Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Saturday, October 17, 2015

আচরণ সমাচার!

মানুষ সম্পর্কে চট করে কোন সিদ্ধান্তে আসা ঠিক না। এই ভাল মনে হয়, আবার কয়েকদিন পর কেমন জানি। সেদিন ব্যাংকে গেলাম। টাকা পাঠাবো বাড়িতে। নির্ধারিত পরিমাণের বেশি হওয়াতে অনলাইন চার্জ দিতে হবে। মানিব্যাগ খুলে দেখি খুচরা যা আছে তাতে হবে না। ১৪ টাকা কম। আর ব্যাংকের বুথ হওয়াতে সেখানে খুচরা টাকাও পাওয়া যাবে না। আমার অবস্থা দেখে পাশ থেকে এক কলিগ এগিয়ে এলেন। ধরাযাক, তার নাম রোহিত শর্মা। ভদ্রলোক নিজে থেকেই আমাকে সাহায্য করতে চাইলেন। খুচরা ১৪ টাকা দিলেন। আমি ভাবলাম, বড় ভাল লোক তো! দু-তিনদিন পর বাজারে যখন দেখা হল তখন আমি তাকে টাকাটা ফেরত দিলাম। তখন কথায় কথায় শর্মা সাহেব জানালে ১৫ বছর আগে মেস চালানোর সময় একজনের কাছে টাকা পেতেন, সেই টাকা এখনো পান নি। আমি আর কি বলব? হ্যা এর সাথে হ্যা মিলিয়ে গেলাম।
কোম্পানির নিযুক্ত কন্সালটেন্টের একটা গ্রুপ এসেছে আমাদের ইনকাম ট্যাক্সের কাগজপত্র নিয়ে যেতে। আমাদের তরফ থেকে তারাই জমা দিয়ে দেবে। সকাল বেলা গেলাম তাদের ওখানে। তখনো তারা অফিসে এসে পৌছায় নি। এরমধ্যে ব্যাগ খুলে কাগজ ঘাটতে গিয়ে দেখি গুরুত্বপূর্ণ কাগজটাই ফেলে এসেছি। ব্যাগটা চেয়ারে রেখে দিলাম অনেকটা সিরিয়াল দেয়ার মত। তারপর যখন কাগজ আনতে বের হয়েছি তখন দেখি শর্মা সাহেব যাচ্ছেন। কাগজ নিয়ে ফিরে আসার সময়ই দেখি গ্রুপের লোকজন বহনকারী বাস আসছে। আমি পৌছাতে পৌছাতে তাদেরও নামা শেষ হল বাস থেকে। রুমে পৌছে আমি অবাক! আমার ব্যাগ পাশের চেয়ারে সরিয়ে দিয়ে শর্মা সাহেব বসে পড়েছেন। ভাবলাম সমস্যা নেই, পাশের টেবিলেই কাজ সারি। এরই মধ্যে শর্মা সাহেব যে টেবিল দখল করেছেন সেই টেবিলের লোকটা বলল এই টেবিলে কাজ শুরু হতে একটু দেরি হবে। আপনি পাশের টেবিলে যান। শুনে শর্মা সাহেব তড়িঘড়ি করে চেয়ার থেকে উঠলেন, আমিও চেয়ারের পাশে পৌছে ব্যাগে হাত দিয়েছি তুলে বসার জন্য। চট করে শর্মা সাহেব বলে উঠলেন, ব্যাগ ঐ চেয়ারে ছিল।
আমার গেল মেজাজ গরম হয়ে। রাগত স্বরেই বলে উঠলাম, হ্যা, পাশের চেয়ারেই ছিল।
তারপর অন্য টেবিল যেটা খালি ছিল সেটাতে বসলাম। ইনকাম ট্যাক্সের কাগজপত্র জমা দেয়া ঝামেলার কাজ। তারউপর যদি সিরিয়াল ধরতে হয় তাহলে এক ঘন্টা এখানেই শেষ। আর কয়েকজনের পিছনে পড়লে তো কথাই নেই। কখন খালি হবে, কখন বসা যাবে। আমি অবাক হয়েছি শর্মা সাহেবের ভাবভঙ্গি দেখে। সেদিন আরেকজনের দোষারোপ করে আজকে কি কাজটা করল!
** বাংলাদেশ এ দলের সাথে ভারত এ দলের সিরিজ চলছে। প্রথমটাতে বাংলাদেশ হারার পর ফেসবুক মিডিয়া যেগুলো চোখে পড়েছে সেগুলোর কোনটাতেই বাংলাদেশের হারের খবর সরাসরি লিখেনি। (অন্তত আমার চোখে পড়েনি) শুধু কার কি ব্যাক্তিগত অর্জন ছিল সেটা লিখেছে। বাংলাদেশ হেরেছে নাকি জিতেছে সেটা বুঝতে পারছিলাম না। তবে ভাবভঙ্গি দেখে বুঝতে পারছিলাম যে, বাংলাদেশ বোধহয় জিততে পারে নি। নাহলে রঙচঙা কতধরনের শিরোনাম দেখতে হত। যেমনটা হয়েছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতার পর।
*** অনেকসময় আমরা কোন পোস্ট কপি করার পর কার্টেসী দেই সংগৃহীত। পোস্টের আসল মালিক কে জানার পরও সংগৃহীত দেবার কারনটা আমার বুঝে আসে না। এমনতো না আমি দুনিয়া ঘাটাঘাটি করে পোস্টটা সংগ্রহ করেছি। কয়েক কিলোবাইট ডাটা আর কয়েক সেকেন্ড সময় ছাড়াতো আর কিছুই আমার ব্যয় হয় নি। তবে কেন এই সংকীর্ণতা?

No comments: