"আমিতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, আমাকে কেন নাস্তিক বলা হল?"
কয়েকমাস আগে টিভিতে যখন এই কথা গুলো শুনেছিলাম, হাসি আসছিল। তাৎক্ষনিকভাবে মনে হয়েছিল যে, আচ্ছা বাংলাদেশ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযী কি একজনই? এত এত নামাযী থাকতে তাকে কেন নাস্তিক বলা হল? অন্যদের কেন বলা হল না?
হ্যা, বলছি চাচার কথা। চাচাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার প্রয়োজন দেখি না। যতদূর জানি, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং গনজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী। চাচার নাম যারা জানে না তাদের কারো সামনে যদি চাচাকে নিয়ে যাই এবং বলি, "ভাই বলেনতো এই লোকটা মুসলিম নাকি অমুসলিম?"-উত্তর দেয়ার কোন সুযোগ আছে কি? নাই, দেখে বোঝার কোন উপায় নাই। কেউ বলতে পারে, ঈমান মানুষ দেখানোর বিষয় না, আল্লোহকে দেখানোর বিষয়। সঠিক কথা বলেছেন আপনি। তবে কার ঈমানের দৌড় কতটুকু সেটা তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রকাশ পায়-এটা মনে রাখতে হবে।
যখন প্রকাশ্যে ঘোষনা দেয়া হয় "শাহবাগ ঠান্ডা হবে হেফাজতের রক্ত দিয়ে" - দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম উলামাদের বিপক্ষে যখন এমন কথা বলা হয় আর প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা প্রতিবাদ করার চিন্তাও যে করে না তার ঈমানের দৌড় কোথায় সেটা ভেবে দেখার বিষয়।
আমার চাচীও আছেন মঞ্চ নিয়ে। তবে এটা নাটকের মঞ্চ। গুগল আর ফেবুতে তার যেসব ছবি দেখেছি বেশিরভাগেই তিনি কপালে বিরাট একটা টিপ পড়েছেন। কোনটাতে গোল, কোনটাতে লম্বা। এর সাথে কি বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের মিল পাওয়া যায়? যেতেও পারে। তিনি আবার কাউকে কাউকে সেই বিশেষ সম্প্রদায়ের আরাধ্যদের নাম ধরে সম্বোধন করে থাকেন।
এগুলো কিসের আলামত? কোন ঈমানদার নামাযীর বউয়ের ঈমানের আলামত?? আমি যদি টকশোতে যেতাম আমিও বলতাম, "আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।" আমার এই কথায় কি আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতাম?? দেশের মানুষ হেসে কূল পেতো না।
যার সাথে যার মিল হবে তার সাথে তার হাসর হবে। আমার কথার মিল না, কাজের মিল, অন্তরের মিল। যদি মুসলিমের সাথে মিলে যায় তবে মুসলিমের সাথে হবে আর নাস্তিকের সাথে মিলে গেলে নাস্তিকের সাথে হবে। তারপর শেষ গন্তব্য কোথায় হবে সেটা তখনই বোঝা যাবে।
No comments:
Post a Comment