Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Saturday, October 17, 2015

চুলকায় তাই, চুলকে যাই!


এবার আমাদের লাল গরুটার মত কালার অন্য কোন গরুর চোখে পড়ে নি। ঘাড়ের অংশ কালো আর সারা গা লাল। চামড়ায় একটা ঘষা খাবারও দাগ নেই যে সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধুয়ে দিব। দুঃখের বিষয় আমি হাটে যাবার আগেই গরু কেনার পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে আমার বন্ধুর কাছে শুনলাম যার কাছে থেকে গরুটা কেনা হয়েছে তার নাম গোপাল। বিক্রেতা গোপাল হলেও গরুর মালিক গোপাল নয়। আরেক হিন্দু মহিলার গরু গোপালকে দিয়েছে বিক্রির জন্য। ঐ হিন্দু মহিলা ও গোপাল, দু'জনেই জানে এখন যারা গরুটা কিনবে তারা কুরবানী করে দিবে। তারপরও গরু বিক্রি করেছে। পয়েন্ট টু বি নোটেড ইউর অনার...
আমার বন্ধুরা বিক্রির পর গোপালের চোখে পানি দেখেছে। বিক্রির জন্য আনা গরু বিক্রি করে যদি গোপাল কাঁদতে পারে তবে যে মহিলা গরু লালন-পালন করেছে তার অবস্থা কি হয়েছে সেটা সহজেই অনুমেয়। কুরবানী একদিন আগে কেনা হোক বা কয়েকদিন আগে কেনা হোক। বোবা পশুর উপর একটা মায়া পড়ে যায়। যারা পশুর সাথে থাকে তারা এই ব্যাপারটা অনুভব করবে। যারা থাকেই না তাদের কেমন লাগে জানি না।
তারপরও আমরা মুসলিমরা কুরবানী দেই। উৎসাহ, আনন্দ-উদ্দীপনা নিয়েই দেই। কারন মায়ার চেয়ে আল্লাহর হুকুম বড়। যত মায়াই লাগুক কুরবানী দিতে হবে। পরিবারের ছোট থেকে বড় সব সদস্যরাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কুরবানীর প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে যায়। আগেরকার নবীদের সময় কুরবানীর পশুর গোশত খাওয়া যেত না। শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর শরীয়তে খাওয়া যায়। অবশ্য আগের বিধান প্রযোজ্য থাকলে কতজন কুরবাণী দিত সেই প্রসঙ্গে নাই বা গেলাম।
হিন্দু সম্প্রদায় আগে চার ভাগে বিভক্ত থাকলেও বর্তমানে দু'ভাগে বিভক্ত। একটি হল দাদাবাবু সম্প্রদায় আর একটি হল উপরোক্ত গোপাল ও ঐ হিন্দু মহিলা যে সম্প্রদায়ের ঐ সম্প্রদায়ের। দাদাবাবু সম্প্রদায়ের কাজ দুইটা। দাদাগিরি করা আর চুলকানীর ভাব হলেই চুলকে দেয়া।
ক্রিকেটার মুসফিকুর রহীম আজকে একটা ছবি দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুশফিক গরু কুরবানী দিচ্ছে। মানে নিজেই জবাই দিচ্ছে, অন্যরা গরু ধরে আছে। আমার কাছে এটা সাহসিকতার কাজ। প্রচুর মানুষ আছে যারা শুধু মাত্র সাহসের অভাবে ছুড়ি হাতে নিতে পারে না। জবাই করতে অভিজ্ঞ লোক খোজেন। এখানে মুশফিক যদি সত্যিই নিজে কুরবানী করে থাকেন তবে একজন মুসলিম হিসেবে তাকে আমি অন্তত বাহ্‌বা দিব।
মুশফিকের ছবিটা দেখার পর দাদাবাবুদের চুলকানী শুরু হয়েছে। ভারত গরু রফতানী বন্ধ করার পর যে দাদাবাবুরা আনন্দে বগল বাজাচ্ছিল তারাই যখন দেখল যে লাভ তেমন কিছুই হয়নি তখন নিন্মাঙ্গের কাপড় কাধে ফেলে জোড়সে নিতম্ব চুলকাতে শুরু করে দিলেন। এই দেশীয় ছুপা সাগরেদরাও মাঝে মাঝে তাদের সাথে গলা মিলিয়ে হুক্কা হুয়া ডেকে দাদাবাবুদের চুলকানী খাউজানীতে পরিণত করে দিল।
পরিশেষে, দাদাবাবুদের ছোট্ট একটা অনুরোধ। দাদাবাবুরা আমারদের নিয়ে না ভেবে ঐ গোপাল এবং গোপালদের সম্প্রদায় নিয়ে যদি ভাবেন তবে আপনাদের ধুতিও কাধে তুলতে হবে না, গোপালদেরও চোখের পানি ফেলতে হবে না।
যত্তসব!

No comments: