"ইসলামের ভিত্তি হল পাঁচটি। তাবলীগীরা ছয় নাম্বার কোথায় পেল?"
তাবলীগের সাথে শত্রুতা পোষনকারী কিছু ভাইয়ের মুখে এই উক্তি আমরা শুনেই থাকি। শুনে যতটুকু রাগ লাগে তারচেয়ে বেশি অবাক হই। আগে ইসলামের ভিত্তি নিয়ে দু'টো কথা বলে নেই।
সবাই আমরা জানি, ইসলাম পাঁচটি খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার রাসূল" এই কথার সাক্ষ্যদান করা, সালাত কায়েম করা, রমজান মাসে সাওম পালন করা, সম্পদের যাকাত প্রদান করা এবং হজ্ব পালন করা।
প্রশ্নঃ তাবলীগীরা কি এই পাঁচটি ভিত্তি অস্বীকার করে? অথবা এর সাথে কোন কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে?
এবার আসি ছয় নাম্বার প্রসঙ্গে। যারা এই বিষয়টা নিয়ে ইসলামের পাঁচ ভিত্তির বিপরীতে দাঁড় করাতে চান, তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ছয় নাম্বারগুলো বলেন তো ভাই কি কি? আমার সন্দেহ হয়, তারা বলতে পারবে না।
আমি বলছি।
১. কালিমা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ২. নামায ৩. এলেম ও জিকির ৪. একরামুল মুসলিমিন ৫. ছহি নিয়ত ৬. দাওয়াতে তাবলীগ
কালেমা এবং নামায নিয়ে বলার কিছু নেই। এইদুই বিষয় সবাই জানে। অন্য পয়েন্টগুলো বর্ণনা করার সময় তাবলীগের ভাইরা যা যা বলেন তার একটু আভাস দেই। তারা প্রথমেই সংজ্ঞা দেন, তারপর ফজিলতের একটি হাদীস বর্ণনা করেন, তারপর কিভাবে সে বিষয়টিকে নিজের মধ্যে আনা যায় সে ব্যাপারে কথা বলেন।
উদাহরণস্বরূপঃ এলেমের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়, আল্লাহর কখন কোন আদেশ, কখন কোন নিষেধ তা জানিয়া রাসূলুল্লাহর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তরীকায় আমল করা। তারপর এলেমের ফজিলত কি এবং আমরা কিভাবে এলেম শিখতে পারি সে ব্যাপারে বলা হয়।
প্রত্যেকটি পয়েন্টই মূলত এই তিনভাগে বিভক্ত। সংজ্ঞা, ফজিলত, আমল করার উপায়।
একইভাবে জিকিরের সংজ্ঞা দেয়া হয়, সর্বাবস্থায় আল্লাহর ধ্যান খেয়াল অন্তরে পয়দা করা। একরামুল মুসলিমিনঃ মুসলমান ভাইয়ের অবস্থা বুঝিয়া তার উপকার করা। ছহি নিয়তঃ আমরা যা কিছু করব আল্লাহকে খুশি করার জন্য করব। দাওয়াতে তাবলীগঃ আল্লাহর দেয়া জান, মাল, সময় নিয়া আল্লাহর রাস্তায় বাহির হইয়া জান, মাল, সময়ের সঠিক ব্যবহার শিক্ষা করা।
পোস্ট ছোট করা উদ্দেশ্যে একেবারেই সংক্ষিপ্ত লিখলাম। এখন এই বিষয়গুলো ইসলামের পাঁচ খুটির সাথে সাংঘর্ষিক কিনা বা এই বিষয়গুলো ইসলাম বহির্ভূত কিনা সেটা পাঠকের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিলাম!
No comments:
Post a Comment