দৈনিক সমকালে একটা ভাল খবর পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। ভাল খবর পড়ে আবার মন খারাপ কি করে হয়?
আগে তাহলে খবরটাই বলি।
পাটজাত পন্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সমকাল। মূলকথা হল, বিশ্বে পরিবেশ সচেতনতা বেড়ে যাবার ফলে পাটজাত পন্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অন্যপন্যের কথা বাদ দিলে বিশ্বে শুধুমাত্র শপিং ব্যাগের চাহিদা ৫০০ বিলিয়ন পিস! প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে। যা বিশ্বের চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) তথ্যানুসারে বর্তমানে তোষা পাট থেকে পাটপণ্যের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে চার থেকে পাঁচ ধরনের সুতা ও ফেব্রিক্স তৈরি হচ্ছে। এসব সুতা ও ফেব্রিক্স ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে ব্যাগ, ফ্যাশন সামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী পণ্য, গৃহসজ্জার পণ্য ও গৃহের নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন আসবাব।
এইবাজার যদি বাংলাদেশ ঠিকমত ধরতে পারে তবে উল্লেখ্যযোগ্য হারে রফতানী আয় বাড়বে। পাট তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। আবারো হবে প্রধান অর্থকরী ফসল "সোনালী আঁশ"।
নিঃসন্দেহে ভাল খবর। দেশের রফতানী আয় বাড়বে; অসংখ্য খারাপ খবরের ভিতরে একটি ভাল খবর!
এইবার বলি আমার মন খারাপের কারন। বিশ্বে যেখানে পলিথিনের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ছে, সেখানে বাংলাদেশে পলিথিনের ব্যবহার ব্যপকহারে বেড়ে চলেছে। আমি যখন ছোট তখন বিভিন্ন কালারের, বিভিন্ন ডিজাইনের পলিব্যাগ পাওয়া যেত। বাজার করা মানেই একগাদা পলিথিন। কিছুদিনের মধ্যেই এর কুফল দেখা গেল। প্রচন্ড রকমের জলাবদ্ধতা।
স্মৃতি যদি প্রতারনা না করে তবে জোট সরকারের আমলে পলিথিন ফ্যাক্টরিগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করা হয়। বাজারে আসে নাইলনের ব্যাগ। বহুদিন পলিথিন বাজারে ছিল না। এই নাইলনের ব্যাগগুলো দিয়ে আর সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বানানো ব্যাগ দিয়ে সবাই বাজার করত। বাজারের চিপায় লুকিয়ে লুকিয়ে দু-একটা সাদা পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যেত।
কিন্তু বর্তমানে আবারো বাজারে অহরহ পলিথিন পাওয়া যাচ্ছে। কারো কোন বিকার নেই। নিয়ে আসছি, ব্যবহার করছি, তারপর জানালা দিয়ে সরাসরি ড্রেনে।
স্কুল-কলেজ সব জায়গাতেই "পরিবেশ দূষন" রচনা বা অনুচ্ছেদ খুবই কমন। দম বন্ধ করে মুখস্থ করি আর চোখ বন্ধ করে খাতায় উগরে দেই। আমাদের শিক্ষার দৌড় বইয়ের পাতা থেকে পরীক্ষার খাতা পর্যন্তই।
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্ব-শিক্ষিত। উচ্চশিক্ষিত লোকমাত্রই সুশিক্ষিত নয়। আমাদের ভাবা দরকার কিভাবে আমরা স্ব-শিক্ষিত হতে পারি। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য আমরা কি রেখে যাচ্ছি। এমন কিছুই রেখে যাওয়া উচিত যেন তারা আমাদের জন্য দু'আ করে। অভিশাপ না দেয়।
তাই না?
আগে তাহলে খবরটাই বলি।
পাটজাত পন্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সমকাল। মূলকথা হল, বিশ্বে পরিবেশ সচেতনতা বেড়ে যাবার ফলে পাটজাত পন্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অন্যপন্যের কথা বাদ দিলে বিশ্বে শুধুমাত্র শপিং ব্যাগের চাহিদা ৫০০ বিলিয়ন পিস! প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে। যা বিশ্বের চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) তথ্যানুসারে বর্তমানে তোষা পাট থেকে পাটপণ্যের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে চার থেকে পাঁচ ধরনের সুতা ও ফেব্রিক্স তৈরি হচ্ছে। এসব সুতা ও ফেব্রিক্স ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে ব্যাগ, ফ্যাশন সামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী পণ্য, গৃহসজ্জার পণ্য ও গৃহের নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন আসবাব।
এইবাজার যদি বাংলাদেশ ঠিকমত ধরতে পারে তবে উল্লেখ্যযোগ্য হারে রফতানী আয় বাড়বে। পাট তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। আবারো হবে প্রধান অর্থকরী ফসল "সোনালী আঁশ"।
নিঃসন্দেহে ভাল খবর। দেশের রফতানী আয় বাড়বে; অসংখ্য খারাপ খবরের ভিতরে একটি ভাল খবর!
এইবার বলি আমার মন খারাপের কারন। বিশ্বে যেখানে পলিথিনের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ছে, সেখানে বাংলাদেশে পলিথিনের ব্যবহার ব্যপকহারে বেড়ে চলেছে। আমি যখন ছোট তখন বিভিন্ন কালারের, বিভিন্ন ডিজাইনের পলিব্যাগ পাওয়া যেত। বাজার করা মানেই একগাদা পলিথিন। কিছুদিনের মধ্যেই এর কুফল দেখা গেল। প্রচন্ড রকমের জলাবদ্ধতা।
স্মৃতি যদি প্রতারনা না করে তবে জোট সরকারের আমলে পলিথিন ফ্যাক্টরিগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করা হয়। বাজারে আসে নাইলনের ব্যাগ। বহুদিন পলিথিন বাজারে ছিল না। এই নাইলনের ব্যাগগুলো দিয়ে আর সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বানানো ব্যাগ দিয়ে সবাই বাজার করত। বাজারের চিপায় লুকিয়ে লুকিয়ে দু-একটা সাদা পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যেত।
কিন্তু বর্তমানে আবারো বাজারে অহরহ পলিথিন পাওয়া যাচ্ছে। কারো কোন বিকার নেই। নিয়ে আসছি, ব্যবহার করছি, তারপর জানালা দিয়ে সরাসরি ড্রেনে।
স্কুল-কলেজ সব জায়গাতেই "পরিবেশ দূষন" রচনা বা অনুচ্ছেদ খুবই কমন। দম বন্ধ করে মুখস্থ করি আর চোখ বন্ধ করে খাতায় উগরে দেই। আমাদের শিক্ষার দৌড় বইয়ের পাতা থেকে পরীক্ষার খাতা পর্যন্তই।
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্ব-শিক্ষিত। উচ্চশিক্ষিত লোকমাত্রই সুশিক্ষিত নয়। আমাদের ভাবা দরকার কিভাবে আমরা স্ব-শিক্ষিত হতে পারি। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য আমরা কি রেখে যাচ্ছি। এমন কিছুই রেখে যাওয়া উচিত যেন তারা আমাদের জন্য দু'আ করে। অভিশাপ না দেয়।
তাই না?
No comments:
Post a Comment