Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Sunday, April 14, 2019

বাৎসরিক ঈমানী পরীক্ষা

প্রতিবছর মে-জুন মাসে আমাদের ঈমানের পরীক্ষা হয়। থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ে।

যার ঈমান যত বেশি তার ঈমানী পরীক্ষা তত বড়। আর পরীক্ষার সম্মুখিন হলে বোঝা যায় কার ঈমানের জোড় কত, কে আল্লাহর পথে দৃঢ়পদ। আর কে পলায়নকারী।

নবী রাসূলগন (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন সর্বোচ্চ স্তরের ঈমানদার। এই জন্য তাদের পরীক্ষাগুলো ছিল কঠিন থেকে কঠিনতর। কাউকে ছোট বেলা থেকেই মা,বাবা, দেশ ছাড়তে হয়েছে, কেউ ছিলেন গুরুতর অসুস্থ, কাউকে আগুন নিক্ষেপ করা হয়েছে, কাউকে যেতে হয়েছে মাছের পেটে, কেউ মার খেয়ে রক্তে রঞ্জিত হয়েছেন, প্রিয় মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তাদের এসব পরীক্ষায় তারা ফুল মার্কস পেয়ে পাস করেছেন।

আমরা ঈমানের কোন স্তরে আছি আমার বুঝে আসে না। তবে আমাদের পরীক্ষগুলো খুবই ছোট ছোট। আর এসব পরীক্ষায় আমরা বিপুল বিক্রমে, উৎসাহ উদ্দীপনার সহিত ফেল করি।

কোম্পানী ইনভেস্টমেন্ট লোন দেয় ইনভেস্ট করার জন্য। লোন দিয়ে কোম্পানি নিজে রিবেট নেয়, আমাদের ইনকাম ট্যাক্সও পরিশোধ করে। আমাদের দায়িত্ব শুধু লোনের টাকা সংশ্লিষ্ট খাত গুলোতে বিনিয়োগ করা। যদি কেউ বিনিয়োগ না করে খরচ করে ফেলে বা নির্ধারিত খাতসমূহে বিনিয়োগ না করে তাহলে সরকারী আইন অনুযায়ী তাকে তাকে বাড়তি কিছু টাকা ট্যাক্স দিতে হবে।

তো আমাদের পরীক্ষাটা কোথায়? পরীক্ষাটা হল, আমরা টাকাটা খেয়ে ফেলব/নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ করব না কিন্তু বাড়তি টাকা ট্যাক্স দিব না।

কেউ কম্প্যূটারের দোকান থেকে ভূয়া বিল নিয়ে আসে। আবার কেউ সেই কবে পিসি কিনেছিল সেই বিলের কাগজে শুধু তারিক টা চেঞ্জ করে প্রতি বছর একই কাগজ ফটোকপি/প্রিন্ট করে সাবমিট করে। আরও নানা ধরনের ফাঁকিবাজিতো আছেই।

এসব বিষয়ে যখন আমাকে সংযুক্ত করতে চান তখন আমি বিব্রত বোধ করি, ক্রোধান্বিত হই। সারাবছর হাতি-ঘোড়া মেরে মে-জুন মাসে আপনাদের চামচিকার কাছে পরাজিত হবার ঘটনায় আমি লজ্জিত বোধ করি।




No comments: