ফেসবুকে যখন কোন লেখা দেই (গল্প) তখন অন্যান্য লেখকদের মত আমিও মতামত আশা করি। কিন্তু ঝামেলার কথা হল যাদের লেখনি আমার চেয়ে ভাল তারা হয়ত আমার পোস্ট পড়েই না। আর পড়লেই ভাবে ধূর এইসব ছাইপাসে কি কমেন্ট করব (আমি যেমনটা মাঝে মাঝে ভাবি)। আর যাদের লেখনি আমার তুলনায় কম তাদের কমেন্ট যদি সমালোচনার হয় তবে আমার কাছে ঠিক যৌক্তিক বা যথার্থ মনে হয় না।
আমার এক কলিগ আছেন যিনি ভার্চুয়াল না, বাস্তব জীবনে একজন লেখক। তার লেখা পত্রিকায় যায়। গতকালের দৈনিক আজাদীতে উনার একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে। উনার ভাষ্যমতে উনি লেখাটা দিতে চান নি, কিন্তু উনার বন্ধু জোর করে নিয়ে গিয়েছেন। উনাকে ধরলাম আমার একটা লেখা দেখে দিতে। অসমাপ্ত লেখাটা পড়ে উনি যেসব ত্রুটি বের করেছেন সেগুলো আমার কাছে খুবই যূক্তিযুক্ত লেগেছে।
প্রথমেই বললেন, শুরুর দিকে ঘটনা শুরু হবার প্রস্তুতি নিয়ে কিছু লিখতে। যেমন, কেউ বাড়ি যেতে চাইলে তার প্রস্তুতি হিসেবে ব্যাগ গোছানোর ব্যাপারটা থাকে। প্রস্তুতি ছাড়া দেশের বাড়িতে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয়।
স্বাভাবিক ঘটনার বর্ণনায় কোন গল্প হয় না। স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যে পাঠক কোন আগ্রহ খুজে পায় না। কাজেই সে ঐ লেখা পড়বে না। পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য অপ্রত্যাশিত কোন ব্যাপার নিয়ে আসতে হবে।
আমার ঐ লেখায় ঘটনার প্রবাহে ছেদ পড়ে যাচ্ছে। এক প্যারার ঘটনার সাথে আরেক প্যারার ঘটনার সম্পর্ক আরো সুদূঢ় করার পরামর্শ দেন।
বর্ণনাভঙ্গি সহজ সরল- এটা ভাল, কিন্তু আরো ইনফরমেটিভ হতে হবে। একই বাক্যে যত বেশি সম্ভব ইনফরমেশন দিতে হবে। তাহলে বিরক্তির উদ্রেগ হবে না।
মাথায় যা আসে লিখে ফেলেন। তারপর সম্পাদনার সুযোগ তো আছেই। তখন কাটাছেড়া করে মূল বিষয়টাকে আকর্ষনীয় করতে হবে। হাবিজাবি এত কিছু লেখার চেয়ে লেখার মত লেখা একটা লিখতে পারলেই হল। সে জন্য সময় লাগলে লাগুক। অসুবিধা কি?
উনার কথা শোনার পর আর এক শব্দও লেখা হয় নি। আর যতটুকু লেখা হয়েছে সেখানেও ছুড়ি চালাতে হবে বলে মনে হচ্ছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায়। আয়না না হোক, আয়নার কাছাকাছি গেলেই আমি খুশি হব।
No comments:
Post a Comment