চিটাগাং এসেছি প্রায় ৭ বছর। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে প্রায় নিঃসঙ্গই বলা চলে। এতদিন যাদের সাথে মিশেছি, ঘুরেছি, ফিরেছি; চাকুরী এক নোটিশে তাদের ছেড়ে আসতে খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। তবুও চাকুরীতো! আসতেই হবে।
আমি চিটাগাং আসার পর সিডর, আইলা, নার্গিস-এরাও বাংলাদেশে এসেছে। সরাসরি চিটাগাঙ্গে আঘাত না করলেও কিছুটা ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে। আমার অবস্থান একেবারেই সমুদ্র ঘেষা। যদি চিটাগাং উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়গুলোর কোন একটা আঘাত আনত, তবে আমার কি হত-তা আল্লাহুই ভাল জানেন!
কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হল (ফ্যামিলি মেম্বার ছাড়া) আমার কোন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এই কথা জিজ্ঞেস করেছে কিনা মনে নেই যে,
"শুনশলাম অমুক ঘূর্ণিঝড় আসছে। তোর/তোমার এখানে কি খবর?"
আমি কিছুই মনে করিনি। আমি জানি আমি কারো জীবনে এমন কোন প্রভাব ফেলতে পারিনি যে, সে আমার খবরা খবর নেবে, ভালমন্দ জিজ্ঞেস করবে। একটু যে অভিমান হত না তা নয়। মানুষের মত হাত-পা যেহেতু আছে অভিমান হতেই পারে!
চিটাগাং এসে কারো জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়েছি এমনও নয়। খুব ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছি তাও না। তবুও দু-একজন মানুষ বিচিত্র কারনে আমাকে খুবই পছন্দ করে। কেন করে কে জানে??!!
কিছুদিন আগে টানা কয়েকদিন তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। আপনার হয়ত টেলিভিশনে দেখেছেন। টেলিভিশনের দেখে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। আমরা নিজেদের মধ্যে বৃষ্টি বলিনি, বলেছি পানি পড়ে। কারন বৃষ্টি এভাবে পড়ে না। কেউ যেন আকাশ থেকে পানি ঢেলে দিচ্ছে মগে করে। এমন অবস্থা!
এই অবস্থায় চিটাগাঙ্গের এক ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে খোজ-খবর নিল। আমি যতটা না খুশি হয়েছি তারচে' বেশি হয়েছি বিস্মিত। #SN, আমি জানি না, ভালবাসার প্রতিদান কিভাবে দিতে হয়। হয়ত কখনই দিতে পারব না। আমি যা ভাবি তাতে কোন না কোন ভাবে স্বার্থ চলে আসে। নিঃস্বার্থভাবে কিছুই করতে পারি না।
আমাকে ক্ষমা করে দিও! তোমার এমন ভালবাসার হয়ত কোন প্রতিদানই আমি দিতে পারব না।
No comments:
Post a Comment