কলেজ লাইফের একটা কথা শেয়ার করি। কেউ হাসবেন না। অট্টহাসিতো না-ই, মুচকি হাসিও যেন না দেখি।
কলেজ উঠা মানে পোলাপানের ভাব বাড়া। সবাই একটু ভাবে থাকে। একটু ফিটফাট, চুলের স্টাইল, হাটার স্টাইল-সব কিছুই একটু যেন আগের চেয়ে বদলে যায়। আর যদি সাইকেল থাকে তবে কথাই আলাদা। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, আমার সাইকেল ছিল না। কিন্তু আমার বন্ধুর ছিল। লাল একটা সাইকেল।ব্রান্ডের নাম মনে নেই। পিছনে ভাল একটা ক্যারিয়ার আর সামনে ছোট একটা ঝুড়ি। সঙ্গে ছিল মিউজিক হর্ণ। সবেমাত্র তখন সাইকেল চালানো শিখেছি। নিজের না থাকাতে এর ওর সাইকেল ধার করে চালাই। এখানে সেখানে যাই। ভালই লাগে। এমনি এক কাজে ওর সাইকেল একদিন চাইলাম।
+ দোস্ত সাইকেল নিবি ভাল কথা। কবে নিবি?
- কালকা সকালে লাগব। বিকালের দিকে দিয়া যামু।
+ আইচ্ছা লইছ। তয় একটা কথা কইয়া দেই।
- কি কথা?
+ এই সাইকেল চালানোর সময় মাইয়ারা সামনে আইলে ভাব লইতে যাইস না। পিছনদিকে প্যাডেল ঘুরাইস না। চেইন পইড়া যাইব গা।
- কসকি??!!
+ হ, এমনে কোন সমস্যা নাই। খালি মাইয়াগো সামনে পার্ট লইস না।
- আইচ্ছা...
- কালকা সকালে লাগব। বিকালের দিকে দিয়া যামু।
+ আইচ্ছা লইছ। তয় একটা কথা কইয়া দেই।
- কি কথা?
+ এই সাইকেল চালানোর সময় মাইয়ারা সামনে আইলে ভাব লইতে যাইস না। পিছনদিকে প্যাডেল ঘুরাইস না। চেইন পইড়া যাইব গা।
- কসকি??!!
+ হ, এমনে কোন সমস্যা নাই। খালি মাইয়াগো সামনে পার্ট লইস না।
- আইচ্ছা...
তো পরেরদিন যেয়ে সাইকেল নিলাম। রওনা দিলাম। অর্ধেক পথ যাবার পরে দেখি কোন এক জায়গা থেকে প্রাইভেট পড়ে একদল মেয়ে এদিক আসছে বা কোথাও যাচ্ছে পড়তে। উঠতি বয়সী পোলা মেয়েদের দেখে ভাব পার্ট নেবে না-তা কি হয়? বিশ্বাস করেন আর নাই করেন। কথাটা শুধু মাথায় আসছে কার্যকর হয় নাই-ব্যাস পিছনে খুট করে একটা শব্দ হল আর আমার সাইকেলের স্পিড পড়ে গেল। আমি সাইকেল থামিয়ে চেইন ঠিক করতে বসলাম আর মেয়েগুলা "হি হি হি" করতে করতে চলে গেল!!
No comments:
Post a Comment