Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Sunday, April 14, 2019

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই। 

আগেই বলে নেই এই পোস্টের কোন রেফারেন্স হবে না। কাজেই রেফারেন্স পাগলারা পিছু নিবেন না।

আমি একজন কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েট। বেশ কয়েকবছর আগে কোয়ান্টাম মেথডের কোর্স করেছিলাম ঢাকায়। এরপর সাইকি হিলিংয়ের কোর্স করে হিলিংও করেছি কিছুদিন। কাজেই কোয়ান্টামের কিছু জ্ঞান আমার হয়েছে। সেখান থেকেই লিখছি।

প্রথম কথা হল, কোয়ান্টাম মেথডে যেসব শিখানো হয় কুরআন-সুন্নাহতে এগুলো কিছুই নেই। কারও যদি জানা থাকে আছে তাহলে প্রমাণ দিবেন প্লীজ। সালাফে-সালাহীনদের মধ্যে কেউই এগুলো করেন নি।

দ্বিতীয়ত, এটাকে চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে গ্রহন করার সুযোগ নেই। কারণ রোগ-মুক্তির চেয়ে ঈমান বড়। ঈমানহারা হয়ে কোণ মুসলিম রোগমুক্তি চাইতে পারে না।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, কোয়ান্টাম কিভাবে ঈমান হারা করতে পারে? সবচেয়ে বড় কথা হল, কোয়ান্টাম সকল ধর্মকে "সমান" হিসেবে দেখতে শিখায়। অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু কখনই গ্রহন করা হবে না।

হারানো জিনিস (বরং তার চেয়ে ভাল জিনিস) ফিরে পাবার দোয়া

Umm Salama, the wife of the Apostle of Allah (Peace be upon him), reported Allah's Messenger (Peace be upon him) as saying: If any servant (of Allah) who suffers a calamity says:"

إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَجَرَهُ اللَّهُ فِي مُصِيبَتِهِ وَأَخْلَفَ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا
 ‏
We belong to Allah and to Him shall we return;
O Allah, reward me for my affliction and give me something better than it in exchange for it," ' Allah will give him reward for affliction, and would give him something better than it in exchange. She (Umm Salama) said: When Abu Salama died. I uttered (these very words) as I was commanded (to do) by the Messenger of Allah (Peace be upon him). So Allah gave me better in exchange than him. i. e. (I was taken as the wife of) the Messenger of Allah (Peace be upon him).
source: https://muflihun.com/muslim/4/2000

হিরো টু জিরো টু হিরো

একটা গল্প বলি কেমন? গল্পটা হয়ত সত্যি নয়, হয়ত গল্পটা কাল্পনিক। তবুও এটা আমার ভাললাগার একটা গল্প।

গল্পটা একজন শিক্ষককে নিয়ে। নিবেদিত প্রাণ এক শিক্ষকের যিনি সত্যিকার অর্থেই শিক্ষকতাকে মহান পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বেসরকারী একটি ফান্ডের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে।

তাই বলে তার শত্রুরা কিন্তু থেকে নেই। শিক্ষকদের মধ্যেই একটা গ্রুপ আছে যারা কোচিং বানিজ্যে লিপ্ত । তারা এই প্রতিষ্ঠানকেও কুলষিত করতে চায়। সব শিক্ষার্থীকে তাকে পিতার মত সম্মান করলেও কোটার পক্ষে অবস্থানের কারনে তাকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ক্যাম্পাসে পক্ষ বিপক্ষ দল মুখোমখি অবস্থান নেয়। হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে।

First Aid Series (Part 1)

** সাপে কামড় দিলে কি করব?

সাপে কামড় দিলে প্রথম করনীয় হল বিষাক্ত সাপ কামড়েছে নাকি অবিষাক্ত সাপ কামড়েছে তা নির্ধারন করা। যদি কামড়ের স্থানে দুই দাতের চিহ্ন পাওয়া যায় তাহলে বিষাক্ত সাপে কামড়েছে। আর যদি আচরের মত চিহ্ন হয় তাহলে অবিষাক্ত সাপে কামড়েছে।


বিষাক্ত সাপে কামড়ালে কামড়ের স্থানের উপরে ও নিচে হালকা করে বেধে দিতে হবে। টাইট করে বাধলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেয়ে পচন ধরতে পারে। এরপর দ্রুত সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারন সরকারী হাসপাতালে ছাড়া বিষক্রিয়ার আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করবে না।

লক্ষ্য রাখতে হবে রোগী যেন ঘুমিয়ে না পড়ে।

লক্ষ রাখতে হবে সাপে কাটা রোগীকে ফেলে যেন কোথাও না যাই।

বিষের উপর নির্ভর করে বিষাক্ত সাপকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

মূল সমস্যা

নামায পড়া কি?
>ইবাদত
রোযা রাখা?
>আল্লাহর হুকুম
বিয়ে করা?
>ইয়ে মানে...
পাত্র-পাত্রী দেখা?
> না মানে......
সমস্যাটা কোথায় ধরতে পেরেছেন?

ইংরেজদের হাতে মুসলমানমাদের পতনের পর যেসব মুসলিমরা ইংরেজদের অধীনতা মানতে চাই নি তারা ছোট খাট প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে থাকে। ইংরেজরা মুসলিমদের মূল শক্তি মাদ্রাসাগুলোকে পঙ্গু করার জন্য মাদ্রাসার উপার্জনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে মুসলিমগণ লোকালয় থেকে দূর থেকে দূরবর্তী স্থানে পিছিয়ে যেতে থাকেন। অনেকে সেখানে থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে ইংরেজদের ক্ষতিসাধন করতে থাকেন। চতুর ইংরেজরা বুঝতে পারে এভাবে যুদ্ধ করে মুসলিমদের দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। বরং মুসলিমদের ঈমানী শক্তির মধ্যে ঘাপলা লাগিয়ে দিতে হবে। ইসলামকে কেবল লেবাসী/আচার-অনুষ্ঠানের ইসলাম বানাতে হবে। সে লক্ষ্যে ইংরেজরা এদেশের মানুষের মধ্যে কুফরী বিষ ঢুকাতে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে। উইলিয়াম হান্টারের বইয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।

কি করব, কি না করব ...

কয়েকবছর আগে কৌতূহলবশত মসজিদের লাইব্রেরী থেকে "নাস্তিকের যুক্তি খণ্ডন" নামক একটি বই এনেছিলাম। কয়েকদিন সময় লাগিয়ে কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর সসম্মানে বইটা ফেরত দিয়ে এসেছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম মাথামোটাদের জন্য এই বই না। আসলে মাথামোটাদের জন্য অনেক টপিকই না। সেসব টপিকে যখন কোন লেখা সামনে আসে তখন আস্তে করে চুপ মরে যাই। দুই একটা কমেন্ট দেখি। মন চাইলে কমেন্ট করি, "জ্বি ভাই", "অনেক ভাল হয়েছে ভাই" -ইত্যাদি। অথচ পোস্টই পড়ি নাই, ভাল-খারাপের সিদ্ধান্ত অনেক দূরে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন আর এড়িয়ে যাবার সুযোগ থাকে না। মাথামোটাদেরও চিকন কথা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়।

তাবলীগওয়ালাদের কথা চিন্তা করা যাক। তাবলীগওয়ালাদের অনেক দোষ আছে। যেমন, তারা মনে করে (কেউ কেউ) যারা তাবলীগ করে শুধু তারাই আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করে। সোজা কথায় তাবলীগই আল্লাহর রাস্তা। অন্য রাস্তা আছে কিনা সেটা তাদের জ্ঞানে নাই, থাকলেও আলোচনায় ইচ্ছুক না।

এর ভাল-মন্দ দুই দিকই আছে। কারও কাছে মনে হতে পারে, ধূর এরাতো শুধু "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" আর "নামাযের" কথা বলে। ইসলাম কি এই দু'য়েই সীমাবদ্ধ অন্য কিছু নেই? এভাবে নিজেরাই একধরনের ভুল মেসেজ নিয়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। কত লাখো লাখো মুসলিম এর দ্বারা উপকৃত হয়ে সেটা তাদের বোঝানো যায় না, গেলেও একটা কিন্তু তাদের মনের ভিতরে ঢুকেই থাকে...

বাবা

কোম্পানি যে ইফতার দেয় তাতে রেগুলার আইটেমের সাথে একটা ফল আর দই/ফিরনির বাটি থাকে। আগের ফল আর দই/ফিরনি না খেয়ে বাসায় নিয়ে আসতাম। রাত ১০ টার দিকে খেতাম । এখনও নিয়ে আসি। তবে নিজের জন্য না। স্ত্রী/সন্তানের জন্য, তাদের সাথে শেয়ার করে খাবার জন্য। তো, সেদিন নিয়ে আসার পর মেয়েকে ডাকলো ওর আম্মু খেতে, খেল না। অর্ধের খেয়ে ফ্রীজে রেখে দিল ওর আম্মু। কতক্ষন পরে যখন হাতে নিলাম খাওয়ার জন্য, মুখের পুরার মুহূর্তে মেয়ে বলল, "তুমি আমারটা খাচ্ছ কেন?"

এরপর আর মুখে ঢুকে? ফ্রীজে রেখে দিলাম।

ছোট্ট একটা উদাহরণ। পৃথিবীর সব বাবাদের জীবনে এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

বাবা সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে একটু ঘুমিয়েছে,আর বাচ্চা উঠে চেচামেচি লাগিয়েছে, বুকের উপর লাফিয়ে পড়ছে।

বাবার গরুর কলিজা খুব পছন্দ, কিন্তু এখন কলিজাটা ছেলের পাতে দেন।

ইস্তেগফারঃ রুজী, বিয়ে, নিঃসন্তান, ডিপ্রেসনের সমাধান!

  • আপনি কি রিজিক নিয়ে পরিশ্রান্ত? চাকুরী, ব্যবসা নিয়ে চিন্তিত?
  • বহু চেষ্টা করেও কি আপনার বিবাহ হচ্ছে না?
  • বাবু নিতে চান কিন্তু বাবু হচ্ছে না?
  • আপনি কি হতাশা, পেরেশানী, একাকিত্ব ভুগছেন?

মানবজীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো শুধু মাত্র একটি আমল করেই যদি উপকার পেতে চান তাহলে বলব ইস্তেগফারকে ভালবাসুন।

আল্লাহ তা'য়ালার বানীঃ তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি তো মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন, তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবন তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা। [সূরা নূহ, আয়াত ১০ থেকে ১২]

বাৎসরিক ঈমানী পরীক্ষা

প্রতিবছর মে-জুন মাসে আমাদের ঈমানের পরীক্ষা হয়। থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ে।

যার ঈমান যত বেশি তার ঈমানী পরীক্ষা তত বড়। আর পরীক্ষার সম্মুখিন হলে বোঝা যায় কার ঈমানের জোড় কত, কে আল্লাহর পথে দৃঢ়পদ। আর কে পলায়নকারী।

নবী রাসূলগন (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন সর্বোচ্চ স্তরের ঈমানদার। এই জন্য তাদের পরীক্ষাগুলো ছিল কঠিন থেকে কঠিনতর। কাউকে ছোট বেলা থেকেই মা,বাবা, দেশ ছাড়তে হয়েছে, কেউ ছিলেন গুরুতর অসুস্থ, কাউকে আগুন নিক্ষেপ করা হয়েছে, কাউকে যেতে হয়েছে মাছের পেটে, কেউ মার খেয়ে রক্তে রঞ্জিত হয়েছেন, প্রিয় মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তাদের এসব পরীক্ষায় তারা ফুল মার্কস পেয়ে পাস করেছেন।

আমরা ঈমানের কোন স্তরে আছি আমার বুঝে আসে না। তবে আমাদের পরীক্ষগুলো খুবই ছোট ছোট। আর এসব পরীক্ষায় আমরা বিপুল বিক্রমে, উৎসাহ উদ্দীপনার সহিত ফেল করি।

বিবেক বুদ্ধি কার গোলাম?

আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের একটি হল আকলকে আল্লাহমুখি করতে পারা। যাদেরকে আল্লাহ এই নিয়ামত দিয়েছেন তারা আল্লাহর দেয়ার আইন কানুনের মধ্যে বক্রতা খোজেন না। "শুনলাম এবং মেনে নিলাম" এর উপর আমল করে থাকেন।

আল্লাহর দেয়া কোন বিধানকে অযৌক্তিক মনে করা, অপ্রাসঙ্গিক মনে করা, বৈধকে অবৈধ এবং অবৈধকে বৈধ মনে করা, কোন বিধান নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা ভয়াবহ গোনাহ, ক্ষেত্র বিশেষে কুফরি। [যতদূর জানি]

একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের স্মরণ রাখা উচিত আল্লাহর সব বিধানের মধ্যে মানব জাতির জন্য কল্যাণ রয়েছে। চাই সেটা আমার আকলে ধরুক বা না ধরুক। কাজেই মুসলিম হিসেবে কর্তব্য হল যত কষ্টই হোক সে বিধানকে মেনে চলা। মেনে চলতে না পারলেও তওবা ইস্তেগফার করা, বিরোধীতা না করা, হাসিঠাট্টা না করা।


১। বাবার সম্পত্তিতে ভাইয়ের অর্ধেক বোন পাবে - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।

২। উপার্জন করার দায়িত্ব পুরুষের উপর, নারীরা ঘরে অবস্থান করবে - এতেই কল্যান, আমার বুঝে আসুক বা না আসুক।

দুই জাতের পাগল

পৃথিবীতে দুই ধরনের পাগল আছে। একটা হইল এমনেই পাগল, আরেকটা হইল প্রেমে পাগল!

যারা এমনেই পাগল তাদের জন্য মানুষ দোয়া করে, আফসোস করে করে যে, হায় না কোন অপরাধে এমন আযাবে সে গ্রেফতার হয়েছে। না জানি তার বাবা-মা কত কষ্টে আছে!

আর যার প্রেমে পাগল তাদের দেখলে সামনা-সামনি মুখটা একটু দুঃখী দুঃখী ভাব করে রাখলেও আড়ালে গিয়ে হাসে! কত বড় ব্রেইনলেস হলে এমন পাগলামী করে। আরেকজনের সাথে হাসি-ঠাট্টা করে, "জানিস অমুকে না এই এই গুলা করে। হা হা হা", "তাদের ফ্যামিলিতেও মনে হয় এইগুলাই চলে।"

মূর্খতার কোন লেভেলে পৌছালে মানুষ তার এসব জাহেলিয়াতের কথা, পাপাচারের কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় তা সহজেই অনুমেয়। এদের জন্য দোয়া আসে না, আসে শুধু করুণা।

স্ত্রী বশের হালাল যাদু

[ডিসক্লেইমারঃ চেষ্টা করব রেফারেন্স সহ লেখার জন্য। কোন কথা যদি শরিয়তের বাইরে যায় তাহলে সে ত্রুটি আমার এবং সংশোধনযোগ্য। এই লেখা যদি কেউ মনে করে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতালদ্ধ মানে স্টেজগুলো আমি পার করে এসেছি তাহলে ভুল হবে। বিষ খেলে যে শরীরের ক্ষতি হয় সেটা জানার জন্য বিষ খাওয়ার দরকার নেই।]

লেখার শিরোনাম কতটুকু যৌক্তিক হল সে প্রশ্ন আসলে থেকেই যায়। কারণ সাধারণত আমাদের দেশে স্ত্রীদের বশ করতে হয় না। তারা এমনিতেই বশ থাকে। স্বামীকে ছাড়া থাকতে চায় না। দুই একটা ব্যতিক্রম সব কিছুতেই আছে।

হাদিসে এসেছে, ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। [মিশকাত, ৬ খণ্ড, হাদিস -৩১১৪] এই হাদিস অনুযায়ী যদি আমরা পরীক্ষা করি তাহলে কত জন পুরুষ যে পাশ করবে বলা মুশকিল। তবে আমার ধারনা সিংহভাগই ফেল করবে। কি হতে পারে এর কারণ?

১। অনেক পুরুষ আছে যারা স্ত্রীদের আসলে মানুষই মনে করে না। ঘরের আসবাব যা শোভা বর্ধন করে এবং কালের পরিক্রমায় পুরাতন হয়ে যায়-এমনটা মনে করে। আর পুরাতন আসবাবপত্র আমরা কি করি? অবহেলায় ফেলে রাখি বা পরিবর্তন করে ফেলি। তারাও স্ত্রীদের এমনটাই মনে করে।

২। বর্তমান যুগে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে এমন একটা মেয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ হয় যে কিনা, স্বামীর অংশীদারিত্বে আপত্তি করবে না। জায়েজ সম্পর্কই মেনে নিতে পারে না অনেকে, সেখানে সম্পর্ক যদি না জায়েজ হয় তাহলে তো কথাই নেই। এই নিয়ে সাংসারিক গণ্ডগোল লাগবে। আমি দেখেছি একজন পুরুষ যদি নিঃস্বার্থভাবে কোন অসহায় নারীর সহায়তা করতে যায় তাহলে ঘরের স্ত্রী প্রথম কয়েকদিন সহ্য করলেও পরে আর সহ্য করতে পারে না।

৩। স্ত্রীদের হাত খরচ দেবার ব্যাপারে আমরা যথেষ্ঠ কৃপণ। বিয়ের আগে-পরে পারিবারিক জীবনে অসুখী নারী-পুরুষরা সদ্য বিবাহিত পুরুষকে নানা ধরনের কু-পরামর্শ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে একটা হল বউকে টাইট দিয়ে রাখা। যত বেশি টাইট দেয়া যাবে তত বেশি পুরুষত্ব জাহির থাকবে। আমরা মনে করে থাকি, “স্ত্রীকে হাত খরচ দেওয়া মানেই টাকার অপচয়, তার টাকার দরকারটা কি? কিছু লাগলে আমাকে বলবে, আমি কিনে দিব। অসুবিধাটা কি?” আত্মসম্মান আছে এমন যেকোন মানুষ একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর টাকা চাইতে লজ্জা বোধ করে। ছেলে একটু বড় হলে বাবার কাছে টাকা চায় না, লজ্জা পায়। জন্মদাতা পিতার কাছে চাইতে পারে না। তেমনি স্ত্রীরাও সংকোচ বোধ করে। বাড়ীতে কোণ ভিক্ষুক আসল,বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলেন সেখানে তার কিছু টাকা দান করতে মন চাইল,কিন্তু দিতে পারল না। আপনি তার হাতে কোন টাকা দেন না। বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলেন,রাস্তায় এক ভিক্ষুক দেখে তার মনে মায়া হল, বাচ্চাদের কাছ থেকে একটা ফুল কিনতে ইচ্ছে হল আপনার জন্য, আপনার বাচ্চার জন্য একটা খেলনা তার পছন্দ হল,এখন কি রাস্তায় সবার সামনে আপনার কাছে চেয়ে নিতে হবে? কেন এই লজ্জাটা তাকে দিয়ে নিজেকে তার কাছে ছোট করছেন ভাই?

ঘোষণা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে আমি এবং আমার ফ্যামিলি কোন ধরনের পাব্লিক ফাংশনে অংশগ্রহণ করব না। যেমন, যেকোন ধরনের দাওয়াত, পার্টি, পিকনিক ইত্যাদি।


কারণঃ

এক। এসবে পর্দার কোন ব্যবস্থা থাকে না। মেয়েদের পর্দা তো থাকেই না, ছেলেরা যারা নজর হেফাজত করতে চায় তারাও বিব্রত হয়।

দুই। এসব অনুষ্ঠানে প্রচুর অপচয় হয়।

তিন। নিজেদের মধ্যে মন কষাকষি হয়। জান-প্রান ঢেলে দিয়েও মন রক্ষা করা যায় না। কি দরকার ভাই আপনার সাথে আমার মন কষাকষির? দুই দিনের জন্য দুনিয়াতে আছি, শান্তি চাই।

চার। এসব অনুষ্ঠান বর্তমানে লোক দেখানোর অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর কিছু লোভী ব্যক্তি লোভের বশবর্তী হয়েও নানা ধরনের ফাংশন করে থাকে।

পাচ। অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের অনুষ্ঠানের খাবার সর্ব নিকৃষ্ট খাবার । (বোখারী, হামিদিয়া লাইব্রেরী, হাদিস-২০৪২)

আমি চাই না নিজেকে এবং আমার ফ্যামিলির কেউ এই ধরনের অনৈসলামিক কাজকর্মে কোণ ধরনের অংশগ্রহণ থাকুক। কাজেই আমাকে/আমার ফ্যামিলিকে বাদ দিয়ে আপনারা যা করার করবেন। অনুরোধ করে বলছি, বিব্রত করবেন না।

Tarabi Under Microscope

[ ডিসক্লেইমার 
  • এই পোস্ট মুলত অন্য একটি পোস্টের কমেন্ট এবং পালটা কমেন্টের সংকলন।
  • পোস্টের শব্দ সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। প্রথমে বাকা হরফে মূল পোস্ট তুলে দেয়া হল। এরপর পর্যায়ক্রমে আমার কমেন্ট ও কমেন্টের রিপ্লাই তুলে দেয়া হল। 
  • সময় সময় এই নোট আপডেট করা হবে ইন শা আল্লাহ। ]
তথ্যভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমালোচনাই কাম্য🌹

প্রসঙ্গঃ তারাবীহর রাক‘আতের সংখ্যা

👍 সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের মাধ্যমে রসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে তিন ধরনের সংখ্যা বর্ণনা করা হয়েছেঃ

(১) ১১ রাক‘আতঃ আয়িশাহ (রাযি.) থেকে বিভিন্ন সনদে ও ভাষা-ভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে যে, নাবী (সাঃ) রাত্রিকালে ইশার পরের দু’রাক‘আত ও ফাজরের পূর্বের দু’রাক‘আত সুন্নাত বাদে সর্বমোট এগার রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। এক বর্ণনায় এসেছে রসূলুল্লাহ (সাঃ) রমাযান ও অন্যান্য মাসেও রাত্রে ১১ রাক‘আতের বেশী নফল সলাত আদায় করতেন না। (বুখারী হাদীস নং- ১১৪৭, ১১৩৯, ৯৯৪, ২০১৩, মুসলিম- সলাতুল্লাইল ওয়াল বিত্র ৬/১৬,১৭,২৭)

(২) ১৩ রাক‘আতঃ ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাত্রিকালে রসূলুল্লাহ (সাঃ) ১৩ রাক‘আত নফল সলাত আদায় করতেন। [বুখারী হাদীস নং ১১৩৮, তিরমিযী (তুহ্ফা সহ) ৪৪০] ইবনু আববাস (রাঃ)-এর হাদীসে ১১ রাক‘আতের চেয়ে দু’রাক‘আত বৃদ্ধি পাওয়া যায়। এ বর্ধিত ২ রাক‘আত এর ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়। নাসাঈ গ্রন্থে ইবনু আববাসের বর্ণিত হাদীসে- ১৩ রাক‘আতের বর্ণনা এসেছে। ৮ রাক‘আত রাত্রের সলাত, তিন রাক‘আত বিত্র ও দু’রাক‘আত ফজরের পূর্বের সুন্নাত। (নাসাঈ ৩/২৩৭, ফাতহুল বারী ২/৫৬২) ফাজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত ধরে আয়িশাহ (রাযি.)-ও ১৩ রাক‘আতের কথা বর্ণনা করেছেন। দেখুন বুখারী হাদীস নং ১১৪০, মুসলিম- সলাতুল লাইলি ওয়াল বিত্র ৬/১৭-১৮, ফাতহুল বারী ২/৫৬২, বুখারীতে আয়িশাহ (রাযি.)-এর কোন কোন বর্ণনায় ১১ ও দু’রাক‘আতকে পৃথক করে দেখানো হয়েছে; হাদীস নং ৯৯৪, ১১৪০। যে সমস্ত বর্ণনায় ১৩ রাক‘আতের বিস্তারিত বর্ণনা আসেনি, সে সমস্ত বর্ণনায় ফজরের ২ ক‘আত কিংবা ইশার ২ রাক‘আত সুন্নাত উদ্দেশ্য। (ফাতহুল বারী ২/৫৬২ পৃঃ) কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) রাত্রের সলাত উদ্বোধন করতেন হালকা করে দু’রাক‘আত সলাত আদায়ের মাধ্যমে। হতে পারে এই ২ রাক‘আত নিয়ে ১৩ রাক‘আত। কিন্তু এই ২ রাক‘আত সলাত বিভিন্ন হাদীসের মাধ্যমে ইশার সুন্নাত বলেই প্রতীয়মান হয়। (আলবানী প্রণীত সলাতুত্ তারাবীহ ১৭ নং টীকা)

