আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের একটি হল আকলকে আল্লাহমুখি করতে পারা। যাদেরকে আল্লাহ এই নিয়ামত দিয়েছেন তারা আল্লাহর দেয়ার আইন কানুনের মধ্যে বক্রতা খোজেন না। "শুনলাম এবং মেনে নিলাম" এর উপর আমল করে থাকেন।
আল্লাহর দেয়া কোন বিধানকে অযৌক্তিক মনে করা, অপ্রাসঙ্গিক মনে করা, বৈধকে অবৈধ এবং অবৈধকে বৈধ মনে করা, কোন বিধান নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা ভয়াবহ গোনাহ, ক্ষেত্র বিশেষে কুফরি। [যতদূর জানি]
একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের স্মরণ রাখা উচিত আল্লাহর সব বিধানের মধ্যে মানব জাতির জন্য কল্যাণ রয়েছে। চাই সেটা আমার আকলে ধরুক বা না ধরুক। কাজেই মুসলিম হিসেবে কর্তব্য হল যত কষ্টই হোক সে বিধানকে মেনে চলা। মেনে চলতে না পারলেও তওবা ইস্তেগফার করা, বিরোধীতা না করা, হাসিঠাট্টা না করা।
১। বাবার সম্পত্তিতে ভাইয়ের অর্ধেক বোন পাবে - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
২। উপার্জন করার দায়িত্ব পুরুষের উপর, নারীরা ঘরে অবস্থান করবে - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
৩। নারীদের কোণ কারনে বাইরে বের হতে হলে পূর্ণ পর্দা সহ বের হবে, সফরে গেলে মাহরামসহ যাবে - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
৪। পুরুষের জন্য একই সাথে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি রয়েছে, নারীর জন্য নেই - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
৫। অপরাধীর অপরাধ যত গুরুতর হোক না কেন, তাকে বিনা বিচারে শাস্তি দেয়া যাবে না - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
৬। ক্ষেত্র বিশেষে চুরি শাস্তি হাত কেটে ফেলা, বিবাহিত ব্যক্তির ধর্ষনের শাস্তি পাথর ছুড়ে হতা করা, অবিবাহিতের বেত্রাঘাত করা - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
৭। সুদ হারাম - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।
ইত্যাদি বিধান "আকলবন্দী" লোকদের নিকট মানবিক/যোক্তিক মনে হয় না। কিন্তু একজন মুসলিম এমন হবে কেন? তার তো "শুনলাম এবং মেনে নিলাম" এর উপর আমল করার কথা। যুক্তি/মানবিকতা খোজার কথা না।
আল্লাহ যেন আমাকে "শুনলাম এবং মেনে নিলাম" এর উপর আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন।
কোথায় যেন পড়েছিলাম কোণ বিধান/অনুমিত বিষয় যখন সমাজের চোখে অপছন্দনীয় হয় তখন সেই বিধানের উপর বেশি বেশি আমল করা ওয়াজিব। কাজেই আমাদের উপর কি কি ওয়াজিব এখন?
[লেখার ভুল-ত্রুটি আমার ও সংশোধনযোগ্য]
No comments:
Post a Comment