সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ শে মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। তার সাথে নাচে অংশ নেবেন এদেশীয় মডেল অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী, শানারেই দেবী শানু আর বিদ্যা সিনহা সাহা মীম।
এদেশের ভারতীয় দালালেরা প্রায়ই এমন ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করে। দেশের আইকনদের নিয়ে প্রোগ্রাম অবশ্য তাদের খুব কমই করতে দেখা যায়। দেশের পরিস্থিতি যাই থাকুক না কেন বন্ধুরাস্ট্রের নায়িকা হোক বা বেশ্যাই হোক- তাদের এই দেশে আনতে তাদের অপতৎপরতা কখনই বন্ধ ছিল না।
বন্ধুরাস্ট্র! ভারতের কথা উঠলেই আমাদের কেউ কেউ বন্ধুরাস্ট্র বলতে বলতে গদগদ হয়ে নমস্কার/প্রণাম দিয়ে ফেলি। ভেবে দেখি না যে ভারত কখনই স্বার্থহীনভাবে আমাদের জন্য কিছু করেনি। অথচ বন্ধুত্বের প্রথম শর্তই হল স্বার্থহীনতা!
আমার দুঃখ লাগে বাংলাদেশী মিডিয়ার কথা ভাবলে। আরো দুঃখ লাগে মিডিয়াকর্মীদের কথা ভাবলে। আমাদের মিডিয়া যে মুখ দিয়ে খায় ঐ মুখ দিয়েই হাগু করে। যে মিডিয়ায় গতবিশ্বকাপে ভারত ও বাংলাদেশের খেলা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আইসিসির পক্ষপাতিতা প্রমান করেছিল সেই মিডিয়াই ভারতের দালালদের টাকা খেয়ে ভারতীয় নায়িকা/গায়ক-গায়িকা/বেশ্যাদের প্রমোশন দিচ্ছে। আর আমাদের মত টুট টুট পাব্লিক তা হাঁ করে গিলছি।
বর্হিসংস্কৃতির আগ্রাসন নিয়ে আমাদের কথিত সংস্কৃতিকর্মীদেরও কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত দেখিনি। যারা ভারতীয় ছবি আমাদের হলে চলার বিরোধীতা করেছিল তাদের কাছ থেকেও কোন প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েনি। নাকি তাদেরও দাদাদের মনক্ষুন্ন করার সাহস নেই? "পাছে যদি মার্কেট হারাতে হয়, ভাতে মারা যাব" - তারা কি এমনটাই ভাবেন?
কে জানে...
আমি জানি এসব কথা বলে কোন লাভ নেই। তারপরও বলি। কাজের কাজ কিছু না হলেও আমার মনের ক্ষোভ প্রশমিত হবে। এটাই বা কম কিসে...
দীপিকা, ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ!
No comments:
Post a Comment