অফিসে দুই-চারজন কলিগ আছেন যাদের ভান্ডারে গল্পের অভাব নেই। কোন এক প্রসঙ্গ উঠলেই হয়। তাদের ঝুলি থেকে বেড়িয়ে আসে গল্প। সেদিন হুট করে কথা উঠল বিয়ের আগে মেয়ে দেখা নিয়ে। সেদিন তিনটা নতুন নতুন গল্প শুনলাম। তাহলে বলি --
১. অনেকদিন আগের কথা। তখন এদেশে লেখাপড়ার তেমন একটা চল ছিল না। তো এক ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়া হবে। ছেলের আবার পড়াশুনায় ঘাটতি আছে। অন্যদিকে মেয়ের ফ্যামিলির সবাই মোটামুটি শিক্ষিত। তাই ঘটক সাহেব পাত্রকে ডেকে বললেন,
"তোমাকে যদি জিজ্ঞেস করে পড়াশুনা করেছো কিনা বলবা মেট্রিক পাশ করেছি"
"জি আচ্ছা..."
পাত্রীর বাড়িতে যাবার পর বিরাট আয়োজন দেখতে পেলেন তারা। তাদেরকে খুবই আদর-যত্ন করা হল। কথাবার্তার এক পর্যায়ে মেয়ের মামা জিজ্ঞেস করলেন,
"তা বাবাজি, পড়াশুনা কতদূর করেছো?"
"জ্বী, মেট্রিক পাশ করেছি।"
"কোন সনে মেট্রিক পাশ করেছো?"
"জ্বী, আমি আগামী বছর মেট্রিক পাশ করেছি!"
[প্রশ্ন আউট অফ সিলেবাস!
tongue emoticon
]
২. আরেকবাড়িতে গিয়েছে পাত্রপক্ষ। পাত্রের সাথে আরো তিনজন আছে। বিভিন্ন প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে মেয়ে একসময় ধৈর্য্য হারাল। তখন একজন প্রশ্ন করল,
"আচ্ছা মা বলতো, এক কেজি পোলাও রান্না করতে কতটুকু তেল লাগে।"
"আমার মাতো আমাকে আদরে আদরে মানুষ করেছে। কখনো চুলার কাছে যেতে দেয় নি।"
আরেকজন প্রশ্ন করল,
"আচ্ছা বলুনতো এক কেজি পোলাও রান্না করতে কতখানি লবণ লাগে?"
"চার বলদে যতখানি লবণ খায়, ততখানি লাগে!"
[ডাইরেক্ট বোল্ড হয়ে গেলেন]
গল্প-৩
এক ছেলের বদভ্যাস হল সে কথায় কথায় "বাল্" বলে ফেলে। যেমন, ধূর ভাত খাবো না বাল্। সেই ছেলে গিয়েছে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে...
এই গল্প আর বলা যাবে না। সুধীসমজা সহ্য করতে পারবে না।
যারা শীগ্রই পাত্রী দেখতে যাবেন তারা সময় থাকতে সাবধান হন, সাপোর্ট দিবে জনগন!
No comments:
Post a Comment