ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের অনেক কথাই নিজের অভিজ্ঞতালদ্ধ। কাজেই কম-বেশি হতে পারে। হয়ত অন্যকারো আর ভাল উত্তর জানা আছে। আমি যা জানি সেটাই শেয়ার করছি।
প্রশ্ন-১ঃ ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে কিভাবে?
উত্তরঃ প্রশ্নটা যতটা সহজ উত্তর ততটাই কঠিন। ব্যবহারকারী বোকা না হলে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা খুব শক্ত। যেমনঃ
১. পাসওয়ার্ড চুরি করাঃ কেউ ফেবুতে পাসওয়ার্ড দিচ্ছে আপনি দেখে নিলেন। কোন খাতায় লিখে রেখেছে। দেখে নিলেন। এটাই সবচেয়ে সহজ।
২. অপরিচিত কারো ফেসবুক পাসওয়ার্ড পেতে ফিশিং লিংক তৈরি করতে হবে। এটা এমন একটা লিংক যেটাতে কেউ ক্লিক করা মাত্র তার একাউন্টের কিছু তথ্য আপনার হস্তগত হয়ে যাবে। সেই তথ্য দিয়ে উইন্ডোজ কমান্ড প্রমট বা অন্যকোন সফটওয়ারের সাহায্যে একাউন্ট হস্তগত করা যায়। এই লিংক তৈরি করার যাবতীয় কোডিং আপনাকে জানতে হবে।
৩. সীম ক্লোনিংঃ যার একাউন্ট হ্যাক করতে চান তার যে ফোন নাম্বার ঐ আইডিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেই নাম্বার জোগাড় করে তার সীমের ক্লোন সীম উঠাতে হবে। তারপর ঐ সীম ব্যবহার করে একাউন্ট হস্তগত করা যাবে।
প্রশ্ন-২ঃ হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি?
উত্তরঃ
১. পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না। কোন বিশেষ কাজের দরুণ সাময়িকভাবে শেয়ার করতে হলে কাজ শেষ হওয়া মাত্র নতুন পাসওয়ার্ড দিন।
২. পাসওয়ার্ড যেন কেউ চুরি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মোবাইলে বা কম্প্যূটারে পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় কেউ আপনাকে লক্ষ করছে কিনা খেয়াল রাখুন। আপনার ব্রাউজারে “Show Password” অপশনটি থাকলে তা থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন। পাসওয়ার্ড কোথাও লিখে রাখবেন না।
৩. পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করুন। কিভাবে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করবেন সেটা জানতে গুগলে how to create a strong password লিখে সার্চ করুন।
৪. আপনি যেখান থেকেই ফেসবুকে লগিন করে থাকেন না কেন ফেসবুক ব্যবহার শেষ হলেই লগ আউট করুন। বার বার ইমেইল, পাসওয়ার্ড দেয়া বিরক্তিকর মনে হলেও এটা নিরাপদ। কোন কারনে ফোন চুরি হলেও সমস্যা হবে না। করতে না চাইলে ফোনের সিকিউরিটি শক্ত করে নিন, যেন ফোন চুরি হলেও চোর আপনার ডাটা এক্সেস করতে না পারে।
৫. যারা ফোন নাম্বার দিয়ে ফেসবুকে খুলেছেন এবং কোন ইমেইল যুক্ত করেন নি তারা যত দ্রুত সম্ভব ইমেইল যুক্ত করে নিন। ইমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাবেন না। ইমেইল সক্রিয় রাখতে মাসে অন্তত একবার ইমেইল একাউন্টে লগিন/সাইন ইন করুন।
৬. Login Approval: লগিন এপ্রুভাল চালু করে রাখুন। Settings>Security>Login Approvals এ যান। সেখানে আপনার ফোন নাম্বার দিলে মোবাইলে একটা কোড আসবে। ঐ কোড দিলে login approvals চালু হয়ে যাবে। ধরা যাক, আপনি অপেরা মিনি দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করেন। এখন যদি আপনি UC দিয়ে লগিন করতে চান তাহলে আপনার মোবাইলে ফেসবুক থেকে কোড আসবে। সেই কোড দিলে UC দিয়ে লগিন করতে পারবেন। কোড দেয়ার পর Save Browser/Don’t Save Browser অপশন আসবে। আপনি যদি UC একবারই ব্যবহার করতে চান তাহলে Don’t Save Browser সিলেক্ট করে Continue করুন। আর যদি UC আবারো ব্যবহার করেন তাহলে Save Browser সিলেক্ট করুন। এতে করে আপনি লগ আউট করলেও অন্যকোন সময় লগিন করতে চাইলে কোড চাইবে না। কোন কম্প্যূটারের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটবে।
দ্রষ্টব্যঃ
আপনি যে ব্রাউজার (Opera, UC, Chorme, Firefox) সবসময় ব্যবহার করেন শুধু সেই ব্রাউজারের ক্ষেত্রেই Save Browser অপশনটি নির্বাচন করবেন।
ব্রাউজারে History মুছে ফেললে পুনরায় কোড চাইতে পারে। ভয় পাবার কিছু নেই। মোবাইল দেখে কোড দিন।
অনেক সময় কোড আসে না। তখন যে পেইজে কোড চেয়েছে সেখানে দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন আছে। সেখান থেকে “Send Code To My Mobile” নির্বাচন করলে ফোনে কোড আসবে।
ধরা যাক, যে নাম্বারটি ফেসবুকে সেট করেছেন সেই সীমটি ফোন থেকে খুলে ফেলেছেন। এখন কম্প্যুটার বা অন্য মোবাইল দিয়ে লগিন করতে চাচ্ছেন। আইডি পাসওয়ার্ড দেয়ার পর কোড চাইল। সেক্ষেত্রে যে ব্রাউজারটি (ধরি, মোবাইলের অপেরা মিনি) ফেসবুকে সেভ করা আছে সেটাতে লগিন করা থাকলে সেখানে নটিফিকেশন আসবে “Access from unauthorized browser” ওখানে ক্লিক করলে দেখাবে কোথ্যেকে লগিন করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে “That was me” তে ক্লিক করলে আবারো “Save Browser” অপশন আসবে। চাইলে সেভ করতে পারেন। অন্যথায় Don’t save দিয়ে continue করুন। এখন অন্য মোবাইল বা কম্প্যুটারের পেইজ টা রিফ্রেশ করলেই আপনার একাউন্ট লগিন হয়ে যাবে।
Login Approval সেট করার পর আবারো Login Approval ক্লিক করলে “Get Codes” অপশনটি আসবে। ক্লিক করলে ১০ টি কোড পাওয়া যাবে। যদি আপনার কাছে সীম না থাকে এবং এমন কোন ব্রাউজার না থাকে যেটা ফেসবুকে সেভ করা আছে তাহলে কোড চাইলে এই ১০ টি কোডের যেকোন একটি কোড হিসেবে দিয়ে লগিন করা যাবে। আইডি, পাসওয়ার্ড দেয়ার পর কোড চাইলে এই ১০ কোডের একটি দিলেই হবে। একটি কোড একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কাজেই কোডগুলো স্ক্রিনশট নিয়ে যত্নে রেখে দিন। ৮-৯ টা কোড ব্যবহার হয়ে গেলে আবারো কোড পেতে Settings>Security>Login Approval> Get Codes থেকে নতুন করে ১০ টি কোড পাওয়া যাবে।
৭. Trusted Contact: ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করে রাখলে লকড একাউন্ট ফেরত পাবার একটা রাস্তা থাকে। কাজেই ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করে রাখুন। Settings>Security>Trusted Contact থেকে আপনার বিশ্বস্থ দু’জন বা তিনজন বন্ধুকে ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করুন।
৮. ফেসবুকে পাওয়া কোন মনোহরী লিংকে ক্লিক না করা। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন, “www.facebook2.com এটা ফেসবুকের নতুন লিংক। এই ফেসবুক অনেক সুন্দর। যাদের নেই তারা জলদি ক্লিক করুন” অথবা “who is your top friend” “who has a secret crash on you” ইত্যাদি। এসব সন্দেহজনক পোস্ট থেকে একশ’ হাত দূরে থাকুন এবং অপরকে রাখুন।
৯. আপনি যদি ফোনে ফেসবুকে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সম্ভব হলে কোন কম্প্যূটার থেকেও মাঝে মাঝে লগিন করুন। কোড চাইলে কোড দিন, ইচ্ছে হলে “Save Browser” দিন; তবে লগ আউট করতে ভুলবেন না। আপনি কোথা থেকে, কিভাবে ফেসবুকে ব্যবহার করছেন ফেসবুক তার হিসেব রাখে। যেটা হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যারা কম্প্যূটারে ফেসবুক ব্যবহার করেন তারাও অন্য মোবাইল বা কম্প্যূটারে মাঝে মাঝে লগিন করুন।
এই স্টেপগুলো ফলো করলে একজন হ্যাকার গলদ্গর্ম হবে আপনার একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে।
প্রশ্ন-৩ঃ একাউন্ট হ্যাক হয়েছি কিনা বুঝব কিভাবে?
উত্তরঃ অনেক স্মার্ট হ্যাকার পাসওয়ার্ড হ্যাক করার পরও পাস পরিবর্তন না করে ব্যবহারকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে। তখন কিভাবে বুঝবেন? যদি দেখা যায়, আপনার একাউন্ট থেকে এমন কোন পোস্ট পরেছে যেটা আপনি দেন নি; কারো কাছে মেসেজ গিয়েছে কিন্তু ম্যাসেজটা আপনি দেন নি; কোন পোস্ট/পেইজে লাইক/কমেন্ট পড়েছে কিন্তু সেটা আপনি করেন নি; তাহলে বুঝতে হবে অন্যকেউ আপনার একাউন্ট ব্যবহার করছে।
প্রশ্ন-৪ঃ আমার একাউন্ট হ্যাক করে লাভটা কি?
উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাকারই ভাল দিতে পারবে। কেউ হয়ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে যে সে কোন একাউন্ট হ্যাক করতে পারে কিনা আর তার চ্যালেঞ্জের ভিকটিম হলেন আপনি। কেউ হয়ত আপনার উপর কোন প্রতিশোধ নিচ্ছে। হতে পারে মানুষকে বিব্রত করাটা তার কাছে নির্মল বিনোদন। আপনার নামে আজে-বাজে কথা বলে, বাজে ছবি পোস্ট করে আপনাকে হেয় প্রতিপন্ন করা, মান-সম্মান নষ্ট করাও উদ্দেশ্য হতে পারে। আজকাল একাউন্ট হ্যাক করে ভিকটিমের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকাও ধার চাওয়া হচ্ছে। কাজেই ফেসবুকে আপনার কাছে কেউ টাকা চাইলে দিবেন না। আগে ফোনে বা দেখা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।
পরের প্রশ্নঃ কেউ আমার আইডি হ্যাক করেছে। কিভাবে আইডি ফিরে পাব?
উত্তরঃ
১. যখনি বুঝতে পারবেন আপনার আইডি কেউ হ্যাক করেছে সাথে সাথে Forget Password দিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে আইডি ফিরে পেতে পারবেন। ইমেইলে একটা লিংক যাবে সেই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন।
২. আপনি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার আগেই যদি হ্যাকার আপনার একাউন্টের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে যে মোবাইল/কম্প্যূটারের যে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক চালান সেটা দিয়ে Forget Password অপশনে যাবেন। সেখানে আপনার আইডি username/full name লিখে সার্চ করবেন। রেজাল্ট থেকে আপনার আইডি সিলেক্ট করলে ইমেইলে লিংক পাঠানোর পাতা আসবে। যেহেতু হ্যাকার আপনার ইমেইল পরিবর্তন করে ফেলেছে সেহেতু আপনি no longer access to this এ ক্লিক করুন। নতুন ইমেইল দেয়ার পাতা আসলে সেখানে আপনার ইমেইল পাস দিন। কোন পাতায় আপনার পুরনো পাসওয়ার্ড চাইতে পারে যেন ফেসবুক যাচাই করতে পারে যে, এটা আসলেই আপনার আইডি ছিল। নতুন ইমেইল দেয়া হলে ইমেইল চেক করে দেখুন ফেসবুক থেকে পাসওয়ার্ড রিসেট করার কোন ইমেইল আসছে কিনা।
বিঃদ্রঃ আমার ধারনা এই পদ্ধতি শুধু পরিচিত ডিভাইসের ক্ষেত্রে কাজ করবে। কারন আমি দুই-একজনের আইডি উদ্ধারের চেষ্টা করে দেখেছি নতুন ইমেইল দেয়ার অপশন আসে না আমার এখানে। অথচ নিজের আইডিতে forget password দিলে পরে নতুন ইমেইল দেয়ার অপশন আসে।
৩. ট্রাস্টেড কন্টাক্ট দিয়েও আইডি রিকভার করা যায়। বিস্তারিত জানতে https://¬web.facebook.com/¬help/ ¬213343062033160?_rdr এ ক্লিক করুন।
প্রশ্ন-৬: আমার মেসেজগুলো সিন হয়ে যায়। অথচ আমি মেসেজ দেখিনি। এমন হবার কারনটা কি?
উত্তরঃ সম্ভবত একাধিক ডিভাইস/ব্রাউজার থেকে লগিন করা থাকার কারনে এমন হচ্ছে। ঘাবড়াবার কিছু নেই যদি না সন্দেহজনক কিছু ঘটে। এরপরও যদি আশ্বস্থ না হন তাহলে Settings>Security>Recognized Devices এ যেয়ে কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার আইডিতে লগিন করা হয়েছে সেটা দেখতে পারেন। অপরিচিত কিছু দেখলে সিলেক্ট করে ডিলিট করে দিন। এছাড়াও Settings>Security>Active Session থেকে কখন কখন আপনার আইডিতে লগিন করা হয়েছে সেটাও দেখতে পাবেন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে ডিলিট করুন।
প্রশ্ন-৭: ফ্রেন্ডস ছাড়া আর কেউ যেন আমাকে মেসেজ করতে না পারে এই সেটিংসটা কিভাবে করব?
উত্তরঃ এই সেটিংসটা আগে ছিল। যতদূর জানি বর্তমানে নেই।
প্রশ্ন-৮: ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পেতে পেতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। কি করলে কেউ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে পারবে না?
উত্তরঃ রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট বা ডিলিট না করে ঝুলিয়ে রাখবেন। এক হাজারের উপরে ঝুলিয়ে রাখলে নতুন করে আর কেউ রিকুয়েস্ট দিতে পারবে না।
প্রশ্ন-৯: আমার ছবি চুরি করে এডিট করে বাজে ছবির সাথে জুড়ে দিচ্ছে। কি করব?
উত্তরঃ অনুরোধ করে দেখতে পারেন যেন এমনটা না করে। যদি না শোনে তাহলে সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাথে কন্টাক্ট করতে হবে।
প্রশ্ন-১০: আমার ছবি ব্যবহার করে নকল আইডি খুলেছে। কি করতে পারি?
উত্তরঃ প্রথমেই ছবি চুরি ঠেকাতে ছবিতে প্রাইভেসী সেট করুন। সেটা যাদের সাথে শেয়ার করতে চান প্রাইভেসীতে সেই অপশন দিন। সবচেয়ে ভাল হয় অহেতুক ফেসবুকে ছবি শেয়ার না করলে। আর চুরি হওয়া ছবি উদ্ধারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। আইডিতে রিপোর্ট করে লাভ নেই। এক আইডি নষ্ট হলে আরেক আইডি খুলবে।
প্রশ্ন-১১: পরিবারের সদস্যা আমার লিস্টে আছে। কিছু একটা পোস্ট করলেই হাজারটা প্রশ্ন করে। সমাধান কি?
উত্তরঃ ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্ট কাস্টমাইজ করার সুযোগ আছে। Settings>Privacy তে এই অপশন আছে। জিরো দিয়ে ফেবু চালাচ্ছি বিধায় এখন ফুল সেটিংসটা দিতে পারলাম না। একটু খুজে নিলেই পারবেন।
প্রশ্ন-১২: একলোক ইনবক্সে বাজে কথা বলছে। আমার নামে মানুষের কাছে আজেবাজে কথা ছড়াচ্ছে। কি করতে পারি?
উত্তরঃ একদম কান দেবেন না। কেউ বাজে কথা বললেই আপনি বাজে হয় যান না। ঐলোককে ব্লক দিন জলদি। এরপরও সতর্ক না হলে পুলিশের স্বরনাপন্ন হোন।
প্রশ্ন-১৩: আমার টাইম লাইন কে কে ভিজিট করেছে জানার উপায় কি?
উত্তরঃ উপায় নেই। অনেক এপস দেখবেন এমনটা বলছে। কিন্তু সেটা সত্য নয় বলেই জানি।
প্রশ্ন-১৪: আইডির নাম পরিবর্তন করেছি। আবার পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু ৬০ দিনের আগে নাকি করতে পারব না। এমন কোন উপায় নেই যে ৬০ দিনের আগেই করতে পারি?
উত্তরঃ শুনেছি https://free.facebook.com/help/contact/ 1417759018475333 এই লিংকে গেলে ৬০ দিনের আগেই নাম চেঞ্জ করা যায়। ফটো আইডি কার্ড লাগবে। আর কারনের ক্ষেত্রে Spelling Mistake নির্বাচন করতে হবে। দু-তিনদিনের মধ্যেই নতুন নাম আপনার আইডিতে সেট হয়ে যাবে। তবে এই পরিবর্তন কি স্থায়ী হয়ে যায় কিনা সেটা বলতে পারব না।
প্রশ্ন-১৫: ফোন নাম্বার দিয়ে আইডি খুলেছিলাম। তারপর নাম্বার ডিলিট করে দিয়েছি। ইমেইল এড্রেসও সেট করা নেই। এখন আর আইডিতে ঢুকতে পারছি না। কি করব?
উত্তরঃ এই প্রশ্নটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে যে, প্রশ্নটা সঠিক কিনা। কারন যোগাযোগ করার কোন উপায় না রেখে ফেসবুকে ফোন ডিলিট করতে দিবে কিনা সন্দেহ আছে আমার।
সে যাই হোক। ফেসবুকে আপনার আইডি খুজে বের করুন। তারপর নামের উপর ক্লিক করুন। ব্রাউজারের এড্রেস বারে এড্রেসটা দেখুন। www.facebook.com/”.......” পাবেন। / এর পরের অংশটুকু হল আপনার ইউজার আইডি। ইমেইল বা ফোন নাম্বারের জায়গায় এই ইউজার আইডি দিয়ে ফেসবুকে লগিন করতে পারবেন।
প্রশ্ন-১৬: আমার বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডকে মেসেজ ব্লক দিয়ে সব মেসেজ ডিলিট করে দিয়েছি। এখন আনব্লক করব কিভাবে?
উত্তরঃ যদি আপনি এই মহৎ কর্মটি আপনার মেসেঞ্জার থেকে করে থাকেন তাহলে Settings>Blocked থেকে তাকে আনব্লক করতে পারবেন। আর যদি ব্রাউজার থেকে করতে থাকেন তাহলে Message>New Message এ গিয়ে ব্লককৃত ব্যাক্তির নাম সিলেক্ট করুন। তারপর Message Box এ কিছু একটা লিখে Send বাটন ক্লিক করলেই আনব্লক করার অপশন আসবে।
প্রশ্ন-১৭: আমার বন্ধু কি আমাকে ব্লক দিল নাকি আইডি ডিএক্টিভেট করে রেখেছে বুঝতে পারছি না। কিভাবে বোঝা যাবে?
উত্তরঃ আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে যান। সেখানে যদি আপনার বন্ধুর নাম কালো কালিতে দেখতে পান তাহলে আইডি ডিএক্টিভেটেড। আর যদি বন্ধুকে যদি খুজেই না পান তাহলে আপনাকে ব্লক করে দিয়েছে।
প্রশ্নের ভাডার আপাতত শেষ। তাই পোস্টও শেষ।
No comments:
Post a Comment