Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Friday, July 7, 2017

কার টাকা কার পকেটে যাচ্ছে...


ছোট্ট একটি হিসাব করি। 


ধরি, কোন মুসলিমের বাৎসরিক আয় ৬,০০,০০০ টাকা। এর মধ্যে বেতন ৪,৮০,০০০ টাকা। বাকি ১,২০,০০০ টাকা তিনি বিভিন্ন উপলক্ষে বোনাস পেয়ে থাকেন। আরও ধরা যাক, বছরের যেকোন সময় (কুরবানীর ঈদ হতে পারে) তার একাউন্টে বেতন-বোনাস মিলে এককালীন ১,০০,০০০=+ টাকা তার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। (যেহেতু দিনমজুর টাইপের কাজ ছাড়া প্রায় সকল ধরনের কাজে এখন ব্যাংক একাউন্টে স্যালারী যোগ হয়) 

এখন কারও আয় ২,৫০,০০০ টাকা থেকে ৭,০০,০০০ টাকা হলে তাকে আয়কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। এই হিসেবে ঐ মুসলিমের ৬০,০০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। ব্যাংকে এককালীন লক্ষাধিক টাকা জমা হবার কারনে তাকে আবগারী শুল্ক বাবদ দিতে হবে (বর্তমান বাজেট অনুযায়ী ১ হাজার। আগে ৫শ' ছিল) ১ হাজার টাকা। ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য এখন এস এম এস ব্যাংকিং বাধ্যতামূলক। এর চার্জ প্রায় ৩০০ টাকা বছরে। একাউন্ট মেইনটেন্যান্স খরচ ব্যাংক কাটবে ১০০ টাকা। হল ১৪০০ টাকা। এইধরনের বিভিন্ন চার্জের উপর আসবে ভ্যাট। ভ্যাট সহ মোট চার্জ ১৫৫০ টাকা অতিক্রম করে যাবার কথা। আর যদি ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে সেটার চার্জ ধরলাম বছরে ২০০ টাকা। মোট ১৭৫০ টাকা। 

তাহলে ঐ মুসলিমের ৬০,০০০+১,৭৫০=৬১,৭৫০ টাকা হাওয়ার উপরে চলে যাবে।

মাসে যে কেউ ২০৮৩৪ টাকা আয় করলে তার আয় ২,৫০,০০০ টাকা অতিক্রম করবে। বাংলাদেশে যে ব্যক্তি সিএনজি চালায় তারও মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় আছে। কাজেই আয়কর দেয় না এমন লোকের সংখ্যা কত? আর যারা আয়কর স্বেচ্ছায় দেয় তাদের সরকার কি সুবিধা দিচ্ছে? কিছু দিচ্ছে তো না-ই বরং লেবু চিপার মত চিপছে। 

লুনার ক্যালেন্ডার শেষে যদি ঐ মুসলিমের হাতে নগদ/ব্যবসার মূলধন, স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি নেসাব পরিমান থাকে তাহলে তাকে যাকাত আদায় করতে হবে। যদি কেউ প্রধানমন্ত্রীর যাকাত ফান্ডে যাকাত দেয় তাহলে সে আয়করে রিবেট পাবে। প্রধানমন্ত্রীর যাকাত ফান্ডের টাকা "যাকাতের নির্ধারিত খাতে" খরচ হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হবার উপায় নেই। খরচ হলেও যথাসময়ে হচ্ছে কিনা তা জানার উপায় কি? কাজেই ঐ মুসলিম নিজেই যাকাতের টাকা নির্ধারিত খাতে খরচ করে নিশ্চিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক। কাজেই তার আয়করে রিবেট পাওয়া হচ্ছে না। 

সবচেয়ে ভাল হত যদি স্যালারী হাতে হাতে পাওয়া যেত। ব্যাংকের কোন সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই। হাওয়ার উপরে যাওয়া টাকাগুলো থেকে সাশ্রয় করা যেত। দুর্নীতিবাজদের টাকা হাওয়ার উপরে গেলে তাদের গায়ে লাগবে না সেটাই স্বাভাবিক। কারন সে টাকা সে "আয়" করেনি। দুর্নীতি করে মানুষের পকেট কেটেছে। 

যার পয়সা ঘামের, তার শরীর জ্বলবে। আয় করা টাকায় কেনা একটি ভাত নষ্ট হলে তার খারাপ লাগবে, তরকারী টক হয়ে গেলে ঘরে তুলকালাম বাধিয়ে দিবে, থালা থেকে মুড়ির দানা পড়ে গেলে সন্তানদের ধমকাবে; এটাই স্বাভাবিক। 

মানুষকে নিংড়ে রস বের করার হিসেব একদিন দিতে হবে!

No comments: