Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Saturday, January 31, 2015

শুভেচ্ছা

ফেসবুকে যখন প্রথম আসি তখন কেউ যদি আমার রিকুয়েস্ট এক্সসেপ্ট করত বা আমি কারোটা করতাম তখন তার ওয়ালে যেয়ে স্বাগতম জানিয়ে পোস্ট দিতাম। একই পোস্ট সবার ওয়ালে দিতাম। যে বাক্যটা লিখতাম সেটা অনেকটাই আমার ট্রেডমার্ক হয়ে গিয়েছিল। তখন সবার ওয়াল মোটামুটি উন্মুক্তই থাকত। বন্ধুদের মধ্যে সবাই সবার ওয়ালে লিখতে পারত। কারো ওয়ালে বিব্রতকর কিছু লেখার মত মানুষ কম ছিল। আর এখনকার টাইমলাইন হল গোপন সিন্দুকের মত! কম্বিনেশন কোড জানা না থাকলে খোলা সম্ভব নয়।

তখন ফ্রেন্ডলিস্টে পরিচিত-অপরিচিত মিলিয়ে খুব অল্পই মানুষ ছিল। এখনকার মত প্রতিদিনই দুই-চার জনের বার্থডে নটিফিকেশন আসত না। সারা মাসে এভারেজে ১০-১৫ জনের হয়ত বার্থডে থাকত। সবার বার্থডেতে উইশ করতাম। যাদের সাথে চলেছি, বা যাদের এক্টিভিটি ভাল লাগত তাদের টাইমলাইনে লিখতাম। উইশ করে ছড়া লিখতাম। ইউনিক ইউনিক ছড়া! কারোরটার সাথে অন্যেরটা মিলত না।

যারা স্পেশাল ছিল তাদের জন্য সব উপলক্ষ্যেই লিখতাম ছড়া। ঈদ, নিউ ইয়ার, নববর্ষ-ইত্যাদি। ইন্টারনেট থেকে বা কারো কাছ থেকে ধার করা কোন কিছু কাউকে পাঠাতে আমার ভাল লাগত না। মনে হয় সে যদি এটা পারে, আমি পারব না কেন? দেখি না পারি কিনা!

হুম, পারতাম। মাঝে মাঝে এমন সব মেসেজ লিখতাম নিজেই অবাক হয়ে যেতাম! আর যারা সেই সব মেসেজ পেত তারা হত মহাখুশি! সামান্য একটা মেসেজ! কয়েক কিলোবাইট। কিন্তু খুশিটা? মানুষের খুশি দেখতেও ভাল লাগে।

আর এখন? জানি না...

উইশ করা বাদ দিয়েছি প্রায় দুই-তিন বছর হবে।

কোথাও যদি ভূমিকম্প হয় তাহলে ভূপৃষ্ঠের দু'ধরনের পরিবর্তন হতে পারে। স্থায়ী ও অস্থায়ী। অস্থায়ী পরিবর্তন যেমন, ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়া, গাছ পালা নষ্ট হওয়া ইত্যাদি। এগুলো সময়ের ব্যবধানে আবার গড়া যায়। কিন্তু স্থায়ী পরিবর্তন যেমন ভূমিধ্বসে কোন জলাশয়ের সৃষ্টি বা জলাশয় শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি আগেরকার মত হয়ে যায় না। শক্তিশালী ভূমিকম্প না হলে এমন হয় না।

প্রিয়মানুষগুলোর মুখ ফিরিয়ে নেয়াও একধরনের ভূমিকম্পের মত। জীবনে পরিবর্তন রেখে যায়। এই পরিবর্তন কি স্থায়ী হবে না অস্থায়ী হবে তা নির্ভর করে মানুষগুলো কতটা প্রিয় ছিল তার উপর। আমার উইশ না করটা বলতে গেলে স্থায়ী পর্যায়ের হয়ে গিয়েছে। উইশ করতেও ভাল লাগে না, নিতেও ভাল লাগে না।

প্রতিদিনই ব্রাউজারের ডানপাশে অমুকের অমুকের বার্থডে দেখি, দেখি অমুক পোস্টেড অন অমুক'স টাইমলাইন ফর হিজ বার্থডে জাতীয় নিউজ ফিড। শত শত মানুষ শুভেচ্ছা জানানোতে অনেকের উচ্ছ্বাসমূলক পোস্ট দেখি। এড়িয়ে যাই...

আমার কি একটু মন খারাপ হয়? চিন্তার বিষয়...!

তারপরও যদি কাউকে উইশ করি তবে বুঝতে হবে সে আমার কতটা প্রিয়! তাকে কতটা আপন ভাবি! দুঃখের বিষয় এই যে, মনস্তাত্ত্বিক কারনে কাউকে সহজে আপন ভাবতে পারি না। কত মানুষ দেখি কত সহজে অন্যকে আপন করে নেয়। আমি পারি না। মনেহয় পারতে চাইও না।
আই উইশ ইফ আই কুড উইশ এগেইন!

No comments: