Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Sunday, April 10, 2016

হুহ!

যারা বলে সব মেয়েরই বফ আছে, সিংগেল কোন মেয়ে নাই-তাদের বিয়ে যেন আরেকজনের প্রেমিকার সাথেই হয়।
যারা বলে ঘুষ ছাড়া চাকুরী হয় না-তাদের যেন ভিটে বিক্রি করেই ঘুষের টাকা টাকা জোগাড় করা লাগে।
১০০ তে ১০০ উত্তর দেবার পর যে বলে পরীক্ষা ভাল হয় নাই- সে যেন ৬০ এর উপর নাম্বার না পায়।
যারা বলে এই দেশে ভাল মানুষ নাই, সব চোর-বাটপার- তাদের যেন শুধুই চোরের খপ্পরে পড়ে।
যারা বলে মনের সৌন্দর্য আসল, দেহের সৌন্দর্য কিছু না- তারা যেন সুন্দর সাথী না পায়।
যারা ভাবে পৃথিবীতে তার চেয়ে দু:খী কেউ নাই- দু:খ যেন তার পিছু না ছাড়ে।

তনু হত্যা এবং ....

শীতের সকালের ঘুমটা নষ্ট হল বাইরে উত্তেজিত গলার শব্দে। বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে গেল। একটু পড়েই কলেজে যাবার জন্য উঠতে হত। এখন আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। কি নিয়ে এত হইচই কানে যেতেই ঘুম ছুটে পালালো। বড় মাঠে কে যেন ফাঁসি নিয়েছে!
আমাদের স্কুলটা একটা বিশাল চতুর্ভুজের মত। মাঠের চারদিকে স্কুল ভবন আর একপাশের দোতলায় কলেজ সেকশন। স্কুলের ভিতরের মাঠের চেয়ে বাইরের মাঠটা আরো বড়। আমরা বলি বড় মাঠ। ভিতরের মাঠে এসেম্বলি হয়। হ্যান্ডবল খেলাও হয়। টিফিনের ফাঁকে ফাঁকে আমরা গোল্লাছুট, বরফ পানিও খেলেছি আগে। কলেজ পড়ুয়ারা নিশ্চয়ই এইগুলা খেলে না। বড় মাঠে অবশ্য প্রমাণ মাপে ক্রিকেট, ফুটবল খেলার পরও আরো জায়গা খালি থাকে। টুর্নামেন্ট না চললে বিকেলে অনেকগুলো গ্রুপ এই মাঠে যার যার খেলা খেলতে পারে।
যাইহোক, স্কুল এবং বড় মাঠের মাঝখানে এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত দেবদারু গাছের সারি। গাছেই নাকি কে আত্মহত্যা করেছে।
তড়িঘড়ি করে হাত মুখ ধুয়ে মায়ের চাদরখানা গায়ে জড়িয়ে বেড়িয়ে পড়লাম ঘটনা কি দেখার জন্য। আরো অনেকেই বের হচ্ছে। মাঠে যেয়ে দেখি পুরো ভীড় জমে গিয়েছে। মহিলারা এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। ছোটদেরকে ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। নাহলে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করতে পারে। আমার বন্ধুদের কেউ কেউ মাঠে আগেই এসেছে।
> কে ফাঁসি নিল?
>> তুই চিনস না?
> না চিনি না।
>> কেন। আমগো ক্লাসের হাসানের আব্বা।
হাসান! মুহুর্তের মধ্যে আমার আমার স্মৃতিতে সদা হাস্যোজ্জ্বল এক মুখচ্ছবি ভেসে উঠল। সে বালক শাখায় ছিল আর আমি সম্মিলিত শাখায়। কিছুদিন বালক শাখায় ক্লাস করার সুবাদে হাসানের সাথে ভালই ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। ক্লাসে তার একমাত্র কাজ ছিল আমার পাশে বসে আমাকে চিমটি কাটা! এত শৈল্পিকভাবে চিমটি কাটার মত শিল্পী আর কেউ আছে কিনা জানা নেই।
আমি আশে পাশে খুজি হাসানকে। নেই। হাসানের পরিবারেরও কেউ নেই। কিন্তু হাসানের বাবা আত্মহত্যা করবেন কেন?
বড়দের কথা শুনে মূল ব্যাপারটা বোঝা গেল। গতকাল রাতে কে বা কারা তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাতে আর ঘরে ফেরেননি। উনি আগেও মাঝে মাঝে রাতে ঘরে ফিরতেন না। কাজেই বাসায় কেউ সন্দেহ করেনি। সকালে তারা খবর পেয়েছে। আরো জানা গেল, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত ব্যাপারে কয়েকজনের সাথে তার গোলমাল চলছিল। হতে পারে তারাই হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
তারমানে খুন! রহস!
ততদিনে তিনগোয়েন্দার পাঠ শেষ করে মাসুদ রানাও অনেক পড়ে ফেলেছি। আর পুলিশ যেহেতু এখনো আসে নি সেহেতু একটু ছোঁক ছোঁক করা যাক। যদি কোন ক্লু পাওয়া যায়।
গাছের নিচে যেয়ে দেখি এক পাটি জুতো পড়ে আছে। আরেকপাটি কোথায় গেল? এদিক সেদিক খুজি। নেই। চাচার গায়ে চাদর জড়ানো। চাদর গায়ে দিয়ে, লুঙ্গি পড়ে চাচা এত উপরে উঠলেন কিভাবে?
একশ গজ দূরে পানির একটা কল ছিল। ভাবলাম পানি খেয়ে আসি। কলের পাশে কন্সট্রাকশন কাজের জন্য ভাঙা ইটের খোয়া অনেক আগে থেকেই রাখা ছিল। কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত খোয়াগুলো সরানো হয় নি। থেকে থেকে খোয়াগুলো গুড়ো হয়ে গিয়েছে। সেই গুড়ো উপর দিয়ে দুটো সমান্তরাল রেখার উপর আমার দৃষ্টি পড়ল।
অবাক হলাম ভীষন। এখানে এমন হল কিভাবে। এগিয়ে যেতেই পাশে কালোমত একটা কিছু আমার নজরে আসল। ঘাস সরিয়ে দেখলাম একপাটি জুতো।
দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে এরপর আমার আর কোন অসুবিধাই হয় নি। পরিষ্কার বুঝতে পারলাম, ঘটনা এখানেই ঘটেছে। যে বা যারাই জড়িত থাকুক আংকেলকে মেরে টেনে হিচড়ে এদিক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হয়ত কোন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেখান থেকে চড় থাপ্পড় বা ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। বেমক্কা কোন আঘাত লেগে আংকেলের প্রানবায়ু বেড়িয়ে গিয়েছে। টানাটানির এক পর্যায়ে তার পায়ের জুতো খুলে যায় এবং পরে অন্ধকারের মধ্যে সম্ভবত এক পাটি জুতোই হত্যাকারী খুজে পেয়েছে। সেটাই গাছের নিচে রেখে দিয়েছিল।
এটা যে পরিষ্কার খুন সেটা বুঝতে শার্লক হোমস হতে হয় না। আমার মত সাধারন একজন কলজে ছাত্রও সেটা বুঝতে পারে। তবে খুন করার ইচ্ছা ছিল কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। কারন হত্যাকারী যে বা যারাই হোক তারা আংকেলের পরিচিত এবং তার কলিগ। কলিগকে খুন করার মত ঝুকি সাধারনত কেউ নেয় না।
উপরের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সত্য। আমি যখন কলেজে পড়ি তখনকার কথা। এই ঘটনার কোন বিচার হয় নি। BCIC র একটি বড় ফ্যাক্টরির এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়। অবশ্যই প্রশাসন এবং CBAর সহায়তায়। তারা অবশ্যই জানে খুনি কে বা কারা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে কোন মধ্যস্থতা করা হয়েছিল কিনা সেটা অবশ্য আমার জানা নেই। হাসান আমার বন্ধু হলেও এই ব্যাপারটা তাকে জিজ্ঞেস করা যায় না।
সে যাই হোক, আমার মত একটা কলেজ স্টুডেন্ট ঘটনাস্থল একবার দু'বার ঘূড়েই বুঝতে পেরেছিল যে, ঘটনা আত্মহত্যা নয়, বরং খুন। আর এখনকার বাঘা বাঘা ট্রেনিং প্রাপ্ত সেনা, পুলিশ, সিআইডি কর্মকর্তাদের তনু ধর্ষন হয়েছে কি হয় নি সেটা বুঝতে ১৪ বার ময়ণাতদন্ত করতে হয়!
তর্কের খাতিরে ধরা যাক, খুন করার আগে তনুকে ধর্ষন করা হয় নি। তখন নিশ্চয়ই খুব ঝড়ো বাতাস ছিল। ঝড়ো বাতাসে তনুর গা থাকে পোশাক উড়ে যায়। ব্যাপার না, আমারো এমন হয় মাঝে মাঝে লুঙ্গি পড়ে বাইরে গেলে। লুঙ্গি উড়ে যেতে চায়। কোনরকমে সামলাই।
খুন তো হয়েছে। এটাতো নিশ্চিত, নাকি? নাকি সপ্তাহখানেক পরে আবারো ময়ণাতদন্ত করে বলা হয়ে যে, খুনের কোন আলামত পাওয়া যায় নি? যেমনটা পাওয়া যায়নি সাগর-রুনির, যেমনটা পাওয়া যায় নি নুরুল ইসলাম ফারুকীর। নাকি পাওয়া গিয়েছে। হু নোস্‌ ....
টাকা পয়সা দিয়ে এই অর্থব, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, কাপুরুষ লোকজন পালে সরকার। সরকারের কি? সরকারতো নিজের পয়সায় পালে না। তাই তাদের গায়ে লাগে না। আর যাদের পয়সায় পালে তারাতো ভিক্টিমই। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় অথবা ভক্ষকদের পৃষ্ঠপোষক হয় তবে উপরওয়ালার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন রাস্তা দেখি না।

পঠিত বই সম্পর্কে মতামত-২

অন্যগল্প পড়ে শেষ করলাম। এই বইয়ে গুনতে যদি ভুল করে না থাকি তাহলে ৫১ টা গল্প আছে। প্রতিটি লেখার প্রতিক্রিয়া আলাদাভাবে দেবার আগে ওভারওল কিছু কথা বলি। নালন্দা প্রুফ নিয়ে আমার আপত্তি আগে থেকেই ছিল। ভেবেছিলাম এবার এদিকে বিশেষ নজর দেয়া হবে। বানান এবং লেখার বিন্যাস প্রতিটি বইয়ের একটা সৌন্দর্য্য। এইদুটো জিনিসের অভাব বইটিতে লক্ষ্যনীয়।
এবার আসি প্রতিটি লেখায়। প্রতিক্রিয়া খুব ছোট হবে।
১. মহুয়া (আগেই পড়েছি মনেহয় লেখকের টাইম লাইনে)
২. সায়াহ্ন (হুম)
৩. অনন্তকালের গল্প (আমার কাছে তো গাঁজাখুরি গল্প লাগল)
৪. শূন্য (হাউমাউ করে কানতে কানতে শ্যাষ 
squint emoticon
 )

৫. নীল অপরাজিতা ( হুররর....)
৬. ময়না পাখি (এই প্লটের লেখা ফেবুতে এতবার পড়েছি যে আর ভাল লাগে না)
৭. ভয় ( GOOD. লেখিকাকে ভয়ের কাহিনি পড়তে হবে)
৮. আমার ভালবাসা (এই লেখাটা Kuch Kuch Hota Hai এর নকল)
৯. ছায়ামূর্তি (সত্যি?)
১০. একটি অপ্রয়োজনীয় ভালবাসার গল্প (লেখিকা তার প্রশ্নের উত্তর জানেন কি?)
১১. অভিশপ্ত ডাকবাংলো (হুম)
১২. রবীন্দ্রনাথ হইতে নিউটন (সাধু-চলিতের এমন মিশ্রণ হয়েছে যে এটা পড়া মানে নিজের উপর একধরের অত্যাচার করা)
১৩. ভূত (গল্পটা ভাল ছিল)
১৪. অতৃপ্ত চাওয়া (যত্তসব)
১৫. প্রতিশোধ (এই গল্পটা শেষ হয়নি। বাকি অংশ ছাপানো হল না কেন বুঝলাম না)
১৬. কভু আগাছা কভু পরগাছা ( এটাও সুন্দর হয়েছে। (Y))
১৭. স্বপ্ন কাজল চোখ (হুম)
১৮. শূন্যকথা (হ!)
১৯. সাক্ষী ( 
frown emoticon
 )

২০. ভালবাসা যখন চোরাবালি ( হুম। অসংগতি আছে কিছু)
২১. বর্ষীয়ান ( এই দুই লাইন লেখার আর কি প্রতিক্রিয়া দিব)
২২. চেনা রূপে অচেনা আত্মা ( বেশি রহস্য দিতে যেয়ে গিট্টু লেগে গেল)
২৩. মিছে মোহ (আমি পাগল)
২৪. একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু ( হুম)
২৫. হঠাৎ ভালবাসা (ঘোড়ার ডিম এটা)
২৬. নতুন করে ভালবাসবো (ধুরর**)
২৭. ক্ষনিকের অতিথি ( আহা! উহু!)
২৮. অব্যক্ত ( ছাইপাশ)
২৯. অসমাপ্ত ভালবাসা ( এহ! গল্প!)
৩০. নুহাশের জাদুর কলম অত:পর ( হুম)
৩১. লঞ্চডুবি ( লঞ্চ ডুবছে আর চরিত্র ফেবুতে স্ট্যাটাস দিচ্ছে!)
৩২. নীরব প্রতিশোধ (সূচনাতেই বুঝেছি কাহিনি কি। তাই আর পড়ি নাই)
৩৩. আধারের দানবেরা (কি বলব বুঝতে পারছি না।)
৩৪. লিংক রোড কর্ণার ( হুররর)
৩৫. মা ভাত খাব ( ধুর)
৩৬. মৃত্যু স্পর্শ ( হুম। আরো ভাল কিছু আশা করেছিলাম)
৩৭. ডাইনি বনাম রাজকন্যা ( হুম। চলে)
৩৮. তানহার সেই নিলয় ( Is it a story? doubt not... এটার ভেতরে আরেকটা গল্প ঢুকল কিভাবে? 
gasp emoticon
 এটার লেখক ট্রাই করেছেন কাহিনী সাজাতে।)

৩৯. আত্মহত্যা নাকি প্রতিশোধ ( কোনটাই না। অবাস্তব আর আজাইরা কথাবার্তা)
৪০. ভালবাসার অন্য গল্প ( কি বলব বুঝতে পারছি না)
৪১. শিরোনামহীন গল্প (আহারে। চুকচুক)
৪২. স্বপ্নময় জীবন ( ভাল লেগেছে।)
৪৩. ডেথ সাইকেল ( চলে)
৪৪. মুকুটবিহীন রাজা (এটা সিলেক্ট হল কভাবে?!)
৪৫. দৃষ্টির অগোচরে ( কোন ফিনিশিং নেই)
৪৬. নীলার চোখে জল (আজাইরা)
৪৭. নতুন সূচনা (এটার পেটের মধ্যেও আরেকটা লেখা ঢুকে গিয়েছে। কেউ কি বুঝি বলবেন কিভাবে)
৪৮. ভালবাসি তোমায় (লুতুপুতু)
৪৯. কয়েক ফোটা অশ্রু (খাপছাড়া)
৫০. এক জীবনের গল্প (যত্তসব)
৫১. কে আপন ( এটা চমৎকার ছিল)
সবশেষে বলতে চাই, যাত্রা সবে শুরু। যেতে হবে অনেক দূর।

ভুল ধারনা ..

গতকাল নাজনীন আক্তার হ্যাপি একটা পোস্ট দিয়েছেন।
"বিয়ে এখন করবো কি করবোনা?করবো কি করবোনা? করবো কি করবো না! "এই ঢং করতে করতে যে সময়টা চলে যায় সেই সময় টাতে শয়তান আরামসে গুনাহের সাগরে ডুবিয়ে না মারলেও নাকানি চুবানি খাইয়ে দিতে পারে।আর ওই নাকানি চুবানি খাওয়ার মধ্যই যে পরিমাণ গুনাহ হয় তার জন্য তো আগুন আছেই,চিন্তা কিসের!!! ঐ আগুনের ভিতর পোড়া তো পরের কথা ঐ আগুনের তাপেই তো সব ওলট পালট হয়ে যাবে!
যারা অবিবাহিত তারা ৫০% গুনাহ করে ফেলে বিয়ে না করার কারনে।
ভুলে গেলে হবে না যে,প্রথমত আমাদের বিয়ে করতে হবে আল্লাহর কথা মানার জন্য।দ্বিতীয়ত রাসূলের কথা মানার জন্য।তৃতীয়ত গুনাহ থেকে বাচার জন্য।আর এসবের তোয়াক্কা না করতে চাইলে বরং হিসাব করা শুরু করি কত তাপের আগুনে জ্বলবো!"

এই পোস্টে এই ভাই কমেন্ট করেছেন, "আপু আপনিও বিয়ে করে ফেলেন। কারন নিজে না মেনে অন্যকে উপদেশ দেয়াটা আমাদের ধর্মে নিষেধ আছে।"
অন্যত্র তিনি বলেন, "এটা সুন্নত। কারন আমাদের নবী (সাঃ) যে কাজ করতেন না, তা করার জন্য কাউকে নির্দেশ দিতেন না।" তিনি আরো বলেন, "যে ব্যক্তি নিজে না করে তা অন্যকে উপদেশ দিবে হাশরের ময়দানে তার জিব্বাহ কেটে দেওয়া হবে।"
আমাদের অনেকেই এই ধারনা করি। এই ধারনা সঠিক কি ভুল সেটা বলার আগে কয়েকটা প্রশ্ন করি। ধরা যাক, আমি মদ খাই। আমি জানি মদ খাওয়াটা ভাল না। এখন আমার ছেলে বা ভাই যদি মদ খাওয়া শুরু করে আমি কি তাকে নিষেধ করব না?
আবার ধরা যাক, আমার প্রচুর টাকা পয়সা আছে। কিন্তু আমি যাকাত দেই না। এই ব্যাপারটা আমার কলিগ জানেন। তার উপর যাকাত ফরজ নয়। এখন যদি তিনি আমাকে যাকাত দেবার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন তাহলে কি তার জিহ্বা কাটা হবে?
মনেকরি, আমার ভাইয়ের হজ্ব করার সামর্থ্য আছে। সে আলসেমী করে হজ্ব করছে না। এদিকে আমি হজ্ব করিনি বা আমার উপর হজ্ব ফরয নয়। আমি কি আমার ভাইকে আদেশ দিতে পারি না, যাও হজ্ব করে এসো?
সঠিক জিনিস ভুলভাবে উপস্থাপন করলে ভুল মানে দাঁড়ায়।
সূরা আল-বাকারাহ। আয়াত নাম্বার ৪৪। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?"
এই আয়াতের তফসীরে "তফসীরে মা'আরেফুল কোরআন, প্রথম খন্ডের ২০১ পৃষ্ঠা"য় যা আছে তা হবহু তুলে দিচ্ছিঃ
"আমলহীন উপদেশ প্রদানকারীর নিন্দাঃ এ আয়াতে ইহুদী আলেমদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। এতে তাদেরকে ভৎসর্ণা করা হচ্ছে যে, তারা তো নিজেদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনকে মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অনুসরণ করতে এবং ইসলামের উপর স্থির থাকতে নির্দেশ দেয়। (এ থেকে বোঝা যায় ইহুদী আলেমগন দীন ইসলামকে নিশ্চিতভাবে সত্য বলে মনে করত)। নিজেরা প্রবৃত্তির কামনার দ্বারা এমনভাবে প্রভাবিত ছিল যে, ইসলাম গ্রহণ করতে কখনো প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু যারাই অপরকে পুণ্য ও মঙ্গলের প্রেরণা দেয়, অথচ নিজের ক্ষেত্রে তা কার্যে পরিণত করে না, প্রকৃত প্রস্তাবে তারা সবাই ভৎসর্ণা ও নিন্দাবাদের অন্তর্ভুক্ত। এ শ্রেণীর লোকদের সম্পর্কে হাদীসে করুন পরিণতি ও ভয়ংকর শাস্তির প্রতিশ্রুতি রয়েছে। হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, হুযুর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, মি'রাজের রাতে আমি এমন কিছু সংখ্যক লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম যাদের জিহ্বা ও ঠোট আগুনের কাঁচি দিয়ে কাঁটা হচ্ছিল। আমি জিবরাঈল (আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলাম--এরা কারা? জিবরাঈল বললেন--এরা আপনার উম্মতের পার্থিক স্বার্থপুজারী উপদেশদানকারী, যারা অপরকে তো সৎকাজের নির্দেশ দিত, কিন্তু নিজের খবর রাখতো না। (কুরতুবী)
নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, কতিপয় জান্নাতবাসী কতক নরকবাসীকে অগ্নিদগ্ধ হতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন যে, তোমরা কিভাবে দোযখে প্রবেশ করলে অথচ আল্লাহর কসম, আমরা তো সেসব সৎকাজের দৌলতেই জান্নাত লাভ করেছি, যা তোমাদের কাছে শিখেছিলাম?
পাপী ওয়ায়েজ উপদেশ প্রদান করতে পারে কি নাঃ উল্লেখিত বর্ণনা থেকে একথা যেন বোঝা না হয় যে, কোন আমলহীন বিরুদ্ধাচারীর পক্ষে অপরকে উপদেশ দান করা জায়েজ নয় এবং কোন ব্যক্তি যদি কোন পাপে লিপ্ত থাকে, তবে সে অপরকে উক্ত পাপ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতে পারে না। কারণ, সৎকাজের জন্য ভিন্ন নেকী ও সৎকাজের প্রচার-প্রসারের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র নেকী। আর এটা সুস্পষ্ট যে, এক নেকী পরিহার করলে অপর নেকীও পরিহার করতে হবে এমন কোন কথা নেই, যেমন, কোন ব্যক্তি নামায না পোড়লে অপরকেও নামায পড়তে বলতে পারবে না, এমন কোন কথা নয়। অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি নামায না পড়লে রোযাও রাখতে পারবে না, এমন কোন কথা নেই। তেমনিভাবে কোন অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়া ভিন্ন পাপ এবং নিজের অধীনস্থ লোকদেরকে ঐ অবৈধ কাজ থেকে বারণ না করা পৃথক পাপ। একটি পাপ করেছে বলে অপর পাপও করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
যদি প্রত্যেক মানুষ নিজে পাপী বলে সৎকাজের নির্দেশ দান ও অসৎকাজ থেকে বাধাদান করা ছেড়ে দেয় এবং বলে যে, যখন নিষ্পাপ হতে পারবে, তখনই অপরকে উপদেশ দেবে, তাহলে ফল দাঁড়াবে এই যে, কোন তাবলীগকারীই অবশিষ্ট থাকবে না। কেননা, এমন কে আছে, যে পরিপূর্ণ নিষ্পাপ? হযরত হাসান (রাঃ) এরশাদ করেছেন-- শয়তান তো তা-ই চায় যে, মানুষ ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে তাবলীগের দায়িত্ব পালন না করে বসে থাকে।
মূল কথা এই যে, "তোমরা কি অপরকে সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা ভুলে বস?" আয়াতের অর্থ এই যে, উপদেশ দানকারী (ওয়ায়েজকে) আমলহীন থাকা উচিত নয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, ওয়ায়েজ এবং ওয়ায়েজ নয়--এমন কারো পক্ষেই যখন আমলহীন থাকা জায়েয নয়, তাহলে এখানে বিশেষভাবে ওয়ায়েজের কথা উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা কি? উত্তর এই যে, বিষয়টি উভরের জন্য নাজায়েয, কিন্তু ওয়ায়েজ বহির্ভুতদের তুলনায় ওয়ায়েজের অপরাধ অধিক মারাত্মক। কেননা, ওয়ায়েজ অপরাধকে অপরাধ মনে করে জেনে শুনে করছে। তারপক্ষে এ ওযর গ্রহণযোগ্য নয় যে, এটা যে অপরাধ তা আমার জানা ছিল না। অপরপক্ষে ওয়ায়েজ বহির্ভূত মূর্খদের অবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত। এছাড়া ওয়ায়েজ ও আলেম যদি কোন অপরাধ করে তবে তা হয় ধর্মের সাথে একপ্রকারের পরিহাস। হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, হুযুর (সাঃ) এরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক অশিক্ষিত লোকদেরকে যত ক্ষমা করবেন, শিক্ষিতদেরকে তত ক্ষমা করবেন না।"
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, বেআমল হলেও আমলের দাওয়তা দেয়া যাবে। বরং দিতে হবে। উল্লেখিত আলোচনায় ভবিষ্যতের (মৃত্য পরবর্তী জীবনের) এক খন্ডচিত্র ফুটে উঠেছে যেখানে, কিছু জান্নাতী কিছু জাহান্নামীদের দেখে খুবই অবাক হবে যে, তারা কিভাবে জাহান্নামে এল! অথচ তারা নিজেরা তাদের কথার উপর আমল করেই জান্নাত লাভ করেছেন। এখন যদি ঐ বেআমল বক্তা আমলের ওয়াজ না করতেন তবে ঐ জান্নাতীগন জান্নাত হতে হয়ত বঞ্চিত থাকতেন। সেটা কি আদৌ ভাল কিছু?
ব্যাপার হল, কেউ যদি অন্যকে বলে অথচ নিজে আমল করে না, তার সাজা হবে। তারমানে এই নয় যে, সে আরেকজনকে বলার কারনে তার সাজা হচ্ছে!
আমি নামাযের দাওয়াত দিয়ে নামায পড়ি না, আমার সাজা হবে। আমি দাওয়াতও দেই না, নামাযও পড়ি না। তাহলে কি আমার সাজা মাফ? অবশ্যই না।
ভাই মনেহয় ভেবেছেন, আমলের দাওয়াত দিলাম না, আমলও করলাম না। তাহলে সাজা হবে না। তাই দাওয়াত দেয়াকেই সাজার মূল কারণ বানিয়েছেন। অথচ ব্যাপারটা মোটেও তা নয়।
(ভুল-ত্রুটি হতে আল্লাহর পানাহ্‌ চাই।)

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ যুক্তিহীন।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে জাতীয় পরিচয় পত্রের কথা একটু স্মরণ করি। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার জানা ছিল তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রত্যেক মানুষের একটি সতন্ত্র সনাক্তকরন নম্বর থাকাটা জরুরী। একই নাম অনেকের হতে পারে। তাই একক পরিচয়ের জন্য একক নাম্বার রাখার বিষয়টা বিভিন্ন মুভি, সায়েন্স ফিকশনে দেখেছি। কাজেই যখন সরকারের তরফ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেবার ঘোষনা দেয়া হয়েছিল তখন আগ্রহ সহকারে নিবন্ধন করতে যাই। সবার মত সেখানে আমার পূর্ণ নাম, পরিচয়, মুখমন্ডলের ক্লোজ ছবি, সনাক্তকারী চিহ্ন, আঙুলের ছাপসহ অনেক তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাবার পর অনেকেরটা দেখলাম নামের বানান ভুল, পিতার/মাতা/স্বামীর নাম বা নামের বানান ঠিক নেই, ছবি ঝাপসাসহ অসংখ্য সমস্যা।আধাদক্ষ, অদক্ষ লোক দিয়ে কাজ করালে যা হয় আর কি। জাতীয় পরিচয় পত্র হবার পর অনেক কাজেই পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু"একমাত্র" জরুরী উপাদান করা হয় নি।
উদাহরণস্বরূপ, পাসপোর্ট করানোর সময় যখন পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগল তখন পলাশ থানা থেকে আমার খোজ করা হল। আমি তখন পলাশেই ছিলাম। মোবাইলে ফোন আসার পর ইনভেস্টিগেটরের সাথে দেখা করলাম। সে প্রথমেই আমার জাতীয় পরিচয়পত্র চাইল। পরিচয়পত্র দিতে চাইলে বলল, জন্মনিবন্ধন আর চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটও লাগবে। তখন জন্মনিবন্ধন সবে শুরু হয়েছে। হাই অফিসিয়ালদেরই জন্মনিবন্ধন নেই, আর আমিতো .........! আমার সাথে আমার এক বন্ধু ছিল। সে বুঝল এইগুলো পুলিশের টাকা খাওয়ার ধান্ধা ছাড়া কিছুইনা। সে কিছু টাকা ঐ ইনভেস্টিগেটরের হাতে দিল। এরপর জন্মনিবন্ধনও লাগল না, আবার চেয়ারম্যানও মনে হয় অক্কা পেয়েছিল! বলাই বাহুল্য, ৫ বছর হয়ে গেলেও সেই পাসপোর্ট এখনো পাই নি। এটাও বলে দিচ্ছি, কিছু টাকা বাড়িয়ে পুলিশকে দিলে কোন কাগজপত্র ছাড়াই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।কোন কথা থেকে কোথায় চলে গেলাম! যাই হোক, বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম, ঠিকানা, সই, ব্লাড গ্রুপ এ তথ্যগুলো আছে। আর পরিচয়পত্র করানোর সময় আঙুলের ছাপ নেয়া হয়েছিল। সেই ছাপ অবশ্যই ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকার কথা। নাহলে আঙুলের ছাপ নেয়ার কোন যৌক্তিকতা থাকত না। এখন আমি যখন কোন সীম কিনব বা পুরাতন কোন সীম রেজিস্ট্রেশন করব, তখন জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। আর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার পাওয়া গেল আমার আঙুলের ছাপও পাওয়া যাবে। কারন ডাটাবেসে তা আছে। কিছুদিন আগে যখন জাতীয় পরিচয়পত্রের দ্বারা সীম নিবন্ধনের তোড়জোড় শুরু হল তখন আমার মত অসংখ্য মানুষ (প্রায় সবাই বলতে চাই) তাদের সকল নিবন্ধিত/নিবন্ধিত সীম এস এম এস, মোবাইল এপস অথবা সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে পুনরায় নিবন্ধন করেছেন। এস এম এস , মোবাইল এপস ব্যবহারের কারনে অপারেটরদের পয়সা দিতে হয়েছে।
আবার যারা সশরীরে হাজির হয়েছেন তাদের যাতায়াত খরচ, কায়িক শ্রম ও সময়ের অপচয় হয়েছে। মোদ্দা কথা, বিপুল অংকের টাকার হাতবদল হয়েছে। এই টাকা কার পকেট থেকে গিয়েছে? সরকারের? নাকি আমার আপনার?এখন আবার শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃ রেজিস্ট্রেশন। এখানেও যে বিরাট অংকের টাকার খেলা হচ্ছে সেটা কি ভেঙে বলতে হবে? আল্টিমেটলি লুজার কারা? সরকার/অপারেটর? নাকি আমি-আপনি? বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন যখন করতেই হবে তখন গতবারের রেজিস্ট্রেশন কেন নেয়া হল? একবারেই কেন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে করানো হল না? উত্তর যদি হয় টেকনলজি ছিল না, তবে বলতে হয় আর দু'টো মাসঅপেক্ষা করা হল না কেন?আমাদের কি খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই? কিছুদিন পর পর গাটের পয়সা খরচ করে ছবি, আইডির ফটোকপি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করাই আমাদের একমাত্র কাজ? কিছুদিন পর হয়ত পাছার ছাপ দেয়ার ঘোষণা আসবে। তখন আবার পাসপোর্ট সাইজ ছবি, আইডির ফটোকপি দৌড়ে নিয়ে গিয়ে প্যান্ট খুলে পাছার ছাপ দিয়ে আসব। তাই নয় কি?
বিজনেসের ক্লাস যখন করি তখন কথায় কথায় স্যার একদিন প্রফেশনালিজমের কথা বলেছিলেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, কারো অফিস যদি হয় ৮ টা থেকে ৫ টা তবে সে ঠিক সকাল ৮টায় অফিসে আসবে, ঠিক ৫টায় বেড়িয়ে যাবে। ৫ টা ১ মিনিটে নয়। কারন অফিস আমাকে ১ মিনিটের টাকা দিবে না। তাই অফিসে এক মিনিট বেশি থাকা কোন প্রফেশনালের কাজ নয়।বাংলাদেশে অবশ্য প্রফেশনালিজমের প্র্যাকটিস নেই। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব বিদেশী বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে তাদের মধ্যে প্র্যাকটিস আছে। আমেরিকায় পিতৃত্বকালীন ছুটি আছে সম্ভবত ১৫দিন। কাজেই বাংলাদেশে যে আমেরিকান কোম্পানি আছে সেটার কর্মচারীরা১৫ দিন ছুটি পান। (ব্যতিক্রম থাকতে পারে) টেলিটক ছাড়া অন্য মোবাইলে অপারেটরগুলো এদেশি নয়। কাজেই ধরে নেয়া যায়, তারা প্রফেশনাল এবং সবকিছুকেই বিজনেস হিসেবে দেখে। কাজেই বার বার সীমের নিবন্ধন, বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কোম্পনিগুলো ফ্রীতে সরকারকে করে দিচ্ছে এই ভাবনাটা আমার মতে বোকার মত। এখানে অবশ্যই তাদের কোন স্বার্থ বিদ্যমান। আর সেই স্বার্থ অবশ্যই আমাদের মত গ্রাহকদের বিপক্ষে যাবে। অপারেটরগুলো কোনদিন কোনকিছু গ্রাহকদের স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে করেছে এমন কিছু যদি আপনার জানা থাকে তবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
গতকাল এক জ্ঞানী লোকের কথায় বুঝলাম, সে মনে করে এই আঙুলের ছাপ দেয়ার দ্বারা নাকি সরকারের খুব সুবিধা হবে। কেমন সুবিধা? সরকার নাকি কে কোথায় আছে ততক্ষনাৎ বের করতে পারবে। ইন্ডিয়াতে নাকি হরদম এমন হচ্ছে। তার কথা শুনে আমি নগদে টুট টুট হয়ে গেলাম। কাউকে জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করতে যে আঙুলের ছাপ লাগে না- এই কথাটা তাকে বোঝানোর মত জ্ঞান-বুদ্ধি আমার নেই বলে দু-একটি কথা বলেই ক্ষ্যান্ত দিয়েছিলাম।একজনের ১ টি আইডি কার্ড। ধরাযাক, আইডি কার্ডের বিপরীতে ১০ টি সীম নিবন্ধিত। এই সীমগুলো যেখানেই থাক বা হারিয়ে যাক তার মালিককে তো পাওয়া যাবে। কাজেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম কেন নিবন্ধন করতে হবে?আরো ধরা যাক, কোন ঘটনাস্থলে কারো আঙুলের ছাপ পাওয়া গেল। জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেস থেকে তার পরিচয় উদ্ধার করা হল। পরিচয় পাবার পর সে কোন সীম ব্যবহার করে সেটাও জানা গেল। সেই সীমের মাধ্যমে তার পজিশনও জানা যাবে। সীমের সাথে আঙুলের ছাপের সম্পর্ক এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ঢুকল না। দুঃখিত।আরো ভয়াবহ ব্যাপার হল, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম নিবন্ধনের সময় নাকি জাতীয়পরিচয় পত্রের ডাটাবেসের সাথে আঙুলের ছাপ মিলছে না। তখন আর সীম রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না। এখন ভেবে দেখার বিষয় হল, আমি কার হাত নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি? আর আমার হাত-ই বা কে নিয়ে গেল?কারো পেতে রাখা জটিল ফাঁদে পা দিচ্ছি কিনা ভালভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে।
ফী আমানিল্লাহ!

পঠিত বই সম্পর্কে আমার মতামত

এইবার যে বই গুলো কিনেছি তার অধিকাংশ বই পড়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন মতামত জানানোর পালা। সবগুলো নিয়ে একসাথে মতামত জানালে পোস্ট অনেক বড় হত। আমি জানি আমার লিস্টে বইপড়ুয়ারা আছেন। মূলত তাদের উদ্দেশ্য করেই এই পোস্ট। বলাই বাহুল্য, কোন ছড়া বা কবিতার বই এগুলোর মধ্যে নেই।
যেহেতু মোশতাক আহমেদের বই বেশি কেনা হয়েছে তাই তাকে দিয়েই শুরু করি।
১. নিলির ভালবাসাঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। সায়েন্স ফিকশন হিসেবে এটা একটা ফালতু বই। অসঙ্গগতিতে ভর্তি। কাহিনীকে চুইংগামের মত টেনে লম্বা বানানো হয়েছে। তবে লেখকের কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতেই হয়। সায়েন্স ফিকশন না হয়ে রোমান্টিক হলে ভাল হত। প্রকাশক সম্ভবত এই বই দিয়ে ব্যবসা করতে চেয়েছেন। ক্রেতাকে ঠকাতে কার্পণ্য করেন নি।
২. ক্রিঃ এটাও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। ভালই লেগেছে।
৩. প্রজেক্ট ইক্টোপাসঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। মোটামুটি।
৪. দ্বিতীয় প্রথিবীঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। বইটা পড়ার পর পরই বইয়ের পিছনের পাতায় আমি মতামত টুকে রেখেছিলাম। সেটাই তুলে দিচ্ছি। গল্পের প্রথমদিকে জানা যায়, হিরিরা মানুষের স্মৃতি পঠন ও মুছতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে হিরিরা আত্মাহুতি না দিয়ে সকলের স্মৃতি মুছে দিতে পারত। স্মৃতি সংযোজন করতে পারত যে, লিলিলি বিষাক্ত গ্রহ, এই গ্রহ মানুষ বসবাসের উপযোগী নয়। নিয়ানা আরেকটু ভাবতে পারত। যাইহোক, লেখকের যেভাবে খুশি গল্প সেভাবেই চলবে।
ভাল লেগেছে।
৫. বায়োবোট নিওক্সঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। এটাও ভাল লেগেছে।
৬. প্রজেক্ট হাইপারঃ গল্পের শুরু হয়েছে সুন্দর ভাবে। এগিয়ে গেছে সুন্দরভাবে। শেষের দিকে এসে আমার বিরক্তি উদ্রেগ হয়েছে।
৭. গিটোঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। গতানুগাতিক। শেখার কিছু নেই। বিজ্ঞানেরও তেমন কিছু নেই।
৮. নিঃসঙ্গ জিরি। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। ভালই।
৯. রিবিট ও এলিয়েন নিনিটিঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। কাহিনি মোটামুটি। তবে অহেতুক বাক্যালাপে ভর্তি। বাচ্চারা যেন বুঝতে পারে এজন্য মনেহয় সহজ ব্যাপারগুলো ভেঙে ভেঙে লিখেছন লেখক।
১০. অশুভ আত্মাঃ ভৌতিক উপন্যাস। সুখপাঠ্য হয়েছে। এক শোয়াতে শেষ করেছি বইটা।
১১. নীল জোছনার জীবন। প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস। ভাল লাগেনি। 
unsure emoticon
১২. বৃষ্টি ভেজা জোছনা। প্যারাসাইকোলজি। এই বইটা ভালই লেগেছে। শেখারও কিছু কিছু বিষয় এতে আছে।
এবার কিছু সাধারন কথা বলি। আমার মনেহয়, লেখকের বিজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লেখার ক্ষেত্রে আরো নতুনত্ব আনা উচিত। কোন গ্রহে হারিয়ে গেলাম, সেখান থেকে ফিরে এলাম অথবা এলিয়েনরা পৃথিবী আক্রমন করবে, তাদের হারিয়ে দিলাম--টাইপ কাহিনি অনেক পুরনো। কাজেই একই কাহিনির বর্ণনাতে যদি নতুনত্ব আনা না যায় তবে তা বোরিং হয়ে যাবে। আর একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম লেখকের গত দু'বছরের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিগুলো ভাল লাগে নি। যেগুলো তার আগে লেখা সেগুলো পড়া যায়।
***আহসান হাবীব।
আহসান হাবীবের দু'টো বই কেনা হয়েছে এবার। 'আমি কেউ না' আর 'কেঁচো খুড়তে এনাকোন্ডা'। প্রথমটি মূলত রম্য রচনা। আর দ্বিতীয়টি বাচ্চাদের বই। দুটোই সুখপাঠ্য। বাচ্চাদের বই হলেও ওটাতে নতুন দু'একটি ব্যাপার শিখতে পেরেছি।
***সুমন্ত আসলাম
মহাকিপ্পন। এটাও রম্য উপন্যাস বলা যায়। সুমন্ত আসলামের সব লেখার মত এটাও শেষের দিকে নাটকিয় মোড় নিয়েছে কাহিনি। সুখপাঠ্য ছিল।
***রোহিত হাসান কিছলু
দুষ্টু বাহিনি। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটা ছোটদের জন্য লেখা বই। তবে আমি পড়ে খুবই মজা পেয়েছি।
***আবু হেনা রনি।
খাট'ই বন্ধু। জ্বী, মিরাক্কেল তারকা রনির বই। স্মৃতিচারণ মূলক বই। এই ধরনের লেখা আমার আগে থেকেই ভাল লাগে। এটাও ব্যাতিক্রম নয়। লাভড দিস বুক।
***হুমায়ূন আহমেদ
বাদশাহ নামদার। ভাল্লাগছে খুব। সবাই পড়বেন এই বইটা।
***হূমায়ূন কবীর
আমার রোগী বন্ধুরা। বাংলাদেশী এক প্রবাসী ডাক্তারের তার বিভিন্ন রোগীদের জীবনগাথা এই উপন্যাসে উঠে এসেছে। আমেরিকানদের নিয়ে আমাদের অনেক ভুল ধারনা হয়ত ভেঙে যাবে।
***মেহেরুন নেছা রুমা
সম্পর্ক। চারটি ভিন্ন ভিন্ন গল্প নিয়ে বইটা। নালন্দা প্রকাশনের এক ভাই এই বইটা আমাকে দিলেন টেস্ট কেস হিসেবে। আমিও নিলাম। কথায় কথায় তিনি অনেক কথাই বললেন। অভি, তোমার লেখনির অনেক প্রশংসাও করেছেন উনি। নামটা আমি জিজ্ঞেস করি নাই অবশ্য।
গল্প গুলো পড়ার সময় কিছু কিছু জায়গায় আমি ডিফেন্সিভ ফিল করেছি। কাহিনি খুবই সাবলীল। ছোট ছোট গল্প যারা লিখেন তাদেরকে এই বইটা হেল্প করতে পারে।
***রফিক আনোয়ার।
তিমির পেটে বসবাস। এই লেখকের লেখা আগে কখনো পড়িনি। টেস্ট কেস হিসেবে বইটা কিনেছিলাম চট্টগ্রাম বই মেলা থেকে। মুগ্ধ হবার মত একটা বই। অসংখ্য চরিত্র আছে এই উপন্যাসে। বিস্তৃত পটভূমিতে লেখা। তবে চিটাগাং এই লেখক তার লেখনীর ভিতরে মাজারীদের প্রতি সহানুভূতি এবং তাবলীগের প্রতি বিরূপতা ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছেন বলে মনে হয়েছে। যা যথেষ্ঠ বিরক্তির উদ্রেগ করেছে।
***আবুল হোসেন ভট্টাচার্য
আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম। এই বইটা সবার পড়া উচিত। অনেক কিছু জানা যাবে। তবে বাচ্চাদের কিছুদিন পরে পড়াই ভাল। এই লেখকের বাকি বইগুলোও আমি সংগ্রহ করব ইন শা আল্লাহ!
কেউ যদি কোন বই সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সতো আছেই। 

কর্জে হাসানা

ইসলামের দু'একটা আইন মাঝে মাঝে আমার জ্ঞানে আসে না। মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে একটু ঘুরে ফিরে আসি।
ধার বা কর্জে হাসানাকে ইসলামে যথেষ্ঠ উৎসাহিত করা হয়েছে। কেউ যদি ধার চায় তবে তাকে সাহায্য করা এবং কেউ বিপদে পড়লে না চাইলেও উপযাজক হয়ে ধার দেয়া পূন্যের কাজ। কর্জে হাসানার প্রচলনের অভাবে সুদি ব্যাংকের ঋনের বেড়াজালে মানুষ আটকে যেতে পারে। যাই হোক, ধরা যাক, আমার এক বন্ধু সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাকুরী করে। বিপদে পড়ে আমি তার কাছে ১ লাখ টাকা ধার চাইলাম। সে নানা কিছু চিন্তা করে আমাকে ধার দিতে রাজি হল।
এই ঘটনা যদি বিকাশ যুগের আগের হয় তবে টাকা পাঠানোর জন্য তাকে দূরবর্তী কোন ব্যাংকে যেতে হবে। ধরা যাকে সেই ব্যাংকটি গাড়ি যোগে এক ঘন্টার দূরত্ব অবস্থিত। যেতে আসতে মিনিমান দুই ঘন্টা। আমাকে ধার দিতে তার জীবন থেকে দু'ঘন্টা সময় ব্যয় হল, তার ভ্রমণের কষ্ট হল, টাকা পাঠানোর ব্যাংক ফীটাও তাকে ভরতে হল। বন্ধু আমার এই সব নীরবে সহ্য করল এই আশায় যে, যথা সময়ে আমি তার টাকা ফেরত দেব।
কিন্তু আফসোসের কথা হল তার যথাসময় আর আমার যথাসময় এক নয়। দুই মাসের কথা বলে টাকা নিয়েছি, ৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু আমার যথাসময় আর আসে না।
এখন দেখা যাক ৫ বছরে তাত্ত্বিকভাবে একলাখ টাকার মূল্যমান কত থাক।
ইসলামিক আইন অনুযায়ী এক লাখ টাকা আমার হাতে থাকলেও বছর বছর আমার বন্ধুকেই যাকাত দিতে হবে। টাকা তার হাতে নেই, টাকার কোন সুবিধাও সে পাচ্ছে না, কিন্তু যাকাত তাকে দিতে হবে!
১,০০,০০০/৪০ = ২,৫০০। একলাখ টাকার প্রতিবছরে যাকাত ২৫০০ টাকা। কাজেই আমার বন্ধু ৫ বছরে যাকাত দিল = ২৫০০*৫ = ১২,৫০০ টাকা।
টাকার মূল্যমান দিন দিন কমছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে ১০০ টাকায় যে পরিমান পন্য কেনা যেত এখন পাওয়া যাচ্ছে তার অনেক কম। মুদ্রাস্ফীতির কারনে এখন ১০ টাকাকে কোন টাকাই মনে হয় না। দেশ-বিদেশ ব্লগ হতে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে এক টাকায় সে পন্য পাওয়া যেত ২০১৪ সালে সে পন্যের মূল্য হয়েছে ১২.৪৫ টাকা। অর্থ্যাৎ ৪০ বছরের ব্যবধানে পন্যের দাম বেড়েছে প্রায় ১২.৪৫ গুন। কাজেই ৫ বছরে পন্যের দাম বাড়বে ১২.৪৫*৫/৪০ = ১.৫৬ গুন। অর্থাৎ পাঁচ বছর আগে আমার বন্ধু একলাখ টাকায় যে পন্য কিনতে পারত পাঁচবছর পর সে পন্য কিনতে তার লাগবে = ১০০০০০*১.৫৬ = ১৫৬০০০ টাকা!
কি হিসেব করলাম! নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না! পাঁচ বছরে আমার বন্ধু নীট লস = ১৫৬০০০-১০০০০০+১২৫০০ = ৬৮৫০০ টাকা! নিশ্চয়ই আমার হিসেবে কোন ভুল হয়েছে!
মূল্যস্ফীতির কারনে ক্ষতির পরিমানটা চোখে দেখা যায় না। কিন্তু যাকাত দিতে হয় নগদ টাকায়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী যাকাত প্রদানে সম্পদ কমে যায় না আর ধারের টাকার যাকাত প্রকৃত মালিককেই দিতে হয়! টাকা তার আয়ত্ত্বে নেই, তারপরও!
আল্লাহই ভাল জানেন। তিনি সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টির জন্য কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ সে অনুযায়ীই তিনি বিধান দেন। সৃষ্টির সেটা বুঝে আসুক বা না আসুক, ভাল লাগুক বা না লাগুক - তার কাজ সে বিধান অনুযায়ী চলা।
বিকাশ যুগে ধারের ক্ষেত্রে ক্ষতির নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ধরেন আপনার বন্ধু আপনার কাছে ১০ হাজার টাকা ধার চাইল। আপনি জিজ্ঞেস করাতে বলল বিকাশ করে দিতে। আপনি ১০ হাজার বিকাশ করলেন ২০০ টাকা ফী সহ। ফেরত নেবার সময় কিন্তু সে আর ফী দিয়ে পাঠাবে না। তোলার সময় আপনি আবার ২০০ টাকা ফী দিলেন। আপনার পকেট থেকে হাওয়ায় উড়ে গেল ৪০০ টাকা! শুধু বিকাশ দিয়েই ব্রাক ব্যাংক কোটি কোটি টাকা আপনার আমার পকেট থেকে খসিয়ে নিচ্ছে।
খুব কম সংখ্যক মানুষই আছে যারা এইসব লসের ব্যাপারে সচেতন। সচেতনরা ১ সপ্তাহের কথা বলে টাকা নিলে ১ সপ্তাহ পরেই ফেরত দেয়। টাকা গ্রহন ও প্রদানের সম্পূর্ণ ফী নিজেরাই বহন করে। ধার দানকারী ব্যক্তির ঘাড়ে চাপায় না।
এইসব কারনে "কর্জে হাসানা"র আমল থেকে দিন দিন মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। আর সুদ ভিত্তিক টাকা লেনদেনের সাথে নতুন নতুন মানুষ জড়িয়ে পড়ছে। সবদিকেই সমস্যা। 
unsure emoticon

তাবলীগ বিদ্বেষীদের অভিযোগ-১

"ইসলামের ভিত্তি হল পাঁচটি। তাবলীগীরা ছয় নাম্বার কোথায় পেল?"
তাবলীগের সাথে শত্রুতা পোষনকারী কিছু ভাইয়ের মুখে এই উক্তি আমরা শুনেই থাকি। শুনে যতটুকু রাগ লাগে তারচেয়ে বেশি অবাক হই। আগে ইসলামের ভিত্তি নিয়ে দু'টো কথা বলে নেই।
সবাই আমরা জানি, ইসলাম পাঁচটি খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার রাসূল" এই কথার সাক্ষ্যদান করা, সালাত কায়েম করা, রমজান মাসে সাওম পালন করা, সম্পদের যাকাত প্রদান করা এবং হজ্ব পালন করা।
প্রশ্নঃ তাবলীগীরা কি এই পাঁচটি ভিত্তি অস্বীকার করে? অথবা এর সাথে কোন কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে?
এবার আসি ছয় নাম্বার প্রসঙ্গে। যারা এই বিষয়টা নিয়ে ইসলামের পাঁচ ভিত্তির বিপরীতে দাঁড় করাতে চান, তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ছয় নাম্বারগুলো বলেন তো ভাই কি কি? আমার সন্দেহ হয়, তারা বলতে পারবে না।
আমি বলছি।
১. কালিমা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ২. নামায ৩. এলেম ও জিকির ৪. একরামুল মুসলিমিন ৫. ছহি নিয়ত ৬. দাওয়াতে তাবলীগ
কালেমা এবং নামায নিয়ে বলার কিছু নেই। এইদুই বিষয় সবাই জানে। অন্য পয়েন্টগুলো বর্ণনা করার সময় তাবলীগের ভাইরা যা যা বলেন তার একটু আভাস দেই। তারা প্রথমেই সংজ্ঞা দেন, তারপর ফজিলতের একটি হাদীস বর্ণনা করেন, তারপর কিভাবে সে বিষয়টিকে নিজের মধ্যে আনা যায় সে ব্যাপারে কথা বলেন।
উদাহরণস্বরূপঃ এলেমের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়, আল্লাহর কখন কোন আদেশ, কখন কোন নিষেধ তা জানিয়া রাসূলুল্লাহর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তরীকায় আমল করা। তারপর এলেমের ফজিলত কি এবং আমরা কিভাবে এলেম শিখতে পারি সে ব্যাপারে বলা হয়।
প্রত্যেকটি পয়েন্টই মূলত এই তিনভাগে বিভক্ত। সংজ্ঞা, ফজিলত, আমল করার উপায়।
একইভাবে জিকিরের সংজ্ঞা দেয়া হয়, সর্বাবস্থায় আল্লাহর ধ্যান খেয়াল অন্তরে পয়দা করা। একরামুল মুসলিমিনঃ মুসলমান ভাইয়ের অবস্থা বুঝিয়া তার উপকার করা। ছহি নিয়তঃ আমরা যা কিছু করব আল্লাহকে খুশি করার জন্য করব। দাওয়াতে তাবলীগঃ আল্লাহর দেয়া জান, মাল, সময় নিয়া আল্লাহর রাস্তায় বাহির হইয়া জান, মাল, সময়ের সঠিক ব্যবহার শিক্ষা করা।
পোস্ট ছোট করা উদ্দেশ্যে একেবারেই সংক্ষিপ্ত লিখলাম। এখন এই বিষয়গুলো ইসলামের পাঁচ খুটির সাথে সাংঘর্ষিক কিনা বা এই বিষয়গুলো ইসলাম বহির্ভূত কিনা সেটা পাঠকের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিলাম!

পয়জন, স্লো পয়জন!

আরবী ভাষার কিছু শব্দের সঠিক বাংলা প্রতিশব্দ নেই। ভাষা যেহেতু ভাবের প্রকাশ, সেহেতু ভাবই এখানে মুখ্য। ভাব প্রকাশে মাতৃভাষার প্রয়োগ সর্বাধিক হলেও, অনেক ভাষাই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বাংলাও তার ব্যাতিক্রম নয়। আরবী শব্দগুলোর প্রতিশব্দ না পেয়ে অনেকেই কাছাকাছি শব্দ ব্যবহার করেন। এই প্রসঙ্গে আবুল হোসেন ভট্টাচার্য তার বই "আমি কেন ইসলাম গ্রহন করলাম" এ কিছু আলোচনা করেছেন। ব্যাপারটা আমি স্লো পয়জন হিসেবে দেখেছি। কাজেই যারা এই পোস্ট পড়বেন আশা করি তারাও স্লো পয়জন হিসেবেই দেখবেন। তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত আকারে লেখার চেষ্টা করছি।
‪পূজা_ও_ইবাদত‬
পূজার সংজ্ঞায় তিনি লিখেন, "পক্ষান্তরে ঘট বা মূর্তি অথবা উভয়কে সম্মুখে রেখে ফুল, চন্দনাদি সহযোগে নির্দিষ্ট মন্ত্রপাঠ করে মূর্তির উদ্দেশ্য পাদ্য-অর্ঘ্য ভোগ-নৈবদ্য প্রভৃতি নিবেদন করাকে পূজা বলা হয়ে থাকে।
মনে রাখা প্রয়োজন যে, সন্ধ্যা, আহ্নিক, তর্পন প্রভৃতি সম্পূর্ন পৃথক ব্যাপার। পূজার সাথে ওগুলর কোন সম্পর্ক নেই এবং ওগুলোতে মূর্তি, ফুল, চন্দন বা ভোগ-নৈবদ্যের প্রয়োজন হয় না। সুতরাং ওগুলোকে পূজা বলাও হয় না। মোটকথা ঘট বা মূর্তি ছাড়া এবং ভোগ-নৈবদ্যাদি ব্যতিরেকে পূজা হতেই পারে না। বিশেষ করে পুরোহিত ছাড়া পূজা যে পূজা হতেই পারে না সেকথাও প্রায় সকলেরই জানা রয়েছে। কেননা, ব্রাক্ষণ ছাড়া অন্য কারো পূজা করার অধিকার নেই।
পক্ষান্তরে ইবাদত শব্দের মোটামুটি তাৎপর্য হলো 'উবুদিয়াত' বা দাসত্ব করা। আর তা করতে হয় ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি মুসলমানকে। অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করে জীবনের প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি কাজ এমনকি প্রতিটি পদক্ষেপকে তাঁর দেয়া জীবনবিধানের আলোকে পরিচালিত করার নাম হলো 'ইবাদত'। এমতাবস্থায় পূজা এবং এবাদত সমার্থবোধক হতে পারে কিনা সেকথা ভেবে দেখার সনির্বদ্ধ অনুরোধ জানিয়ে রাখছি।" 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সেসময় সাধারন লোকদের মধ্যে থেকে তো বটেই আলেমদের কেউ কেউ না বোঝেই ইবাদত, নামায প্রভৃতি শব্দের স্থলে "পূজা"শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন।
‪‎স্বর্গ_ও_জান্নাত‬
"মানবের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)-কে যে তাঁর সহধর্মিনীসহ জান্নাতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে মুসলমানমাত্রেরই সেকথা জানা রয়েছে। পবিত্র কুরআনের বঙ্গানুবাদ করতে গিয়ে কতিপয় প্রখ্যাত আলেম জান্নাতের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে 'স্বর্গোদ্যান' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। অথচ বেদ-পুরাণাদিতে স্বর্গের যে বিবরণ পরিলক্ষিত হয় তার সাথে জান্নাতের কোনও তুলনাই হতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়ঃ
(ক) মহাভারতের বর্ণনায় প্রকাশঃ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ অবসান হলে ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির জীবিতাবস্থায়, সশরীরে এবং পদব্রজে স্বর্গে গমন করেন, এমনকি একটি কুকুরও তিনি সাথে নিয়ে যান।
(খ) রামায়নের বর্ণনায় দেখা যায়ঃ রাবণ মৃত্যুকালে শ্রীরাম চন্দ্রকে যেসব উপদেশ দিয়েছিলেন তার মধ্যে একথাও ছিল যে, 'হে রাম! সৎকার্য কখনও ফেলে রাখবে না। সকল মানুষই যাতে সহজে এবং পদব্রজে স্বর্গে যেতে পারে, সেজন্য আমি স্বর্গ ও মর্ত্যের মধ্যে পথ-নির্মানের ইচ্ছা করেছিলাম। কিন্তু আজ-কাল করে ফেলে রাখার জন্য সে সাধ আমার পূরণ হল না।'
(গ) বিভিন্ন পুরাণ-ভাগবত প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থের বর্ণনা থেকে জানা যায়ঃ
স্বর্গে উর্বশী, মেনকা, রম্ভা, তিলোত্তমা প্রভৃতি নামে বহুসংখ্যক বেশ্যা রয়েছে। দেবতাদের মনোরঞ্জন ছাড়াও তাদের কাজ হলোঃ স্বর্গগমনেচ্ছায় অসুর অর্থাৎ সুর বা দেবতা নয় এমন কোনও ব্যক্তি সৎকাজ বা তপস্যায় রত হলে তাকে ভ্রষ্ট এবং চরিত্রহীন করে তার স্বর্গগমনের পথ রোধ করা।
তাছাড়া স্বর্গে বসবাসকারী দেব-দেবীদের যেসব লীলাকাহিনী উপরোক্ত ধর্মগ্রন্থসমূহে বর্ণিত রয়েছে, তা যদি সত্য হয় তবে সে জায়গাটাকে কোনওক্রমেই সৎসাধু মানুষের বসবাসযোগ্য বলে মনে করা যায় না।
উল্লেখ্য, স্বর্গ সম্পর্কে বেদ-পুরাণাদিতে এমনি ধরনের বহু ঘটনাই বর্ণিত রয়েছে, বাহুল্য বোধে সেগুলোকে তুলে ধরা হলো না। তবে একান্ত বাধ্য হয়েই একথা বলতে হচ্ছে যে, পবিত্র কুরআনের এই সব অনুবাদকের উদ্দেশ্য যত সৎ এবং মহৎই হোক, আসলে তাঁদের এই কাজের হলে জান্নাতের গুরুত্ব এবং মর্যাদাও ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
পরিশেষে সশরীরে এবং পায়ে হেঁটে যে-স্বর্গে যাওয়া যায় আর যে-স্বর্গের সাথে মর্ত্যের পথ নির্মাণ সম্ভব অন্তত সে-স্বর্গ এবং জান্নাত এক হতে পারে কি না সেকথা ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়ে প্রসঙ্গের ইতি টানছি।"
‪#‎আল্লাহ_ও_ঈশ্বর‬
[এই বিষয়টা এতই প্রকাশ্য যে, এই বিষয়ে লিখলাম না- লেখক]
‪#‎জাতীয়_সঙ্গীত‬
[আমাদের জাতীয় সঙ্গীত যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুড়ের একটি কবিতার প্রথম ১০ লাইন-এই কথা আমার জানা ছিল না। এই বইটা পড়তে যেয়ে পেলাম কবিতায় নাকি "ওমা! তোর চরণেতে দিলাম মাথা পেতে।" লাইনটি আছে। পড়ার পর অনেক্ষন চেষ্টা করেছি জাতীয় সঙ্গীত স্মরণ করার। কিন্তু এই লাইন পেলাম না। পরে খোজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমরা যে দশ লাইন গাই ঐটা পূর্ণাঙ্গ কবিতা নয়। আরো বাকি আছে। আজকে এক ভাইয়ের সহায়তায় পুরো কবিতাটা পড়লাম। আবুল হোসেন ভট্টাচার্য এই অনুচ্ছেদে যে কথাটি বোঝাতে চেয়েছেন সেটি হল কোন মুসলমান একমাত্র আল্লাহর সামনে ছাড়া আর কারও চরণে মাথা পেতে (প্রণাম, সিজদাহ্‌) দিতে পারে না। সে মা হোক, আর যে-ই হোক। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, এই কবিতায় কোন জাতীকে গড়ে তোলার মত কোন উপাদান না থাকায়, জাতীয় সঙ্গীতরূপে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এটি রচিত হয়েছিল কিনা। এই ব্যাপারে একজন মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হতে পারে তা পাঠকদের উপরেই ছেড়ে দিলাম।-লেখক]
‪‎বেদীর_ইতিবৃত্ত‬
"উল্লেখ্য, যজ্ঞ-কুণ্ডের নিকটে ভূপৃষ্ট থেকে কিছুটা উঁচু করে বাঁধানো আয়তাকার স্থানকে 'বেদী বলা হয়ে থাকে। আচার্য, অধবুর্য, ঋত্মিক প্রভৃতিরা তার ওপর উপবেশন করে অগ্নিতে আহুতি প্রদান এবং সাথে সাথে 'বেদমন্ত্র' পাঠ করতেন বলে নাম 'বেদী' রাখা হয়েছিল।
বৈদিক যুগের পরবর্তী সময় থেকে এ যাবত পূজার মূর্তি এবং ঘট স্থাপনের জন্যে বেদীর ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। বলাবাহুল্য, এটা সংস্কৃতভাষার একটি বিশেষ শব্দ এবং বেদ-পুরাণাদির বহু স্থানেই এই 'বেদী' শব্দের উল্লেখ রয়েছে।
অতএব বেদী যে মূর্তিপূজারই অঙ্গবিশেষ এবং একান্তরূপেই হিন্দুদের ধর্মীয় বিষয়, সেকথা খুলে বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ কোনওরূপ বিচার-বিবেচনা না করেই আমাদের কিছুসংখ্যক কিশোর-তরুন এবং বুদ্ধিজীবী বাংলা-ভাষা ও বাঙালি ঐতিহ্যের নামে অন্যান্য কতিপয় শব্দের ব্যবহার শুরু করেছেন।
সর্বাধিক দুঃখজনক হলো, এই বেদী শব্দের সাথে শহীদ শব্দের সংযোগ ঘটিয়ে তাঁরা আমাদের অতি শ্রদ্ধাভাজন শহীদদের মর্যাদা ধূলায় লুটিয়ে দিয়েছেন। জানি, আমার এ কথা পাঠ করে তাঁরা ভীষনভাবে মনোক্ষুন্ন হবেন। কেউ কেউ ক্রুদ্ধও হতে পারেন। অতএব তাঁদের অবগতির জন্য বলতে হচ্ছে, যেহেতু শহীদমিনারের চত্বরে বসে যজ্ঞে আহুতি দেয়া বেদপাঠ করা হয় না, পূজার ঘট বা মূর্তিও সেখানে স্থাপন করা হয় না। অতএব সে চত্বরের নাম বেদী অর্থাৎ শহীদবেদী রাখাটা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয় একান্তরূপে সংগতিবিহীনও বটে।
মনে রাখা প্রয়োজন, 'অর্ঘ্য', 'অঞ্জলি', 'আলপনা' প্রভৃতি শব্দ মূর্তি এবং নরপূজার উদ্দেশ্যেই রচিত হয়েছে এবং বহুকাল ধরে হিন্দুসমাজ কর্তৃক সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সুতরাং ওগুলো যে মূর্তি এবং নরপূজার সাথেই একান্তরূপে সংশ্লিষ্ট সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পক্ষান্তরে ইসলামের সাথে মূর্তি এবং নরপূজার সামান্যতম সম্পর্কও নেই, থাকতে পারে না। তা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মাতৃভাষা প্রভৃতি যেকোনও ছদ্মাবরণেই অনুষ্ঠিত হোক না কেন। এমতাবস্থায় 'আলপনা অংকন', 'শহীদবেদী'তে 'অঞ্জলি প্রদান', 'শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন' প্রভৃতি দ্বারা শুধু ইসলামের মধ্যে মূর্তি এবন নর-পূজার অনুপ্রবেশই ঘটানো হচ্ছে না-আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন শহীদদের প্রচ্ছন্নভাবে মূর্তিরূপে ব্যবহার করে তাঁদের মর্যাদা ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করার কাজও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরবী 'শহীদ' শব্দের স্থে সংস্কৃত 'বেদী' শব্দের এই গোঁজামিল কিভাবে শহীদদের মর্যাদা ভীষনভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ার কারণ ঘটিয়েছে অতঃপর ধর্মশাস্ত্রের একটি বর্ণনা তুলে ধরে তা দেখানো যাচ্ছে।
প্রজাপতি দক্ষের একশত পাঁচটি কন্যার মধ্যে সর্বজেষ্ঠ্যা সতীর বিবাহ হয়েছিল শূলপানি (শিব-মহাদেব)-এর সাথে। ব্রক্ষা, বিষ্ণুসহ প্রায় সকল দেবতাই এই বিয়ে উপলক্ষে হাটকেশ্বর তীর্থে সমবেত হয়েছিলেন এবং দক্ষের অনুরোধে ব্রক্ষা এই বিয়েতে পৌরহিত্য করেছিলেন। যজ্ঞানুষ্ঠানকালে বেদীতে উপবিষ্ট অবগুণ্ঠনবতী (ঘোমটা দেয়া) সতীর প্রতি ব্রক্ষার দৃষ্টি পতিত হলে চতুরানন (চারটি মুখবিশিষ্ট) ব্রক্ষ সকলের অজ্ঞাতে সর্বশরীর দর্শন করেন। কিন্তু অবগুণ্ঠনের জন্য মুখমণ্ডল দর্শনে ব্যর্থ হন। কৌশলে কার্যোদ্ধারের জন্যে তিনি যজ্ঞ-কুণ্ডে কাঁচা কাষ্ঠ নিক্ষেপ করতে থাকেন। ফলে প্রচণ্ড ধোঁয়া থেকে নিরাপদ থাকবার জন্যে চোখ বন্ধ করেন। বলাবাহুল্য, ব্রক্ষা এই সুযোগেরই প্রতীক্ষায় ছিলেন। সুতরাং সুযোগ বুঝে অবগুণ্ঠন উন্মোচন করে তিনি সতীর মুখমণ্ডল দর্শন করেন। উল্লেখ্য, 'সর্বাঙ্গ' দর্শন করেই তিনি কামাতুর হয়ে পড়েছিলেন। এখন মুখমন্ডল দর্শনে অবস্থা চরমে উপনীত হওয়ায় বীর্যস্থলিত হয়ে বেদীর ওপর পতিত। ব্রক্ষাও সাথে সাথে বালি দ্বারা বীর্যগুলো ঢেকে ফেলেন। কিন্তু বর মহাদেবের দিব্যদৃষ্টির কাছে তা গোপন থাকে না।
নিজের স্ত্রীর ওপর ব্রক্ষার এই কামাতুর দৃষ্টি স্বাভাবিকরূপেই মহাদেবকে ক্রোধান্বিত করে তোলে। তিনি অভিশাপ দিতে উদ্যত হন। অবশেষে ব্রক্ষার ক্ষমা প্রার্থনায় ক্রোধ প্রশমিত হয়। তবে নিজের স্ত্রীর ওপর কামসক্ত অবস্থায় স্থলিত ব্রক্ষার এই বীর্য ব্যর্থ হতে না দিয়ে তৎসংশ্লিষ্ট বালিসমূহ তিনি অঙ্গুষ্ঠপ্রমাণ (বৃদ্ধাঙ্গুলির সমান)'মুনি'তে পরিণত করেন। এইরূপ প্রতিটি বালিকণা থেকে এক এক করে মোট অষ্টাশিতি সহস্র মুনির উদ্ভব ঘটে এবং বালি থেকে উদ্ভূত বিধায় তাঁদের নাম হয় 'বালখিল্য মুনি'। 
------স্কন্দ পুরাণ, নাগর খন্ড, ৭৭ অধ্যায়।
উল্লেখ্য, বেদীর ওপর সংঘটিত এমনি ধরনের বহু ঘটনার কথাই পৌরণিক ধর্মগ্রন্থসমূহে লিখিত রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, বেদীর সাথে এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা জড়িত থাকার কথা জানার পরও কোন বিবেকবান ব্যক্তি আমাদের ঐতিহ্যবাহী শহীদমিনারের চত্বরকে 'শহীদবেদী' বলে আখ্যায়িত করতে পারেন কি না এবং তদ্বারা পরম শ্রদ্ধাস্পদ শহীদদের মর্যাদা ধূলায় লুটিয়ে দেয়া হয় কিনা?"
লেখক আবুল হোসেন ভট্টাচার্য একে একে পৌরহিত্য সমাচার, লগ্ন-মহিমা, লক্ষ্ণীমাহাত্ম্য নিয়ে লিখেছেন। পোস্ট ছোট করার উদ্দেশ্যে ওসব আমি টুকলাম না। তবে ফোঁটা, সিদুরের কথা যা লিখেছেন সেখান থেকে টুকে দিচ্ছি।
"প্রাচীনকালে হিন্দুসমাজে ব্রাক্ষ, দৈব, আর্য, প্রজাপাত্য, গান্ধর্ব, রাক্ষস, অসুর এবং পৈশাচ - এই আট প্রকারের বিয়ে প্রচলিত ছিল- এর মধ্যে বল পূর্বক বা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে যে বিয়ে করা হতো তাকে বলা হতো রাক্ষস বিয়ে।
নির্দিষ্ট কোনও চিহ্ন না থাকায় অনেক সময়ে এভাবে বিবাহিতা নারীদের বলপূর্বক নিয়ে যাওয়া হতো। ফলে শুধু ঐসব নারীদের জীবনই ব্যর্থ বিড়ম্বিত হতো না, তাদের স্বামীদের সংসারেও দারুণ অশান্তি সৃষ্টি হতো। সে কারণেই বিবাহিত নারীদের চিহ্নিত করার জন্য তাদের কপালে সিঁদুরের ফোঁটা প্রথা প্রচলিত হয়। যেহেতু বর্তমানে এ ধরনের বিয়ে প্রচলিত নেই, অতএব ফোঁটা দেয়ার প্রয়োজনীয়তাও শেষ হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আজকাল যেসব রাক্ষস বলপূর্বক নারীদের ধরে নিয়ে যায় তারা ফোঁটার খাতির করে না। বিবাহিতা জেনেও রেহাই দেয় না। অতএব ফোঁটা দিয়ে তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব না। এখন ফোঁটা দেয়ার অর্থই যে আমাদের পূর্ব-পুরুষদের বর্বরতাকে পরিস্ফুট করে তোলা, সেকথা খুলে বলার প্রয়োজন হয় না। আর এ কাজ যে আমাদের পক্ষে মোটেই গৌরবজনক নয় সুতরাং বাঞ্ছনীয়ও নয় সে কথাও সহজেই বোধগম্য। তবে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, পূর্ব-পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা বা মমত্ববোধের জন্যে বিবাহিতা হিন্দু নারীরা আজও এ প্রথা ধরে রেখেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, মুসলমান সমাজে এ ধরনের কিছু না ঘটা সত্ত্বেও বিবাহিত-অবিবাহিতা নির্বিশেষে মুসলমান মেয়েদের কেউ ফোঁটা দেয়ার কাজ শুরু করলেন কোন হিসেবে?"
সূত্রঃ আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করলাম। লেখকঃ আবু হোসেন ভট্টাচার্য। জ্ঞান বিতরনী প্রকাশনী।পৃষ্ঠাঃ ১৪১-১৫৬।
কিছুদিন আগেও কেউ যদি আমাকে বলত "জল, জলখাবার, মাংস" ইত্যাদি হিন্দুয়ানী শব্দ তখন তার উপর রাগ লাগত। ভাবতাম শব্দের আবার হিন্দু-মুসলমান কি? শব্দতো শব্দ-ই। এখন আর তেমনটা মনে হয় না। এই শব্দগুলো কি অর্থে ব্যবহৃত হত, উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে জানা নেই। প্রচলিত অর্থে ভুল শব্দ ব্যবহার করছি কিনা-এখন এই প্রশ্ন মনের ভিতর উঁকি দিয়ে যায়।
আল্লাহই ভাল জানেন!

