে? নাহলে আমরা নির্দ্বিধায় তার হাত ধরতে পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করি কেন?

পারিবারিক বন্ধন, ভালবাসা বা দায়বন্ধতা যেটাই বলি না কেন, সেটা যদি না থাকত তবে আমি হয়ত আমার জন্মস্থানে কখনোই ফিরতাম না। এখানে চারদিকে শুধু তোমার স্মৃতি। রাস্তা দিয়ে যাই, ভাবি এখানেই প্রথম দেখেছিলাম। ল্যাম্প পোস্ট দেখলেই মনে পড়ে যায়, এর নিচেই প্রথম সামনা সামনি কথা হয়েছিল। কিছু মানুষ দেখলেই মনে হয় একে নিয়েও আমরা একদিন কথা বলেছিলাম! সেই রাস্তা, সেই কলেজ, সেই মানুষজন, সেই আমি!!!-- কত পরিচিত! তবুও কত বিতৃষ্ণা! আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।

আমি জীবন থেকে বার বার পালাতে চাইলেও, জীবন আমাকে বার বার গ্রেফতার করে। মন খারাপ করব?? মন ভাল থাকে কখন যে মন খারাপ করব!


অনুভূতি ও ক্ষত

মানুষে মানুষে অনুভূতির গভীরতা পারস্পারিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। যার সাথে যার সম্পর্ক যত ভাল তার সাথে ভাবের আদান-প্রদান তত গভীর। ক্ষেত্রবিশেষে এই ভাব/ভালবাসা/অনুভূতির গভীরতা/তীব্রতা এত গভীর যে পারস্পারিক বাহ্যিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়াই একজন অপরজনকে অনুভব করতে পারে, বুঝতে পারে। কেউ কারো অনুভূতি বুঝতে পারে কিনা সেটা দু'টো জিনিসের উপর নির্ভর করতে পারেঃ

  1. নিজের অনুভূতির তীব্রতার উপর
  2. অপরের সেই অনুভূতি গ্রহন করার ক্ষমতার উপর।
মানুষে মানুষে মাধ্যম ছাড়া যোগাযোগ বা টেলিপ্যাথির কথা হয়ত শুনে থাকবেন। সবারই কমবেশি এই ক্ষমতা থাকে। মায়েদের সম্ভবত এই ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। সন্তানের প্রতি মায়ের অনুভূতির তীব্রতা এত বেশি যে, সন্তানের সামান্যতম ক্ষতি মায়ের মনে অন্যরকম অনুভূতি বা উতলা ভাবের সৃষ্টি করে। সন্তান গোপন করতে চাইলেও মায়ের মন টের পেয়ে যায় কোথাও কোন কিছু গন্ডগোল হয়েছে।

প্রতিটা মানুষেরই এই "টের পাওয়ার" ক্ষমতা আছে। কেউ বুঝতে পারে, কেউ বুঝতে পারে না। কেউবা "ধূর" বলে উড়িয়ে দেয়। কেউ বা সন্দেহে ভোগে, আসলেই কি এমন হচ্ছে?

সবার জীবনেই এমন ঘটনা হয়ত আছে, আপনি কাউকে ফোন করলেন আর সে বলল, তোমাকেই ফোন দিব ভাবছিলাম কয়েকদিন ধরে। অথবা এমন কেউ আপনাকে ফোন করল যাকে ফোন দেবার কথা আপনি ভাবছিলেন। এমন কারো কাছ থেকে চিঠি পেলেন যাকে চিঠি লেখার কথা ভাবছিলেন। এমন কারো বাসায় বেড়াতে গেলেন যে কিনা প্ল্যান করছিল কিভাবে আপনার বাসায় বেড়াতে আসবে।

এখন কথা হল, ভালবাসার ক্ষেত্রে কি এমনটা ঘটে? ঘটতে পারে? যারা ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে দূরে আছে তারা প্রায়ই এমন প্রশ্ন মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান যে, আমার কথা কি তার একটুও মনে পড়ে না? আমিতো তাকে ভুলতে পারি না। তার কি ভুল করেও আমার কথা মনে পড়ে না?

খুব কঠিন প্রশ্ন। আবেগের প্রশ্ন। সব ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আমার উদ্দেশ্য কি, আমার উদ্দেশ্য কি ভাল কিছু নাকি মানুষের ক্ষতি করা; এর উপর ভিত্তি করে সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে কোন কিছুই ফেলনা বা ফালতু নয়। আমার চিন্তা-চেতনাও নয়। আমি যদি কোন কথা ভাবি এটার নিশ্চয়ই প্রতিক্রিয়া আছে। এখন কথা হল কিভাবে বুঝব কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা।

এখন ধরা যাক, ঢাকা শহরের সব বাসার ছাদে এন্টেনা লাগানো আছে আর কেউ চিটাগাং থেকে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে। এখন কেউ যদি চায় সেই সিগন্যাল সে ধরবে না তবে ছাদ থেকে এন্টেনা খুলে ফেলবে। কিন্তু অন্য এন্টেনাগুলো ঠিকই সেই সিগন্যাল পাবে। পেলেও স্কিপ করবে। কারন সে হয়ত অন্য কারো সিগন্যালের জন্য ব্যস্ত বা তার নতুন কোন সিগন্যালের প্রয়োজন নেই।

কিন্তু মনের এন্টেনা খুলে ফেলা এত সহজ নয়। কেউ যদি কাউকে সিগন্যাল পাঠায় তবে তার সিগন্যাল যথাযথ এন্টেনায় ধরা পড়ে। মনের তিনটি অংশ থাকেঃ সচেতন মন, অচেতন মন, অবচেতন মন। মনের অবচেতন অংশ অনেক কিছুই বুঝতে পারে। কিন্তু তা নানা কারনে সচেতন মনে পৌছায় না।

সহজ কথায়, আমি যদি কারো কথা ভাবি তারও আমার কথা কোন না কোন সময় মনে পড়ে। মনের কবরস্থানে কাউকে কবর দেয়া এত সহজ নয়। সেই লাশ বার বার জিন্দা হয়ে কবর থেকে উঠে আসে।

তাহলে কি মনের ক্ষত শুকাবার নয়? এখানেও কিন্তু চিন্তাভাবনার খোরাক পাওয়া যায়।

মানুষের স্বার্থপরতার নিদর্শণ হল মানুষ নিজেকে সুখী করতে চায়, সুখী দেখতে চায়। তার এই চাওয়ার দ্বারা যদি কারো কোন ক্ষতির সম্ভবনা না থাকে তবে সেই চাওয়ায় দোষ নেই। বরং কেউ তা প্রত্যাখ্যান করলেই নিজের প্রতি অবিচার করা হবে।

মানুষের যখন প্রিয় কেউ হারিয়ে যায় তখন তার অন্তরে ব্যথার গভীর ক্ষত তৈরি হয়। এই ক্ষতকে যদি মাটিতে গর্তের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখা যাক কি পাওয়া যায়।

কোন বাগানে কিংবা সমতল ভূমিতে একটা বিরাট গর্ত এমনি এমনি তৈরি হয় না। কেউ না কেউ ঐ গর্ত তৈরি করে। সেই গর্ত কি দিয়ে ভরাট হবে? মাটিখুড়ে গর্ত করা হয়েছে মাটি দিয়েই ভরাট করতে হবে। মাটিতো আর নিজে নিজে যেয়ে গর্তে পড়বে না। কাউকে না কাউকে সে দায়িত্ব নিতে হবে বা দায়িত্ব নিতে দিতে হবে। গর্তের উপরে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

ভালবাসা দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত ভালবাসা দিয়েই পূরণ করা সম্ভব। টাকা, পয়সা, গহনা দিয়ে নয়। পরম মমতায়, আদর, যত্নে কেউ যদি সেই ক্ষত পূরণ করে ছোট্ট চারা রোপন করে আর ঠিকমত দেখাশোনা করে তবে সেই চারাগাছ একদিন মহীরুহু হয়ে উঠবে। ফুলে, ফলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। সেই ফুলের সুবাস হবে মনমাতানো। সেই ফলের স্বাদ হবে পাগলকরা।

ক'জন মানুষ পারে নিজেকে কারো ক্ষত পূরনে সহায়ক করতে? ক'জন মানুষের ভাগ্যে এমন কেউ থাকে যে তার ভালবাসা দিয়ে অপরের ক্ষত পূরন করে দিতে পারে?

