Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Friday, July 7, 2017

সংসার জীবন

ঈদের সকালটা ঈদের মতই গেল। সকাল আটটায় অফিস থেকে গেলাম বাসায়। ৯ টায় জামাত ছিল। নামায পড়ে বাসায় যেয়ে ঘুমানোর আগে হালকা ক্ষুধা লেগেছিল। সেমাইয়ের কড়াই নিয়ে বসলাম।

আমি মিষ্টি বেশি খাই। যেকোন মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমার চিনি বেশি লাগে। চিনি কম হলে পানসে লাগে নয়ত তিতা লাগে। চিনি কম হবার কারণে বা অন্যকোন কারণে তিতকুটে লাগছিল। সামান্য ব্যাপার নিয়ে খটর মটর করার অভ্যাস হয়ে গেছে। শুরু করলাম ঘ্যানর ঘ্যানর। এক পর্যায়ে রেগেমেগে সেমাইয়ের কড়াই চিলের ছো মারার মত আমার সামনে থেকে চলে গেল।


যে রান্না করেছে সে কষ্ট করেই রান্না করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ছো মারার বিষয়টা আমার কাছে নতুন। রাগ যা উঠছে তার চেয়ে বেশি হয়েছি অবাক!

কুরআন/হাদীস নিয়ে অযৌক্তিক যুক্তি


আমি যদি বলি রোগ হয়েছে ডাক্তারের কাছে যাবার দরকার নেই, অপারেশনের দরকার নেই। বইপত্র কিনে নিজেই পথ্য নিন, ছুড়ি-চাকু দিয়ে সার্জারি নিজেই করুন। আপনি আমাকে হেমায়েতপুর পাঠাতে চাইবেন। 

আমি যদি বলি বাজার থেকে চাল-ডাল কেনার দরকার কি? কাস্তে-কোদাল নিয়ে নিজেই ফসল ফলিয়ে খাবেন। তাহলে আমাকে বলদ বলবেন।

যদি বলা হয় আইনি ঝামেলা আইনজীবীর কাছে না যেয়ে আইনের বইপত্র কিনে নিজেই মোকাবেলা করতে তাহলে নির্ঘাত মাথায় বাড়ি দেবেন।

যদি বলি দালান বানাতে আবার ইঞ্জিনিয়ার লাগে? নিজে নিজে বই পড়েই তো বানানো যায়। আপনি আমাকে নির্বোধ বলবেন। 

যদি বলি সিএনজি ভাড়া দেয়ার কি দরকার? নিজেই সিএনজি কিনে চালাবেন-তাহলে মুখ খারাপ করে দিবেন। 

যদি বলি মোবাইলের সমস্যায় মেকারের কাছে যাবার প্রয়োজন নেই। স্ক্র ড্রাইভার নিয়ে নিজেই লেগে যান। তাহলে নির্ঘাত আমার সাথে তর্ক জুড়ে দিবেন। 

শুধু আপনি যখন বলেন আলেমদের কি দরকার। কুরআন-হাদীস নিয়ে গবেষণা করতে বসেন - তখন আমি কি করব তাই ভেবে পাই না।

কার টাকা কার পকেটে যাচ্ছে...


ছোট্ট একটি হিসাব করি। 


ধরি, কোন মুসলিমের বাৎসরিক আয় ৬,০০,০০০ টাকা। এর মধ্যে বেতন ৪,৮০,০০০ টাকা। বাকি ১,২০,০০০ টাকা তিনি বিভিন্ন উপলক্ষে বোনাস পেয়ে থাকেন। আরও ধরা যাক, বছরের যেকোন সময় (কুরবানীর ঈদ হতে পারে) তার একাউন্টে বেতন-বোনাস মিলে এককালীন ১,০০,০০০=+ টাকা তার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। (যেহেতু দিনমজুর টাইপের কাজ ছাড়া প্রায় সকল ধরনের কাজে এখন ব্যাংক একাউন্টে স্যালারী যোগ হয়) 

এখন কারও আয় ২,৫০,০০০ টাকা থেকে ৭,০০,০০০ টাকা হলে তাকে আয়কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। এই হিসেবে ঐ মুসলিমের ৬০,০০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। ব্যাংকে এককালীন লক্ষাধিক টাকা জমা হবার কারনে তাকে আবগারী শুল্ক বাবদ দিতে হবে (বর্তমান বাজেট অনুযায়ী ১ হাজার। আগে ৫শ' ছিল) ১ হাজার টাকা। ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য এখন এস এম এস ব্যাংকিং বাধ্যতামূলক। এর চার্জ প্রায় ৩০০ টাকা বছরে। একাউন্ট মেইনটেন্যান্স খরচ ব্যাংক কাটবে ১০০ টাকা। হল ১৪০০ টাকা। এইধরনের বিভিন্ন চার্জের উপর আসবে ভ্যাট। ভ্যাট সহ মোট চার্জ ১৫৫০ টাকা অতিক্রম করে যাবার কথা। আর যদি ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে সেটার চার্জ ধরলাম বছরে ২০০ টাকা। মোট ১৭৫০ টাকা। 

তাহলে ঐ মুসলিমের ৬০,০০০+১,৭৫০=৬১,৭৫০ টাকা হাওয়ার উপরে চলে যাবে।

সৌদির সাথে মিল করে রোযা/ঈদ করার সমস্যা


সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা-ঈদ করতে গেলে অন্যসব কিছু বাদ দিলেও যে সমস্যাটা প্রকট লাগে সেটা বলছি। আগে দু'টো ব্যাপার স্টান্ডার্ড ধরে নেই। 


১. সৌদি আরবে চাঁদ বাংলাদেশের তুলনায় আগে উঠে এবং বাংলাদেশে সূর্য ৩ ঘন্টা আগে অস্ত যায়। এমন কখনো হয়েছে কি বাংলাদেশে চাঁদ আগে উঠেছে আর সৌদিতে সূর্য আগে ডুবেছে?

২. সূর্য ডুবলেই চাদের হিসেবে নতুন তারিখ শুরু হয়। 

ধরাযাক, আজকে ২৮ শাবান। বাংলাদেশে মাত্র সূর্য ডুবল। বাংলাদেশের জন্য চাদের নতুন তারিখ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে চাঁদ দেখা যায় নি। কাজেই বাংলাদেশের হিসেবে ২৯ শাবান শুরু হয়ে গেল। ঠিক?

এখন আরও ৩ ঘন্টা পর সৌদি আরবে সূর্য ডোবার পর চাঁদ দেখা গেল। সৌদিতে রমজান শুরু হয়ে গেল। এখন যদি আমরা বাংলাদেশেও পহেলা রমজান ধরি তাহলে তো সন্ধার পর থেকেই ধরব তাইনা? সৌদি সময় সন্ধ্যা ৭ টায় চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে তখন রাত ১০ টা। আমরাতো আর রাত ১০ টা থেকে চাদের নতুন তারিখ ধরব না। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা (সূর্যাস্তের পর পর) থেকে নতুন তারিখ ধরব। কিন্তু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় তো নতুন চাঁদ দেখাই যায় নি! নতুন মাসের তারিখ কিভাবে ধরব? 

এই সমস্যার কি সমাধান?

শিশু সুলভ প্রশ্ন!


অনলাইনে অমুসলিমদের সমালোচনা করলেই এক অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, "ইহুদিদের যদি এতই অপছন্দ তাহলে তাদের আবিষ্কৃত কম্প্যূটার কেন ব্যবহার করেন? মোবাইল কেন ব্যবহার করেন? ইন্টারনেট কেন চালান?" - ইত্যাদি ইত্যাদি! এই আজব প্রশ্নের জবাব দেবার আগে একটু গল্পগুজব করা যাক।

আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের ৩-৪ বছরের ছেলে আছে। তাদের বাসায় বেড়াতে গেলেই সে নানা প্রশ্নবানে আমাকে জর্জরিত করে। সাধ্যমত উত্তর দেবার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে বিরক্তিও বোধ করি। তার কিছু কিছু প্রশ্ন একান্তই শিশুসুলভ।

"আংকেল, চিটাগাং যাইও না। চিটাগাং ভাল না।
"চিটাগাং যাব। চিটাগাং অনেক ভাল।"
"তুমি চিটাগাং যাবা কেন?"
"আমাকে অফিস যেতে হবে।"
"কেন?"
"অফিসে না গেলে টাকা পাওয়া যায় না।"
"কেন?"

ডাকয়োর্থ-লুইস মেথডের যতকথা!


ক্রিকেট পছন্দ করে অথচ ডাকয়োর্থ-লুইস (D/L) মেথডের নাম শোনে নি এমন মানুষ বোধকরি কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বলুন তো ডাকয়োর্থ লুইস মেথড আসলে কি, কিভাবে কাজ করে-তখন কতজন সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারবে? প্রকৃতপক্ষে উত্তরটা এত সহজও নয়। 


সোজা কথায় বললে D/L মেথড দ্বারা কোন ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন যদি কোন অনাকাঙ্খিত বাধা (মূলত বৃষ্টি) তৈরি হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত ওভার কমিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রথম দলের স্কোরের উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় দলের জন্য টার্গেট নির্ধারন করার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিখুঁত/কার্যকর পদ্ধতি। এর আগে Average Run Rate এবং Most Productive Over দুটি পদ্ধতিসহ অন্যান্য পদ্ধতি চালু ছিল। অন্যগুলোর তুলনায় Average Run Rate এবং Most Productive Over পদ্ধতির কার্যকারিতা তুলনামূলক বেশি থাকলেও কতটা বাস্তব সম্মত ছিল সেটা দু'টি উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হবে। 

প্রথমে ১৮৮৯ সালের অস্ট্রিলিয়ার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের কথাই বলতে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রিলিয়া বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে ৩৮ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২২৮ রান তুলতে সমর্থ হয়। পরে বৃষ্টির কারনে টার্গেট পুননির্ধারণ করে ৩১.২ ওভারে ১৮০ করা হয়। পুনরায় প্রায় দেড় ঘন্টা বৃষ্টি হয় এবং Average Run Rate মেথড ব্যবহার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ১১.২ ওভারে ৬১ রানের নতুন লক্ষ স্থির করা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব সহজেই ২ উইকেট খরচায় এবং ২৮ বল বাকি থাকতেই অভিষ্ট লক্ষে পৌছে যায়।

হুজুরদের যত দোষ!


আমিঃ মেয়েদের জাতটাই খারাপ!
বুদ্ধিজিবীঃ আপনার মা-বোনওতো তাহলে খারাপ। তারা কি খারাপ কাজ করেছে সেটা আগে বলেন।

আমিঃ ছেলেরা সব প্রতারক!
বুদ্ধিজিবীঃ সবাইকে এক পাল্লায় মাপবেন না। খারাপ ছেলে কয়েকটা। আর অন্যরা কি দোষ করল?

আমিঃ ডাক্তাররা সব কসাই। 
বুদ্দিজিবীঃ রোগ হলে ডাক্তারের কাছে যাবেন আবার গালিও দিবেন এমন ডাবল স্টান্ডার্ড কেন? আর কয়জন ডাক্তারকে চিনেন আপনি? 

আমিঃ সব পুলিশ ঘুষ খায়। কেউ কম খায়, কেউবা বেশি। এটাই তফাৎ। 
বুদ্ধিজিবীঃ ভাই, সব পুলিশ খারাপ না। সবাই খারাপ হলে দেশ চলত না। আমি অমুক কাজে থানায় গিয়েছিলাম ......... (চলন্ত) 

আমিঃ সাংবাদিকরা সব হারাম**!
বুদ্দিজিবীঃ একতরফা কথা বলেন কেন? ধানের বস্তা কি কখনও চিটে ছাড়া হয়? 

আমিঃ মাদ্রাসার হুজুর বলাৎকার করেছে। লাথি মেরে হুজুরদের দেশ থেকে বের করা দেয়া দরকার।
বুদ্ধিজিবীঃ ঠিক বলেছেন ভাই। হুজুররা দেশের ১২টা বাজাচ্ছে। এদেরকে দোর্‌রা মারতে মারতে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে।

[পেঁচা রাস্ট্র করে পেলে কোন ছুতা,
জাননা সূর্য্যের সাথে আমার শত্রুতা?]

হাইকোর্টের মূর্তি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা


কয়েকদিন আগে প্রশ্ন রেখেছিলাম যে, আপনার কাছে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ কি? এবং এর ভিত্তি কি?


কয়েকজন উত্তর দিয়েছেন নিজের মত তবে ভিত্তি কি তা উল্লেখ করেন নি তেমন কেউ। হয়ত ভিত্তির উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন নি। পরিষ্কার করি বিষয়টা। কোনটা ভাল, কোন মন্দ, কোনটা সবচেয়ে ভাল, কোনটা সবচেয়ে মন্দ; সেটা যদি যার যার বিচার-বিবেচনা ও বিবেকের উপর ছেড়ে দেই তাহলে এক এক জন এক এক অপরাধের কথা বলবে। কেউ বলবে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল খুন করা, কেউ বলবে ধর্ষন করা, কেউ বা অন্য কিছু বলবে। কাজেই এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে মানবীয় যুক্তি-বুদ্ধির উর্ধ্বে উঠে আসমানী কিতাব সমূহের দিকে নজর দিতে হবে। সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল-কুরআন অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হল "শিরক তথা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা।" ভিত্তি কুরআন ও হাদীস।

আবুল ওয়ালীদ এবং বিশর (র)...... আব্দুল্লাহ (ইব্‌ন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ
"যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি" (৬:৮২) এ আয়াত নাযিল হলে রাসূল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) এর সাহাবিগণ বললেন, "আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে যুলুম করেনি?" তখন আল্লাহ্‌ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ "নিশ্চয়ই শির্‌ক চরম যুলুম।" (সূরা লোকমান, আয়াত ১৩) (সহিহ বুখারি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৯, ইসলামি ফাউণ্ডেশণ) 

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নে মাস্‌উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, সবচেয়ে বড় পাপ কোনটি? তিনি বললেনঃ (কাউকে) আল্লাহ্‌র প্রতিদ্বন্দ্বী বা সমকক্ষ সাব্যস্ত করা, অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি তাঁকে বললাম, এটা অবশ্যই মহাপাপ। আবার জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তোমার সন্তান তোমার খাদ্যে ভাগ বসাবে এই আশংকায় তুমি তাকে হত্যা করছ। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যেনা করা। [সহিহ মুসলিম, পৃষ্ঠা-১৭৪, প্রথম খণ্ড, ইসলামি ফাউণ্ডেশন]

পরীক্ষার ফলাফল জীবনে কেমন কাজে লাগে?


আমি পাইছিলাম ৪.৮৮। দাত দেখাতে দেখাতে স্কুল থেকে বাসায় আসছিলাম। বইনে পাইছে ৪.৯১। তার মন খারাপ।


১৩ বছর আগের শিক্ষাব্যবস্থা আর বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে ব্যপক পার্থক্য তৈরি হয়েছে। ১৩ বছর আগের ৪.৮৮ যে বর্তমানের ৪.৯১ থেকে ভাল সেটা পিচ্চি হলেও বইনে আমার ভালই বুঝে হয়ত। আমার মনে পড়ে না স্কুল পরীক্ষায় আমার পিছনে ছিল আর বোর্ড পরীক্ষায় আমার থেকে ভাল করেছে এমন কেউ আছে। ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। তবে ব্যতিক্রম যখন সীমা অতিক্রম করে তখন প্রশ্ন চলে আসে। 

১. স্কুল টিচাররা কিভাবে খাতা দেখেন যে বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল পরিবর্তন হয়ে যায়? 

২. বোর্ড পরীক্ষকগন কিভাবে খাতা দেখেন যে, স্কুলের রেজাল্টের সাথে মিলে না? 

৩. সারাজীবন ছিল পিছনে, পরীক্ষার আগে কি এমন চেরাগ হাতে আসে যে বোর্ড পরীক্ষায় আগে চলে আসে? 

বড় বোনের এইচ এস সি পরীক্ষার সময় আমি মোটামুটি বড় হইছি। তখন কেন্দ্র পরিবর্তন হত না। যার যার কলেজেই পরীক্ষা হত। কলেজের পিছনে যেয়ে দেখি সানশেডের উপর দাঁড়িয়ে বড় ভাইরা জানালা দিয়ে ধুমছে নকল সাপ্লাই দিচ্ছে। যথারীতি রেজাল্টের পর বড় বইনের মন খারাপ।কেন? কি হইছে? ফেল্টুস ছাত্রীরা নকলের জোড়ে ৫-৬ টা লেটার সহ ফার্স্ট ডিভিশন! মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তো? এতবছর পর যদি আমি তাকে জিজ্ঞেস করি সে কেমন আছে তাহলে কি উত্তর পাওয়া যেতে পারে? খবর নিলে হয়ত দেখা যাবে, তার চেয়ে ভাল রেজাল্ট করা মানুষেরা তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে।

কিভাবে দেয়া হল এন্ড্রয়েডের ফোনের নামগুলো?

এন্ড্রয়েড ফোনের নামগুলো লক্ষ্য করেছেন কি? ললিপপ, কিটক্যাট, জেলিবিন ইত্যাদি। জিবে পানি আসার মত ব্যাপার স্যাপার। যারা একটু কৌতুহলী তারা হয়ত চিন্তা করেছেন এন্ড্রয়েড ফোনের নামগুলো এমন কেন? সবই ডেজার্ট টাইপ খাবার।

ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে সহজেই এর উত্তর পাওয়া গেল। সবার আগে উইকিপিডিয়া অনুযায়ী এন্ড্রয়েডের ভার্সনগুলো দেখে নেই।

ভার্সন 1.1 (Alpha)
ভার্সন 1.2 (Beta/petit four)
ভার্সন 1.5 (Cupcake)
ভার্সন 1.6 (Donut)
ভার্সন 2.0-2.1 (Eclair)
ভার্সন 2.2 - 2.2.3 (Froyo)
ভার্সন 2.3 - 2.3.7 (Gingerbread)
ভার্সন 3.0 - 3.2.6 (Honeycomb)
ভার্সন 4.0 - 4.0.4 (Ice Cream Sandwich)
ভার্সন 4.1 - 4.3.1 (Jelly Bean)
ভার্সন 4.4 - 4.4.4 (KitKat)
ভার্সন 5.0 - 5.1.1(Lollipop)
ভার্সন 6.0 - 6.0.1 (Marshmallow)
ভার্সন 7.0 - 7.1.2 (Nougat)

গুগল বলছে প্রথমটি ছাড়া বাকি সবগুলোই একেক ধরনের ডেজার্ট। বেশিরভাগের সাথেই আমি পরিচিত নই। আপনি?

জিরাপানি/জলজিরার রেসিপি


সফট ড্রিংকস হিসেবে জিরাপানি আমার বেশ ভাল লাগে। বোতলজাত জিরাপানি খেতে একটু বেশি স্বাদ হলেও স্বাস্থ্যের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর। ঘরে বানিয়ে নিলে সে ভয় থাকে না আর বিভিন্ন ধরনেরও ফ্লেভারও পাওয়া যায়। 

উপকরণঃ

১। পানি
২। জিরা গুড়া
৩। গুড় (পাটালি অথবা আখের)
৪। তেতুল
৫। লেবু
৬। লবন
৭। বিট লবণ
৮। কাঁচা মরিচ (ঐচ্ছিক)
৯। ধনে পাতা (ঐচ্ছিক)
১০। পুদিনা পাতা (ঐচ্ছিক)
১১। রুহ আফজা (ঐচ্ছিক) 


প্রক্রিয়াঃ

১. প্রথমেই জিরার গুড়ার প্রসঙ্গে বলি। প্যাকেটজাত জিরাগুড়া ব্যবহার না করে বাজার থেকে জিরা কিনে ওভেনে অথবা চুলায় ভালভাবে গরম করে নিন। এরপর ব্লেন্ডার অথবা শিলপাটায় বেটে গুড়ো করে নিন। এভাবে করে নিলে জিরার ভাল ফ্লেভার পাওয়া যাবে।

২. দ্বিতীয়ত গুড়ের কথা বলতে হয়। বাজারে গুড় পাওয়া কঠিন। খেজুরের গুড় অথবা আখের গুড় দিয়ে জিরাপানি তৈরির আগে এক গ্লাস পানিতে কত চামচ গুড় দিলে আপনার মুখে মিষ্টি লাগে সেটা পরখ করে নিন। জিরাপানি তৈরি সময় পানিতে ঐ পরিমানে গুড় দেবেন। 

৩. তেতুলের টক তৈরি করতে হবে। একগ্লাস পানিতে তেতুল গুলে নিন। বাজারের পাওয়া তেতুলগুলোতে অনেক সময় কালো পোকা থাকে। খেয়াল রাখবেন। আর গাছের তেতুল হলে একগ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন ছড়া তেতুল ভিজিয়ে রেখে টক তৈরি করে নিন। 

৪. ধরাযাক, ৬ গ্লাস জিরাপানি বানাতে চাই। যারা একটু স্পাইসি করতে চান তারা প্রথমে একটি কাঁচা মরিচ লম্বালম্বিভাবে কেটে দুইভাগ করে একভাগের বিচি ফেলে দিন। তারপর ব্লেন্ডারে অল্প একটু পানি দিয়ে ঐ একভাগ ব্লেন্ড করে করে নিন। তারপর ৫ গ্লাস পানি নিন ব্লেন্ডারে।

৫. যারা ঝাল কম পছন্দ করেন তারা সরাসরি ৬ গ্লাসের জন্য পরিমানমত গুড় ব্লেন্ডারের জগে নিন। তারপর ৫ গ্লাস পানি ঢালুন। এরপর তেতুলের টক ঢেলে নিন। অল্প বিট লবণ দিন। ১/২ বা ১/৩ চা-চামচ লবণ নিন। 

৬. এই মিশ্রণকে ভালভাবে ব্লেন্ড করুন। ৩০-৪০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করতে হতে পারে। 

৭. এরপর দেড়-দুই লিটারের বোতলে ঢেলে নিয়ে ফ্রীজে রেখে দিন ঠান্ডা হবার জন্য। 

মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যখন থাকে না


একটা শিশু তার নিষ্পাপতা, সারল্য দিয়ে আমাদের আকৃষ্ট করে থাকে। সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক, একটা হাসি দিবে, কঠিন পাথর হৃদয় তরল হয়ে যাবে। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কেন?


১. চট্টগ্রাম আসার জন্য চিটাগাং রোড থেকে গাড়িতে উঠতে হয় আমাকে। আগে যে বাস সার্ভিস দিয়ে চিটাগাং রোড নামতাম সেটা সুপার লোকাল না হলেও মোটামুটি লোকাল ছিল। যাত্রীতে ঠাসা না হলেও জায়গায় জায়গায় থেমে লোক নিত। নামে সিটিং হলেও চিটিং করে দাঁড়ানো লোক নিত। 

দূরে কর্মরত সকল মানুষের মত বাড়ী থেকে ফেরার পথে ব্যাগ যথেষ্ঠ ভারী থাকত। দেড় থেকে দুই ঘন্টার যাত্রাপথে ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকা ঝামেলার ব্যাপারই বটে। একবার কিছুদূর যাবার পর ভর্তি বাসে এক মেয়ে উঠল। স্বভাবতই সিট ছিল না। পর্দানশীন মেয়েটির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এই মেয়ে বাসে চলাচলে অভ্যস্ত নয়, দাড়িয়েতো নয়ই। বিরক্ত হয়ে সিট ছেড়ে দিলাম। আরো কমপক্ষে দেড় ঘন্টার রাস্তা। ভারী ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থেকে মেয়েটি আমাকে বলল, ব্যাগ তার পায়ের কাছে রাখতে। আমি না না করেও রাখলাম। 

২. এমনই আরেকদিন এক হিন্দু মহিলা স্বামী-সন্তানসহ বাসে উঠলেন। এর একটু আগেই এক বয়স্ক লোক বাসে উঠে তিনটি সিট দখলে নিলেন একদম পিছনের সারিতে। আরো কোন সীট ফাঁকা রইল না। মহিলা লোকটিকে সীট ছাড়তে বললে লোকটি বললেন, এই সীটে লোক আছে, গাড়িতে উঠছে। মহিলা বললেন, মহিলা বসতে দিবেন না? লোকটি বললেন, যারা উঠছে সেখানেও মহিলা আছে। কোলের বাচ্চা আছে। ঐ লোকের পরিচিতরা উঠার পর তারা সিটে বসল। গাড়ি ছেড়ে দেবার পর মহিলা গজ গজ করতে লাগলেন। "মহিলা, কিভাবে দাঁড়িয়ে যায়।" ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের মনে গজগজানির কোন জায়গা নেই। তাই যে যার সিটে বসে রইলাম। 

৩. কোথায় যাচ্ছিলাম খেয়াল নেই। বাসে উঠেই দেখি এক মেয়ে বসে আছে। পাশের সিট খালি। পিছনের দিকে চলে আসলাম। আরো যাত্রী উঠল। তারাও পিছনে চলে আসল। এরই মধ্যে এক বয়স্ক চাচা উঠলেন। কমপক্ষে মেয়েটির বাবার বয়সি। মেয়েটির পাশে যেয়ে বললেন, "এখানে বসা যাবে?" মেয়েটি বলল, পিছনে বসেন। উনি আবার বললেন, "আপনার কি লোক আছে?" মেয়েটি ক্ষেপে গেল। বলল, "মেয়ে দেখলেই পাশে বসতে ইচ্ছে করে? পিছনেতো সিট খালি আছে। যান পিছনে যান।" চুন মুখ করে ভদ্রলোক পিছন দিকে এসে দুঃখের সাথে বলতে লাগলেন, "দেখলেন কি ব্যবহারটা করল। আমি ওর বাবার বয়সি!" 

৪. স্থান সিলেট। শহর থেকে শাবিপ্রবি যাব। লোকাল সিএনজিতে উঠলাম। আমার সাথে আমার এক কলিগ। দু'জনই অবিবাহিত। পিছনে বসলাম। একটু এগোনোর পর এক মেয়ে উঠল। একপাশে আমি, মাঝখানে কলিগ, অন্যপাশে মেয়ে। একটু পরেই খেয়াল করলাম কলিগ আমার গায়ে হেলে পড়ছেন। আমি চেপে বসলাম। আমরা যতই চাপি, মেয়ে ততই চাপ দেয়। কিছুদূর যাবার পর মেয়েটি নেমে গেলে আমরা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলি।

ফেসবুকের একটি ফালতু গল্প !

আগে নিচের বানোয়াট গল্পটা সবাই পড়ে নিন।
.
"ছেলে: এই শোনো,তুমি মিষ্টি না?

মেয়ে: হুমম,কিছু বলবেন?

ছেলে: না।

মেয়ে: তাহলে ডাকলেন কেন?

ছেলে: এমনি-ই।

মেয়ে: আপনি কি পাগল নাকি মাথায় ছিট আছে?

ছেলে: বলতে পারো দুটোই!

মেয়ে: পথ ছাড়ুন,আমি কোন পাগলের সাথে কথা বলি না!

ছেলে: আমি তো তোমার জন্যই পাগল হয়েছি!
একমাত্র তুমি-ই আমাকে ভালো করতে পারো!

মেয়ে: মানে?

ছেলে: মানে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই!

মেয়ে: মাইনে কত?

ছেলে: মানে?

মেয়ে: বলছি মাসে কত ইনকাম করেন?

ছেলে: এইতো-সামান্য কিছু!

মেয়ে: আপনি কোন সাহসে আমার সাথে প্রেম করতে এসেছেন? দুই মাস পর একটা কোম্পানির এমডির সাথে আমার বিয়ে হবে!
আপনি তো তার বাড়ীর চাকর হবারও যোগ্য না!

ছেলে: তাই নাকি? আপনি আপনার হবু স্বামীকে দেখেছেন?

মেয়ে: না,আজই তার সাথে দেখা হবে।সে আমাদের বাসায় আসবে!

ছেলে: না।সে আর আপনাদের বাসায় যাবে
না!

মেয়ে: মানে, আপনি জানলেন কি করে?

ছেলে: কারণ সেই মানুষটা আমি-ই!

মেয়ে: তু-তু-তুমি! কি বলছো?

ছেলে: হুমম,যা সত্যি তা-ই বলছি!

মেয়ে: ওয়াও,কি হ্যান্ডসাম তুমি! তোমার মত একজন ছেলেকেই তো আমি মনে মনে খুঁজছিলাম!

ছেলে: কিন্তু আমি আপনার মত মেয়েকে খুঁজিনি। আমি খুঁজেছি এমন একটা মেয়ে, যে আমার টাকাকে নয়, ভালোবাসবে শুধু আমাকেই। আমি সত্যি-ই দুঃখিত! আপনার মত অর্থলোভী মেয়েকে আমি বিয়ে করতে পারবো না! আমি চলে যাচ্ছি।"


এইধরনের গল্পের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। নিত্যনতুন বেশ ধরে এই গল্পগুলো প্রায়ই আমাদের হোমফিডে ঘুরে বেড়ায় যাদের সারাংশ হল "মেয়েরা খারাপ, অর্থলোভী, শয়তান" ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব মুখরোচক গল্পগুলো ফেসবুকে যতটা জনপ্রিয় বাস্তবের সাথে ঠিক ততটাই বেমানান।

যেকোন বিয়ের আগে অভিভাবকগন সাধারণত কিছু বিষয় দেখে থাকেন। ছেলের অভিভাবক দেখেন মেয়ে সুন্দরী কিনা, পড়াশুনায় কেমন, বাবার অবস্থা কেমন, মার্জিত-ভদ্র কিনা- ইত্যাদি ইত্যাদি। অপরদিকে পাত্রী খোজ নেন যে, ছেলের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে, কি করে, মাসিক ইনকাম কত, নিজের মেয়ে সুখে থাকবে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো নানান বিষয়ে খোজ-খবর নেয়া হয় যা যাদের বিয়ে হয়েছে বা হবে হবে করছে তারা ভালভাবেই জানি।

Wednesday, March 8, 2017

সিরিয়াস ফান!

ফানকে যে আমি সিরিয়াসলি নিব তা বোধহয় রবি বুঝতে পারেনি। পারুক বা না-ই পারুক রবিকে আমি ধন্যবাদ জানাই আজীবন ইন্টারনেট দেয়ার কারনে। মেসেজটা পেয়েছিলাম নভেম্বর কি ডিসেম্বরে। ৯৯ টাকা+করসমুহে ৩৫০ এম বি। মেয়াদ সারাজীবন। পাবার পরেই ভাবলাম এটাইতো আমার দরকার। মুঠোফোনে ব্যবহারের জন্য একেবারে পারফেক্ট হবে। শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহার করব, তাও ফ্রী ভার্সন। দেখি এমবি কিভাবে শেষ হয়!
নিলাম। নেয়ার পর আজীবনের রহস্য ভেদ হল। আজীবন মানে যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত তা রবির বদৌলতে জানতে পারলাম। যাক, তাই বা কম কিসে? ১০ বছরে ৩৫০ এমবি হলে বছরে ৩৫ এমবি। মাসে ৩ প্রায় তিন এমবির মধ্যে সারতে হবে। অপেরাতে ফ্রী ফেসবুকতো চালাই-ই, উপরন্তু সেটিংস থেকে Extreme savings চালু করে দিলাম। এখন ফেসবুকে কোন ছবিই দেখা যায় না, ব্রাউজারের বিজ্ঞাপণ লোড হয় না। কাজের কাজ যা হয়েছে শুধু টেক্সট ভার্সন হওয়ায় স্পীড বেড়েছে।
হোমফিডের ছবিগুলো না দেখেই লাইক মারি। গুরুত্বপূর্ণ (অপজিট জেন্ডার)কেউ দিলে অবশ্য সেটিং পরিবর্তন করে দেখি। অন্যব্রাউজার গুলোতে এই ফিচারের ব্যবহার না জানায় এবং মাঝে মাঝে অন্যান্য সাইট(cse,dse etc) ব্রাউজ করার কারনে এমবি প্রায় শেষের দিকে। তাও প্রায় ৩ মাস পার করে দিলাম। যেখানে হয়ত আমার দ্বিগুণ টাকা খরচ হত।
আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন। Dial *123*99# for activation and *8444*88# for balance.
ধন্যবাদ।

৪৯ কোটি গুনের যথার্থতা!

কয়েকদিন আগে একটি ছবি দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম যে, এই ছবিতে সমস্যা কি? ছবিতে যে প্রশ্নটি ছিল সেটি হল, "মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ থেকে লোকজন কেন বিশ্ব এজতেমায় শরীক হয়?" এই প্রশ্নের উত্তরে যা বলা হয়েছে সেটা নিয়েই সমস্যার উৎপত্তি। কারো আগ্রহ থাকলে ছবিটা দেখে নিতে পারেন।
প্রশ্ন ও উত্তর যেই বইয়ে দেয়া হয়েছে এই বইটার সাথে আমি পরিচিত নই। তাবলীগে যেসব বই সাধারনত পড়া হয় যেমন, ফাজায়েলে আমাল, মুন্তাখাব হাদীস, ফাজায়েলে হাজ্ব, হেকায়েতে সাহাবা ইত্যাদি বইয়ে এভাবে প্রশ্নোত্তর নেই। কাজেই কে এই বই, কার অনুমতিতে ছাপিয়েছে সে সম্পর্কে ধারনা নেই। আজ থেকে ১০ বছর আগেই কাকরাইলে দেখেছি তাবলীগ নিয়ে চটি বইয়ের অভাব নেই। যেগুলো মুরুব্বীরা ক্রয় করতে নিরুৎসাহিত করে থাকেন। এই বইটাও তেমন কিছু হতে পারে।
এবার আসি উত্তর প্রসঙ্গে। তাবলীগে যারা সময় দিয়েছে তারা এই কথাগুলোর সাথে পরিচিত এবং এতে কোন দোষ খুজে বেড়ায় না। কারন এই কথাগুলো অনলাইনে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে সে সেন্সে বলা হয় না। আহলে হক্ব মিডিয়ার এপসের সাহায্য নেই,
"হাদীসঃ হযরত খুরাইম বিন ফাতেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু খরচ করে তা তার আমলনামায় ৭শত গুন হিসেবে লেখা হয়।
সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৬২৫
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৬৪৭
সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৫
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯০৩৬
মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-২২৭
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৯৭৭০
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২৯৪
এখানে লক্ষ্য করুন। একটাকা খরচ করলে এখানে সাত শত গুণ সওয়াব লেখার কথা এসেছে। এবার দ্বিতীয় হাদীসটি দেখুন-
হাদীসঃ হযরত সাহল বিন মুয়াজ রাঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহকে স্মরণ করার সওয়াব আল্লাহর রাস্তায় খরচের সওয়াবের তুলনায় ৭ লক্ষ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।
অন্য বর্ণনায় এসেছে সাত লক্ষ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৬১৩
আল মু'জামুল কাবীর, হাদীস নং-৪০৫
মুসনাদুস সাহাবা ফি কুতুবিত তিসআ, হাদীস নং-১৫১৬
কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৮৭৯
জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-৬৮৫৮
এবার উভয় হাদীসকে একত্র করুন। প্রথম হাদীস দ্বারা জানতে পারলাম। এক টাকা খরচে সওয়াব পাওয়া যায় ৭ শত গুন। আর দ্বিতীয় হাদীসে জানতে পারলাম খরচের তুলনায় অন্য আমলে পাওয়া যায় ৭ লক্ষ্য সওয়াব বেশি। এর মানে হল, একটি আমল করলে প্রতি আমলে খরচ করলে যত পাওয়া যেত তারও সাত লক্ষ্য গুণ বেশি সওয়াব।
তাই এবার ৭ শতকে ৭ লক্ষ্য দিয়ে গুণ দিন।
৭০০*৭,০০,০০০=৪৯,০০,০০,০০০।
তাহলে কি বোঝা গেল? আল্লাহর রাস্তায় একটি আমল করলে করা উনপঞ্চাশ কোটি আমল করার সওয়াবের সমতূল্য।
উল্লেখিত হাদীস দুটি সনদ হিসেবে দুর্বল। কিন্তু জাল নয়। আর সকল গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিসগণ একমত দুর্বল হাদীস ফযীলতের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য। তাই এ ফযীলত বলতে কোন সমস্যা নেই। জাযাকাল্লাহ।"
প্রথমত, উল্লেখিত বইয়ে উত্তরের ক্ষেত্রে বায়তুল্লাহ, মদীনা এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের মর্যাদার সাথে ইজতেমা মাঠের মর্যাদার তুলনা করা হয় নি। বরং আমলের তুলনা করা হয়েছে। সালাতের সাথে সালাতের। বস্তুত, আল্লাহর রাস্তায় যেকোন আমলের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ফযীলত প্রযোজ্য হবে।
দ্বিতীয়ত, আগেই বলা হয়েছে দুর্বল হাদীস ফযীলত বর্ণনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রসংগত, মাসয়ালা-মাসায়েলের জন্য সহীহ হাদীস জরুরী। নামায পড়লে কি লাভ আর নামায কিভাবে পড়ব-দুটো ভিন্ন বিষয়।
তৃতীয়ত, শুধু মাত্র সালাতের ক্ষেত্রেই নয়। আল্লাহর রাস্তায় যেকোন (জিকির, কুরয়ান তেলাওয়াত, হাজুত পুরা করা, মেহমানদারী, ইকরাম ইত্যাদি) নেক আমল করলে তার সওয়াব ৪৯ কোটিগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়-তাবলীগওয়ালা কথাটা এভাবে বলে থাকেন। কাজেই কথাটিকে সালাতের সাথে খাস করা ঠিক হবে না।
চতুর্থত, কোথাও এই দাবি করা হয় নি যে। ইজতেমার ময়দায় মক্কা,মদীনা, বায়তুল মুকাদ্দাসের তুলনায় অধিক মর্যাদাবান। মক্কা,মদীনায় না যেয়ে ইজতেমা ময়দানে যাওয়া উচিত। যেটা দাবি করা হয়নি সেটা দাবি করার হয়েছে বুঝা বা বুঝাতে চাওয়া অন্যায়।
পঞ্চমত, ইজতেমা ময়দানে কোন গানবাজনা বা আমলা-আক্বিদাহ বিধ্বংসী কিছু হয় না। আল্লাহ আর আল্লাহর রাসূলের কথাই আলোচনা হয়। কাজেই এর দ্বারা আল্লাহমূখী হবার প্রেরণা জাগ্রত হবে সেটাইতো স্বাভাবিক। নয় কি?
নোটঃ আহলে মিডিয়ার এপসের যে রেফারেন্স আমি দিয়েছি সেগুলো ক্রস চেক করিনি। সব কিতাব আমার কাছে নেই। কেউ করতে চাইলে নিজ দায়িত্বে করবেন।
আর সুবিধার জন্য কমেন্টে আগের পোস্টের লিংক দেয়া হল।

মেমোরী কার্ড কিনতে চান? আগেই জেনে নিন!

বর্তমানে প্রায় সব ফোনেই বাড়তি স্টোরেজের জন্য আমরা মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে থাকি। ফোন ছাড়াও ক্যামেরা, ট্যাবে মেমোরী কার্ড ব্যবহার করতে হয়। কার্ড কেনার সময় যে সমস্যার সম্মুখিন হই তাহল কোনটা কিনব? কিভাবে বুঝব যে, এই মেমোরী কার্ডটা ভাল হবে?
গুগলে একটু ঘোরাফেরা করতেই উত্তর পেয়ে গেলাম। আপনাদেরও হয়ত কাজে লাগবে ভেবে লিখছি।
প্রশ্নঃ মেমোরী কার্ড কি লাগেই?
উত্তরঃ হ্যা, লাগেই। অনেক ফোনে মেমোরী কার্ড ঢুকানোর মত ব্যবস্থা থাকে না। আমার মতে এই ব্যবস্থাটা ঠিক ফ্রেন্ডলি নয়। কাজেই ফোন কেনার আগে মেমোরী কার্ডস্লট আছে কি নেই সেটাও বিবেচনা করা দরকার। আর কেউ জেনেশুনে মেমোরী কার্ডস্লট বিহীন ফোন কিনলেতো আর এই প্রশ্ন আসে না।
প্রশ্নঃ সব কার্ড কি একই?
উত্তরঃ জ্বী না। সব কার্ড একই নয়। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ ডিভাইসেই micro SD (secure digital) কার্ড ব্যবহার করা হয়। এই কার্ডও দু'ধরনের। কার্ডের গায়ে অথবা কার্ডের কভারের গায়ে খেয়াল করলে দেখা যায় লেখা আছে SDHC অথবা SDXC.
SDHC = Secure Digital High Capacity
SDXC = Secure Digital Extended Capacity

SDHC কার্ডগুলোর সর্বোচ্চ ৩২ জিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারন করতে পারে। পক্ষান্তরে SDXC কার্ডগুলো ৬৪ জিগাবাইট থেকে উচ্চতর ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। একারনেই অনেক সময় দেখা যায়, কমদামী (Lower End Devices) ফোন/ট্যাব/ক্যামেরায় SDXC কার্ড সাপোর্ট করে না। আপনার ডিভাইসের উপর নির্ভর করে আপনার কি ধরনের মেমোরী কার্ড প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ কার্ডের স্পীড কত কিভাবে বুঝব?
উত্তরঃ স্পীড বলতে নিশ্চয়ই ডাটা ট্রান্সফার রেট বোঝাতে চাইছেন। এটাও বোঝার উপায় আছে। মেমোরী কার্ডের গায়ে বা কভারে দেখবেন লেখা আছে Class 2 অথবা Class 6 অথবা অন্য কোন সংখ্যা। ক্লাসের পরে যে সংখ্যা থাকবে সেটাই হল ঐ মেমোরী কার্ডের সর্বনিম্ন ডাটা ট্রান্সফার রেট। যেমন, Class 6 মেমোরী কার্ডের ডাটা ট্রান্সফার রেট হল 6MP/s.
অনেক সময় কার্ডের গায়ে Class নাম্বারের পরিবর্তে UHS-1 অথবা UHS-3 লেখা থাকতে পারে। স্মার্টফোনে UHS-1 টাইপ কার্ডের জন্য সর্বনিম্ন 10MB/s এবং UHS-3 কার্ডের জন্য সর্বনিম্ন 30 MB/s ডাটা ট্রান্সফার রেট পাওয়া যেতে পারে। যদিও UHS টাইপের কার্ডের ক্যাপাসিটি অনেক বেশি (প্রায় 312MB/s) তবুও স্মার্টফোনের সীমাবদ্ধতার কারনে স্পীড কম পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ মেমোরী কার্ডের উপর কি ফোনের স্পীড নির্ভর করে?
উত্তরঃ জ্বী। কারন আপনার ফোনে যদি Class নাম্বার বেশি এমন কার্ড থাকে তবে যেকোন ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট দ্রুত সেভ হবে। কার্ড লোড এবং আনলোডে সময় কম লাগবে। ফোন দ্রুত ডাটা Read এবং Write করতে পারবে।
তাহলে বোঝা গেল, মেমোরী কার্ড কেনার আগে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আর হ্যা, দামের ব্যাপারে ব্রান্ডের মেমোরী কার্ডগুলোর সাথে তুলনা করা উচিত। যদি দেখা যায় যে, কোন অখ্যাত কোম্পানি একই স্টোরেজের মেমোরী কার্ড SanDisk, Samsung, Kingstone ইত্যাদি স্বনামধন্য কোম্পানি থেকে অনেক কমে দিচ্ছে তাহলে গুণগতমান সম্পর্কে সন্দেহ করা উচিত। বুঝে শুনে কেনা উচিত।
ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই।
androidpit ওয়েবসাইট অবলম্বনে।

গোপন কথা!

দুই বন্ধু একদিন কি কারনে ঝগড়া লেগে গেল। ঝগড়ার সিরিয়াস পর্যায়ে একবন্ধু আরেক বন্ধুকে খুনই করে ফেলল। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। মারা যাবার সময় বন্ধুটি বলল, "তুই আমাকে খুন করলি? তুই বাঁচতে পারবি না।"
দ্বিতীয় বন্ধু বলল, "আমি যে তোকে মেরেছি, কে সাক্ষী দিবে?"
প্রথম বন্ধু বলল, "দেখিস, বৃষ্টি সাক্ষী দিবে।"
বহুকাল পরে বন্ধুটি জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখছিল। হঠাৎ করে তার পুরনো বন্ধুর কথা মনে হতেই মুচকি হেসে উঠল। দূর থেকে তার বউ ব্যাপারটা লক্ষ করল।
"এই তুমি হাসলা কেন?"
"না, কিছু না। এমনি..."
"এমনি এমনি কেউ হাসে? বল কেন হাসছো?"
বউয়ের পীড়াপীড়ির কাছে হার মেনে একসময় আসল কথা খুলে বলল বন্ধুটি। শুনে বউ আর কিছু বলল না।
এর কিছুদিন পর জামাই-বউ ঝগড়া লেগে গেল। জামাই রেগে বউকে মারধর করল। বউ কাদতে কাদতে ঐ বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে তার বউকে গিয়ে সব কথা ফাঁস করে দিল। এরপর আর কি, তাকে ফাসি কাষ্ঠে ঝুলতে হল।
গোপন কথা গোপন রাখাই ভাল। বউয়ের কাছেতো ভুলেও বলা যাবে না।
মেয়ে মাকে বলছে, "আম্মা, আপনাদের জামাইতো বলছে যে, আমার নামে তার বাড়িটা লিখে দিবে।"
"কখন বলছে? ঐ সময় না?"
"হুম। ঐ সময় বলছে..."
"বাদ দে। তর বাপেও আমাকে কত কিছু দিয়ে ফেলছে ঐ সময়।"
পুরুষ মানুষ কত কথাই বলে থাকে!

বাড়াবাড়ি

কিশোর পাশার কথা মনে আছে কারো? হ্যা, তিন গোয়েন্দার কিশোর পাশা। নিজের মেধা আর বুদ্ধি দিয়ে বহু অপরাধীকে ঘোল খাওয়ানো রকিব হাসানের কিশোর পাশা!
এও নিশ্চয়ই মনে আছে যে, কিশোর পাশা একবার রোলস রয়েস গাড়ি জিতেছিল। কিভাবে জিতেছিল সেটাও একটু বলি।
রোলস রয়েস কোম্পানি থেকে একটি ঘোষনা করা করা হয় যে, একটি জারের ভিতর কতগুলো শিমের বিচি আছে বলতে পারলে তাকে রোলস রয়েস গাড়ি দেয়া হবে। বুদ্ধিমান কিশোর পাশা জারের আয়তন ও শিমের বিচির আয়তন মেপে সবচাইতে কাছাকাছি সঠিক উত্তর দিয়ে গাড়িটি জিতে নেয়।
মজার ব্যাপার হল, রোলস রয়েস কোম্পানি গাড়িটির মালিকানা হস্তান্তর করে নি। শুধুমাত্র ৩০ দিনের জন্য দিন-রাত যেকোন সময়ের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছিল। এটাই ছিল প্রতিযোগীতার পুরস্কার। যদি পুরস্কার হিসেবে আস্ত গাড়িটাই দিত তাহলে সেটা আর পুরস্কার থাকত না, হত বাড়াবাড়ি।
কাল্পনিক হোক বা অবাস্তব, কোনটা পুরস্কার আর কোনটা বাড়াবাড়ি সেটা বোঝার মত বুদ্ধি রোলস রয়েস কোম্পানির থাকলেও আমাদের নেই। আর পুরস্কার বা উপহার হিসেবে যে, নিজের মালিকানাধীন বিষয়ই দেয়া যায় এই ব্যাপারটাও অনেক সময় আমাদের খেয়াল থাকে না। মোবাইল আপনার, আর আমি যদি আপনার মোবাইলটা আমার কোন বন্ধুকে পুরস্কার/উপহার হিসেবে দেই তাহলে সেটা কেমন হয় সহজেই অনুমেয়।
মেহেদী হাসান মিরাজের বাড়ি খুলনায়। বাবা রেন্ট-এ-কারের মাইক্রোবাস চালক। বোন কলেজ স্টুডেন্ট। মিরাজ নিজেও এই বছর এইচ এস সি পাস করেছে। বাড়িতে দুটি ঘর, যার মধ্যে একটি মিরাজের বিভিন্ন মেডেল দিয়ে ভর্তি। বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা এতটাই সরু যে ঐ রাস্তায় রিক্সা চলাচল করতে পারে না।
পরিস্কার বোঝা দরকার যে, মিরাজের ফ্যামিলি ছিন্নমূল নয়। তার পরিবারে টানাপোড়ন থাকতে পারে কিন্তু এমন নয় যে, দু'বেলা অন্নসংস্থান হয় না।
কিছুদিন আগেই অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ দেখেছি আমরা। মিরাজ ছিলেন সেই দলের অধিনায়ক। শান্ত, জাকির হোসনদের মত মিরাজের পারফর্মমেন্স ছিল চোখ ধাধানো। সম্ভবত অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে ভাল খেলার কারনেই মিরাজ শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড করা নতুন কিছু নয়। আশরাফুল সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানদের একজন, আবুল হাসান রাজু ১১ তম ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান করেন। আর আজকে তারা কোথায়? মিরাজ যে, হারিয়ে যাবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। মমিনুল হকের রেকর্ডও আমরা দেখতে পারি। টেস্টে ব্যাটিং এভারেজ অনেক বেশি অথচ স্ট্রাইক রেটও ভাল। কিন্তু আজকে তার পরিচয় হয়েছে টেস্ট প্লেয়ার হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী টেস্ট সিরিজে মিরাজের পারফর্মেন্সে খুশি হয়ে খুলনার জেলা প্রশাসককে বাড়ি তৈরি করে দিতে বলেছেন। নির্দ্বিধায় করতালি পাওয়া যেত যদি প্রধানমন্ত্রী নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে বাড়িটা তৈরি করে দিতেন। নিজের টাকায় জমি কিনে তাতে ইট,বালি, সিমেন্ট ঢালতেন।
জেলা প্রশাসক মৌখিক নির্দেশ পেয়ে জমি দেখছে। লিখিত নির্দেশ পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসক কি নিজের জমি দিবে? নিজের টাকা দিয়ে জমি কিনে দেবে? নিজের বেতনের টাকায় ইট,রড, সিমেন্ট কিনে বাড়ি করবে? উত্তর যদি হ্যা হয়, তাহলেতো কোন কথাই নেই। আর যদি না হয় তাহলে প্রশ্ন উঠে, এটা কি বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না? কার টাকা, কার জমি?
মুস্তাফিজুরের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেয়া হয়েছে। কেউ রা করেনি, কারন ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার পর প্রায় আট কোটি টাকা খেলয়ারদের দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খেলোয়াড়দের গাড়িও দেয়া হয়েছিল। জাতীয় দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অন্তত দুটি করে ফ্ল্যাট দেবার পরিকল্পনাও প্রধানমন্ত্রীর আছে বলে জানা যায়।
পৃথিবীতে আর কোন "পেশা"র "চাকুরীজীবি"দের এমন পুরস্কার দেয়া হয় কিনা আমার জানা নেই। কারো জানা থাকলে শেয়ার করুন।
মিরাজের বাড়ি প্রাপ্তিকে 'ইনকাম' বলার সুযোগ নেই। মিরাজ কি মাসে মাসে বাড়ি পাবে? জাতীয় দলের খেলোয়ারা কি বেতনের সাথে মাসে মাসে গাড়ি, দু'টো করে ফ্ল্যাট পায়?
জবাব চাইবার মত যখন কেউ না থাকে তখনই মানুষ বাড়াবাড়ি করতে পারে। আজকে রাজনৈতিক দলের কোন নগণ্য নেতা/কর্মী যদি আমার/আপনার লুঙ্গি খুলে নিয়ে যায় তখন "লুঙ্গি নিছে তো কি হইছে যন্ত্রতো নিতে পারে নাই" বলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তবে হ্যা, ভবিষ্যতে যে যন্ত্রও নিয়ে যাবে না, বা যন্ত্র ব্যবহারের উপর ট্যাক্স বসিয়ে কাউকে "পুরস্কার/উপহার" দেয়া হবে না সেই গ্যারান্টি কিন্তু দেয়া যায় না।
কাজেই ট্যাক্স বসানোর আগেই যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করুন। যন্ত্র খোয়া যাবার আগে বেশি বেশি ব্যবহার করে পুষিয়ে নিন। আফসোস কম হবে। ধন্যবাদ।