Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Thursday, August 25, 2016

ফেসবুক সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান


ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের অনেক কথাই নিজের অভিজ্ঞতালদ্ধ। কাজেই কম-বেশি হতে পারে। হয়ত অন্যকারো আর ভাল উত্তর জানা আছে। আমি যা জানি সেটাই শেয়ার করছি।

প্রশ্ন-১ঃ ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে কিভাবে? 

উত্তরঃ প্রশ্নটা যতটা সহজ উত্তর ততটাই কঠিন। ব্যবহারকারী বোকা না হলে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা খুব শক্ত। যেমনঃ

১. পাসওয়ার্ড চুরি করাঃ কেউ ফেবুতে পাসওয়ার্ড দিচ্ছে আপনি দেখে নিলেন। কোন খাতায় লিখে রেখেছে। দেখে নিলেন। এটাই সবচেয়ে সহজ। 

২. অপরিচিত কারো ফেসবুক পাসওয়ার্ড পেতে ফিশিং লিংক তৈরি করতে হবে। এটা এমন একটা লিংক যেটাতে কেউ ক্লিক করা মাত্র তার একাউন্টের কিছু তথ্য আপনার হস্তগত হয়ে যাবে। সেই তথ্য দিয়ে উইন্ডোজ কমান্ড প্রমট বা অন্যকোন সফটওয়ারের সাহায্যে একাউন্ট হস্তগত করা যায়। এই লিংক তৈরি করার যাবতীয় কোডিং আপনাকে জানতে হবে। 

৩. সীম ক্লোনিংঃ যার একাউন্ট হ্যাক করতে চান তার যে ফোন নাম্বার ঐ আইডিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেই নাম্বার জোগাড় করে তার সীমের ক্লোন সীম উঠাতে হবে। তারপর ঐ সীম ব্যবহার করে একাউন্ট হস্তগত করা যাবে। 

প্রশ্ন-২ঃ হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় কি? 

উত্তরঃ

১. পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না। কোন বিশেষ কাজের দরুণ সাময়িকভাবে শেয়ার করতে হলে কাজ শেষ হওয়া মাত্র নতুন পাসওয়ার্ড দিন।

২. পাসওয়ার্ড যেন কেউ চুরি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মোবাইলে বা কম্প্যূটারে পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় কেউ আপনাকে লক্ষ করছে কিনা খেয়াল রাখুন। আপনার ব্রাউজারে “Show Password” অপশনটি থাকলে তা থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন। পাসওয়ার্ড কোথাও লিখে রাখবেন না। 

৩. পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করুন। কিভাবে পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করবেন সেটা জানতে গুগলে how to create a strong password লিখে সার্চ করুন।

৪. আপনি যেখান থেকেই ফেসবুকে লগিন করে থাকেন না কেন ফেসবুক ব্যবহার শেষ হলেই লগ আউট করুন। বার বার ইমেইল, পাসওয়ার্ড দেয়া বিরক্তিকর মনে হলেও এটা নিরাপদ। কোন কারনে ফোন চুরি হলেও সমস্যা হবে না। করতে না চাইলে ফোনের সিকিউরিটি শক্ত করে নিন, যেন ফোন চুরি হলেও চোর আপনার ডাটা এক্সেস করতে না পারে।

৫. যারা ফোন নাম্বার দিয়ে ফেসবুকে খুলেছেন এবং কোন ইমেইল যুক্ত করেন নি তারা যত দ্রুত সম্ভব ইমেইল যুক্ত করে নিন। ইমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাবেন না। ইমেইল সক্রিয় রাখতে মাসে অন্তত একবার ইমেইল একাউন্টে লগিন/সাইন ইন করুন। 

৬. Login Approval: লগিন এপ্রুভাল চালু করে রাখুন। Settings>Security>Login Approvals এ যান। সেখানে আপনার ফোন নাম্বার দিলে মোবাইলে একটা কোড আসবে। ঐ কোড দিলে login approvals চালু হয়ে যাবে। ধরা যাক, আপনি অপেরা মিনি দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করেন। এখন যদি আপনি UC দিয়ে লগিন করতে চান তাহলে আপনার মোবাইলে ফেসবুক থেকে কোড আসবে। সেই কোড দিলে UC দিয়ে লগিন করতে পারবেন। কোড দেয়ার পর Save Browser/Don’t Save Browser অপশন আসবে। আপনি যদি UC একবারই ব্যবহার করতে চান তাহলে Don’t Save Browser সিলেক্ট করে Continue করুন। আর যদি UC আবারো ব্যবহার করেন তাহলে Save Browser সিলেক্ট করুন। এতে করে আপনি লগ আউট করলেও অন্যকোন সময় লগিন করতে চাইলে কোড চাইবে না। কোন কম্প্যূটারের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটবে।

দ্রষ্টব্যঃ 

আপনি যে ব্রাউজার (Opera, UC, Chorme, Firefox) সবসময় ব্যবহার করেন শুধু সেই ব্রাউজারের ক্ষেত্রেই Save Browser অপশনটি নির্বাচন করবেন।
ব্রাউজারে History মুছে ফেললে পুনরায় কোড চাইতে পারে। ভয় পাবার কিছু নেই। মোবাইল দেখে কোড দিন।

অনেক সময় কোড আসে না। তখন যে পেইজে কোড চেয়েছে সেখানে দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন আছে। সেখান থেকে “Send Code To My Mobile” নির্বাচন করলে ফোনে কোড আসবে। 

ধরা যাক, যে নাম্বারটি ফেসবুকে সেট করেছেন সেই সীমটি ফোন থেকে খুলে ফেলেছেন। এখন কম্প্যুটার বা অন্য মোবাইল দিয়ে লগিন করতে চাচ্ছেন। আইডি পাসওয়ার্ড দেয়ার পর কোড চাইল। সেক্ষেত্রে যে ব্রাউজারটি (ধরি, মোবাইলের অপেরা মিনি) ফেসবুকে সেভ করা আছে সেটাতে লগিন করা থাকলে সেখানে নটিফিকেশন আসবে “Access from unauthorized browser” ওখানে ক্লিক করলে দেখাবে কোথ্যেকে লগিন করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে “That was me” তে ক্লিক করলে আবারো “Save Browser” অপশন আসবে। চাইলে সেভ করতে পারেন। অন্যথায় Don’t save দিয়ে continue করুন। এখন অন্য মোবাইল বা কম্প্যুটারের পেইজ টা রিফ্রেশ করলেই আপনার একাউন্ট লগিন হয়ে যাবে। 

Login Approval সেট করার পর আবারো Login Approval ক্লিক করলে “Get Codes” অপশনটি আসবে। ক্লিক করলে ১০ টি কোড পাওয়া যাবে। যদি আপনার কাছে সীম না থাকে এবং এমন কোন ব্রাউজার না থাকে যেটা ফেসবুকে সেভ করা আছে তাহলে কোড চাইলে এই ১০ টি কোডের যেকোন একটি কোড হিসেবে দিয়ে লগিন করা যাবে। আইডি, পাসওয়ার্ড দেয়ার পর কোড চাইলে এই ১০ কোডের একটি দিলেই হবে। একটি কোড একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কাজেই কোডগুলো স্ক্রিনশট নিয়ে যত্নে রেখে দিন। ৮-৯ টা কোড ব্যবহার হয়ে গেলে আবারো কোড পেতে Settings>Security>Login Approval> Get Codes থেকে নতুন করে ১০ টি কোড পাওয়া যাবে। 

৭. Trusted Contact: ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করে রাখলে লকড একাউন্ট ফেরত পাবার একটা রাস্তা থাকে। কাজেই ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করে রাখুন। Settings>Security>Trusted Contact থেকে আপনার বিশ্বস্থ দু’জন বা তিনজন বন্ধুকে ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করুন। 

৮. ফেসবুকে পাওয়া কোন মনোহরী লিংকে ক্লিক না করা। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন, “www.facebook2.com এটা ফেসবুকের নতুন লিংক। এই ফেসবুক অনেক সুন্দর। যাদের নেই তারা জলদি ক্লিক করুন” অথবা “who is your top friend” “who has a secret crash on you” ইত্যাদি। এসব সন্দেহজনক পোস্ট থেকে একশ’ হাত দূরে থাকুন এবং অপরকে রাখুন। 

৯. আপনি যদি ফোনে ফেসবুকে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সম্ভব হলে কোন কম্প্যূটার থেকেও মাঝে মাঝে লগিন করুন। কোড চাইলে কোড দিন, ইচ্ছে হলে “Save Browser” দিন; তবে লগ আউট করতে ভুলবেন না। আপনি কোথা থেকে, কিভাবে ফেসবুকে ব্যবহার করছেন ফেসবুক তার হিসেব রাখে। যেটা হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যারা কম্প্যূটারে ফেসবুক ব্যবহার করেন তারাও অন্য মোবাইল বা কম্প্যূটারে মাঝে মাঝে লগিন করুন।

এই স্টেপগুলো ফলো করলে একজন হ্যাকার গলদ্গর্ম হবে আপনার একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে। 

প্রশ্ন-৩ঃ একাউন্ট হ্যাক হয়েছি কিনা বুঝব কিভাবে? 

উত্তরঃ অনেক স্মার্ট হ্যাকার পাসওয়ার্ড হ্যাক করার পরও পাস পরিবর্তন না করে ব্যবহারকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে। তখন কিভাবে বুঝবেন? যদি দেখা যায়, আপনার একাউন্ট থেকে এমন কোন পোস্ট পরেছে যেটা আপনি দেন নি; কারো কাছে মেসেজ গিয়েছে কিন্তু ম্যাসেজটা আপনি দেন নি; কোন পোস্ট/পেইজে লাইক/কমেন্ট পড়েছে কিন্তু সেটা আপনি করেন নি; তাহলে বুঝতে হবে অন্যকেউ আপনার একাউন্ট ব্যবহার করছে। 

প্রশ্ন-৪ঃ আমার একাউন্ট হ্যাক করে লাভটা কি?

উত্তরঃ এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাকারই ভাল দিতে পারবে। কেউ হয়ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে যে সে কোন একাউন্ট হ্যাক করতে পারে কিনা আর তার চ্যালেঞ্জের ভিকটিম হলেন আপনি। কেউ হয়ত আপনার উপর কোন প্রতিশোধ নিচ্ছে। হতে পারে মানুষকে বিব্রত করাটা তার কাছে নির্মল বিনোদন। আপনার নামে আজে-বাজে কথা বলে, বাজে ছবি পোস্ট করে আপনাকে হেয় প্রতিপন্ন করা, মান-সম্মান নষ্ট করাও উদ্দেশ্য হতে পারে। আজকাল একাউন্ট হ্যাক করে ভিকটিমের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকাও ধার চাওয়া হচ্ছে। কাজেই ফেসবুকে আপনার কাছে কেউ টাকা চাইলে দিবেন না। আগে ফোনে বা দেখা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।

পরের প্রশ্নঃ কেউ আমার আইডি হ্যাক করেছে। কিভাবে আইডি ফিরে পাব? 

উত্তরঃ 

১. যখনি বুঝতে পারবেন আপনার আইডি কেউ হ্যাক করেছে সাথে সাথে Forget Password দিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে আইডি ফিরে পেতে পারবেন। ইমেইলে একটা লিংক যাবে সেই লিংকে ক্লিক করলে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন। 

২. আপনি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার আগেই যদি হ্যাকার আপনার একাউন্টের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে যে মোবাইল/কম্প্যূটারের যে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক চালান সেটা দিয়ে Forget Password অপশনে যাবেন। সেখানে আপনার আইডি username/full name লিখে সার্চ করবেন। রেজাল্ট থেকে আপনার আইডি সিলেক্ট করলে ইমেইলে লিংক পাঠানোর পাতা আসবে। যেহেতু হ্যাকার আপনার ইমেইল পরিবর্তন করে ফেলেছে সেহেতু আপনি no longer access to this এ ক্লিক করুন। নতুন ইমেইল দেয়ার পাতা আসলে সেখানে আপনার ইমেইল পাস দিন। কোন পাতায় আপনার পুরনো পাসওয়ার্ড চাইতে পারে যেন ফেসবুক যাচাই করতে পারে যে, এটা আসলেই আপনার আইডি ছিল। নতুন ইমেইল দেয়া হলে ইমেইল চেক করে দেখুন ফেসবুক থেকে পাসওয়ার্ড রিসেট করার কোন ইমেইল আসছে কিনা। 

বিঃদ্রঃ আমার ধারনা এই পদ্ধতি শুধু পরিচিত ডিভাইসের ক্ষেত্রে কাজ করবে। কারন আমি দুই-একজনের আইডি উদ্ধারের চেষ্টা করে দেখেছি নতুন ইমেইল দেয়ার অপশন আসে না আমার এখানে। অথচ নিজের আইডিতে forget password দিলে পরে নতুন ইমেইল দেয়ার অপশন আসে।

৩. ট্রাস্টেড কন্টাক্ট দিয়েও আইডি রিকভার করা যায়। বিস্তারিত জানতে https://¬web.facebook.com/¬help/¬213343062033160?_rdr এ ক্লিক করুন। 

প্রশ্ন-৬: আমার মেসেজগুলো সিন হয়ে যায়। অথচ আমি মেসেজ দেখিনি। এমন হবার কারনটা কি?

উত্তরঃ সম্ভবত একাধিক ডিভাইস/ব্রাউজার থেকে লগিন করা থাকার কারনে এমন হচ্ছে। ঘাবড়াবার কিছু নেই যদি না সন্দেহজনক কিছু ঘটে। এরপরও যদি আশ্বস্থ না হন তাহলে Settings>Security>Recognized Devices এ যেয়ে কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার আইডিতে লগিন করা হয়েছে সেটা দেখতে পারেন। অপরিচিত কিছু দেখলে সিলেক্ট করে ডিলিট করে দিন। এছাড়াও Settings>Security>Active Session থেকে কখন কখন আপনার আইডিতে লগিন করা হয়েছে সেটাও দেখতে পাবেন। সন্দেহজনক কিছু দেখলে ডিলিট করুন। 

প্রশ্ন-৭: ফ্রেন্ডস ছাড়া আর কেউ যেন আমাকে মেসেজ করতে না পারে এই সেটিংসটা কিভাবে করব?

উত্তরঃ এই সেটিংসটা আগে ছিল। যতদূর জানি বর্তমানে নেই। 

প্রশ্ন-৮: ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পেতে পেতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। কি করলে কেউ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে পারবে না?

উত্তরঃ রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট বা ডিলিট না করে ঝুলিয়ে রাখবেন। এক হাজারের উপরে ঝুলিয়ে রাখলে নতুন করে আর কেউ রিকুয়েস্ট দিতে পারবে না।

প্রশ্ন-৯: আমার ছবি চুরি করে এডিট করে বাজে ছবির সাথে জুড়ে দিচ্ছে। কি করব?

উত্তরঃ অনুরোধ করে দেখতে পারেন যেন এমনটা না করে। যদি না শোনে তাহলে সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাথে কন্টাক্ট করতে হবে।

প্রশ্ন-১০: আমার ছবি ব্যবহার করে নকল আইডি খুলেছে। কি করতে পারি?

উত্তরঃ প্রথমেই ছবি চুরি ঠেকাতে ছবিতে প্রাইভেসী সেট করুন। সেটা যাদের সাথে শেয়ার করতে চান প্রাইভেসীতে সেই অপশন দিন। সবচেয়ে ভাল হয় অহেতুক ফেসবুকে ছবি শেয়ার না করলে। আর চুরি হওয়া ছবি উদ্ধারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। আইডিতে রিপোর্ট করে লাভ নেই। এক আইডি নষ্ট হলে আরেক আইডি খুলবে। 

প্রশ্ন-১১: পরিবারের সদস্যা আমার লিস্টে আছে। কিছু একটা পোস্ট করলেই হাজারটা প্রশ্ন করে। সমাধান কি?

উত্তরঃ ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্ট কাস্টমাইজ করার সুযোগ আছে। Settings>Privacy তে এই অপশন আছে। জিরো দিয়ে ফেবু চালাচ্ছি বিধায় এখন ফুল সেটিংসটা দিতে পারলাম না। একটু খুজে নিলেই পারবেন।

প্রশ্ন-১২: একলোক ইনবক্সে বাজে কথা বলছে। আমার নামে মানুষের কাছে আজেবাজে কথা ছড়াচ্ছে। কি করতে পারি?

উত্তরঃ একদম কান দেবেন না। কেউ বাজে কথা বললেই আপনি বাজে হয় যান না। ঐলোককে ব্লক দিন জলদি। এরপরও সতর্ক না হলে পুলিশের স্বরনাপন্ন হোন।

প্রশ্ন-১৩: আমার টাইম লাইন কে কে ভিজিট করেছে জানার উপায় কি? 

উত্তরঃ উপায় নেই। অনেক এপস দেখবেন এমনটা বলছে। কিন্তু সেটা সত্য নয় বলেই জানি।

প্রশ্ন-১৪: আইডির নাম পরিবর্তন করেছি। আবার পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু ৬০ দিনের আগে নাকি করতে পারব না। এমন কোন উপায় নেই যে ৬০ দিনের আগেই করতে পারি? 

উত্তরঃ শুনেছি https://free.facebook.com/help/contact/1417759018475333 এই লিংকে গেলে ৬০ দিনের আগেই নাম চেঞ্জ করা যায়। ফটো আইডি কার্ড লাগবে। আর কারনের ক্ষেত্রে Spelling Mistake নির্বাচন করতে হবে। দু-তিনদিনের মধ্যেই নতুন নাম আপনার আইডিতে সেট হয়ে যাবে। তবে এই পরিবর্তন কি স্থায়ী হয়ে যায় কিনা সেটা বলতে পারব না।

প্রশ্ন-১৫: ফোন নাম্বার দিয়ে আইডি খুলেছিলাম। তারপর নাম্বার ডিলিট করে দিয়েছি। ইমেইল এড্রেসও সেট করা নেই। এখন আর আইডিতে ঢুকতে পারছি না। কি করব?

উত্তরঃ এই প্রশ্নটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে যে, প্রশ্নটা সঠিক কিনা। কারন যোগাযোগ করার কোন উপায় না রেখে ফেসবুকে ফোন ডিলিট করতে দিবে কিনা সন্দেহ আছে আমার। 

সে যাই হোক। ফেসবুকে আপনার আইডি খুজে বের করুন। তারপর নামের উপর ক্লিক করুন। ব্রাউজারের এড্রেস বারে এড্রেসটা দেখুন। www.facebook.com/”.......” পাবেন। / এর পরের অংশটুকু হল আপনার ইউজার আইডি। ইমেইল বা ফোন নাম্বারের জায়গায় এই ইউজার আইডি দিয়ে ফেসবুকে লগিন করতে পারবেন। 

প্রশ্ন-১৬: আমার বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডকে মেসেজ ব্লক দিয়ে সব মেসেজ ডিলিট করে দিয়েছি। এখন আনব্লক করব কিভাবে?

উত্তরঃ যদি আপনি এই মহৎ কর্মটি আপনার মেসেঞ্জার থেকে করে থাকেন তাহলে Settings>Blocked থেকে তাকে আনব্লক করতে পারবেন। আর যদি ব্রাউজার থেকে করতে থাকেন তাহলে Message>New Message এ গিয়ে ব্লককৃত ব্যাক্তির নাম সিলেক্ট করুন। তারপর Message Box এ কিছু একটা লিখে Send বাটন ক্লিক করলেই আনব্লক করার অপশন আসবে।

প্রশ্ন-১৭: আমার বন্ধু কি আমাকে ব্লক দিল নাকি আইডি ডিএক্টিভেট করে রেখেছে বুঝতে পারছি না। কিভাবে বোঝা যাবে?

উত্তরঃ আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে যান। সেখানে যদি আপনার বন্ধুর নাম কালো কালিতে দেখতে পান তাহলে আইডি ডিএক্টিভেটেড। আর যদি বন্ধুকে যদি খুজেই না পান তাহলে আপনাকে ব্লক করে দিয়েছে। 

প্রশ্নের ভাডার আপাতত শেষ। তাই পোস্টও শেষ। 

এন্ড্রয়েড পাওয়ার ইউজার


আজকে এন্ড্রয়েডের কিছু ফিচার নিয়ে লিখব। মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আমার ফোনের এন্ড্রয়েডের ভার্সন হল Android 5.0 এবং ডিভাইস হল Walton RM2. কাজেই ভার্সন এবং ডিভাইসভেদে সেটিংসগুলো কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে। 

1.Daydream: এই ফিচারের সাহায্য আপনার ফোনটি যখন চার্জে থাকবে তখন ডিসপ্লেতে কি থাকবে সেটা ঠিক করা যায়।অবশ্য ফোনটি চার্জে দিয়ে ফেলে রাখলেই Daydream সুবিধাটি পাবেন। 

চালু করতে Settings > Display > Daydream অন করুন। তারপর মেন্যু থেকে সিলেক্ট করুন আপনি কি চান। যদি Clock সিলেক্ট করেন তাহলে চার্জে দিলে ডিসপ্লেতে সময় দেখাবে, Colors সিলেক্ট করলে বিভিন্ন রঙের শেড দেখাবে। অন্যকোনটা সিলেক্ট করলে সেটা দেখাবে। 

অবশ্য কখন Day dream চালু করতে চান সেটিও ঠিক করতে পারবেন। অপশন বাটনে ক্লিক করলে When to day dream থেকে নির্বাচন করে নিন। 

2. Smart Lock: ফোনের সুরক্ষার জন্য আমরা প্যাটার্ন, পিন অথবা পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে থাকি। কিন্তু বার বার এই প্যাটার্ন, পিন বা পাসওয়ার্ড দিয়ে আনলক করা যদি আপনার বিরক্তির কারন হয় তবে আপনি Smart Lock ব্যবহার করতে পারেন। Smart Lock এর মাধ্যমে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে ফোন লক হবে ঠিকই কিন্তু আনলক করতে প্যাটার্ন, পিন, পাসওয়ার্ড ইত্যাদির দরকার হয় না। 

Settings > Security > Smart Lock ক্লিক করুন। আপনার ফোনের পূর্বোক্ত সিকিউরিটি অনুযায়ী প্যাটার্ন, পিন বা পাসওয়ার্ড চাইবে। দেয়ার পর যে পেজ আসবে তাতে Got it ক্লিক করুন। তারপর বিভিন্ন অপশন সম্বলিত মেন্যু আসবে। 

a) Trusted devices: এই সুবিধাটি দিয়ে আপনি আপনার হাতঘড়ি, গাড়ি ইত্যাদির সাথে ফোনের সংযোগ ঘটিয়ে ফোন আনলক অবস্থায় রাখতে পারেন যদি আপনার ঘড়ি, গাড়িতে ব্লুটুথ থাকে। এই সুবিধাটি চালু করলে যতক্ষন আপনার ফোনটি আপনার ঘড়ি অথবা গাড়ির কাছাকাছি (ব্লুটুথ রেঞ্জের মধ্যে) থাকবে ততক্ষন ফোন লক হলেও আনলক করতে পাসওয়ার্ড, পিন, প্যাটার্ন লাগবে না, শুধু Swipe করলেই চলবে।

b) Trusted Place: এর মাধ্যমে আপনি লোকেশন অনুযায়ী ফোন লক করার ব্যবস্থা করতে করতে পারেন। যেমন যতক্ষন আপনি ঘরে, অফিসে বা অন্যকোন নিরাপদ জায়গায় থাকবেন ততক্ষন ফোন সহজেই আনলক করা যাবে। ফোনটি নির্বাচিত স্থানসমূহ ছাড়া অন্য কোথাও নিয়ে গেলেই আনলক করতে পিন, প্যাটার্ন, পাসওয়ার্ড চাইবে।

c) Trusted Face: মুখমন্ডল সনাক্তকরার দ্বারা ফোন আনলক হবে। এটিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। 

d) On-body detection: তবে আমার মতে সবচেয়ে ভাল Smart Lock অপশন হল এটি। আপনি যতক্ষন ফোনটি আপনার হাতে, পকেটে, ব্যাগে রাখবেন ততক্ষন এটি কাজ করবে। দূরে গেলেই ফোন লক হয়ে যাবে।

আপনি যদি Settings > Security তে যেয়ে Smart Lock দেখতে না পান তাহলে নিচে স্ক্রল করে Trust agents এ ক্লিক করুন। এখান থেক Smart Lock অন করুন। এবার back এ এসে দেখুন Smart Lock অপশনটি চলে এসেছে। 

3. Data Protection: আপনার ফোনের যেকোন ছবি, ভিডিও, অডিও ক্লিপ বা অন্য কোন ফাইল আপনি চাইলে লক রাখতে পারবেন। এরফলে কেউ আপনার ফোন পেয়ে গেলেও একান্ত ব্যাক্তিগত ফাইলসমুহ দেখতে পাবে না। 

যে ছবি, ভিডিও, অডিও ক্লিপ বা ফাইলটি লক করতে চান সেটি কোথায় কোন ফোল্ডারে আছে সেটি প্রথমেই দেখে নিন। এরপর Settings > Security > Data Protection এ ক্লিক করুন। এবার Pattern দিন আপনার ইচ্ছেমত। এবার উপরে ডানপাশে + চিহ্নের উপর ক্লিক করলে আপনার ফোনের স্টোরেজ সমূহ দেখাবে। সেগুলোতে ক্লিক করতে করতে আপনার নির্ধারিত ফাইলটি খুজে বের করুন। তারপর উপরে ডানদিকে "পেন্সিল আইকন" এ ক্লিক করলে ফাইল সিলেক্ট করতে পারবেন। নির্দিষ্ট ফাইলটি সিলেক্ট করে উপররের তালা আইকনে ক্লিক করলে ফাইলটি লক হয়ে যাবে। এবার Data protection মেন্যু থেকে বেড়িয়ে এসে ফাইলটি খুজে দেখুন। পাবেন না। ফাইলটি আনলক করতে হবে। Data Protection এ যেয়ে আগের মতই পেন্সিল আইকনে ক্লিক করে ফাইলটি সিলেক্ট করুন। এরপর "খোলা তালা" আইকনে ক্লিক করলে ফাইলটি আনলক হয়ে যাবে। আগের মত নির্দিষ্ট স্থানে ফাইলটি পাওয়া যাবে।

এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা হল কোন ফোল্ডার লক করা যায় না। 

5. Developer Option: ফোনকে আরো সূক্ষভাবে Customize করার জন্য রয়েছে Developer Option. পুরনো এন্ড্রয়েড ভার্সনগুলোতে Settings থেকেই Developer Option টি পাওয়া গেলেও নতুন ভার্সনগুলোতে ফাংশনটি হিডেন আছে। কাজেই Settings > About phone থেকে Build number এর উপর কয়েকবার ক্লিক করুন যতক্ষন না “you are a developer” লেখাটি স্ক্রিনে দেখতে পান। এরপর ব্যাক করে Settings এ গেলেই নিচের দিকে Developer Option এ দেখতে পাবেন। প্রবেশ করলেই দেখবেন অনেকগুলো অপশন আছে যেগুলো আপনি নিজে থেকে Customize করতে পারবেন। আমি যেগুলো বুঝতে পেরেছি সেগুলো সম্পর্কে লিখছি। 

a) Stay awake : এটাতে টিক দিলে ফোন চার্জে থাকলে ডিসপ্লে অফ হবে না। 
b) Process stats : এটাতে ক্লিক করলে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন এপসটা কতটুকু র্যাcম ব্যবহার করছে সেটা দেখতে পাবেন। 
c) Show touches : এটা টিক দিলে ফোনের টাচ করলেই স্ক্রিনে গোলাকার ডট আসবে। আপনার টাচ কোথায় পড়ছে সেটা দেখা যাবে। 
d) Show Pointer : এটাতে টিক দিলে লাল বিন্দু দিয়ে আপনার টাচ দেখাবে এবং উপরে বিভিন্ন অক্ষরেখায় ঐ বিন্দুর মান দেখা যাবে।
e) Show surface updates: টিক দেয়া হলে স্ক্রিন ফ্ল্যাশ করে আপডেটগুলো নির্দেশ করবে।
f) Show layout bounds : টিক দিলেই স্ক্রিনের বিভিন্ন কিছুর রঙিন মার্জিন দেখা যাবে।
g) Force RTL layout direction : টিক দেয়া হলে আরবী লেখা যেমন ডানদিক থেকে শুরু হয় তেমনি স্ক্রিনের সবকিছুর দিক ডাক দিক থেকে শুরু হবে। 
h) Window Animation Scale, Transition animation scale, Animator duration scale : By default এইগুলোর মান 1 দেয়া থাকে। এগুলোর মান .5 করে দিলে ফোনের স্পিড বাড়বে আশা করা যায়।
i) Simulate secondary display: By default দেয়া থাকে none. ক্লিক করে কোন রেজ্যুলেশন নির্বাচন করলে সেই রেজ্যুলেশনের আরেকটা ডিসপ্লে ফোনের স্ক্রিনে চলে আসবে। 
j) Simulate color space: এখানে by default দেয়া থাকে disable. ক্লিক করলে disable ছাড়াও আরো কয়েকটা আইটেম পাবেন। একেকটা নির্বাচন করলে ফোনের ডিসপ্লের কালার একেক রকম হবে। যেমন, আপনি যদি Monochromacy নির্বাচন করেন তাহলে পুরো ডিসপ্লে সাদাকালো হয়ে যাবে। অন্যগুলো নির্বাচন করলে রঙ একেক রকম হবে।

আরো অনেক ফাংশন আছে এই Developer Option এ। আমার পরামর্শ থাকবে অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন কিছু না করাই ভাল। কোন অপশনে কি করেছেন সেটা যদি মনে রাখতে পারেন তাহলে ভুলভাল কিছু করলেও সেখান থেকে আগেরটা নির্বাচন করে দিলে ফোন ঠিক হয়ে যাবে। 

সবাইকে ধন্যবাদ।

এন্ড্রয়েড চোর ধরুন


আপনার মূল্যবান এন্ড্রয়েড ফোনটি হারিয়ে গেলে কি করবেন? কি করবেন যদি কেউ চুরি করে বা ছিনতাই হয়ে যায়? 

শখের ফোনটি হারিয়ে পাবার আশা ছেড়ে দেবার আগে ফিরে পাবার একটা চেষ্টা করা যায়। আসুন দেখা যাক কিভাবে ফোনটি বেহাত হয়ে গেলেও ফোনটি লক করবেন, ফোনে সেভ করা ডাটার অপব্যবহার হবার আগেই মুছে ফেলবেন। আপনার ফোনটি কোথায় আছে সেটিও আপনি বের করতে পারবেন যদি ভাগ্য একটু সাহায্য করে। 

বর্তমানের এন্ড্রয়েডগুলোর বেশিরভাগে অপারেটিং সিস্টেম 4.0 অথবা এরচেয়ে উন্নত ধরে নিয়ে লিখছি।

Mobile Anti-theft

আমার মোবাইলে এই এপসটি আগে থেকেই আছে। যদি কারো না থাকে তাহলে Play Store থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। 

Settings থেকে Security অপশনে যান। স্ক্রল করে দেখুন Mobile Anti-theft আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে ক্লিক করুন। ৬ থেকে ১২ অক্ষরের PIN চাইবে। PIN দিন নিজের সুবিধা মত। PIN টি ভুলে যাবেন না। NEXT এ ক্লিক করলে Emergency Contact হিসেবে অন্যকারো ফোন নাম্বার চাইবে। আপনি নিজেরই অন্যফোনের নাম্বার বা আপনার নিকট পরিচিত কারো ফোন নাম্বার Emergency Contact হিসেবে দিতে পারেন। ঐ নাম্বারটি একটি Remote Control এর মত কাজ করবে যা দিয়ে আপনার ফোনের কিছু কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফোন নাম্বার দিয়ে Next চেপে পরবর্তী ধাপে যান। এবার কি কি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন সেগুলো দেখানে। নিচের দিকে দেখুন "Backup the remote control commands to emergency contacts via sms" এর check box আছে। টিক দিয়ে Done ক্লিক করুন। এবার আপনার ফোন থেকে আপনার Emergency Contact এ Command সম্বলিত একটি মেসেজ যাবে। মেসেজটি সংরক্ষন করুন। । 

Mobile Anti-theft অন করার পর পরীক্ষামূলকভাবে ঐ নাম্বার থেকে আপনার মোবাইলে #lock# লিখে মেসেজ পাঠান। দেখবেন মেসেজ ডেলিভারি হবার সাথে সাথে আপনার ফোনটি লক হয়ে যাবে। password ছাড়া এই ফোন আর আনলক হবে না। আনলক করার জন্য যে পিন দিয়ে Mobile Anti-theft চালু করেছিলেন সে পিনটি দিন। যদি আনলক না হয় তাহলে ঐ নাম্বারটি থেকে আপনার নাম্বারে #password# লিখে পুনরায় মেসেজ পাঠান। ফিরতি মেসেজে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ফোনের ডাটা অপব্যবহারের ভয় পেয়ে থাকেন এবং সব ডাটা মুছে ফেলতে চান তাহলে #delete# লিখে ঐ নাম্বার থেকে আপনার ফোনে মেসেজ পাঠান। সব ডাটা মুছে যাবে। 

যদি চোর আপনার ফোনের সীম পালটে ফেলে তাহলেও সমস্যা নেই। নতুন নাম্বার থেকে আপনার Emergency Contact এ মেসেজ আসবে। যতবার পরিবর্তন করবে ততবারই আসবে। 

যাদের মোবাইলে Mobile Anti-theft অপশনটি নেই তারাও এই সুবিধাটি পেতে পারেন Android device manager এর মাধ্যমে। ADM এর মাধ্যমে বাড়তি যে সুবিধাটি পাবেন সেটি হল আপনার ফোনটি কোথায় আছে সেটাও জানতে পারবেন। 

এই সুবিধাটি পেতে আপনার Gmail একাউন্ট দিয়ে Play Store এ লগইন করা থাকতে হবে। কাজেই Gmail একাউন্ট না থাকলে খুলে নিয়ে প্লে স্টোরে লগইন করে ফেলুন। 

এবার Settings থেকে Security তে গিয়ে Device Manager এ ক্লিক করুন। Android Device Manager এর পাশের Check Box এ টিক দিয়ে বেড়িয়ে আসুন। 

এবার কোন কম্প্যূটার বা ফোনের ব্রাউজারে ঢুকে ADM এর ওয়েব সাইট https://www.google.com/android/devicemanager এ যান। সাইটে প্রবেশ করতে হলে আপনার Gmail আইডি পাসওয়ার্ড লাগবে। আইডি-পাসওয়ার্ড দিলেই দেখবেন আপনার Gmail আইডি দিয়ে যতগুলো এন্ড্রয়েডের Play Store বা গুগলের অন্যকোন সাইটে লগ ইন করা আছে সবগুলোর লিস্ট দেখাচ্ছে। সেখান থেকে যে ফোনটির সাথে আপনি সংযোগ স্থাপন করতে চান সেটি নির্বাচন করুন। তারপর Ring,Lock, Erase অপশন পাবেন। Ring এ ক্লিক করলে আপনার ফোনটি ৫ মিনিট ধরে বাজতে থাকবে। Lock এ ক্লিক করলে পাসওয়ার্ড চাইবে। আর Erase অপশন দ্বারা মোবাইলের সব ডাটা মুছে ফেলতে পারবেন। 

আর আপনার ফোনে যদি ইন্টারনেট কানেকশন ও লোকেশন সার্ভিস চালু অবস্থায় থাকে তাহলে ADM এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা মাত্রই আপনার ফোনটি কোথায় আছে সেটি Map এ দেখাবে। 

আশা করি করতে পেরেছেন। কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে বা জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। 

একটা কথা মনেরাখা দরকার চুরি যাওয়া ফোন একা একা উদ্ধার অভিযানে নামলে সমূহ বিপদের ঝুকি থাকে। পুলিশের সাহায্য নিন। তাদের কাছে আরো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে।

আজ এই পর্যন্তই।

ডাঃ জাকির কি মাযহাব বিরোধী?


ডা. জাকির নায়েক কি মাযহাবের বিরোধীতা করেন? 

ডা. জাকির নায়েকের যে কয়েকটা লেকচার আমি দেখেছি কোন লেকচারেই "মাযহাবীরা মুশরিক / কাফের" বা মাযহাবের ঈমামগনের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে দেখিনি। যতটুকু দেখেছি তিনি এমনটা বলে থাকেন যে, আমাদের মান্য করা উচিত কুরআন ও সহীহ হাদিস। এই কথা শুধু তিনি নন, সবাই বলেন। 

ঢাকাস্থ পিস পাবলিকেশনের জাকির নায়েকের লেকচার সিরিজ-৭ বইটা আমার সংগ্রহে আছে। এই বইয়ের শিরোনাম হল, "ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের কিছু সাধারন প্রশ্নের জবাব" । বইটিতে অমুসলিমদের ২০ প্রশ্ন ও তার জবাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন এরকম আছে যে, "সকল মুসলমান যখন একই আল্লাহর কিতাব 'আল কুরআন' মেনে চলে, তাহলে তাদের মধ্যে এত উপদেশ [আমার ধারনা শব্দটা উপদেশ না হয়ে দল-উপদল অথবা বিভক্তি হবে] কেন? তাদের চিন্তা-চেতনায় এত পার্থক্য কেন? 

উত্তরে ডা. জাকির নায়েক প্রথমেই মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ প্রসংগে কুরআন-হাদীস থেকে উদ্ধৃতি দেন। এক পর্যায়ে বলেন,

"আমাদের অবশ্যই ইসলামের সুবিজ্ঞ মহান আলেমদের প্রতি সম্মান জানাতে হবে, যাদের মধ্যে রয়েছে চার ইমামঃ যথা ইমাম আবু হানীফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল এবং মালিক (রঃ) আল্লাহ তাঁদের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করুন। তাঁরা ছিলেন ইসলামের জ্ঞানে সুবিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। আল্লাহ তাঁদেরকে তাঁদের জ্ঞান-গবেষণার জন্য উত্তম পুরস্কার দান করুন। সর্ব সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউ ইমাম চতুদষ্টরের মধ্যে কারো অনুসরণ করলে কোন ক্ষতি নেই; কিন্তু 'তুমি কে?' এই প্রশ্নের উত্তরে তাকে বলতে হবে যে, আমি একজন মুসলিম।" 

অন্যত্র তিনি বলেন, "একজন খাঁটি মুসলমানের উচিত হল আল্লাহর কিতাব আল কুরআন এবং তাঁতে রাসূলের সহীহ হাদীসসমূহের নির্দেশ মেনে চলা। সে যে কোন ইসলামি বিশেষজ্ঞের মত অনুসরণ করতে পারে, যদি সে বিশেষজ্ঞ আল কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসারী হয়ে থাকে। কিন্তু যদি তার মত আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সহীহ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে তার মতের কোন মূল্যই নেই -- এতে সে যত বর বিশেষজ্ঞই হোক না কেন।" 

এই কথাগুলোর সাথে কোন মুসলিম দ্বিমত করবেন বলে আমি মনে করি না। কাজেই ডা. জাকির নায়েক প্রচলিত চার মাযহাবের বিরোধীতা করেন নি। ব্যতিক্রম হলে, আপনি প্রমাণ পেশ করুন। 

আল্লাহই সর্বজ্ঞ!

ডাঃ জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের খন্ডন


প্রায়ই ডাঃ জাকির নায়েক সম্পর্কে একটা অভিযোগ শুনি যে তিনি বলেছেন, "আল্লাহ তায়ালাকে 'ব্রক্ষা', 'বিষ্ণু' প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে।" এই কথার উপর ভিত্তি করে আমরা অনেকেই তাকে নানান উপাধিতে ভূষিত করি। এই অভিযোগ কতটুকু সত্য সেটাই আজকে যাচাই করলাম। 

ডাঃ নায়েক এই বিষয়ে আলোচনা করেছে তার "The Concept of GOD in major Religions" লেকচারে। মূল লেকাচারের ডাবিংকৃত বাংলা সিডি আমার কাছে আছে। সেখান থেকেই তার বুলি তুলে দিচ্ছি, 

"আরেকটি চমৎকার বিশেষণ যার উল্লেখ আছে ঋগবেদে। এখানে স্রষ্টাকে ডাকা হচ্ছে ব্রক্ষা নামে। এটা ঋগবেদের গ্রন্থ ২, অধ্যায় ১, অনুচ্ছেদ ৩ এ উল্লেখ করা আছে। ব্রক্ষা অর্থ সৃষ্টিকর্তা। যার অর্থ আরবিতে খালিক্ব। আমাদের মুসলমানদের কোন আপত্তি নেই যদি কেউ আল্লাহ সুবহানা তায়ালাকে ডাকে খালিক্ব, সৃষ্টিকর্তা বা ব্রক্ষা নামে। কিন্তু কেউ যদি বলে ব্রক্ষা হল সেই সৃষ্টিকর্তা যার চারটি মাথা আছে, প্রত্যেক মাথায় একটি করে মুকুট আছে এবং তার চারটি হাত আছে; আমরা মুসলমানরা তাতে প্রবল আপত্তি জানাবো। এছাড়াও এটা নিষেধ করা হয়েছে যযুর্বেদের অধ্যায় ৩২, অনুচ্ছেদ ৩ এ। "না তাস্থি প্রতিমা আস্থি" স্রষ্টার কোন প্রতিমূর্তি নেই। 

আরো একটি ব্যাপার হল, স্রষ্টাকে ঋগবেদে গ্রন্থ ২, অধ্যায় ১, অনুচ্ছেদ তিনে আরেকটি চমৎকার নামে ডাকা হয়েছে। সেটি হল বিষ্ণু। বিষ্ণু অর্থ রক্ষাকারী। এই বিষ্ণু শব্দকে আরবী করলে এর মানে হবে রব। আমাদের মুসলমানদের কোন আপত্তি নেই যদি কেউ আল্লাহ সুবহানু তায়ালাকে 'রব', পালনকর্তা, 'বিষ্ণু' বা রক্ষাকারী বলে ডাকে। কিন্তু কেউ যদি বলে বিষ্ণু হল সেই সৃষ্টিকর্তা যার চারটি হাত আছে আর তার ডানহাতে একটি সুদর্শন চক্র আছে আর তার বামহাতে ধরা আছে একটি শাখ, আর তিনি পাখির পিঠে চড়েন অথবা সাপের পিঠে চড়ে বসেন; আমরা মুসলমানরা তাতে প্রবল আপত্তি জানাবো। বরং যযুর্বেদের অধ্যায় ৪০, অনুচ্ছেদ ৮ এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঈশ্বর হলে নিরাকার।"

পোস্ট শেষ। বিচারের ভার বিবেকের উপর সাবস্থ্য করলাম। তার বক্তব্য কি ছিল এবং আমরা তার বক্তব্যকে কিভাবে উপস্থাপন করেছি। 

আল্লাহই সর্বজ্ঞ!






“এই ধারনার দ্বারাও নিঃসন্দেহে ডাক্তার জাকির নায়েক কাফির কাফির কাফির! যে সন্দেহ করবে সেও কাফির হয়ে যাবে”। 

[যেকোন ধরনের ফালতু কমেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।] 

জ্বী না। উক্ত ফতোয়া আমি দেই নি। দিয়েছেন জৌনপুরের পীর সাহেব ড. সৈয়দ মুফতী মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব। ফতোয়ার যে কপিটুকু আমার কাছে পৌছেছে সেটা সম্ভবত একটা স্ক্রিনশট এবং স্ক্রিনশট কারো ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। কাজেই জৌনপুরের পীর সাহেব আসলেই এই ফতোয়া দিয়েছেন কিনা সেটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। আসুন দেখা যাক কিসের উপর ভিত্তি করে ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এত কঠোর ফতোয়া দেয়া হল।

অভিযোগ হল, ডা. নায়েক স্বীকার করেছেন যে কুরআনে ব্যকরণগত ভুল আছে। রেফারেন্স হিসেবে ডা. জাকির নায়েকের লেকচারসমগ্রর প্রথম খন্ডের ৫১২ নং পাতার কথা বলা হয়েছে। হার্ড কপি না থাকায় নেট থেকে পিডিএফ লোড করে রেফারেন্স চেক করতে হল। চেক করতে যেয়ে দেখি এটা ডা. ক্যাম্পবেলের সাথে ডা. জাকির নায়েকের আলোচনার অংশ। সৌভাগ্যবশত এই আলোচনার সিডি আমার কাছে ছিল। দীর্ঘআলোচনার ঐ অংশটুকু একসময় আমি খুজে পাই। 

আলোচনার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ডা. জাকির নায়েককে এক ব্যাক্তি যে প্রশ্নটি করেন সেটি হবহু তুলে দিচ্ছি ভিডিও থেকে। 

“ডা. নায়েক আপনি বললেন যে কুরআন শরীফে নাকি কোথাও কোন ভুল নেই। আমি কুরআনে ২০টারও বেশি ভুল দেখতে পাচ্ছি। সেটা আরবী ব্যাকরনে।এখন তার কয়েকটা আমি আপনাকে বলছি। “ইন্নাল্‌লাযিনা আমানু ওয়াললাযি না হাদু ওয়াসাবিঊন” এটা আছে সুরা বাকারায়। আর সূরা হাজ্বে “ইন্নাল্‌লাযিনা আমানু ওয়াললাযিনা হাদু ওয়াসাবিই’ন”। এখানে কোনটা ঠিক? সাবিঊ’ন নাকি সাবিই’ন?এক নম্বর। 

দুই নম্বর হল, কুরআনে আছে, হ্যা, কিন্তু এছাড়াও আরো আছে। সূরা ত্বাহার ৬৩ নম্বর আয়াতে আছে, “ইন্নাহা যানি লিছাহিরান” ভুল। “ইন্নাহা যাইনি লিছাহিরান”। এটার কি ব্যাখ্যা দেবেন?

[এই পর্যায়ে সঞ্চালক বলেন সময় স্বল্পতার কারনে তার প্রথম প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে এবং ভদ্রলোক তাতে সম্মত হন।] 

ডা. জাকিরের উত্তর, “ভাই, আপনি খুব সুন্দর একটা প্রশ্ন করেছেন। আমি আরেকটু সহযোগীতা করতে চাই যে, হ্যা, আপনি সবগুলো ব্যাকরণগত ভুলের কথাই বলেন। আর আপনার হাতের বইটা লিখেছে আব্দুল ফাদি। ঠিক? Is the Quran enviable? আমিও দেখতে পাচ্ছি, হ্যা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালই দেখতে পাই। 

আমি এই ২০ টা ভুলের সবগুলোর উত্তর দেব। কারন আমি বইটা পড়েছি। আমি সবগুলোর উত্তর দেব ইন শা আল্লাহ। এক নম্বর পয়েন্ট ভাই, এক নম্বর পয়েন্ট। এখানে এক নম্বর পয়েন্ট হল যে, আরবী সব ব্যাকরণ এসেছে কুরআন থেকে। কুরআন হল সর্বোচ্চ আরবী বই। যে বইটাতে সবচাইতে উচু মানের সাহিত্য আছে। আরবী ভাষার সব ব্যাকরণ এসেছে কুরআন থেকেই। কুরআন হল ব্যাকরণের মূল গ্রন্থ। আর কুরআন যেহেতু ব্যাকরণের মূল গ্রন্থ, সব ব্যাকরণ এসেছে কুরআন থেকে, কুরআনে কোন ভুল থাকতে পারে না। এক নম্বর পয়েন্ট।[***point to be noted carefully] 
দুই নম্বর পয়েন্ট। ব্যাপারটা এরকম যে, আপনি একটা রুলার নিলেন, সেই রুলারের গায়ে দাগ কাটা আছে, তারপর আপনি বললেন যে, মাপটা ভুল হয়েছে। এটা বেশ অযৌক্তিক। দুই নম্বর পয়েন্ট, আরবে বিভিন্ন আলাদা আলাদা গোত্রে, আপনি যদি আরবী জানেন, আর ডা. উইলিয়াম ক্যাম্পবেল আমার সাথে একমত হবেন যে, আরবের গোত্রগুলোর মধ্যে ব্যাকরণ মাঝে মাঝেই বদলে যায়। কিছু কিছু আরবী গোত্রে যে শব্দটা স্ত্রীবাচক, অন্য আরেক গোত্রে সে শব্দটাই স্ত্রীবাচক। একই শব্দ তবে গোত্রভেদে ব্যাকরণ বদল হতে থাকে। এমনকি শব্দের লিঙ্গও বদলে যায়। তাহলে আপনি কি কুরআনকে সবগুলো ব্যাকরণ দিয়ে পরীক্ষা করবেন? না। আর এছাড়াও কুরআনের ভাষা এত উচুমানের যে, এতই উঁচু মানের, এর কাছাকাছি কোন সাহিত্য নেই। আর কুরআনের বিরুদ্ধে অনেক বই আছে, ইন্টারনেটে গেলে দেখবেন, ১২ টা ব্যাকরণে ভুল, ২১ টা ব্যাকরণে ভুল। আব্দুল ফাদি, ২০ টা ব্যাকরণে ভুল। আপনাদের কি ধারনা খ্রিষ্টানরা এই বইগুলো বের করেছে? কারা এই বই বের করেছে? জানেন কারা করেছে? মুসলমানরাই, মুসলমান পন্ডিতরা, যেমন জাবাব সারি। তারাই এই বইগুলো বের করেছেন। কুরআনের ব্যাকরণ এত উঁচু মানের যে, কুরআনের ভাষা মাঝে মধ্যেই প্রচলিত আরবীর বিরুদ্ধে যায়। কুরআনের ব্যাকরণ এত উঁচুমানের, কুরআনের ব্যাকরণ এতই উঁচুমানের, এইজন্যই তারা উদাহরণ দিয়েছে। আমিও কয়েকটি উদাহরণ দেব। এতেই আপনারা সবগুলো উত্তর পেয়ে যাবেন।

তারা উদাহরণ দিয়েছে যে, কুরআনে লেখা আছে, লূত (আঃ) এর গোত্রের লোকজন তারা সকল নবীকে ত্যাগ করেছে। বলা আছে সব নবীকে তারা বর্জন করেছে। ডা. উইলিয়াম ক্যাম্পবেল বললেন, নূহ নবীর গোত্রের লোকজন তারা সব নবীকে ত্যাগ করেছে। আমরা ইতিহাস থেকে জানি মাত্র একজন নবীকে তাদের গোত্রে পাঠানো হয়েছিল। তাহলে এইখানেও ব্যাকরণে ভুল আছে।কুরআনের বলা উচিত ছিল একজন নবীর কথা, বহুবচন না। আর আমি একমত,[#point_to_be_noted_again ] আর আমার-আপনার মত লোকের কাছে মনে হবে, এটা ব্যাকরণের ভুল। কিন্তু যদি আপনারা আরবদের লেখা বইগুলো পড়ে থাকেন, কুরআনের আসল সৌন্দর্য্যটা কি? সৌন্দর্য্য হল, কুরআনে কেন একজন নবীর কথা না বলে নবীদের কথা বলা হয়েছে। আপনারা জানেন কেন? কারন আমরা জানি, সব নবীদের হেদায়েতের বাণী মূলত একটাই, যে ঈশ্বর একজনই। তৌহিদের বাণী, আল্লাহ সুবহানা তায়ালার বাণী। লূত (আঃ) এর লোকজন এবং নূহ (আঃ) এর লোকজন তাদের নবীকে ত্যাগ করেছিল। আর পরোক্ষভাবে তারা নিজদের নবীকে ত্যাগ করে সব নবীদেরই ত্যাগ করেছে”। 

মন্তব্য ১. জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্রর সমস্যা হল উনার ভিডিওর বক্তব্যের সাথে বইয়ের লেখার সামঞ্জস্যের অভাব। দেখা যায়, উনি একটা কথা বলেছেন একভাবে কিন্তু বইয়ে লেখাতে এসেছে অন্যভাবে। এসব ক্ষেত্রে লেখার সাথে ভিডিওর বক্তব্য মিলিয়ে দেখে তারপর মন্তব্য করা দরকার আমাদের। উক্ত ফতোয়ায় এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব এই শ্রমটুকু দিয়েছেন কিনা আল্লাহই ভাল জানেন। 

মন্তব্য ২. Point to be noted again অংশটুকু আরেকবার পড়ুন। স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে যে, ডা. জাকির নায়েক এই ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, আমার-আপনার মত লোকের কাছে মনে হবে এটা কুরআনের ব্যাকরণগত ভুল। এই “একমত” এর বিষয়টা যখন পূর্ববর্তী লাইন অর্থাৎ “তাহলে এইখানেও ব্যাকরণে ভুল আছে।কুরআনের বলা উচিত ছিল একজন নবীর কথা, বহুবচন না” –এর সাথে একত্রে ভাবা হয় তখন ডা. নায়েকের কথার সম্পূর্ণ উলটো অর্থ দাঁড়ায়। এটা ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত, আল্লাহই ভাল জানেন। 

মন্তব্য ৩. ফেসবুকের হোমফিডে প্রায়ই একটা হাদিস আসে, যেটির মর্মার্থ এমন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বলেছেন, “কোন ব্যাক্তি অপর কোন ব্যাক্তিকে কাফের বললে দু’জনের একজন অবশ্যই কাফের হবে”। সংযুক্ত ছবি অনুযায়ী জৌনপুরের পীরসাহেব ড. সৈয়দ মুফতী মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ডা. জাকির নায়েককে কাফির বলেছেন, সন্দেহকারীকেও কাফির বলেছেন। 

কে কাফির হয়ে মারা যায় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা! 

[পোস্টের ভুলত্রুটি সহনশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল]

পুলিশ


ঈদের নামায পড়ার পর কাল ঘন্টা দুয়েক ঘুমিয়েছি। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে সোজা অফিসে। অফিসে যাবার পথে বাসে বসে ভাবছিলাম আজকে যদি কোন কারনে আমি মারা যাই তাহলে আমার পরিবারের উপর কি প্রভাব পড়বে। অন্যকারো কথা বলার আগে মায়ের কথাই বলি। তিনি যতদিন বেঁচে থাকতেন ঈদের আনন্দ তার কাছে মাটি মাটি লাগত সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। 

একই অবস্থা গতকাল যেসব পুলিশ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। কি অবস্থা তাদের জন্মদাত্রীর? তাদের স্ত্রীগনের? অথবা সন্তানদের? 

অন্যদেশে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কোন পুলিশ নিহত হলে তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয়। কিন্তু এদেশে এটা কোন ঘটনাই না। যেন ঈদের দিন মুসল্লীদের সুরক্ষা দিতে পুলিশ মারা যাওয়াটা নিতান্তই স্বাভাবিক ঘটনা। 

আর আমরাতো আছিই। কে কত ঘুষ খেয়েছে, কতজনকে লাথি-ঘুষি মেরেছে সে হিসাব দিয়ে দিব সাথে সাথে। আপনার আমার জীবন রক্ষার্থে পুলিশ যে নিজের জীবন দিল সেটা ভাবার ফুসরত নেই আমাদের। যে লোকটা জীবনই দিয়ে দিল তার কাছে আর কি চাই আমরা? 

চিন্তা করা দরকার, শোলাকিয়ার ঘটনায় যদি পুলিশ সদস্যরা প্রহরারত না থাকতেন তবে কতজন হতাহত হত। হতাহতদের মধ্যে আমার আপনার পরিবারের সদস্যগন থাকতে পারতেন। পুলিশদের দায়িত্বশীল আচরণের কারনে ঘটনা সেদিকে গড়ায় নি। 

সাধারন লোকদের কথা বাদই দিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি করলেন? তিনি তার নির্ধারিত ঈদের দিনের কর্মসূচি বাদ দিয়ে পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সময় দেন নি। অন্যান্য দলের নেতা কর্মীদের কথা বাদই দিলাম। পুলিশ না মরে যদি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা মারা যেত তাহলে কাহিনী পুরো উলটো হত। 

সুপার হিরোদের আমরা কমিক্সে আর মুভির পর্দায় দেখেছি। তারা অনেক কিছু করে কিন্তু নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পারে না। আর কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। নিহত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি না। আমার দুঃখ লাগে আমাদের, নিজেদের কথা ভাবলে। 

Shame on us!

নারীবিদ্বেষী


আমি একজন কেয়ারটেকার, তাই সংসারের বাজার-সদাই আমি করি।

আমি একজন ক্লিনার, তাই টয়লেট, বাথরুম পরিষ্কারের দায়িত্ব পালন করি। ফ্যানের ব্লেডের ময়লা সাফ করি।

আমি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান, তাই ঘরে বাতি লাগাই; টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার ইত্যাদি যথাযথভাবে সেট করি।

আমি একজন পাইপ ফিটার, বেসিনের পাইপ জ্যাম হয়ে গেলে ছুটাতে হয়।

আমি কুলি বলে বেড়াতে গেলে, শপিং এ ভারী ব্যাগগুলো বহন করি।

আমি একজন সেনাপতি, তাই পারিপারিক বিপদ-আপদ নিজের ঘাড়ে নিয়ে অন্যদের নিরাপত্তাদানে সচেষ্ট থাকি।

আমি হোম সার্ভিস প্রোভাইডার। কাজেই ময়লার বালতি পরিষ্কার করি, লেপ-তোষকের পরিচর্যা করি।

আমি একজন পুরুষ, তাই উপার্জনের দায়িত্ব পালন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। 

*আমি এত কিছু, তারপরও হেটার্সরা বলবে আমি নারীবিদ্বেষী!*

যাকাতের বরকত


হয় আপনি টাকা দিবেন, নাহলে টাকা আপনার হাত ফসকে বেড়িয়ে যাবে। পার্থক্য হল টাকা দিলে আপনি নিরাপদ থাকবেন, না দিলে পড়বেন কোন বিপদে।

জ্বী, যাকাতের কথাই বলছি। প্রতি বছর যাকাতের সময় আসলেই দেখি সাধারন মানুষতো বটেই দ্বীনদার বলে পরিচিত অনেকেই যাকাত দিতে গড়িমসি করেন। পাছে যাকাত দিতে হয় এই ভয়ে ক্যাশ টাকা হাতে রাখেন না। যাকাতের সিজন আসার আগে আগে জমি কিনে ফেলেন বা কোন আসবাবপত্র কিনেন। অনেকে হয়ত ঈদের সিজন বলে "বাড়তি" খরচের মধ্যে টাকা হিসেব করেন। যারা যাকাত দেন তারাও দেখা যায় ঠিকমত হিসেব করেন না। স্বর্ণালংকার না মেপে, বাজার দরের হিসেব না করে, থোক বরাদ্দের মত থোক যাকাত দিয়ে দেন। এভাবে হয় না, যাকাতের প্রতিটা পয়সার পাই পাই হিসেব দিতে হবে। 

যাকাতের মাধ্যমে লাভটা আমাদের চোখের সামনে ভাসে না বিধায় আমরা খুশি মনে যাকাত আদায় করে পারি না। দেখা গেল যাকাত আসত ২০ হাজার টাকা, দিলাম না। পরে এমন কোন অসুখ হল বা একটা বিপদে পড়ে ৫০ হাজার টাকা হাত থেকে বেড়িয়ে গেল। আর বোনাস হিসেবে পেরেশানীতো আছে। যাকাত আদায় করে দিলে হয়ত আল্লাহ তায়ালা এই বিপদে আমাকে গ্রেফতার করতেন না। আর পারিপার্শ্বিক উপকারতো আছেই। 

হে আল্লাহ আমাকে তোমার পূর্ণ অনুগত কর। আমীণ।

উপাধী-২


অনলাইন আমাকে অনেক উপাধি দিয়েছে। তারমধ্যে নতুন হল তার্কিক উপাধী। বিভিন্নজনের বিভিন্ন অসংগতি যখন চোখে পড়ে তখন চুপ থাকতে কষ্ট হয়। প্রশ্ন করি, উত্তর পেয়ে আবারো প্রশ্ন করি। হয়ে যাই তার্কিক, তর্কবাজ! 

সবক্ষেত্রে আমিই ঠিক এমনটা নয়। দেখাযায় প্রায়ই ভুল বুঝি। ভুল বুঝে প্রশ্ন করার কারনে সঠিকটা জানতে পারি, শিখতে পারি। দুর্বল যুক্তির বিপরীতে সবল যুক্তি সবাই সমানভাবে গ্রহন করতে পারে না। বড়ভাইদের এসবক্ষেত্রে উদার পেয়েছি, তারা মেনে নেন বা না-ই নেন কখনো বিরূপ আচরন করেছেন বলে মনে পড়ে না। জুনিয়ররা অবশ্য অনেক এগ্রেসিভ। তাই জুনিয়র কারো পোস্টে কমেন্ট করার আগে ভাবি কয়েকবার। 

একজনের পোস্ট দেখেছিলাম যে, ২+২ = ৭, ৪+৭ = ১৩ হলে ১১+৮ = কত? জিনিয়াসদের খোজা হচ্ছে এই পোস্টের মাধ্যমে। এবং অসংখ্য জিনিয়াস দেখলাম উত্তর দিচ্ছে মাথা খাটিয়ে। গরুর পালে আমার মত দুই একটা ভেড়া যারা আছেন, তারা কিন্তু পালটা প্রশ্ন করেছেন ২+২ = ৭ কিভাবে হল? 

বলাই বাহুল্য, তারা জিনিয়াস খুজছিল, ভেড়া নয়। তাই প্রতিযোগীতা থেকে আমরা ছিটকে পড়লাম। 

এক মেয়ে আইডি থেকে মাযহাব বিরোধী পোস্ট পড়াতে যখন ছাই দিয়ে ধরলাম তখন লিস্ট থেকে কিক মারা হল উত্তর না দিয়ে। এরপর ইনবক্সে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা! 

এসব ক্ষেত্রে হুমায়ুন আহমেদের একটি ঘটনা আমাকে খুব প্রেরণা যোগায়। এক সাংবাদিক গেল উনার ইন্টারভিউ নিতে। সাংবাদিক দেখেই তিনি বুঝতে পারলেন, এটা ত্যাড়া সাংবাদিক। সাংবাদিক যা বলে উনি তাতেই একমত হয়ে যান। সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 

"সমালোচকরা বলেন আপনার লেখাগুলো হালকা টাইপ!" 

হুমায়ুন আহমেদের জবাব ছিল, "হালকা টাইপ মানে! এগুলো অবশ্যই হালকা এবং ফালতু লেখা। পড়ার অযোগ্য!" 

(হুবহু মনে নেই) 

ইন্টারভিউ আর জমে না। আমাদের ইনবক্সও জমে না। মেয়ে বলে, 

"কোন পনির? খাওয়ার পনির নাকি?" 

"জ্বী, খাওয়ার পনির।" 

"সিহাল পনির নাকি শিয়াল পন্ডিত?"

"শিয়াল পন্ডিত।" 

"বাস্তবেও শিয়াল পন্ডিত নাকি?" 

"জ্বী, বাস্তবেও তাই।" 

ঝগড়ার উদ্দেশ্য সফল হয় না। অথচ আমি যদি মাথা গরম করে কথা বলতাম তাহলে হয়ত সে "মাযহাবীদের অবস্থা" শিরোনামে স্ক্রিনশট দিয়ে দিত। (এমন পোস্ট দিত সে)। 

অনেক সময় কথা বলি একটা কেউ কেউ বোঝে আরেকটা। বুঝিয়ে বলতে চাইলে বলে, তর্ক করতে চাই না। তখন মেজাজটাই খারাপ হয়। মনেহয় পৃথিবীতে আমারই বাড়তি সময় আছে আর কারো নেই। 

এগ্রেসিভ তর্ক আর শিক্ষনীয় তর্কের মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রথম শত্রুতা তৈরি করে আর দ্বিতীয়তা বিজ্ঞতা বাড়ায়!

এন্ড্রয়েডের খুটিনাটি

আমি Walton RM2 মুঠোফোন ব্যবহার করি যার Operating System হল Android 5.0 (Lollipop)। কাজেই এই লেখায় যেসব দিকনির্দেশনার কথা বলা হবে সেগুলো এই ফোনের সাথে মিলবে। অন্যফোনে একটু এদিক সেদিক থাকতে পারে। যারা নতুন Android চালান তাদের কথা মাথায় রেখে এই লেখাটি সাজানো হলেও পুরনো ব্যবহারকারীরাও হয়ত কিছু কিছু ব্যাপার নতুনভাবে জানবেন। আর আপনার কিছু জানা থাকলে অবশ্যই লিখুন।]

১. আমার Android Version কত কিভাবে বুঝব? 

উত্তরঃ Settings থেকে About Phone এ ক্লিক করুন। এখানে Android Version পাবেন। আরেকটু মজা দেখার জন্য Android Version লেখাটির উপর দ্রুত জোরে জোরে ৫ বার চাঁপ দিন। বলুন তো কি পেলেন? 

২. Internet চালু করার সাথে সাথে Data ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিছু Browse না করা স্বত্তেও। কি করব? 

উত্তরঃ Screen উপর থেকে টেনে Shortcut Menu টি আনুন। তারপর দেখুন Background Data নামে icon টি Active আছে কিনা। থাকলে Click করে Inactive করে দিন। কিন্তু Menu তে এই icon না থাকলে Settings এ যান। Wireless & Network এ দেখুন Data Usage আছে। এখানে Click করুন। তারপর Screen এর আয়তাকার বাক্স অথবা তিনটি Dot এ Click করলে কিছু Option আসবে। সেখান থেকে Restrict App Background এ Click করুন। 

বাড়তি সতর্কতার জন্য গুগলের Play Store এ প্রবেশ করুন। Play Store এ প্রবেশ করতে হলে gmail এ account থাকতে হবে। না থাকলে খুলে নিন। Play Store এ প্রবেশ করার পর উপরে বাঁ পাশের কোণায় দেখুন ৩ টি দাগ আছে। ওখানে Click করে Settings এ Click করুন। এবার Auto-updae apps এ Click করে "Do not auto-update apps" সিলেক্ট করে দিন। 

৩. অনেকে অনেক রকম Cleaning Software ব্যবহার করে। কোনটি ব্যবহার করব? Anti Virus ব্যবহার করার দরকার আছে কিনা?

উত্তরঃ আসলে Cleaning Software গুলো কতটুকু কাজের আমার সঠিক ধারনা নেই। Clean Master অতি পরিচিত একটি Cleaning Software. আমি Install করে Clean করতে দিলাম। 1.1 GB পরিষ্কার হল। পরেরদিন আবার দিলাম। আবারো 1.1GB পরিষ্কার হল! কিন্তু একদিনে এত Junk জমার কথা নয়। তখন বিশ্বাস হারিয়ে Uninstall করে দিয়েছি। তাহলে System পরিষ্কার করার উপায় কি? 

বর্তমানের ফোনগুলোতে Built in Cleaner থাকে। সেটা দিয়ে কাজ চলবে। আরো গভীরভাবে করতে হলে-

1. File Manager >> System Storage >> Android >> data >> com.adroid.gallery3d >> cache এ প্রবেশ করুন। এখানে দেখুন imgcache.0 নামের একটি ফাইল রয়েছে যা অনেক mb দখল করেছে। এটি Delete করে দিন। আমি করেছি, কোন সমস্যা হয় নি। মাসে একবার অন্তত এই কাজটি করুন। 

2. ফোনের Screen এর option button চেপে ধরে রাখুন যতক্ষন না screen পরিবর্তন হয়ে যায়। পরিবর্তিত হয়ে কতগুলো app window আসবে। এই app গুলো আপনি recently ব্যবহার করেছেন। প্রতিটি app এর উপর আঙুল দিয়ে ডানদিক থেকে বামদিকে টান দিন। আপনার রিসেন্ট app গুলো অফ হয়ে যাবে।

3. প্রতিটি App এর cache পরিষ্কার করতে হবে। ধরাযাক, আমি Google Chrome এর cache পরিষ্কার করব। স্ক্রিনের গুগল ক্রোম আইকনটি চেপে ধরে রাখলে উপরের দিকে info আসবে। ক্রোম আইকনটি টেনে নিয়ে info লেখার উপর ছেড়ে দিলে ক্রোমের বিস্তারিত হিসাব-কিতাব নিয়ে আরেকটি পেজ আসবে। নিচের দিকে গেলে Clear Cache বাটন পাওয়া যাবে। ক্লিক করুন। আরো গভীরভাবে পরিষ্কার করতে চাইলে Clear Data বাটনে চাপ দিতে হবে। আরো কিছু জায়গা খালি হবে। 

সতর্কতাঃ Clear Data তে ক্লিক করলে ক্রোমের সেভ করা সকল বুকমার্ক, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। মোটকথা, ক্রোম একবারে নতুন হয়ে যাবে প্রথমবার ব্যবহারের মত। 

প্রতিটা App এর ক্ষেত্রে এই কাজগুলো করা যায়। তবে যেসব App আপনি বেশি ব্যবহার করেন এবং বেশি জায়গা দখল করেছে সেগুলোর ক্ষেত্রে করুন। ছোটগুলোকে রেহাই দিন। 

৪. Backup and Restore

নতুন মডেলগুলোতে এই নামে একটা App থাকে। না থাকলেও সমস্যা নেই। Clean Master জাতীয় সফটওয়্যার দিয়ে ব্যাকআপ নেয়া যায়। 

Backup and Restore এপটি দিয়ে ফোনবুক, মেসেজ, ছবি, সমস্ত এপস ব্যাকআপ রাখা যায়। আপনি যদি নতুন ফোন নিয়ে থাকেন তাহলে পুরনো মোবাইলের সবকিছু নতুন মোবাইলে নিতে পারবেন। সেজন্য প্রথমে এই এপটি দিয়ে ব্যাকআপ তৈরি করতে হবে। যদি আপনার কন্টাক্ট লিস্ট ব্যাকআপ নিতে চান তাহলে Backup and Restore >> Personal Data তে ক্লিক করুন। দেখবেন Contact, Message, Picture ইত্যাদি লিস্ট এসেছে। Contact সিলেক্ট করে Back up to SD Card এ ক্লিক করুন। ব্যাকআপ ফাইলটি কি নামে (ধরি, phone numbers) হবে সেটি লিখে দিয়ে OK করুন। এরপর এখান থেকে বের হয়ে File Manager >> SD card >> data তে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবে phone numbers নামে একটা Folder তৈরি হয়েছে। এই ফোল্ডারটি নতুন ফোনে Bluetooth, Share it দিয়ে নিন। তারপর Folder টির ভিতরে ঢুকে Contacts.vcf ফাইলটিতে দু'বার চাপ দিন। এখন পুরনো ফোনের সব নাম্বার নতুন ফোনে চলে এল। (এই পদ্ধতি Android থেকে Android ফোনে কাজ করবে। Symbian বা i-phone এ কাজ করবে কিনা জানি না।)

এই এপটি ব্যবহার করে আপনার সকল এপের ব্যাকআপ তৈরি করে নিন। কেন সেটা বলছি।

৫. ফোন ধীরগতিতে কাজ করে। কি করা? 

উত্তরঃ এন্ড্রয়েড ফোন স্লো হয়ে যাওয়া খুব কমন সমস্যা।হার্ডওয়্যারগত কোন সমস্যা না থাকলে দেখে নেয়া যাক কি কি কারনে ফোন স্লো হতে পারে।

ক) এন্টিভাইরাসের ব্যবহারঃ এন্টিভাইরাসের ব্যবহার আপনার ফোনকে ধীরগতির করে দিবে। কয়েকমাস এন্টিভাইরাসসহ ফোন ব্যবহার করে তারপর এন্টিভাইরাস আনইন্সটল করে দেখলে পার্থক্য সহজেই টের পাওয়া যায়। আমার মতে, একজন সাধারন ব্যবহারকারীর জন্য এন্টিভাইরাসের কোন দরকার নেই। একটু সতর্ক হলে ফোন নিরাপদে বহুদিন ব্যবহার করা যায়। ভাইরাস থেকে ফোন নিরাপদ রাখতে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ছাড়া আজেবাজে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করবেন না। ফেসবুক, ইয়াহু, গুগলের সাইটসমূহ ইত্যাদি স্বনামধন্য সাইটসমূহ নিরাপদ সাইট। আপনি গুরুত্বপূর্ণ কেউ হলে এন্টিভাইরাসের Paid Version ব্যবহার করুন। 

খ) অহেতুক এপসের উপস্থিতিঃ কাউকে কাউকে দেখেছি ফোন কেনার পর যে সফটওয়্যার পায় সব ইন্সটল করা শুরু করে। এমন করা থেকে বিরত থাকুন। গতকাল সব এপসের ব্যাকআপ নিতে বলেছিলাম। এখন কাজ শুরু করা যাক। 

আপনার এপস্‌গুলোর দিকে নজর দিন। আমি আমার ফোনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, Backgrounds, Backup and Restore, BD Data Plan ........... এভাবে A-Z সাজানো আছে নামানুযায়ী। এভাবে Sort করতে চাইলে ডানদিকের উপরের কোন তিন দাগ (option) এ চাপ দিন। তারপর দেখুন Sort by থেকে Alphabetical নির্বাচন করুন। এখন এপসগুলোর মধ্যে আপনি ঠিক করুন কোন এপসটি আপনার প্রয়োজন নেই বা আপনি ব্যবহার করেন না। সেটি Uninstall করে দিন। অনেকে আবার একই রকম একাধিক সফটওয়ার Install করে থাকেন। যেমন, whats app, viber, imo, skype ইত্যাদি মেসেজিং এপস। এদের মধ্যে যেটা আপনার জন্য দরকার সেটা রাখুন। বাকিগুলো Uninstall করে দিন। এমনিভাবে Google Chorme, Opera Mini, Firefox, UC Browser, Tor Browser - ইত্যাদি ব্রাউজারের মধ্যে যেটা ব্যবহার করে আপনার ভাল লাগে সেটা রেখে বাকিগুলো Uninstall করে দিন। Uninstall করা এপসগুলো পুনরায় দরকার হলে Back up থেকে আবার Install করে নিন। 

গ) আপডেট করাঃ কিছু কিছু এপস দেখবেন দু'দিন পরপরই আপডেট চায়। আপডেট করতে থাকলে সাধারনত এপসের আকার বাড়তে থাকে। ইন্টারনেট ভিত্তিক গেমগুলো ছাড়া অন্যকোন App ঘন ঘন আপডেট না করলেও চলে। যেমন, Google Chrome বছরে একবার আপডেট করতে পারেন। আপডেট না করে পুরনো ভার্সণ Uninstall করে Play Store থেকে নতুন ভার্সণ ডাউনলোড করে নিলে আরো ভাল। 

ঘ) Weak Network: এটা আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন বলতে পারেন। Network এর দুর্বলতার কারনে অনেক সময় ফোন গরম হয়ে irresponsive হয়ে যায়। একটু সময় নিন। প্রয়োজনে ফোন Restart দিন। ঠিক হয়ে যাবে। 

ফোনের মেমোরী খালি রাখতে নিচের কাজগুলো করতে পারেন।

ক) Apps Disable : কিছু কিছু এপসে দেখবেন Uninstall করার Option আসে না। এগুলো হল System App. এই এপগুলোর মধ্যে অনেকগুলো আপনার নাও প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, কোথাও বেড়াতে না গেলে আমাদের Maps এপটি দরকার পরে না। এটা যেহেতু Uninstall করা যাবে না (বিশেষ সফটওয়্যার ছাড়া) সেহেতু এটা বন্ধ করে রাখতে হবে। Maps এর উপর আঙুল দিয়ে চেপে ধরে রাখুন যতক্ষন না উপরে info এবং remove না আসে। চেপে ধরে রাখা অবস্থায় Maps কে টেনে ধরে info এর উপর ছেড়ে দিন। এবার যে নতুন পাতা আসবে সেখানে Disable বাটনে ক্লিক করুন। ডিসেবল করা এপস পুনরায় চালু করতে চাইলে Settings>> Apps >> Disabled এ যান। এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় Apps টিতে ক্লিক করলেই Enable অপশনটি আসবে। ক্লিক করুন। হয়ে যাবে। 

সতর্কতাঃ Settings এপটি আবার Disable করে দেবেন না। ডিসেবল করার মত এপগুলো হতে পারে Drive, Gmail, Google Play Games, Hangouts, Messenger, News & Weather ইত্যাদি। (এগুলো আমি ব্যবহার করি না তেমন একটা। তাই আমার ফোনে এগুলো ডিসেবল করা আছে। আপনার যেগুলো লাগে না, আপনি করতে পারেন।) 

খ) ভালমানের মেমোরী কার্ড ব্যবহার করাঃ পেন ড্রাইভ, মেমোরী কার্ড প্রভৃতির দাম নির্ভর করে মূলত কত জিবি এবং স্পীড কত তার উপর। ১৬ জিবির মেমোরী কার্ডের দাম ব্যান্ড ভেদে ভিন্নতর হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে ব্র্যান্ডের Data Transfer Rate বেশি সেটি একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও কিনুন। 

গ) Junk Cleaning: জাংক ফাইল ডিলিট করার ব্যাপারে আগেই বলা হয়েছে। এছাড়া ফোনবুকে যেসব নাম্বার একাধিকবার Save করা আছে সেখান থেকে মূলটি রেখে অন্যগুলো ডিলিট করুন। অপ্রয়োজনীয় সব মেসেজ Delete করে দিন। 

ঘ) Factory data reset: যদি আপনার এন্ড্রয়েডের ভার্সন পুরনো হয় তাহলে System Apps গুলো ডিসেবল করা যায় না। আর এটা সেটা অনেককিছু করার পরও যদি আশানুরূপ গতি ফোনে না পাওয়া যায় তাহলে সর্বশেষ উপায় হল Factory data reset করা। এটা করলে মোবাইলের সব ডাটা মুছে যাবে। কাজেই Factory data reset করার আগে ফোনবুক, মেসেজ, ছবি, অডিও-ভিডিও ফাইল, ব্যাক আপ করা সবগুলো এপস মেমোরী কার্ডে নিয়ে নিন। তারপর Settings>>Backup & reset>>Factory data reset করুন। Confirmation চাইলে Ok দিন। এবার অপেক্ষা করুন। 

রিসেট হয়ে গেলে এন্ড্রয়েডের বিভিন্ন সেটিংসের পাতাগুলো একের পর এক আসবে। যেগুলো সাধারনত দোকানদাররা করার পর সেট আমাদের হাতে দেয়। আপনি ধীরে সুস্থে সেগুলো করুন। তারপর ব্যাক আপ থেকে ফোনবুক, মেসেজ, একান্ত প্রয়োজনীয় এপসগুলো ইন্সটল করে নিন। 

৬. ফোন অত্যধিক গরম হয়ে যায়। কিভাবে প্রতিকার সম্ভব?

উত্তরঃ ফোন কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল করলে এই সমস্যা কম হত। যে ফোনের ওজন কম এবং র‍্যাম কম (২ জিবির নিচে) সেসব ফোনে এই সমস্যা প্রকট। ব্রান্ডের ফোনগুলো ব্যাতিক্রম হতে পারে। আর Network দুর্বল থাকলেও ফোন গরম হয়ে যায়। কিছুক্ষন ফোন অফ রাখলে দ্রুত ঠান্ডা হতে পারে। 

৭. বিশেষ নম্বারে বিশেষ রিংটোন সেট করার কি উপায়?

উত্তরঃ প্রথমে যে টোনটি আপনি রিংটোন হিসেবে সেট করতে চান সেটি Copy করে File manager>>System Storage>> Ringtones ফোল্ডারে Paste করে দিন। তারপর Contacts এ যেয়ে বিশেষ ব্যক্তির নামের উপর ক্লিক করুন। তারপর Edit বাটন অথবা ডানদিকের উপরের কোনায় পেন্সিল আইকনে ক্লিক করে option বাটন (আয়তাকার বাক্সের মত যেটা ফোনের নিচের দিকে Home বাটনের পাশে থাকে অথবা ৩ ডটের উপর)ক্লিক করলে Pop up মেন্যু থেকে Set Ringtones এ ক্লিক করলে রিংটোনের লিস্ট আসবে। আপনার পছন্দের টোনটি সিলেক্ট করে Ok করুন। এবার ঐ ব্যক্তি আপনাকে ফোন করলে আপনি টোন শুনেই বুঝতে পারবেন কে ফোন করেছে। 

৮. Play Store থেকে Install করা কোন এপসের মূল ফাইল (.apk) কোথায় ডাউনলোড হয়? 

উত্তরঃ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা মূল ফাইলটি Install হবার পর নিজে থেকে মুছে যায়। একারনে ঐ ফাইলের কোন ব্যাকআপ পাওয়া যায় না। কাজেই ব্যাকআপ পেতে হলে Backup & Restore এপটি দিয়ে ব্যাকআপ তৈরি করে নিতে হবে। 

৯. ভিডিও দেখার সময় বার বার ভিডিও সিলেক্ট করতে হয়। একবারে সিলেক্ট করে ভিডিও দেখার উপায় কি? 

উত্তরঃ এন্ড্রয়েড ফোনে দুইভাবে ভিডিও চালানো যায়। গ্যালারী থেকে অথবা Videos এপটি দিয়ে। যেভাবেই চালানো হোক না কেন একটি ভিডিওর বেশি একবারে চালানো যায় না। বার বার সিলেক্ট করতে হয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় Play Store থেকে ভিডিও চালানোর কোন এপস Install করে নেয়া। অনেক ফোনে MX Player দেয়া থাকে। এটা দিয়ে সুন্দর কাজ চালানো যায়। তবে আমার কাছে BSPlayer Free টা বেশি ভাল লেগেছে। BSPlayer এর অন্যতম সুবিধা হল এর POP up ভিডিও চালানোর ক্ষমতা। পপ আপে Fore ground এ ভিডিও চলবে, আপনি Background এ মেসেঞ্জার, ক্যালকুলেটর, ফেসবুক সব চালাতে পারবেন কম্পিউটারের মত। 

১০. এন্ড্রয়েড থেকে এন্ড্রয়েডে ইন্টারনেট শেয়ার কিভাবে করা যায়? 

উত্তরঃ প্রথমে Mobile Data অন করে নিন। তারপর Settings>>Wireless & networks >> More >>Tethering & Portable hotspot থেকে Wi-Fi hotspot অন করুন। তারপর Wi-Fi hotspot লেখার উপর চাপ দিন। তারপর Set up Wi-Fi hotspot এ ক্লিক করুন। আপনার Hotspot এর কোন সুন্দর নাম দিতে চাইলে দিতে Network Name এ লিখুন। কোন পাসওয়ার্ড সেট করতে চাইলে Security র ডান পাশের Drop Down সিম্বলে ক্লিক করে WPA2 PSK সিলেক্ট করুন। এবার পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড না দিতে চাইলে None সিলেক্ট করুন। এখন অন্যরা Wi-fi দিয়ে আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। 

১১. এন্ড্রয়েডে কোন ফোল্ডার কিভাবে লক করা যায়? 

উত্তরঃ Settings>>Security>>Data Protection এ যান। তারপর Pattern সেট করুন। এবার বিভিন্ন ফোল্ডার আসবে। যে ফোল্ডারটি লক করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। আরেকটি কথা, আপনার ফোনের আনলক প্যাটার্ণটি ইনভিজিবল করে রাখুন যেন অন্যকেউ তা দেখতে না পারে। Settings>>security তে যেয়ে Make pattern visible অফ করে দিন। 

এন্ড্রয়েডের আরো কিছু Features এর ব্যবহার দেখে নেয়া যাক। 

1. Owner info: এর মাধ্যমে আপনি যা লিখবেন সেটা Lock Screen এ দেখা যাবে। অনেক সময় ভুলে আমরা ফোন কোথাও ফেলে যাই। আপনি এমন হলে Settings >> Security >> Owner info তে যেয়ে Show owner info on lock screen অপশনটি টিক দিন। তারপর নিচে লিখুন "If you found this phone please call 01XXXXXXXXX" বা আপনার যা মনে চায় লিখুন। তারপর দেখুন Lock Screen এ আপনার আপনার লেখাটি দেখা যাচ্ছে। আমি লিখেছি "HOW DARE YOU TOUCH ME!"  

2. Camera: ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার সময় যদি দেখেন Fore ground এ আলো কম এবং Back ground এ বেশি অথবা বিপরীত সেক্ষেত্রে HDR মুড চালু করে দিন। তারপর দেখুন। অবশ্য স্থির বস্তুর ছবি হলে ভাল ছবি আসবে। 

3. Gesture: এই ফিচারটি দিয়ে কি হয় সেটা বোঝার জন্য Settings>>Smart awake থেকে Gesture Left এ চাপ দিন। অনেকগুলো এপসের লিস্ট থেকে যেকোন এপস সিলেক্ট করুন। তারপর ফোন লক করুন। ডিসপ্লের আলো যখন নিভে যাবে তখন আঙুল দিয়ে স্ক্রিনের মাঝামাঝি স্থানে বামদিকে থেকে ডানদিকে টানুন। তারপর ফোন আনলক করুন। দেখবেন আনলক হবার পর আপনার সিলেক্ট করা এপটি চালু হয়ে যাবে। এভাবে Gesture C, V, Z ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন এপস আপনি চালাতে পারবেন। 

4. Cast Screen: আপনার বন্ধু মোবাইল দিয়ে কি করে না করে সেটা আপনি দেখতে পারবেন এই ফিচারটি দিয়ে। কিছু সময়ের জন্য বন্ধুর ফোনটি চেয়ে নিন। তারপর আপনার ফোনের Settings>>Display>>Cast Screen ক্লিক করুন।তারপর Option বাটনে ক্লিক করে Enable wireless display তে টিক দিন। এবার স্ক্রিনে আপনার সেটের মডেল সহ Discoverable by others এ টিক দিন। এবার আপনার বন্ধুর ফোনটি নিয়ে Cast Screen এ যেয়ে Enable wireless display তে টিক দিলে আপনার সেটের মডেল নম্বরটি উঠবে। সেটাতে ক্লিক করলে আপনার ফোনে Dialogue box আসবে Connection কনফার্মেশনের জন্য। আপনি Accept করুন।এবার দেখুন বন্ধুর ফোনের ডিসপ্লেতে যা আসছে আপনার ফোনেও সেটা দেখা যাচ্ছে। এবার ফোনটি আপনার বন্ধুকে ফেরত দিন। Wi-fi রেঞ্জের বাইরে এটা কাজ করবে না। 

এই ফিচারটি সম্ভবত Experimental . কাজেই সব ফোনে কাজ নাও করতে পারে। আর প্রধান অসুবিধা হল Guest Mobile (আপনার বন্ধুটাতে)এ কোন ভিডিও চালানো হলে সে তার মাইকে সাউন্ড আসবে না। কিন্তু Host Mobile এ (আপনারটাতে) ভিডিও অডিও দু'টোই শোনা যাবে। 

5. Captions: এই ফিচার দিয়ে মুভ্যি দেখার সময় যে Subtitles আমরা দেখি সেই লেখাগুলোকে Customize করা যায়। Settings>>Accessibility>Captions এ ঢুকে অন করুন। তারপর বিভিন্ন অপশন থেকে আপনার ইচ্ছামত নির্বাচন করুন। এই ফিচারটিও সম্ভবত এক্সপেরিমেন্টাল। আমার সেটে কাজ করে না। 

আজ আপাতত এই পর্যন্তই। আমি কোনটা ভুল বলে থাকলে অথবা এর বেশি কারো জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ।