গরমের দিন চলছে। সারাদিনের ক্লান্তির পর ঠান্ডা একগ্লাস শরবত বা জুস পেলে সারা শরীর জুড়িয়ে যায়। কিছু রেসিপি দিলাম। শরবত বা জুস যেটাই বলেন না কেন। সামনে রমজান আসছে। রমজানেও ট্রাই করতে পারেন।
ভার্জিন পিনা কোলাডা
২ টি ছোট সাইজের আনারস (মোট ওজন ৪০০ গ্রামের বেশি হবে না।), নারিকেলের ১/৪ ভাগের ক্রিম, ২ টেবিল চামচ নারিকেলের পানি আর পুদিনা পাতা।
নারিকেল মিহি করে চেঁছে নিন। তারপর একটি পাত্রে নিয়ে অল্প পানিতে (যেন নারকেলেগুলো ঢাকে) অল্পআঁচে ৫ মিনিট ধরে ফুটান। তারপর নামিয়ে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে বেশিরভাগ পানি ছেঁকে নিন। তারপর মিশ্রনটি ফ্রিজে রেখে দিন। নারিকেলের ক্রিম তৈরি হয়ে গেল।
এবার আনারস ছিলে এর চোখগুলো ফেলে দিন। এখন আনারস, নারিকেলে পানি এবং নারিকেলের ক্রিম একসাথে ব্লেন্ড করুন। আপনি চাইলে কিছু বাদামী চিনিও যোগ করতে পারেন। তবে না করাই ভাল। কারন এই জুসটি এমনিতেই খুব ঘন হবে।
পরিবেশনের সময় এতে পুদিনা পাতা ছেড়ে দিয়ে একটু নাড়ুন যেন পাতাগুলো ভিতরে ঢুকে যায়। আর আনারসের টুকরো কেটে গ্লাসে সেটে দিতে পারেন। দেখতে আকর্ষনীয় হবে।
বাঙ্গি গ্রানিটা
একটি পুরো বাঙ্গি, ১/২ কাপ বাদামী চিনি, ১/৪ কাপ লেবুর রস, ১/২ চা-চামচ গোলাপজল।
বাঙ্গি ছিলে বিচি ফেলে দিন। বাদামী চিনি দিয়ে বাঙ্গি ব্লেন্ড করুন। পানি যথাসম্ভব কম দিন। এতে ঘন জুস তৈরি হবে। এবার লেবুর রস, গোলাপজল মিশান। ভালভাবে মিশে গেলে বের করে পানিটুকু ছেকে নিন। তারপর ফ্রিজে রেখে বরফ করুন।
পরিবেশন করার জন্য বরফকৃত বাঙ্গি বের গুড়ো করে নিন বা Ice shaver দিয়ে টুকরো করে নিন। গ্লাসের পরিবেশন করুন। গলে যাবার আগেই ঢক ঢক গিলে ফেলুন। গলুক বা না-ই গলুক মজাদার বাঙ্গি জুস আপনি পেয়েই যাচ্ছেন।
তুলসীর বীজের সাথে কামরাঙ্গা জুস
আধা কেজি কামরাঙ্গা, এক টেবিল চামচ বিট লবন, আধা কাপ বাদামী চিনি, এক টেবিল চামচ তুলসী বীজ (আধাকাপ পানিতে চুবানো)
বিচি ফেলে কামরাঙ্গাগুলো বিট লবন ও বাদামী চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। তুলসীর বীজগুলো কাপের পানিতে ১০ মিনিট ধরে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর তুলে নিয়ে পরিবেশন করার গ্লাসে ছেড়ে দিন। এরপর ব্লেন্ড করা কামরাঙ্গা জুস গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
সফেদার জুস
সফেদা ছিলে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর লেবুর জুসের সাথে মিশিয়ে একসাথে পান করুন। সফেদা এমনিতেই মিস্টি হওয়ায় বাড়তি চিনির প্রয়োজন নেই।
এক গ্লাসেই এক গ্লাস
আধা কাপ গুড়ের সিরাপ ( ১৫০ গ্রাম গুড় নিয়ে হালকা পানি মিশিয়ে ঘন দ্রবন তৈরি করুন), আধা কাপ লেবুর জুস, ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতা (পেস্ট তৈরি করুন এবং পানি ঝেড়ে নিন), আরো ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতা সাজানোর জন্য, আধা কাপ তুলসীর চা, (কাজী এন্ড কাজী টিব্যাগ দিয়ে ৩-৪ মিনিট পানিতে চুবিয়ে গাঢ় চা বানান), ১ টেবিল চামচ তুলসীর বীজ, আধা কাপ আনারসের জুস ( ২০০ গ্রাম আনারস ব্লেন্ড করে ছেকে নিন), ১০০ গ্রাম ডালিমের দানা।
আধাকাপ পানিতে তুলসীর বীজগুলো ১০ মিনিট ধরে চুবিয়ে রাখুন। তারপর লম্বা গ্লাসের তলানীতে তুলসীর বীজগুলো (পানি থেকে তুলে) ঢেলে দিন। সবগুলো উপাদান একত্রে মিশান। গুড়ের সিরাপ দিয়েই প্রথমে শুরু করুন। কারন গুড়ের সিরাপ ঘন বলে বেশি নাড়তে হবে। সবার শেষে তুলসীর চা দিবেন।
পরিবেশনের জন্য ছোট ছোট ডাল সহ পুদিনা পাতাগুলো এবং ডালিমের দানাগুলো গ্লাসে নিয়ে মিশ্রণ ঢেলে দিন। আনারসের টুকরো আর লেবুর টুকরো কেটে গ্লাসের উপরে এটে দিন। আসল কথা হল গ্লাসের পুরো মিশ্রনটাকে যেন কোন বন্য গাছের মত দেখায়।
[মূলঃ রীমা ইসলাম, লাইফস্টাইল, দ্য ডেইলি স্টার। ৯ জুন, ২০১৫। অনুবাদের ভুল ত্রুটি আমার।]
No comments:
Post a Comment