তাই বলে কি আশা ছেড়ে দেব? আমি আশা ছাড়ার পক্ষে নই। সিনিয়ররা বলেন, লাইফ নাকি ব্যালেন্স হয়। ব্যালেন্স দেখার অপেক্ষায় থাকব।

প্রথম

জীবনে সবারই সব কিছুতেই প্রথম বলে একটা ব্যাপার থাকা। প্রথমবার পরীক্ষা দেয়া, প্রথমবার স্কুলে যাওয়া, পাশের বাড়ির গাছ থেকে ডাব খাওয়া, প্রথমবার সিগারেটে টান দেয়া...তালিকা তৈরি করা শুরু হলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। এটা যেহেতু থিউরী অফ কমপ্লিক্যাসীর অধ্যায়, কাজেই এখানে ওইসব না বললেও চলবে।

লিহাম, তুমি কি জানো তুমি আমার জীবনে অনেক কিছুতে প্রথম? তুমিই প্রথম যে এত্তসুন্দর করে "হ্যালো" বলতে পারে। যে আমার মেসেজ পেয়ে খুশি হয়। যে আমাকে বলে আমি নাকি তাকে মেসেজ দেই না। এতে আমার মধ্যে অন্যরকম একটা ভালোলাগা তৈরি হত। তুমি কি জানো তুমিই প্রথম যে আমার মধ্যে এই ধরনের ভালোলাগা তৈরি করতে পেরেছিল?

তুমিই প্রথম যে আমাকে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় দিত, আমার জন্য অপেক্ষা করত। আমার একটু দেরি হলে আমার মোবাইলে মেসেজ চলে আসত। তুমিই প্রথম যে আমাকে Miss u বলেছিল। তুমিই প্রথম যার সাথে কথা বলতে আমার টপিকের অভাব হত না। আমি কখনো বোরিং ফিল করতাম না। আমার খুবই আনন্দ হত যে এই প্রথম কেউ আমার সাথে কথা বলার জন্য মুখিয়ে থাকত, আমার সাথে কথা বলতে ভাল লাগত।

আমি কি ভুলে যাব সেই রাতগুলোর কথা যখন প্রায় ভোরের দিকে আমার মোবাইলে এক বা দুই শব্দের মেসেজ আসত। কেউ আমার সাথে কথা বলতে চাইত? আমি কি ভুলে যাবো সেই রাতের কথা যখন প্রথম কেউ আমাকে মিস করবে বলে কেদেছিল? আমি কি ভুলে যাব সেই রাত গুলোর কথা, রিমিঝিম বৃষ্টি, বিরাট এক শেডের নিচে দাঁড়িয়ে আছি, কথা বলছি, ভোরের আজান দিচ্ছে??? আমি কি ভুলতে পারব কারো চোখের পানিতে আমার গলা ভেঙে যাচ্ছিল, আমার চোখ আদ্র হয়ে যাচ্ছিল?

আমি আজো মাঝে মাঝে থমকে দাড়াই যেখানে তোমাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম। সেই রাস্তায় চলে যাই যেখানে তোমার সাথে আমার প্রথম কথা হয়েছিল। সেই ল্যাম্পপোস্টটা আমার খুব প্রিয়ে যার নিচে দাঁড়িয়ে আমরা কথা বলেছিলাম। সেই রাস্তা ধরে আমি আজো হেটে যাই। অন্তর চৌচিড় হয়ে যায়, আমি হাসি মুখে হেটে যাই।

আমি কি করে ভুলে থাকি যে, কেউ আমাকে বলেছিল তাদের বাসায় যেতে? বাসায় গেলে আমার লাজুক হাসি দেখে খুবই উপভোগ করেছিল। আমাকে নিজের হাতে বানানো নাস্তা, চা খাইয়েছিল। তাদের বাসায় যাবার কারনে আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছিল।

আমি কিভাবে ভুলব, প্রথমবার কারো কাছ থেকে অটোগ্রাফ নেয়া। উত্তেজনায় সাবলীলভাবে আমার বাহু কোমল আঙুলে চেপে ধরা, আবার আমার আড়ষ্টতা উপলদ্ধি করে স্বাভাবিকভাবে সরিয়ে নেয়া? আমি কিভাবে ভুলি, সেই যে প্রথম রিকশায় চড়া তোমার সাথে? জ্বর নিয়েও আমার সাথে রিকশায় চড়া? আমার সাথে ঘুরে বেড়ানো?

