বর্তমানে প্রায় সব ফোনেই বাড়তি স্টোরেজের জন্য আমরা মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে থাকি। ফোন ছাড়াও ক্যামেরা, ট্যাবে মেমোরী কার্ড ব্যবহার করতে হয়। কার্ড কেনার সময় যে সমস্যার সম্মুখিন হই তাহল কোনটা কিনব? কিভাবে বুঝব যে, এই মেমোরী কার্ডটা ভাল হবে?
গুগলে একটু ঘোরাফেরা করতেই উত্তর পেয়ে গেলাম। আপনাদেরও হয়ত কাজে লাগবে ভেবে লিখছি।
প্রশ্নঃ মেমোরী কার্ড কি লাগেই?
উত্তরঃ হ্যা, লাগেই। অনেক ফোনে মেমোরী কার্ড ঢুকানোর মত ব্যবস্থা থাকে না। আমার মতে এই ব্যবস্থাটা ঠিক ফ্রেন্ডলি নয়। কাজেই ফোন কেনার আগে মেমোরী কার্ডস্লট আছে কি নেই সেটাও বিবেচনা করা দরকার। আর কেউ জেনেশুনে মেমোরী কার্ডস্লট বিহীন ফোন কিনলেতো আর এই প্রশ্ন আসে না।
প্রশ্নঃ সব কার্ড কি একই?
উত্তরঃ জ্বী না। সব কার্ড একই নয়। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ ডিভাইসেই micro SD (secure digital) কার্ড ব্যবহার করা হয়। এই কার্ডও দু'ধরনের। কার্ডের গায়ে অথবা কার্ডের কভারের গায়ে খেয়াল করলে দেখা যায় লেখা আছে SDHC অথবা SDXC.
SDHC = Secure Digital High Capacity
SDXC = Secure Digital Extended Capacity
SDHC কার্ডগুলোর সর্বোচ্চ ৩২ জিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারন করতে পারে। পক্ষান্তরে SDXC কার্ডগুলো ৬৪ জিগাবাইট থেকে উচ্চতর ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। একারনেই অনেক সময় দেখা যায়, কমদামী (Lower End Devices) ফোন/ট্যাব/ক্যামেরায় SDXC কার্ড সাপোর্ট করে না। আপনার ডিভাইসের উপর নির্ভর করে আপনার কি ধরনের মেমোরী কার্ড প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ কার্ডের স্পীড কত কিভাবে বুঝব?
উত্তরঃ স্পীড বলতে নিশ্চয়ই ডাটা ট্রান্সফার রেট বোঝাতে চাইছেন। এটাও বোঝার উপায় আছে। মেমোরী কার্ডের গায়ে বা কভারে দেখবেন লেখা আছে Class 2 অথবা Class 6 অথবা অন্য কোন সংখ্যা। ক্লাসের পরে যে সংখ্যা থাকবে সেটাই হল ঐ মেমোরী কার্ডের সর্বনিম্ন ডাটা ট্রান্সফার রেট। যেমন, Class 6 মেমোরী কার্ডের ডাটা ট্রান্সফার রেট হল 6MP/s.
অনেক সময় কার্ডের গায়ে Class নাম্বারের পরিবর্তে UHS-1 অথবা UHS-3 লেখা থাকতে পারে। স্মার্টফোনে UHS-1 টাইপ কার্ডের জন্য সর্বনিম্ন 10MB/s এবং UHS-3 কার্ডের জন্য সর্বনিম্ন 30 MB/s ডাটা ট্রান্সফার রেট পাওয়া যেতে পারে। যদিও UHS টাইপের কার্ডের ক্যাপাসিটি অনেক বেশি (প্রায় 312MB/s) তবুও স্মার্টফোনের সীমাবদ্ধতার কারনে স্পীড কম পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ মেমোরী কার্ডের উপর কি ফোনের স্পীড নির্ভর করে?
উত্তরঃ জ্বী। কারন আপনার ফোনে যদি Class নাম্বার বেশি এমন কার্ড থাকে তবে যেকোন ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট দ্রুত সেভ হবে। কার্ড লোড এবং আনলোডে সময় কম লাগবে। ফোন দ্রুত ডাটা Read এবং Write করতে পারবে।
তাহলে বোঝা গেল, মেমোরী কার্ড কেনার আগে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আর হ্যা, দামের ব্যাপারে ব্রান্ডের মেমোরী কার্ডগুলোর সাথে তুলনা করা উচিত। যদি দেখা যায় যে, কোন অখ্যাত কোম্পানি একই স্টোরেজের মেমোরী কার্ড SanDisk, Samsung, Kingstone ইত্যাদি স্বনামধন্য কোম্পানি থেকে অনেক কমে দিচ্ছে তাহলে গুণগতমান সম্পর্কে সন্দেহ করা উচিত। বুঝে শুনে কেনা উচিত।
ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই।
androidpit ওয়েবসাইট অবলম্বনে।
No comments:
Post a Comment