আমাদের একেকজনের অনুভূতি, অনুভূতির গভীরতা, বুঝের গভীরতা একেক রকম। একই জিনিস সবাই একইভাবে নিতে পারে না। সাধারন কোন জোকস কারো আনন্দের খোরাক জোগায়, কাউকে বিরক্ত করে।
আজকাল অনেককেই বলতে শুনি, মুসলিমদের ধর্মানুভূতি এত হালকা, এত ঠুনকো নয় যে সামান্য কোন কার্টুন, গল্পে, কথায় তাতে আঘাত লাগবে!
আমার একটা কবিতা মনে পড়ে এসে কথা শুনলে-
"কাউকে শালা বললে তেড়ে আসে
আর কাউকে মাদার** বললেও খিলখিল করে হাসে"
ডাঃ জাকির নায়েক তার কোন এক লেকচারে শালীনতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের বাঁ হাত পেট বরাবর রেখে বলেছিলেন,
"আপনাদের (অনেক অমুসলিমদের) শালীনতার লেভেল এটা!"
তারপর ডানহাত বাঁ হাতের উপর নিজের গলা বরাবর রেখে বললেন,
"আমাদের (মুসলিমদের) শালীনতার লেভেল হল এটা!"
একইভাবে আমিও বলতে চাই, আপনাদের অনুভূতির লেভেল কোথায়! আর আমাদের অনুভূতির লেভেল কোথায়!! আপনাদের সাথে কি আমাদের তুলনা হতে পারে??
আল্লাহু তায়ালা আপনাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন নিষ্পাপ-মাসুম করে। তারপরও ছোটখাট (!) যেসব দোষ-ত্রুটি হয়ে যায় তা বছরে দু'বার নামাযের মাধ্যমেই আপনারা মাফ পেয়ে যান।
আর আমাদের! দিনে পাঁচবার হন্তদন্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হয়ে করোজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থণা পরও আশংকায় থাকতে হয় যে, ক্ষমা পেলাম কিনা!
হাদীস অনুযায়ী, পূর্ণ ঈমানদার হতে হলে রসূলুল্লাহ (সাঃ) কে নিজের পরিবারের চেয়েও বেশি ভালবাসতে হবে, এমনকি নিজের চাইতেও বেশি ভালবাসতে হবে। [যতদূর মনে আছে]
আর ভালবাসার দাবি হল, ভালবাসার মানুষের সম্মান রক্ষা করা। করতে চেষ্টা করা। যেমন, আমার বাবাকে কেউ যদি কটু কথা বলে তবে আমি তার প্রতিবাদ করব। আমার মনে হয় এমন কোন সন্তান নেই, যে তার বাবার অসম্মানকারীর প্রতি প্রতিবাদ জানাবে না।
অথচ আল্লাহু তায়ালা, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বা ইসলামের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাপার নিয়ে যারা তামাশা করে তাদের কথার প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা বরং যদি কেউ প্রতিবাদ করে তখন তার পিছনে লেগে যাই। রিসার্চ করতে থাকি আমাদের ধর্মানুভূতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা।
ধিক আমাদের ভালবাসা! ধিক আমাদের ধর্মানুভূতি!! ধিক আমাদের ঈমানদারী!!!
No comments:
Post a Comment