Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Saturday, July 11, 2015

জিয়াদ নাকি জিহাদ

নামটা ঠিক কি আমি শিউর না। জিয়া? জিয়াদ নাকি জিহাদ? একেকে চ্যানেলে একেক রকম দেখাচ্ছিল তো, তাই কনফিউজ। জিয়াতো হতেই পারে না। কারন জিয়া হল পাকিস্তানের চর! পাকিস্তানের চর পাইপে পড়ার কথা না। আর জিহাদ এর সাথে কেমন জানি আল-কায়েদা, আল-কায়েদা গন্ধ আছে। আল-কায়েদাতো বাংলাদেশে নাই। তাই পাইপে পড়ার কোন সম্ভব্যালিটিও নেই। জিয়াদই ভরষা!

আমি জিয়াদ ধরে নিলাম। জিয়াদের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট চোখে পড়েছে। এই ব্যাপারে আমারো কিছু বলার আছে।

প্রথম কথা হল এত বড় পাইপলাইন পাহাড়াদার ছাড়া এমনিতেই খোলা রেখে দেয়া। ঢাকা শহরের নাকি ম্যানহোলের ঢাকনা থাকে না। তাছাড়া বেডরুমেরই নাকি এখন নিরাপত্তা নেই। রাস্তার এমন পাইপলাইনের নিরাপত্তা থাকবে এটা আশা করাটাই বোকামী। কর্তৃপক্ষের সীমাহীন উদাসীনতার বোঝাই যায়।

নিজেদের উদাসীনতা ঢাকার জন্য কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা করবে সেটাই স্বাভাবিক। সাধারন একজন মানুষ কিছুক্ষনের চেষ্টায় জিয়াদকে বের করে ফেলল আর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হদিসই পেল না এটা স্রেফ বিশ্বাসযোগ্য না।

বরং বিশ্বাসযোগ্য এটাই যে, তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। এটাও বুঝতে পেরেছিল যে জিয়াদ আর বেচে নেই। মৃত লাশ উদ্ধার করলে তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্মান নষ্ট হবে। কে চায় নিজের প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হোক? আর সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পরস্পরকে রক্ষা করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক।

এ কারনেই হয়ত বা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন প্রথম পর্যায়ে জিয়াদের কথা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে মনে হয় উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে "গুজব" বলে উড়িয়ে দেয়। কে জানে কোনটা সঠিক!

অনেকে বলছেন যারা উদ্ধার করেছে তাদের আগেই সুযোগ দিলে জিয়াদকে হয়ত আরো আগেই উদ্ধার করা যেত। এটা যে একটা অবাস্তব কথা সেটা বোঝাই যায়। দেশে কোন বিপর্যয় ঘটলে সেটা সামাল দেয়ার দায়িত্ব ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ইত্যাদি বাহিনীর উপর। সাধারন মানুষ তাদের হেল্প করে পারে। কিন্তু মূল দায়িত্ব কিন্তু ঐসব বাহিনীর-ই।

বাংলাদেশের মানুষ খুবই হেল্পফুল, কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কিভাবে হেল্প করতে হয় সেটাও কিন্তু জানতে হবে। অন্য কোন দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রথমেই পুলিশ ঘটনাস্থল ঘেরাও করে ফেলে। জনসাধারন এবং মিডিয়া ঐ ঘেড়াও এর বাইরে থেকে যা করার করে। আমাদের দেশে এমন হয় না।

কারন হিসেবে বলা যায় আমাদের দেশের সাধারন মানুষের উদ্ধারকর্মীদের প্রতি ততটা আস্থা নেই। এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর বদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে যখন অনেকেই হতাহত হন তখন এই ধরনের অবিশ্বাসের কারনে পরিশেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আর আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে গুম-খুনতো এখন খুবই সাধারন ঘটনা। হয়ত এটাও এমন কিছু করারই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সেই সাহসী যুবকদের কারনে এটা হয় নি।

আল্লাহ জিয়াদকে তার সান্নিধ্যে শান্তিময় স্থানে রাখুন আর তার পিতা-মাতাকে ধৈর্য্য ধরার তৌফিক দিন। আমীণ!

No comments: