ধাক্কা দিতেই ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দের দরজার কপাট খুলে গেল। বদ্ধ ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ নীলার নাকে আঘাত করল। ধীর পায়ে নীলা ঘরের ভিতর প্রবেশ করল। একপাশের জানালার ফাঁক দিয়ে আলোর রশ্মি ঘরের মেঝেতে পড়ছে। সেই আলোতে সবকিছু কেমন অদ্ভূত দেখাচ্ছে। এগিয়ে গিয়ে নীলা জানালায় হাত দিল। হুড়কো শক্ত হয়ে আছে। বহুদিন বন্ধ থাকার কুফল। ধরে একটু জোড়ে নাড়াচাড়া করতেই অবশ্য জানালা খোলা গেল। এতক্ষনে ঘরের ভিতরের সবকিছু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
ধূলোর পুরু স্তর পড়ে গেছে মেঝেতে। আসবাবপত্রগুলোরও একই অবস্থা। ঘরে তেমন কিছু নেই অবশ্য। জানালার পাশেই একটি খাট, তার উল্টোদিকে একটি ড্রেসিং টেবিল, আর একপাশে টেবিলের সাথে দুটো চেয়ার। সবকিছু ধূলোয় মাখামাখি।
কেন জানি ঘরটা নীলুর খুব পছন্দ হল। পরে এসে একসময় ঘরটা পরিষ্কার করাতে হবে। জানালাটা বন্ধ করে ঘুড়তেই চোখের কোণে কি যেন ঝিক করে উঠল। টেবিল আর চেয়ারের পায়ার ফাঁক দিয়ে কি যেন দেখা যাচ্ছে। পুরনো আমলের ভারী চেয়ারটা টেনে সরাতে নীলুর একটু কষ্টই হল। ছোট্ট একটা বাক্স অবহেলায় পড়ে আছে।
নীলু বাক্সটা তুলে নিল। বাক্সটা দেখে যতটা ভারী মনে হচ্ছিল আসলে ততটা নয়। সারাঘরে ধূলোয় ভর্তি অথচ বাক্সটার গায়ে একটুও ধুলো নেই। মৃসণভাবে বার্নিশ করা বাক্সটার গা। আলো পড়লেই চকচক করে উঠে। একপাশে পিতলের হুক লাগানো। হুক ধরে টান দিতেই উপরের ডালা খুলে গেল।
বাক্সের ভিতরে কালো কাপড়ের একটা পুটুলি দেখা গেল। পুটুলির মাথা একপাশে সুতো দিয়ে বাধা। আর ভাজ করা একটা সাদা কাগজ। বাক্সটার মতই এগুলোর গায়েও কোন ময়লা নেই। মনে হয় এইমাত্র কেউ মুছে পরিষ্কার করে রেখে গিয়েছে। কাগজের প্রতি নীলা তেমন একটা আগ্রহ বোধ করছে না। পুটুলির ভিতরে কি আছে দেখা দরকার। বাক্সটা টেবিলের উপর রেখে পুটুলিটা হাতে নিল। ভিতরে শক্ত কিছু আছে। বাধন খুলে হাতের উপর পুটুলিটা উপুড় করতেই কলমের মত কি যেন একটা হাতের তালুতে পড়ল।
হ্যা, কলমই তো। তবে কেমন জানি একটু অদ্ভুত! ভীতিকর! লম্বায় বর্তমান সাধারন কলমের চেয়ে ২-১ ইঞ্চি লম্বা হবে। ফাউন্টেন পেনের মত মোটা। রঙটাও অদ্ভুত। টকটকে লাল। দু'পাশে রুপালি লাইনিং আছে। নিবটা খুবই ছোট। একটু শুধু বেড়িয়ে আছে। একদম সূচাগ্র। আর উপরের অংশটুকুর জন্যই কলমটাকে ভীতিকর লাগছে। পিছনটা অনেকটা বাদুড়ের মাথার মত। একটা বাদুড় যেন হা করে আছে। দু'টি শ্বদন্ত বেড়িয়ে আছে। তবে চোখ দু'টো সবুজ।
বাদুড়ের সবুজ চোখ! হাস্যকর না? নীলার কিন্তু হাসি আসছে না। কেমন যেন শীত শীত লাগছে। কলমটাও কেমন যেন হাতের মধ্যে গরম হয়ে উঠেছে। এই ঘরে নীলুর আর ভাল লাগছে না। কলমটা হাতে নিয়ে নীলা বেড়িয়ে এল।
এলোমেলো পায়ে বারান্দা ধরে এগিয়ে চলল...!
ধূলোর পুরু স্তর পড়ে গেছে মেঝেতে। আসবাবপত্রগুলোরও একই অবস্থা। ঘরে তেমন কিছু নেই অবশ্য। জানালার পাশেই একটি খাট, তার উল্টোদিকে একটি ড্রেসিং টেবিল, আর একপাশে টেবিলের সাথে দুটো চেয়ার। সবকিছু ধূলোয় মাখামাখি।
কেন জানি ঘরটা নীলুর খুব পছন্দ হল। পরে এসে একসময় ঘরটা পরিষ্কার করাতে হবে। জানালাটা বন্ধ করে ঘুড়তেই চোখের কোণে কি যেন ঝিক করে উঠল। টেবিল আর চেয়ারের পায়ার ফাঁক দিয়ে কি যেন দেখা যাচ্ছে। পুরনো আমলের ভারী চেয়ারটা টেনে সরাতে নীলুর একটু কষ্টই হল। ছোট্ট একটা বাক্স অবহেলায় পড়ে আছে।
নীলু বাক্সটা তুলে নিল। বাক্সটা দেখে যতটা ভারী মনে হচ্ছিল আসলে ততটা নয়। সারাঘরে ধূলোয় ভর্তি অথচ বাক্সটার গায়ে একটুও ধুলো নেই। মৃসণভাবে বার্নিশ করা বাক্সটার গা। আলো পড়লেই চকচক করে উঠে। একপাশে পিতলের হুক লাগানো। হুক ধরে টান দিতেই উপরের ডালা খুলে গেল।
বাক্সের ভিতরে কালো কাপড়ের একটা পুটুলি দেখা গেল। পুটুলির মাথা একপাশে সুতো দিয়ে বাধা। আর ভাজ করা একটা সাদা কাগজ। বাক্সটার মতই এগুলোর গায়েও কোন ময়লা নেই। মনে হয় এইমাত্র কেউ মুছে পরিষ্কার করে রেখে গিয়েছে। কাগজের প্রতি নীলা তেমন একটা আগ্রহ বোধ করছে না। পুটুলির ভিতরে কি আছে দেখা দরকার। বাক্সটা টেবিলের উপর রেখে পুটুলিটা হাতে নিল। ভিতরে শক্ত কিছু আছে। বাধন খুলে হাতের উপর পুটুলিটা উপুড় করতেই কলমের মত কি যেন একটা হাতের তালুতে পড়ল।
হ্যা, কলমই তো। তবে কেমন জানি একটু অদ্ভুত! ভীতিকর! লম্বায় বর্তমান সাধারন কলমের চেয়ে ২-১ ইঞ্চি লম্বা হবে। ফাউন্টেন পেনের মত মোটা। রঙটাও অদ্ভুত। টকটকে লাল। দু'পাশে রুপালি লাইনিং আছে। নিবটা খুবই ছোট। একটু শুধু বেড়িয়ে আছে। একদম সূচাগ্র। আর উপরের অংশটুকুর জন্যই কলমটাকে ভীতিকর লাগছে। পিছনটা অনেকটা বাদুড়ের মাথার মত। একটা বাদুড় যেন হা করে আছে। দু'টি শ্বদন্ত বেড়িয়ে আছে। তবে চোখ দু'টো সবুজ।
বাদুড়ের সবুজ চোখ! হাস্যকর না? নীলার কিন্তু হাসি আসছে না। কেমন যেন শীত শীত লাগছে। কলমটাও কেমন যেন হাতের মধ্যে গরম হয়ে উঠেছে। এই ঘরে নীলুর আর ভাল লাগছে না। কলমটা হাতে নিয়ে নীলা বেড়িয়ে এল।
এলোমেলো পায়ে বারান্দা ধরে এগিয়ে চলল...!
No comments:
Post a Comment