ঘৃনার চাষাবাদ (খেলাধুলা ও অন্যান্য)


আবেগকে একপাশে রেখে লেখার চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে এক জ্ঞানী ব্যক্তির পোস্ট দেখলাম। তিনি পোস্ট দিয়েছেনঃ
আপনি কি?
ক) হানাফী 
খ) সালাফী
গ) আহলে হাদীস 
ঘ) মুসলিম

এই জ্ঞানগর্ভ প্রশ্নের জবাবে আমি ছোট্ট একটা পালটা প্রশ্ন করতে চাইঃ
আপনি কি?
ক) শ্বেতাঙ্গ
খ) কৃষ্ণাঙ্গ
গ) ইন্ডিয়ান
ঘ) মানুষ

আমার প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে জ্ঞানী ব্যক্তির প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যাবে।
বস্তুত এইসব প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য ভাল কিছু নয়। একমাত্র উদ্দেশ্য বিভেদ সৃষ্টি করা, ঘৃণার বাষ্প ছড়ানো। সেন্সটা এমন হয় যে, আমি যদি হানাফী ফিকহের অনুসারী হই তবে আমি মুসলিম নই, সালাফী হলেও নই, আহ্‌লে হাদীস হলেও নই। আবার মুসলিম হলে আমি হানাফী ফিকহ্‌ এর অনুসারী হতে পারব না, সালাফী হতে পারব না, আহলে হাদীস হতে পারব না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, যার ঈমান ও আক্বীদা ঠিক আছে সে-ই মুসলিম। এখন প্রশ্ন করার বিষয় হল হানাফী, সালাফী ও আহলে হাদীসের মধ্যে ঈমান ও আক্বীদাগত এমন কোন বিষয় আছে কিনা (থাকলে কি কি) যার দ্বারা তাদেরকে মুসলিমদের কাতার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়, অমুসলিম ঘোষনা করা যায়। জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিকট এই অধমের সামান্য জিজ্ঞাসা।
মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। বাংলাদেশের দলের ক্যাপ্টেন-এই পরিচয়ের আগে তার পরিচয় তিনি একজন খেলোয়াড়। তিনি জানেন “খেলা” মানে কি। সমস্যা হল আমরা যারা বাংলাদেশ দলের (এবং অন্যান্য) সমর্থক আছি তারা জানি না। খেলা চলাকালীন বা খেলার আগে-পরে আমরা ভুলে যাই খেলা শুধুমাত্র “বিনোদনের” একটা মাধ্যম। এর বেশি কিছু নয়। মাশরাফিরা এই ব্যাপারটা ভাল করে জানেন বলেই তারা যেকোন পরিস্থিতিতেই সংযত থাকেন।
খেলা সেটা ভারতের সাথেই হোক বা পাকিস্তানের সাথে, খেলা খেলা-ই। এটা কোন যুদ্ধ নয়। খেলোয়ার হিসেবে তারা যদি এটা মনে রাখতে পারে তবে দর্শক হিসেবে আমাদেরও মনে রাখা উচিত।
একজন মুসলিম যখন নামায পড়তে যায় তখন তার পাশে কে দাড়িয়েছে, সে চোর না ভদ্রলোক, ঘুষখোর নাকি সুদখোর-এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। মসজিদের প্রবেশ করা মাত্রই সবাই মুসুল্লি। কোম্পানি সিইও এবং সুইপার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামায পরে। ধরাযাক, কোন কারনে আমি মক্কায় গিয়েছি। সেখানে আমার পাশে নামায পড়ার জন্য আফ্রিদি আসল। অথবা ইরফান পাঠান আমার পাশে দাড়াল। তখন কি আমি তাদের ঘাড় ধরে বের করে দিব?
ইসলাম একের পাপের বোঝা আরেকজনের ঘাড়ে চাপায় না। আমার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন পুরুষ নিজ দায়িত্বে যতই পাপাচারে লিপ্ত হোক না কেন সেই পাপের হিসাব তাদেরকেই দিতে হবে। দুনিয়ার আইনেও দেখি কেউ যদি খুন করে তবে ফাঁসি তার বাপ-ভাইকে দেয়া হয় না। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকেই দেয়া হয়।
একাত্তর এবং পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী আমাদের প্রতি যে অন্যায় করেছে তার জন্য এখন কি আফ্রিদিকে দোষী সাব্যস্থ করব? একাত্তর পরবর্তী সময়গুলোতে ভারত যত অন্যায় আমাদের সাথে করেছে তার জন্য ভিরাটকে দোষী সাব্যস্থ করব? পাকিস্তান-ভারতের সাথে এতই শত্রুতার জন্য যাদেরকে দায়ী করছি তারা কি আদৌ ঐসব বিষয়ের জন্য দায়িত্ববান? তারা কি ঐ অপকর্মগুলো নিজেরা করেছে নাকি করতে নির্দেশ দিয়েছে? পাকিস্তানে যে সূর্য্য আলো দেয় একই সূর্য্য আমাদেরও আলো দেয়। তাহলেতো সূর্য্যালোক যেন এই দেশের মাটিতে না পড়ে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভারতকে আজই জানিয়ে দিতে হবে তাদের দেশের নদীর পানি যেন আমাদের দেশের ভিতরে ঢুকতে না পারে।
প্রাক ইসলামিক যুগে আরবের গোত্রসমূহের মধ্যে ভয়াবহ বিবাদ ছিল। সবাই যখন ইসলাম গ্রহন করল তখন যুগের পর যুগ চলে আসা বিবাদ ভুলে ভুলে সবাই আল্লাহর জন্য পরস্পরকে ভালবাসলেন। ভেবে দেখার বিষয় হল, অযৌক্তিকভাবে আমরা সেই প্রাক ইসলামিক যুগের দিকে পা বাড়াচ্ছি কিনা!

আমার প্রথম মোবাইলে কেনার আশ্চর্য ঘটনা (ভিডিও ছাড়া)


এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে তখন। প্র‍্যাকটিক্যাল চলছে। এরই মধ্যে খবর পেলাম এস এস সিতে ভাল রেজাল্টকয়ারীদের বোর্ড থেকে টাকা দিচ্ছে। কলেজের নোটিশ বোর্ডে দেখলাম আমার নামটাও আছে! টাকার পরিমাণটাও আমার জন্য যথেষ্ঠ। ভাবলাম দু-একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম কেনার টাকা হাতে রেখে বাকি টাকা দিয়ে একটা মোবাইল কিনব। এক বন্ধুর বাসা থেকে পুরনো পত্রিকা নিয়ে পড়তাম তখন। ফিচারড ফোনের বড় বড় বিজ্ঞাপন থাকত তখন পেপারে। সেখান থেকে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে সেট পছন্দ করার চেষ্টা করতাম। অবশেষে এক ফ্লেক্সির দোকানে একটা বিজ্ঞাপন দেখে একটা সেট পছন্দ হল। দোকানমালিককে বলে রাখলাম টাকা হাতে পেলেই এই সেটটা আমাকে এনে দিতে হবে।
এরই মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হল। তাবলীগের বড় ভাইরা আমাদের পিছনে সময় দিচ্ছেন। একটা জামাত বের করা যায় কিনা। এইচ এস সি পরীক্ষার পর জামাত বের করা কঠিন। কারন তখন অনেক ছাত্র কোচিং এ ভর্তি হয়। আমি সারাদিন নানা ধান্ধায় থাকি। আর একা একা জামাতে যাব না-এটা আগেই বলে দিয়েছি। খুব যে যাবার ইচ্ছা ছিল তেমনটাও নয়। যাই হোক, প্রায় রাত দশটার দিকে আমার এক বন্ধু আসল। সে এস এস সির পর জামাতে বের হয়েছিল। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবার কারনে আমি ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। সারারাত মসজিদে রাত্রিযাপন করে পরদিন ভোরে কাকরাইল মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। খরচা হিসেবে মোবাইল কেনার জন্য যে টাকা আলাদা করে রেখেছিলাম সে-ই টাকা নিয়ে নিলাম। ভাবলাম পরে টাকা জমিয়ে কিনব।
জামাতে থাকাকালীন সপ্তাহে একদিন বাসায় ফোন দিতাম। মানে পাশের বাসায় ফোন দিলে আম্মাকে ডেকে দিত। আম্মা সারা সপ্তাহ অপেক্ষায় থাকতেন আমার ফোনের জন্য।
এভাবে কিছুদিন অতিক্রান্ত হবার পর আমি ফিরে এলাম। আসার দু-একদিন পর আম্মা নিজে থেকেই বলছেন একটা মোবাইল কিনতে। আমি বললাম, মোবাইলের টাকাতো খরচ করে ফেলেছি। উনি বললেন টাকা উনি দেবেন। আমিতো পুরো অবাক! ঘটনাটা কি? আগে একবার আম্মাকে বলেছিলাম টাকা দিতে মোবাইল কেনার জন্য। তখন উনি টাকা দেন নি। আর এখন টাকা সাধছেন!
আপার কাছে শুনলাম ঘটনা। আমি জামাতে থাকাকালীন একদিন আম্মার মনে হল আমার সাথে কথা বলবেন। উনার এই স্বভাব আছে। একবার যদি মনে হয়, কারো সাথে দেখা করবেন বা কথা বলবেন তবে যতক্ষন পর্যন্ত সেটা না হবে ততক্ষন পর্যন্ত আর শান্তি নেই। তো, আম্মা পাশের বাসায় গেলেন আমাকে ফোন করার জন্য। যার মোবাইল তিনি আম্মাকে বললেন, খালাম্মা ৭ টাকা করে মিনিট কাটে! মোটকথা, তার আচরনে আম্মা খুব কষ্ট পেলেন।
আমি মনে মনে শুকরিয়া আদায় করলাম। জামাতেও যেতে পারলাম, ফিরেই মোবাইল পেয়ে যাচ্ছি। আবার সেই ফ্লেক্সির দোকানে গিয়ে বললাম সেট নিয়ে আসতে। কয়েকদিন পর উনি আমাকে Samsung SGH N710 মডেলের সেটটি এনে দিলেন।
তাবলীগে সময় দিলে দুনিয়াদারীর কোন ক্ষতি হয় না। ভাইদের জীবনে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। কাকরাইল মসজিদে সাথীদের অভিজ্ঞতার বিবিরণ শুনলে হতবাক হয়ে যেতে হয়। আমার আমার এটা অতি সামান্য ব্যাপার।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ, ক্ষমাশীল!