Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Thursday, August 25, 2016

শবে বরাত


কালরাতে যারা ইবাদতে কাটিয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন। আর যারা স্যাটায়ার, ক্রিটিসিজম মূলক কথাবার্তা বলেছেন তাদের জন্য সমবেদনা। 

জামে মসজিদের ইমাম সাহেব এই ধরনের উপলক্ষ্যে একটা কথা বলেন মাঝে মাঝে। যতদূর মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন, "সম্মানিত রাত হচ্ছে পাঁচটি। দুই ঈদের রাত, শবে বরাত, শবে কদর এবং শবে মেরাজ"। (আমি ভুল বলে থাকলে সংশোধন করে দেবেন প্লীজ।) "এই রাতগুলোতে ইবাদতে মর্তবা অনেক। এখন সারারাত ইবাদত করে ফজরের আগ দিয়ে ঘুমিয়ে যাব? নাকি? না, ইবাদততো করবই ফজরের নামাযটাও যেন বাদ না যায় সেদিকে জোর লক্ষ্য রাখতে হবে।" 

উনার কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, রাত ২-৩ টা পর্যন্ত ইবাদত করার পর ঘুমিয়ে গিয়ে যদি কেউ ফজরের নামায না পড়ে তাহলে কেন সে নামায পড়তে পারল না- এই যুক্তিতে তাকে আমরা বিদ্রুপ করব না যে, "ফরয নামাযের খবর নেই, নফল নিয়ে টানাটানি।" 

অথচ কালকে কয়েকটা পোস্ট পড়ে আমার এমনটাই মনে হয়েছে।  

ধরা যাক, আমি নামায পড়ি না। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এশার নামাযে গেলাম। তারপর বাসায় এসে রুটি হালুয়া খেয়ে আবার রাত দশটা এগারোটার দিকে বের হয়ে মসজিদে গেলাম। ১০ মিনিট নামায পড়লে ২০ মিনিট বন্ধুবান্ধবদের সাথে গল্পগুজব করলাম। দোকানে যেয়ে চা খেলাম, রাস্তায় হাটাহাটি করলাম। 

খেয়াল করার বিষয় হল, শবে বরাত না হলে আমি নামাযই পড়তাম না। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এক ওয়াক্ত নামায পড়েছি এবং কিছু নফল ইবাদতও করেছি। এতে অন্যায়টা কোথায় করেছি? আপনার আমার উপর রাগ না হয়ে দুঃখ হওয়া উচিত এবং আমার জন্য আল্লাহ রব্বুল আ'লামীনের দরবারে দোয়া করা উচিত যে, এই ছেলেটা যেন সারাজীবন ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়তে পারে। আল্লাহ তাকে তুমি সে তৌফিক দান করো। 

সারাবছর আমি নামায পড়ি নি। গোনাহের ভাগিদার আমি। শবে বরাতের রাতে নিয়ত করলাম মসজিদে যাই। যাবার আগে ফেসবুকে আপনার পোস্ট দেখে মন পরিবর্তন হয়ে গেল। ধূর, সারাবছর নামায পড়ি না, একদিন পড়ে কি হবে? রাতে বাইরে গেলাম ঠিকই, কিন্তু মসজিদে গেলাম না। এমনেই ঘুড়ে-টুড়ে চলে আসলাম। 

এবার কিন্তু আপনি আমার গোনাহের শেয়ার পেলেন। 

আপনি যদি আমার জন্য মসজিদের প্রথম কাতারে নামায পড়তে না পারেন তাহলে বলব, আপনি আমার আগে মসজিদে আসতে পারতেন। নফল ইবাদতের সময় আমাদের গুঞ্জনে যদি বিরক্ত বোধ করে থাকেন তাহলে আমাদের মসজিদ থেকে বের করে না দিয়ে আমাদের বোঝাতে পারতেন। নিদেনপক্ষে নফল ইবাদত ঘরে এসে করতে পারতেন। 

অনেক লোক ঈমান নিয়ে পৃথিবীতে থাকে কিন্তু মৃত্যুর সময় ঈমানহারা হয়ে মারা যায়। আবার অনেক বেঈমান মৃত্যুর আগে আগে ঈমানদার হয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়। সারাবছর নামায না পড়ার গোনাহ্‌ হয়ত আমি তওবা করে আল্লাহর দরবার থেকে মাফ পেয়ে যাব। কিন্তু যারা ক্রিটিসাইজ করেছে, স্যাটায়ার বানিয়েছে তাদের কি হবে? তারাতো একে গোনাহই মনে করছে না। 

আল্লাহই সর্বজ্ঞ!

No comments: