গ্রামীণফোনের যে বা যারা পলিসি মেকার বা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে তাদের সাথে দেখার করার একটা শখ ইদানিং মনের ভিতর জেগে উঠেছে। লোকটা আর কিছু বুঝক বা না বুঝুক, ব্যবসা কাকে বলে সেটা অন্য সব টেলিফোন অপারেটরদের থেকে অনেক অনেক বেশি বোঝে। এমন লোকের সাক্ষাৎ পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার!
গ্রামীণ ছাড়া যতগুলো মোবাইল অপারেটর আছে গ্রামীণের মত তাদেরও বিভিন্ন মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজ আছে। সবারই মাসভিত্তিক প্যাকেজ আছে। সবার মত গ্রামীণেরও মাস ৩০ দিনে ছিল। কিন্তু এখন এটা ২৮ দিনে। প্রিপেইড গ্রাহদের জন্য এখন গ্রামীণের মাসিক প্যাকেজ হল ২৮ দিনের। সুতরাং ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে গ্রামীণের ১ মাস = ২৮ দিন।
অনেকদিন গ্রামীণের নেট প্যাকেজ ব্যবহার করেছি। আগে ত্রিশ দিনই ছিল। ২৮ দিন করাতে খুবই বিরক্ত হয়েছি। কিন্তু একটু চিন্তা করতেই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি।
ফ্রেব্রুয়ারী বাদ দিলে বছরে বাকি থাকে এগার মাস। প্রতিমাসে ২ দিন করে কমাতে এগারো মাসে কমল ২২ দিন। এরই মধ্যে ৭টি মাস হল ৩১ দিনে। ২২ এর সাথে ৭ যোগ করে পাই ২৯। গ্রামীণের হিসেবে আরো একটি বাড়তি মাস!
বাহ! কি চমৎকার! এখন থেকে ১২ মাসে বছর নয়। ১৩ মাসে বছর। গ্রামীণকে আরো সনির্বদ্ধ অনুরোধ হইল তারা যেন ব্যাংকগুলোকে/সরকারকে বলে তের মাসে বছর পাশ করিয়ে নেয়। আগামী বছর থেকে ক্যালেন্ডারের পাতায় যেন ১৩ টি মাস দেখতে পাই। ডিসেম্বেরের সাথে মিল রেখে ১৩ তম মাসের নাম গ্রামীন্বর রাখা যেতে পারে।
তাই যে লোকটি গ্রামীনের লক্ষ-কোটি টাকা মুনাফা এনে দিল তার সাথে তো আমি দেখা করতে চাইতেই পারি। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তাকে শান্তিতে নোবেল দেয়ারও দাবি জানাই।
প্লীজ গ্রামীণ! ভদ্রলোককে আমার সাথে দেখা করিয়ে দাও। প্লীইইইইইজ...
No comments:
Post a Comment