প্রতিবার ফুচকা খাওয়ার সময় আমার প্রথমবারের কথা মনে পড়ে। ফুচকা খাই ঠিকই কিন্তু সেই স্বাদ, থ্রিল কোথায়? কে আমাকে ফুচকার মধ্যে টক ঢুকিয়ে দিয়ে আমার হাতে তুলে দেবে? তার প্রিয় খাবার পেস্ট্রি জেনে পেস্ট্রি খাবার বিলাসিতা প্রথমবারের মত করি।

প্রথমবারের "প্রেমে পড়ে যাচ্ছি বলা, ভালবাসি বলা, এভয়েড করছি" বলা। ভুলে যাবো?? কিভাবে ভুলব যার সামনে গেলে আমার পালস্‌ বেড়ে যায়, শরীরে কাপন আসে, টেম্পারেচার বেড়ে যায়, লোমগুলো দাঁড়িয়ে যায়, তার সাথে প্রথমবারের রেস্টুরেন্টে বসা?

কিভাবে ভুলে যাব? স্মৃতিগুলো মুছে ফেলব? কিভাবে? কিভাবে?

ভাবতে ভালো লাগে


এইইই!!!
-উম্‌ম।
আরে এইইইইইইই!!
-কি হলো? বলো কি বলবে।
তুমি আমাকে ভালবাস?
- না, বাসি না।
কি??!! ভালবাসো না?
-বললামতো না।
ঠিক আছে আমি গেলাম।
-কই যাও?
আমি যেখানেই যাই তোমার কি?
-আর আসবা না?
কেন আসব? আমার কে আছে?
-কেউ নাই???
না, নাই।
-সত্যি কেউ নাই?
এখন নাই। বিয়ের আগে ছিল। আমাকে কত ভালবাসত!!
-তার কাছেই যাচ্ছ নাকি?
হ্যা!!!!!
ও চট করে উঠে যেতে চাইলেই আমি খপ করে তার হাত ধরে ফেললাম। তারপর হ্যাচকে টান দিয়ে আমার বুকের উপর এনে ফেললাম।


-এবার দেখি তুমি কিভাবে যাও।
ছাড়ো, ছাড়ো আমাকে।
-না, ছাড়ব না। আমার বউকে আমি ধরছি। তাতে কার কি?
কি বললা?
-বউ!
আবার বলো......
-পারব না।
না পারলে আমি গেলাম।
বলেই এক ঝটকা দিয়ে হাত ছুটিয়ে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। আমি লাফদিয়ে বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে গিয়ে দরজা আটকালাম।

-কোথায় যাও?
যেদিকে দু'চোখ যায়.........!!!
-ঠ্যাঙ ভেঙে দেব!
দাও, আমি কি মানা করছি।
- ওওও...আমি ঠ্যাঙ ভেঙে দেই। তারপর তোমাকে কোল নিয়ে ঘুরে বেড়াই। তাইনা?
হুম্‌ম......
-তবেরেএএএ......

বলেই ওকে পাজকোলা করে কোলে তুলে নিলাম। ও খিলখিল করে হেসে উঠল। আমি তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতেই ও লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুখ লুকাল!


জানি না 


কেউ যখন আমাকে কিছু বলে যা আমার জানা নেই বা যা আমি বুঝতে পারি না, তখন আমার নিজের উপর খুব রাগ হয়। মনেহয়, আমি জানলাম না কেন? সে কিভাবে জানল বিষয়টা যা আমি জানি না? অথবা, তার কথা টা আমি বুঝছি না কেন? আমার সমস্যা কি? এই ধরনের চিন্তা-ভাবনা মাথায় এসে ভর করে। 

আমার কৌতূহল খুবই বেশি। কিন্তু আমি বাধ্য না হলে কাউকে প্রশ্ন করি না। আবার অনেকের অনেক প্রশ্নের উত্তর দেই না। দিতে ভাল লাগে না। আমি শুধু উত্তর খুজি। চারপাশে এত প্রশ্ন!! এখনতো উত্তর খোজা অনেক সহজ। গুগল করি। গুগল তার মত করে উত্তর দেয়। মাঝে মাঝে পছন্দ হয় মাঝে মাঝে হয় না। খুব কাছের বন্ধু হলে আমার প্রশ্নগুলো আমি ছড়িয়ে দেই। কিন্তু তাদের মুখখানি যখন আমার দৃষ্টির সামনে অসহায় হয়ে যায়, তখন আমার মনে হয় "কি দরকার ছিল!"

আমি ডিকশনারী ঘেটেছি, গুগল সার্চ দিয়েছি, বন্ধুদের জিজ্ঞেস করেছি; কিন্তু তোমার "জানি না"র মানে আজো খুজে পাই নি!


ভালোবাসা

নিজের মনে অসংখ্য ভাবনা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়। মাথা খাটিয়ে বের করতে চাই আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর। সরাসরি না পেলে উপমা দিয়ে খুজি। আচ্ছা "ভালবাসা" কি? নাহ্‌, আমি থাকার বাসার কথা বলছি না। আমি মানুষের সম্পর্কের কথা বলছি। যেসব উত্তর আমি পেয়েছি অন্যের কাছে, যেমন-"আবেগ, বন্ধুত্ব, মনের খেয়াল" ইত্যাদি আমার কেন যেন আমার কাছে যুৎসই লাগে না। 


শেষে আমি নিজেই উপমা খুজে বেড়াই। আমার কাছে ভালবাসা হল মনের ভিতর বিরাট এক ফ্ল্যাট বাড়ির মত। কোন ফ্ল্যাট বাড়ির প্রতিটা ফ্ল্যাটে যেমন আলাদা আলাদা ভাড়াটিয়া থাকে, তেমনি মনের ফ্ল্যাট বাড়ির একেক ফ্ল্যাটে ভালবাসার একেক মানুষ থাকে। বাবা-মার ভালবাসা সেই বাড়ির একটা ফ্ল্যাট, ভাই-বোনের জন্য অন্য ফ্ল্যাট, বন্ধু-বান্ধবের জন্য আলাদা ফ্ল্যাট। আর স্পেশাল ফ্ল্যাটটি হল মনের মানুষের জন্য। ফ্ল্যাটবাড়ির প্রতিটা ফ্ল্যাট আকার-আকৃতিতে একরকম হলেও অভ্যন্তরীন সাজ-সজ্জা ভিন্ন। মনের ফ্ল্যাট বাড়িরও একই অবস্থা। একেক জনের জন্য ভালবাসার ধরন একেক রকম। মা-বাবার প্রতি ভালবাসা একরকম। ভাই-বোনদের প্রতি অন্যরকম। প্রতিবেশী-আত্মীয়স্বজনদের জন্য একরকম। প্রিয় মানুষটির জন্য সম্পুর্নই আলাদা রকম। মানুষে মানুষে অসংখ্য রকমের সম্পর্ক। ফ্ল্যাটের ধরনও ভিন্ন। বাস্তবে ফ্ল্যাটবাড়ির কোন ফ্ল্যাট খালি হয়ে গেলে সে তালা ঝুলানো হয়। পরে অন্য ভাড়াটিয়া উঠে।

মনের ফ্ল্যাট বাড়ীর ক্ষেত্রে এমন হয় না। বাবা-মা যে ফ্ল্যাটে থাকেন তারা যখন মায়ার বন্ধন ছেড়ে অসীম মায়ার জালে জড়িয়ে যান সেই ফ্ল্যাটে আর কেউ উঠে না। তালা মারাই থাকে। অন্যদের ক্ষেত্রেও একই কথা। মনের কল্পনার যেমন সীমারেখা নেই মনের ফ্ল্যাটবাড়ীরও ফ্ল্যাট সংখ্যার সীমাবদ্ধতা নেই। কেউ কোন ফ্ল্যাটে উঠলে, সে-ই বাড়ীর মালিক যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তার জন্য সে ফ্ল্যাটই বরাদ্দ থাকে। সেই ফ্ল্যাটের তালা শুধু নির্দিষ্ট বোর্ডারের চাবি দ্বারাই খোলে।

লিহাম, আমার ফ্ল্যাটবাড়ীর সবচেয়ে সুন্দর ফ্ল্যাটটি তোমাকে দিয়েছিলাম। তুমি থাকনি। হয়ত আমার ডেকোরেশন তোমার পছন্দ হয়নি। জানি না, জানতে চাই নি। জোর করিনি, জোরাজুরি আমার ভাল লাগে না। তুমি যদি ভেবে থাক তুমি চলে গেলেই অন্য কেউ ফ্ল্যাটের দখল নেবে তবে তুমি ভুল করছ। তুমি এমন ভুল করার মানুষ না আমি জানি। যে ফ্ল্যাট তোমার জন্য ছিল সেটা তোমার জন্যই থাকবে যতদিন বেঁচে থাকব। যেখানে তোমার হাতের ছোয়া আছে, তোমার পায়ের স্পর্শ আছে, তোমার নিঃশ্বাসের বাতাস আছে, তোমার হাসির অনুরনণ আছে; সেখানের আর কারো প্রবেশাধিকার নেই। অন্যে হয়ত অন্য ফ্ল্যাট দখল নেবে।কিন্তু তোমারটা যেমন ছিল, তেমনি থাকবে। যেমন রেখে গেছো, জীবন্ত-অমলিন!


ভাবতে ভাল লাগে


+ হাসছো কেন?
- এমনি...
+ তুমিতো এমনি হাসার মানুষ না। বল কেন হাসছো?
- না, বলবো না।
+ বলতে হবে!!
- না বললে কি করবে?
+ নখ দিয়ে চোখ গেলে দেব।
- এহহহ...বলে কি? আমার ঘরে এসে আমার সাথে মাস্তানি!!
+ মাস্তানীর দেখেছো কি!! সবে তো শুরু। সারাজীবন দেখতে হবে।
- বলে কি!!
+ হুম। এখন ভালয় ভালয় বল হাসছিলে কেন।
- তোমার চোখ দেখে হাসছিলাম।
+ কেন? আমার চোখে কি জনি লিবার লুঙ্গি ড্যান্স দিচ্ছে নাকি?
- না, তা না। তোমার চোখ দেখে মনে হচ্ছিল তোমার ইচ্ছে হচ্ছে আমাকে জড়িয়ে ধরতে। মেয়েরা ছোটবেলায় তাদের আদরের পুতুলটাকে যেভাবে বুকে জড়িয়ে রাখে সেভাবে।
+ ইশ!! শখ কত! আমার বয়েই গেছে তোমাকে জড়িয়ে ধরতে।
- তাহলে আমি যা বলেছি সেটা মিথ্যে??
+ জানি না।
- হাঃ হাঃ হাঃ ......
+ চুপ!!!!!!!!
- আচ্ছা যাও 'চুপ', তবে চুপ করার আগে তোমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকি??
+ না।
- বা রে...আমার বউ আমি দেখব তাতে তোমার এত আপত্তি কেন??
+ বউ দেখতে হবে না।
- কেন?
+ এত কেন কেন করবে না। এখানে চুপ করে বসো। আরেকটা কথা বললে খবর আছে।

সাগর মিলির কথা শুনে চুপ করে মিলির সামনে বসল। তারপর মিলির দু'হাত নিজের দু'হাতে তুলে নিয়ে অসম্ভব কোমল গলায় বলল,

"আমি বুঝি তোমাকে খুব জ্বালাই?"

মিলি পূর্ণ চোখে সাগরের দিকে তাকালো। তারপর সাগরের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে ফিসফিস করে বলে উঠল,

"এভাবেই বাকি জীবনটা আমাকে জ্বালিও।"

No comments: