দাগ থেকে দারুন কিছু না হয়ে এটা কি হল?
বিকেলে অফিস থাকলে আমরা কমন একটা নাস্তা করি। একেকদিন একেকজন নাস্তা নিয়ে আসে। আর সেটাই মিলেমিশে খাই। গতকালকের নাস্তা ছিল পেয়ারা, বাংলা কলা আর চিটাগাং এর বিখ্যাত ওয়েল ফূডের ড্রাই কেক। ডাসা ডাসা পেয়ারাগুলো দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। নাস্তার অপেক্ষা না করে নিজের ভাগেরটা সাবাড় করে দিলাম।
এর আগে একদিন পেয়ারার জুস বানিয়েছিলাম। খুব মজা হয়েছিল। সেজন্য ঐ ভাই বললেন জুস বানাতে। আমি যুক্তি দিলাম, পাকা পেয়ারা হলে জুস বানাতাম। কাচা পেয়ারা জুস বানানোর কি দরকার। চিবিয়ে খেতেই মজা। আমার কথা শুনলে উনি নিজেও উনার ভাগেরটা খাওয়া শুরু করলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চিটাগাং এ কাচা পেয়ারার তুলনায় পাকা পেয়ারার চাহিদা ভাল!
যাই হোক, আসল কথায় আসি। যখন সন্ধ্যা হল তখন নাস্তার জন্য সবাই আস্লো। আমার ভাগে বাকি আছে বিস্কিট আর কলা। আমার আবার ক্যামিকেল মুক্ত সাগরকলা ছাড়া অন্য কোন কলা খেতে ইচ্ছে করে না। তবুও কোনমতে বাংলা কলা একটা খেলাম। এবার বিস্কিট খাবার আগে চা বানিয়ে নিলাম। তারপর চা এ ডুবিয়ে বিস্কিট খেতে লাগলাম। বিপত্তিটা বাধল এখানেই।
পায়ের উপর ঠ্যাং তুলে আরামসে চায়ে বিস্কিট ডুবিয়ে খাচ্ছি। হুট করে ভেজা বিস্কিট মুখে দেয়ার সময় ভেঙে ছলাৎ করে চায়ের পেয়ালায় ড্রাইভ দিল। আর চা ছলকে উঠে জায়গামত পড়ল! আমি আড়চোখে দেখে নিলাম কেউ খেয়াল করেছে কিনা। করেনি! সবাই গল্পে মশগুল। আস্তে করে পেপারটা টেনে নিয়ে কোলের উপর রাখলাম। নাস্তা খেতে খেতে ব্যাপারটা ভুলেই গেলাম।
ঘন্টাখানেক পর বস ডাকলেন তার রুমে। বসের সাথে কথা বলে বেড়িয়ে আসার সময় খেয়াল করলাম। প্যান্টে দাগ হয়ে আছে। কিন্তু দাগটা হয়েছে ছেলেদের অতিপরিচিত দাগের মত!
হায় হায়! বসে দেখে ফেলছে নাকি? লুজ্জা লুজ্জা...
তাড়াতাড়ি শার্টের ইন ছেড়ে দিলাম। তারপর ঐ অবস্থাতেই ডিউটি শেষ করলাম। ভাগ্যিস আমাদের সাথে কোন মেয়ে কাজ করে না। তাহলেতো আমি খারাপ পুলা হয়ে যেতাম!
দাগ থেকে ভাল কিছু হয় না। তাই দাগ ভাল না। এখন আবার ঘষে ঘষে দাগ তুলতে হবে। যন্ত্রণা!
No comments:
Post a Comment