বয়স একেবারে কম হয়নি, আবার খুব বেশীও বলা যায় না। সে যাই হোক এইক্ষুদ্র জীবনে বহু নাপিতের কাছে বহুবার চুল কাটিয়েছি। তবে জীবনে যে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি তা আবারো প্রমানিত হল।
অন্য সবার মত এই নাপিতকেও বললাম, আমাও চুলের কোন ছাট নেই। শুধু ছোট করে দেন সবদিকে সমান করে। বলে মোবাইল বের করে ফেসবুকে ঢুকলাম। অন্যসবার মত এই ব্যাটাও পিছন থেকেই চুল কাটা শুরু করল। আমি মোবাইলে ডুব দিলাম।
কতক্ষন পরে আয়নার দিকে তাকিয়ে আমি পুরো হা! ব্যাটা দেখি সত্যই চুল ছোট করে ফেলেছে! ঐতো মাথার তালু দেখা যাচ্ছে!
ভাবলাম চুপ থাকি। দেখিনা কি করে!
অন্য সবার কাছে যেখানে আমাকে বার বার বলতে হয়েছে, আরেকটু কাটেন, সামনের দিকে আরো ছোট করেন; সেখানে এবার আমাকে বলতে হল, ভাই থামেন, আর ছোট করতে হবে না!
কাটা শেষ করার পর আমি উনাকে বললাম যে, ভাই, আপনার মত সাহসী লোক আর একটাও দেখি নাই। অন্যদের ছোট করতে বললে শুধু কাচি চিরণীর ঘষার শব্দ শুনি কিন্তু চুল আর ছোট হয় না। নাম কি ভাই আপনার?
"মোশাররফ"
বলেন কি ভাই! এই প্রথম মুসলমান কাউকে এদেশে চুল কাটতে দেখলাম! আবার যদি এদিকে এসে চুল কাটাই তবে আপনার এখানেই আসব ইনশাআল্লাহ!
মোশাররফ ভাই খুশি, আমিও খুশি!
বি.দ্র. চুল ছোট থাকার অনেক সুবিধার মধ্যে দুইটি:
১. ভেজা চুল তাড়াতাড়ি শুকায়। ফলে খুশকির সমস্যা কম হয়।
২. চুলে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার অল্প দিলেই চলে। ফলে ওরা দীর্ঘজীবী হয়! : D
No comments:
Post a Comment