ফেসবুকের পাসওয়ার্ড

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম ফেসবুক একাউন্টের সিকিউরিটি নিয়ে কিছু লিখব। সময়ের কারণে হয়ে উঠে না। আর এটা নিয়ে অনলাইনে অনেক লেখা-লেখি হয়েছে। অনেকেই অনেক কিছু জানেন। আজকের পাসওয়ার্ড পর্বে আপনার জ্ঞানটুকু নির্দ্বিধায় শেয়ার করুন।

ফেসবুক একাউন্ড নিরাপদ করার প্রথম ধাপ হল শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করা। কিভাবে নির্বাচন করবেন?
  •  পাসওয়ার্ড হবে কমপক্ষে ৮ অক্ষরের। এরচেয়ে বড় হলে আরও ভাল।
  •  আলফা-নিইমারিক অক্ষর থাকবে। অর্থাৎ বর্ণমালা থেকে বর্ণ থাকবে আর সাথে সংখ্যা থাকবে।
  •  ছোট হাতের এবং বড় হাতের অক্ষর থাকবে।
  •  কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার যেমন @, #,. ইত্যাদি থাকবে।

এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলেও মোটামুটি শক্ত ধরনের পাসওয়ার্ড তৈরি হবে। উদাহরণ স্বরূপ, yahoo1995 এই পাসওয়ার্ডটির কথা ভাবা যাক। একে যদি উপরের শর্তগুলো মধ্যে ফেলি তাহলে এটি অনেকধরনের রূপ নিতে পারে। যেমনঃ

বিয়ে নিয়ে কিছু টিপস


বিয়ে সংক্রান্ত এই লেখাটি যারা বিয়ে করেন নি তাদের জন্য। ইন শা আল্লাহ সহায়ক হবে।

বিয়ের সময় অসংখ্য প্রশ্ন মাথায় ঘুড়পাক খায়। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝামেলার প্রশ্ন হল, "কেমন মেয়ে বিয়ে করব?" আমি বরং এই প্রশ্নটাকে একটু ঘুড়িয়ে করতে চাই, "কেমন মেয়ে আপনি বিয়ে করতে চান?"

স্বভাবতই সবাই একই রকম মেয়ে চায় না। কাজেই যে বিয়ে করবে সে কেমন মেয়ে চায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও মেয়ে খোজার সময় যেসব দোষ-গুণ দেখা হয় সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল

  • রুপবতী কিনা
  • কতটুকু শিক্ষিত
  • ক্যারিয়ার সংক্রান্ত কোন চিন্তা / কি চিন্তা আছে
  • কতটুকু ধার্মিক
  • কুমারী কিনা
  • অতীত বলতে কিছু আছে কিনা
  • বয়স
  • পিতা-মাতার কি অবস্থা

আল্লাহর জন্য কাজ


তাবলীগওয়ালারা একটা কথা বলেন যে,তাবলীগের মেহনত আল্লাহ চালিয়ে নিবেন। চাই আমি, আপনি করি বা না করি।

প্রমান পেয়েছি সেদিন।

(ধরি) রাশেদ নামে আমার এক ক্লাসমেট ছিল। মাস্তানী করত। "মাইয়া কেস"-এ এক বড় ভাইরে আমার সামনেই মারধর করেছিল।


সেই রাশেদকে দিয়ে এখন আল্লাহ তার কাজ করাচ্ছেন। প্রিয় বান্দাদের দ্বারে দ্বারে পাঠাচ্ছেন একটি আহ্বান নিয়ে, "চল ভাই, মসজিদে চল" ।

আর আমার মত গোনাহগার নেক কাজ করতে পারব না- সেটাই স্বাভাবিক।

সকল নেক মেহনতের জন্য এই উদাহরণ প্রযোজ্য।আল্লাহ তায়ালা তার কাজ চালিয়ে নিবেন। গোনাহের কারনে আমি বাদ পড়ে যাব।

এটাই সত্য!