টিভি চ্যানেল বা কোন ইসলামী ম্যাগাজিন পেলে আমি প্রশ্নোত্তরগুলো আগ্রহ নিয়ে দেখি/পড়ি। মানুষের জীবন কত বিচিত্র রকমের সমস্যার আবির্ভাব হতে পারে তার একটা আইডিয়া পাওয়া যায় প্রশ্নগুলোতে। সম্ভবত চ্যানেল আই তে শুক্রবার এমনি একটি সরাসরি অনুষ্ঠান হয়। সপ্তাহে আরো ৪-৫দিন বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠানটি হয়ে থাকে। ব্যস্ততার কারনে বিকেলের অনুষ্ঠান দেখা না হলেও শুক্রবারেরটা দেখার চেষ্টা করি। একজন সঞ্চালক ও একজন আলোচক থাকেন এই অনুষ্ঠানে। তারা টেলিফোনে আসা মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন।
সঞ্চালক এবং আলোচক দু'জনকেই আমার যথেষ্ঠ নির্ভরযোগ্য মনে হয়। তারা অনেক কথা বলে থাকেন যেগুলোর সাথে আমি একমত পোষন করে থাকি। অবশ্য আমার একমত পোষন করা না করাতে কিছুই আসে যায় না। তারা ঐ লাইনে বিশেষজ্ঞ, আর আমি কিছুই না। তবুও দু-একটি কথা না বললেই নয়।
অনেকসময় অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা সরাসরি দেন না। এমনভাবে দেন যেন পজিটিভও বোঝা না যায় আবার নেগেটিভও বোঝা না যায়। আবার এমন দু-একটি প্রশ্ন আসে, যার উত্তরে সঞ্চালক ও আলোচক নিজেরাই একমত হতে পারেন না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে এটা উপলব্ধি করা যায়।
যেমন এই ভাই প্রশ্ন করেছিলেন যে, আরবীতে "আল্লাহ, মুহাম্মদ" লেখাগুলো যে গ্রাফক্সের সাহায্য টিভিতে দেখানো হয় এটা ঠিক কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে আলোচক বলেন এইগুলো সম্মানিত লেখা। কাজেই আমার মতে এইগুলো না দেখানই ভাল। আর সঞ্চালক বার বার তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আমাদের অনুষ্ঠান শুরু সময় "আল্লাহ আবার রব, এই রবই আমার সব" হামদ চলার সময় যদি এমন টা হয়? আলোচক অবশ্য তার মতামতে অটল থাকেন।
এইধরনের প্রোগ্রাম গুলোর আরেকটি সমস্যা হল অনেক কথাই এখানে পুরোপুরি বলা হয় না। যেমন, এক ভাই জিজ্ঞেস করল তিনি সহীহ বুখারীর হাদিসে নামাযে বিভিন্ন সময় হাত উঠানোর ব্যাপারটি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এটা প্র্যাক্টিস নেই। তিনিও আর পূর্ববর্তী জীবনে এমনটি করেন নি। এখন তার করণীয় কি?
জবাব দেয়া হল, আপনি সহীহ হাদিসে যা পেয়েছেন সেটাই আমল করবেন। অথচ হাত না উঠানোটাও হাদীস দ্বারাই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত। এই বিষয়টি সেখানে উল্লেখ্য না করে প্রশ্নটির অসম্পূর্ণ জবাব দেয়া হয়েছে।
আমার কথা হল টিভি বা কোন পত্র-পত্রিকায় মাসয়ালা পড়েই আমল করা শুরু করবেন না। যাচাই করে নিন। আপনার বর্তমান আমলের সাথে বিপরীতমুখী হলেতো অবশ্যই যাচাই করবেন। কারন এমন অসংখ্য ছোট ছোট মাসয়ালা নিয়ে আমাদের সমাজে বিভক্তি তৈরি করা হচ্ছে। আমরা যেন নিজেরা বিভক্ত হয়ে না যাই। আমীণ।
সঞ্চালক এবং আলোচক দু'জনকেই আমার যথেষ্ঠ নির্ভরযোগ্য মনে হয়। তারা অনেক কথা বলে থাকেন যেগুলোর সাথে আমি একমত পোষন করে থাকি। অবশ্য আমার একমত পোষন করা না করাতে কিছুই আসে যায় না। তারা ঐ লাইনে বিশেষজ্ঞ, আর আমি কিছুই না। তবুও দু-একটি কথা না বললেই নয়।
অনেকসময় অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা সরাসরি দেন না। এমনভাবে দেন যেন পজিটিভও বোঝা না যায় আবার নেগেটিভও বোঝা না যায়। আবার এমন দু-একটি প্রশ্ন আসে, যার উত্তরে সঞ্চালক ও আলোচক নিজেরাই একমত হতে পারেন না। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে এটা উপলব্ধি করা যায়।
যেমন এই ভাই প্রশ্ন করেছিলেন যে, আরবীতে "আল্লাহ, মুহাম্মদ" লেখাগুলো যে গ্রাফক্সের সাহায্য টিভিতে দেখানো হয় এটা ঠিক কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে আলোচক বলেন এইগুলো সম্মানিত লেখা। কাজেই আমার মতে এইগুলো না দেখানই ভাল। আর সঞ্চালক বার বার তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আমাদের অনুষ্ঠান শুরু সময় "আল্লাহ আবার রব, এই রবই আমার সব" হামদ চলার সময় যদি এমন টা হয়? আলোচক অবশ্য তার মতামতে অটল থাকেন।
এইধরনের প্রোগ্রাম গুলোর আরেকটি সমস্যা হল অনেক কথাই এখানে পুরোপুরি বলা হয় না। যেমন, এক ভাই জিজ্ঞেস করল তিনি সহীহ বুখারীর হাদিসে নামাযে বিভিন্ন সময় হাত উঠানোর ব্যাপারটি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এটা প্র্যাক্টিস নেই। তিনিও আর পূর্ববর্তী জীবনে এমনটি করেন নি। এখন তার করণীয় কি?
জবাব দেয়া হল, আপনি সহীহ হাদিসে যা পেয়েছেন সেটাই আমল করবেন। অথচ হাত না উঠানোটাও হাদীস দ্বারাই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত। এই বিষয়টি সেখানে উল্লেখ্য না করে প্রশ্নটির অসম্পূর্ণ জবাব দেয়া হয়েছে।
আমার কথা হল টিভি বা কোন পত্র-পত্রিকায় মাসয়ালা পড়েই আমল করা শুরু করবেন না। যাচাই করে নিন। আপনার বর্তমান আমলের সাথে বিপরীতমুখী হলেতো অবশ্যই যাচাই করবেন। কারন এমন অসংখ্য ছোট ছোট মাসয়ালা নিয়ে আমাদের সমাজে বিভক্তি তৈরি করা হচ্ছে। আমরা যেন নিজেরা বিভক্ত হয়ে না যাই। আমীণ।
No comments:
Post a Comment