ঈদের সকালটা ঈদের মতই গেল। সকাল আটটায় অফিস থেকে গেলাম বাসায়। ৯ টায় জামাত ছিল। নামায পড়ে বাসায় যেয়ে ঘুমানোর আগে হালকা ক্ষুধা লেগেছিল। সেমাইয়ের কড়াই নিয়ে বসলাম।
আমি মিষ্টি বেশি খাই। যেকোন মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমার চিনি বেশি লাগে। চিনি কম হলে পানসে লাগে নয়ত তিতা লাগে। চিনি কম হবার কারণে বা অন্যকোন কারণে তিতকুটে লাগছিল। সামান্য ব্যাপার নিয়ে খটর মটর করার অভ্যাস হয়ে গেছে। শুরু করলাম ঘ্যানর ঘ্যানর। এক পর্যায়ে রেগেমেগে সেমাইয়ের কড়াই চিলের ছো মারার মত আমার সামনে থেকে চলে গেল।
যে রান্না করেছে সে কষ্ট করেই রান্না করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ছো মারার বিষয়টা আমার কাছে নতুন। রাগ যা উঠছে তার চেয়ে বেশি হয়েছি অবাক!
একটু পর চিন্তা করে দেখলাম আসলে দোশটা আমার মায়ের। ছোটবেলা থেকে খাবার নিয়ে কত ঘ্যানর ঘ্যানর করেছি! কোনদিন ছো মারার ঘটনা ঘটেনি। যদি ঘটত তাহলে আমি ঐ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কখনো আর ঘ্যানর ঘ্যানর করতাম না।
ছোটকালের শিক্ষা বড় কালে এসে পেলাম আর কি। অসুবিধা নাই, শিখতে কোন কালেই আমার আগ্রহ কম ছিল না।
তাবলীগে শিখায় খানার দোশ ধরতে হয় না। যে রান্না করে ভাল করার সর্বোচ্চ চেশটা করে, কশট করে রান্না করে। সেই খানার দোশ ধরে তাকে আবার কশট দেয়া ঠিক না।
তাবলীগ থেকে বহুত দূরে সরে গিয়েছি। তাবলীগী খাসলতও ভেতর থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে!
ক্ষুধা নিয়েই ১০টার ঘুমাতে গেলাম। ছাড়া তন্দ্রা হচ্ছিল। সাড়ে এগারোটার দিয়ে একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসল। একটা বড় ধরনের দুঃসংবাদের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম। ঐ ব্যাপারেই আপডেট জানলাম। এখন কনফার্মেশন ফোনের অপেক্ষায় আছি। এরপর আর ঘুম তেমন হল না।
১২ টার দিকে উঠে কুরয়ান তেলাওয়াত করলাম কিছুক্ষন। আযান হলে মসজিদে চলে গেলাম। পাশের বাসায় দাওয়াত ছিল দুপুরে। খেয়ে-দেয়ে অফিসে চলে আসলাম।
এখন পর্যন্ত ঘটনাবহুল এই ইদের জন্য আল্লাহতায়ালার দরবারে লাখোকোটি শুকরিয়া!
আমি মিষ্টি বেশি খাই। যেকোন মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমার চিনি বেশি লাগে। চিনি কম হলে পানসে লাগে নয়ত তিতা লাগে। চিনি কম হবার কারণে বা অন্যকোন কারণে তিতকুটে লাগছিল। সামান্য ব্যাপার নিয়ে খটর মটর করার অভ্যাস হয়ে গেছে। শুরু করলাম ঘ্যানর ঘ্যানর। এক পর্যায়ে রেগেমেগে সেমাইয়ের কড়াই চিলের ছো মারার মত আমার সামনে থেকে চলে গেল।
যে রান্না করেছে সে কষ্ট করেই রান্না করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ছো মারার বিষয়টা আমার কাছে নতুন। রাগ যা উঠছে তার চেয়ে বেশি হয়েছি অবাক!
একটু পর চিন্তা করে দেখলাম আসলে দোশটা আমার মায়ের। ছোটবেলা থেকে খাবার নিয়ে কত ঘ্যানর ঘ্যানর করেছি! কোনদিন ছো মারার ঘটনা ঘটেনি। যদি ঘটত তাহলে আমি ঐ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কখনো আর ঘ্যানর ঘ্যানর করতাম না।
ছোটকালের শিক্ষা বড় কালে এসে পেলাম আর কি। অসুবিধা নাই, শিখতে কোন কালেই আমার আগ্রহ কম ছিল না।
তাবলীগে শিখায় খানার দোশ ধরতে হয় না। যে রান্না করে ভাল করার সর্বোচ্চ চেশটা করে, কশট করে রান্না করে। সেই খানার দোশ ধরে তাকে আবার কশট দেয়া ঠিক না।
তাবলীগ থেকে বহুত দূরে সরে গিয়েছি। তাবলীগী খাসলতও ভেতর থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে!
ক্ষুধা নিয়েই ১০টার ঘুমাতে গেলাম। ছাড়া তন্দ্রা হচ্ছিল। সাড়ে এগারোটার দিয়ে একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসল। একটা বড় ধরনের দুঃসংবাদের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম। ঐ ব্যাপারেই আপডেট জানলাম। এখন কনফার্মেশন ফোনের অপেক্ষায় আছি। এরপর আর ঘুম তেমন হল না।
১২ টার দিকে উঠে কুরয়ান তেলাওয়াত করলাম কিছুক্ষন। আযান হলে মসজিদে চলে গেলাম। পাশের বাসায় দাওয়াত ছিল দুপুরে। খেয়ে-দেয়ে অফিসে চলে আসলাম।
এখন পর্যন্ত ঘটনাবহুল এই ইদের জন্য আল্লাহতায়ালার দরবারে লাখোকোটি শুকরিয়া!
No comments:
Post a Comment