ছোটবেলা থেকেই কয়েকজনের মুখে এই কথাটা শুনেছি, আমার নাকি কঠিন হৃদয়! আমি নাকি পাষান! আমি তাদের অভিযোগ শুনতাম আর মুখ টিপে টিপে হাসতাম। নিজেকে কঠিন হৃদয়, পাষান-ভাবতে একরকম পৈশাচিক আনন্দ হত। ইয়ং পোলাপান নিজেকে "টাফ গাই" ভেবে যেমন আনন্দ পায় আর কি!
আমি যে কতটা পাষান, কঠিন হৃদয়, সেটা এখন বেশ বুঝতে পারি। :D বিয়ের পর আর কি! বিয়ে করেছি প্রায় চার মাস হয়ে গেলেও সংসার করেছি একমাসেরও কম সময়। এখন ঘর খালি।
ঘরে যখন লোক ছিল তখন সারাদিন অফিস করেছি। নতুন বউ ঘরে রেখে সারাদিন করি অফিস আর ক্লান্তিতে বেঘোড়ে ঘুমাই। মানুষ বিয়ের পর কতদিকে ঘুড়তে যায়। আমি কোথাও যাই নি।
এখন ঘর খালি। আমি যখন পিসির সামনে বসে থাকি তখন মনে হয় যে, রান্না ঘরে কেউ একজন আছে! ফেসবুকিং ফাঁকে ফাঁকে যার দিকে তাকাতাম আগে। এখন কিন্তু ঐদিকে আমি ভুলেও তাকাই না।
ওয়ারড্রবের কিছু কিছু ড্রয়ার আমি খুলেও দেখি না। যে ড্রয়ারে আমার কাপড় চোপড় আছে শুধু সেটাই টেনে বের করি। অন্যগুলো খুলতে যদি আবার অন্যের কাপড়চোপড় চোখে পড়ে যায়!
ড্রেসিং টেবিলের আয়নার পিছনের অংশটাও আমি খুলি না। যদি লেডিস কসমেটিক্সগুলো দেখতে পাই!
অফিসে যাবার জুতার র্যাক থেকে আমার সেফটি শ্যু জোড়া নেবার সময় আমি কিন্তু বাহারী ডিজাইন করা ঐ স্যান্ডেল জোড়ার দিকে তাকাই না। নিজেরটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি।
এমনি কি আমার বসার চেয়ারে, ঘরের মেঝেতে, আমার পাঞ্জাবীতে যে লম্বা চুলগুলো লেগে আছে সেগুলো আমি তুলে নির্দ্বিধায় ময়লার বালতিতে ফেলে দেই।
****, আপনার আসলে ভাগ্যই ভাল না। নাহলে দুনিয়াতে এত পুরুষ থাকতে আমার মত একটা নির্জীব, পাষান, কঠিন হৃদয়ের মানুষ আপনার জীবনসঙ্গী হত?
হত না...
আমি যে কতটা পাষান, কঠিন হৃদয়, সেটা এখন বেশ বুঝতে পারি। :D বিয়ের পর আর কি! বিয়ে করেছি প্রায় চার মাস হয়ে গেলেও সংসার করেছি একমাসেরও কম সময়। এখন ঘর খালি।
ঘরে যখন লোক ছিল তখন সারাদিন অফিস করেছি। নতুন বউ ঘরে রেখে সারাদিন করি অফিস আর ক্লান্তিতে বেঘোড়ে ঘুমাই। মানুষ বিয়ের পর কতদিকে ঘুড়তে যায়। আমি কোথাও যাই নি।
এখন ঘর খালি। আমি যখন পিসির সামনে বসে থাকি তখন মনে হয় যে, রান্না ঘরে কেউ একজন আছে! ফেসবুকিং ফাঁকে ফাঁকে যার দিকে তাকাতাম আগে। এখন কিন্তু ঐদিকে আমি ভুলেও তাকাই না।
ওয়ারড্রবের কিছু কিছু ড্রয়ার আমি খুলেও দেখি না। যে ড্রয়ারে আমার কাপড় চোপড় আছে শুধু সেটাই টেনে বের করি। অন্যগুলো খুলতে যদি আবার অন্যের কাপড়চোপড় চোখে পড়ে যায়!
ড্রেসিং টেবিলের আয়নার পিছনের অংশটাও আমি খুলি না। যদি লেডিস কসমেটিক্সগুলো দেখতে পাই!
অফিসে যাবার জুতার র্যাক থেকে আমার সেফটি শ্যু জোড়া নেবার সময় আমি কিন্তু বাহারী ডিজাইন করা ঐ স্যান্ডেল জোড়ার দিকে তাকাই না। নিজেরটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি।
এমনি কি আমার বসার চেয়ারে, ঘরের মেঝেতে, আমার পাঞ্জাবীতে যে লম্বা চুলগুলো লেগে আছে সেগুলো আমি তুলে নির্দ্বিধায় ময়লার বালতিতে ফেলে দেই।
****, আপনার আসলে ভাগ্যই ভাল না। নাহলে দুনিয়াতে এত পুরুষ থাকতে আমার মত একটা নির্জীব, পাষান, কঠিন হৃদয়ের মানুষ আপনার জীবনসঙ্গী হত?
হত না...
No comments:
Post a Comment