Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Friday, September 18, 2015

তাকওয়া ও বিভ্রান্তি

[বিতারিত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করছি]
খুবই সাধারন কিছু কথাবার্তা লিখব। অনেকটা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আলাপ করার মত। এই লেভেলে কথা বলার জন্য রেফারেন্স দরকার হয় না। কাজেই সেদিকে যাব না।
মুসলিম হতে হলে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন সেটা হল আল্লাহর প্রতি ঈমান। তারপর অন্যান্য বিষয়সমূহের প্রতি ঈমান। ঈমানের তারতম্য ও বিভ্রান্ত বিশ্বাসের কারনে কোন মুসলিমের আমলের তারতম্য ঘটে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, আমি নিজেও একসময় চিন্তিত ছিলাম যে, আল্লাহ একজন, কুরআন একটি, মুহাম্মদ (সাঃ) একজন। তারপরও মুসলমানদের মধ্যে কেন এত বিভেদ? কাদের কথা বার্তা সঠিক? কাদেরকে আমরা অনুসরণ করব? যেহেতু আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগ পাই নি।
মুসলিমদের মধ্যে ভাগাভাগির একমাত্র কারন হল ধর্ম বিশ্বাস বা আকীদাগত বিভ্রান্তি। এই বিষয়টি নিয়ে আপাতত আলোচনা না-ই করলাম। ধরে নিলাম, একদল লোকের আকীদায় কোন বিভ্রান্তি নেই। তারপরও দেখা যায় তাদের মধ্যে আমলের কমবেশি হচ্ছে। একই বিষয়ে দু'জনের কার্যকলাপ দু'রকম হচ্ছে।
এমনটা হবার কারন তাদের মধ্যে তাকওয়া বা আল্লাহর প্রতি ভয়ের তারতম্য। একজন হয়ত আল্লাহকে বেশি ভয় পান, অন্যজন শয়তানের প্ররোচনায় অতটা সতর্ক নন।
উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কেউ গোসলখানায় গোসল করার সময় দরজা টেনে দিল। ফলে বাইরের দুনিয়া তার আড়ালে চলে গেল। এরপর সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে গোসল সম্পন্ন করল। আরেকজন একই ভাবে দরজা টানার পর মনে মনে খেয়াল করল বাকি দুনিয়া আমার আড়াল হলেও আল্লাহর কাছ থেকেতো আমি আড়ালে নই। সে শরীরে কাপড় রেখেই গোসল করল।
গোসল কিন্তু দু'জনেরই হল। কিন্তু দু'জনের আমল ভিন্ন হল এবং তার প্রতিফল ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা কি হারাম? জ্বী না হারাম নয়, জায়েজ। তবে উত্তম নয়। প্রতমোক্ত ব্যক্তি জায়েজের উপর আমল করেছেন, দ্বিতীয় ব্যক্তি করেছেন উত্তমের উপর।
বর্তমান যুগ হচ্ছে জায়েজের যুগ। বেশিরভাগ মানুষই জায়েজের উপর আমল করতে চায়। নগণ্য সংখ্যক মানুষই আল্লাহতে ভীত হয়ে উত্তমের উপর আমল করে থাকেন। আমাদের কোম্পানীর প্রোভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ইত্যাদি কোম্পানির কাছে জমা থাকে। কিন্তু প্রতিবছর এই ফান্ডের যে লভ্যাংশ আসে সেটা সবার মধ্যে বিলি করে দেয়া হয়। আমাদের ইমাম সাহেব বলে দিলেন যে, "এই টাকা নিজের জন্য খরচ করা জায়েজ আছে তবে কারো যদি তাকওয়া বেশি হয় তবে তা ভিন্ন বিষয়।" টাকা-পয়সার ব্যাপারে আবার তাকওয়া!
সঞ্চয়ী হিসাব থেকে লভ্যাংস পাওয়া যায়, পাওয়া যায় বিভিন্ন সুদভিত্তিক শেয়ার ব্যবসা থেকে, FDR থেকে, সঞ্চয়পত্র থেকে, এছাড়াও নানা উৎস থেকে।
যেকোন কিছু আমলের কুরআন-হাদীসের নির্দেশনা জরুরী। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছ থেকে সাহাবাগন (রাঃ) কুরআনুল কারীম শিখেছেন, শিখেছেন বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা। আমল করেছেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুমতি ক্রমে বা নির্দেশনায়। এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে, কুরয়ান-হাদীসের কোন জায়গায় আছে যে, সাহাবীদের পরে কেউ কুরআন-হাদীস সাহাবীদের চেয়ে ভাল বুঝবে না?
তার এই প্রশ্নের জবাব বুঝিয়ে দেয়ার মত ঘিলু অন্তত আমার নেই।
জীবনের সব ব্যাপারেই এই বিষয়টা সামনে রাখা দরকার। কুরআন-হাদীস কি বলেছে এবং সাহাবারা কিভাবে তার আমল করেছেন। অনেক মেয়েই বলে থাকে পর্দা করে মেয়েদের বাইরে যাওয়া জায়েজ। তারা এই কথার রেশ ধরে (অপ্রয়োজনে) মেয়েদের হাট-বাজার, চাকুরী-বাকুরী ইত্যাদি ব্যাপারে অনেক কিছুই বলে থাকেন। অথচ আয়েশা (রাঃ) মেয়েদের মসজিদের গমনের ব্যাপারে (রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মৃত্যুর পর) নেগেটিভ কথা বলেছেন!
ঐযে বললাম, তাকওয়া! দু'জন পর্দানশীল মেয়ের তাকওয়ার পরিমাণ কিভাবে সমান হতে পারে যখন একজন বাধ্য না হলে ঘরেই থাকে আর অন্যজন কারনে-অকারনে ঘুড়ে বেড়ায়? টাইট ফিট বোরকা পরে, নিজের ব্যাগের ফিতা দু'বুকের মাঝখান দিয়ে টেনে দেয়?
সম্ভব? 

No comments: