মূল সমস্যা

নামায পড়া কি?
>ইবাদত
রোযা রাখা?
>আল্লাহর হুকুম
বিয়ে করা?
>ইয়ে মানে...
পাত্র-পাত্রী দেখা?
> না মানে......

সমস্যাটা কোথায় ধরতে পেরেছেন?

ইংরেজদের হাতে মুসলমানমাদের পতনের পর যেসব মুসলিমরা ইংরেজদের অধীনতা মানতে চাই নি তারা ছোট খাট প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে থাকে। ইংরেজরা মুসলিমদের মূল শক্তি মাদ্রাসাগুলোকে পঙ্গু করার জন্য মাদ্রাসার উপার্জনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে মুসলিমগণ লোকালয় থেকে দূর থেকে দূরবর্তী স্থানে পিছিয়ে যেতে থাকেন। অনেকে সেখানে থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে ইংরেজদের ক্ষতিসাধন করতে থাকেন। চতুর ইংরেজরা বুঝতে পারে এভাবে যুদ্ধ করে মুসলিমদের দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। বরং মুসলিমদের ঈমানী শক্তির মধ্যে ঘাপলা লাগিয়ে দিতে হবে। ইসলামকে কেবল লেবাসী/আচার-অনুষ্ঠানের ইসলাম বানাতে হবে। সে লক্ষ্যে ইংরেজরা এদেশের মানুষের মধ্যে কুফরী বিষ ঢুকাতে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে। উইলিয়াম হান্টারের বইয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।

বলতে দ্বিধা নেই, ইংরেজদের চক্রান্ত পুরোপুরিভাবে সফল হয়েছে। ইসলামকে আমরা লেবাসী ধর্ম হিসেবেই পালন করছি।

নামায পড়ে, দাড়ি টুপি আছে, বোরখা পড়ে এমন ভাইবোনের কি অবস্থা আমাদের দেশে? বুঝতে হলে তার বিয়ের দিকে লক্ষ রাখুন। ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনের ঈমানের হালত আপনার সামনে প্রকাশ পেয়ে যাবে যদি তাদের বিয়ের দিয়ে আপনি লক্ষ করেন। আপনি বুঝতে পারবেন তার ইসলাম তার পাঞ্জাবী আর টুপিতে, ইসলাম হল বোরখা পড়ার মধ্যেই, অন্তরে তার সামান্যই প্রবেশ করেছে।

আপনি যদি মনে করেন ইসলাম আপনার অন্তরে প্রবেশ করেছে আর সেই অনুযায়ী চলতে চান তাহলে আপনাকে নানা ধরনের ট্যাগ এবং ইমোশনলার কথা শুনতে হবে। যেমন, "অসামাজিক", "মুরব্বিরা কষ্ট পাবে", "মুরব্বীদের কথা শুনে না বেয়াদব", "ওরা কি কম বুঝে?", "আরে জীবনে একবারই তো" ।

এটা হবে আপনার জন্য কঠিন পরীক্ষা। হয় আপনি আল্লাহকে ভালবাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাস্তায় উঠবেন অথবা পরিবারকে ভালবেসে শয়তানি রাস্তায় উঠবেন। আমার মত দুর্বল ঈমানের অধিকারী হলে আপনি যে বিপুল বিক্রমে, উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে ফেল করবেন এই কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়। সামাজিকতা, সামাজিক আচার অনুষ্ঠান আপনার ঈমান কেড়ে নিবে।

এই হল মোটামুটি নামায পড়ে, বোরখা পড়ে, টুপি পাঞ্জাবী ওয়ালা ভাই-বোনদের অবস্থা। আর যারা এইটুকুও করে না তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়।

বেশি কথা বলতে চাই না। বললেই বলবেন আত্মসমালোচনা বাদ দিয়ে ইংরেজদের সমালোচনা করছি। বাইরের সব দেশে রমজানে দাম বাড়ে না, বাংলাদেশে কেন বাড়ে? সব জায়গায় ষড়যন্ত্র খুজছি, নিজে ভাল হবার চিন্তা ছেড়ে দিয়ে।

আমার দুঃখ লাগে বলতে, আপনি আসলে ভাল মন্দের সঙ্গাই জানেন না। আপনি যাকে ভাল বলে জানেন সেটা আসলে হাওয়াই মিঠের মত, দেখতে সুন্দর, ধরতে নরম কিন্তু মুখে দিলেই নাই।

ভালর সঙ্গা জানেন, এরপর ভাল-মন্দ বিচারে আসবেন।