Featured Post

I SAID NO TO QUANTUM METHOD

পূর্বে পোস্ট আকারে প্রকাশিত। কারও সাথে ঝগড়া করার জন্য এটা দেইনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। কেউ মানতে না পারলে আমার কিছু করার নেই।  আ...

Friday, July 7, 2017

সংসার জীবন

ঈদের সকালটা ঈদের মতই গেল। সকাল আটটায় অফিস থেকে গেলাম বাসায়। ৯ টায় জামাত ছিল। নামায পড়ে বাসায় যেয়ে ঘুমানোর আগে হালকা ক্ষুধা লেগেছিল। সেমাইয়ের কড়াই নিয়ে বসলাম।

আমি মিষ্টি বেশি খাই। যেকোন মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমার চিনি বেশি লাগে। চিনি কম হলে পানসে লাগে নয়ত তিতা লাগে। চিনি কম হবার কারণে বা অন্যকোন কারণে তিতকুটে লাগছিল। সামান্য ব্যাপার নিয়ে খটর মটর করার অভ্যাস হয়ে গেছে। শুরু করলাম ঘ্যানর ঘ্যানর। এক পর্যায়ে রেগেমেগে সেমাইয়ের কড়াই চিলের ছো মারার মত আমার সামনে থেকে চলে গেল।


যে রান্না করেছে সে কষ্ট করেই রান্না করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ছো মারার বিষয়টা আমার কাছে নতুন। রাগ যা উঠছে তার চেয়ে বেশি হয়েছি অবাক!

কুরআন/হাদীস নিয়ে অযৌক্তিক যুক্তি


আমি যদি বলি রোগ হয়েছে ডাক্তারের কাছে যাবার দরকার নেই, অপারেশনের দরকার নেই। বইপত্র কিনে নিজেই পথ্য নিন, ছুড়ি-চাকু দিয়ে সার্জারি নিজেই করুন। আপনি আমাকে হেমায়েতপুর পাঠাতে চাইবেন। 

আমি যদি বলি বাজার থেকে চাল-ডাল কেনার দরকার কি? কাস্তে-কোদাল নিয়ে নিজেই ফসল ফলিয়ে খাবেন। তাহলে আমাকে বলদ বলবেন।

যদি বলা হয় আইনি ঝামেলা আইনজীবীর কাছে না যেয়ে আইনের বইপত্র কিনে নিজেই মোকাবেলা করতে তাহলে নির্ঘাত মাথায় বাড়ি দেবেন।

যদি বলি দালান বানাতে আবার ইঞ্জিনিয়ার লাগে? নিজে নিজে বই পড়েই তো বানানো যায়। আপনি আমাকে নির্বোধ বলবেন। 

যদি বলি সিএনজি ভাড়া দেয়ার কি দরকার? নিজেই সিএনজি কিনে চালাবেন-তাহলে মুখ খারাপ করে দিবেন। 

যদি বলি মোবাইলের সমস্যায় মেকারের কাছে যাবার প্রয়োজন নেই। স্ক্র ড্রাইভার নিয়ে নিজেই লেগে যান। তাহলে নির্ঘাত আমার সাথে তর্ক জুড়ে দিবেন। 

শুধু আপনি যখন বলেন আলেমদের কি দরকার। কুরআন-হাদীস নিয়ে গবেষণা করতে বসেন - তখন আমি কি করব তাই ভেবে পাই না।

কার টাকা কার পকেটে যাচ্ছে...


ছোট্ট একটি হিসাব করি। 


ধরি, কোন মুসলিমের বাৎসরিক আয় ৬,০০,০০০ টাকা। এর মধ্যে বেতন ৪,৮০,০০০ টাকা। বাকি ১,২০,০০০ টাকা তিনি বিভিন্ন উপলক্ষে বোনাস পেয়ে থাকেন। আরও ধরা যাক, বছরের যেকোন সময় (কুরবানীর ঈদ হতে পারে) তার একাউন্টে বেতন-বোনাস মিলে এককালীন ১,০০,০০০=+ টাকা তার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। (যেহেতু দিনমজুর টাইপের কাজ ছাড়া প্রায় সকল ধরনের কাজে এখন ব্যাংক একাউন্টে স্যালারী যোগ হয়) 

এখন কারও আয় ২,৫০,০০০ টাকা থেকে ৭,০০,০০০ টাকা হলে তাকে আয়কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। এই হিসেবে ঐ মুসলিমের ৬০,০০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। ব্যাংকে এককালীন লক্ষাধিক টাকা জমা হবার কারনে তাকে আবগারী শুল্ক বাবদ দিতে হবে (বর্তমান বাজেট অনুযায়ী ১ হাজার। আগে ৫শ' ছিল) ১ হাজার টাকা। ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য এখন এস এম এস ব্যাংকিং বাধ্যতামূলক। এর চার্জ প্রায় ৩০০ টাকা বছরে। একাউন্ট মেইনটেন্যান্স খরচ ব্যাংক কাটবে ১০০ টাকা। হল ১৪০০ টাকা। এইধরনের বিভিন্ন চার্জের উপর আসবে ভ্যাট। ভ্যাট সহ মোট চার্জ ১৫৫০ টাকা অতিক্রম করে যাবার কথা। আর যদি ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে সেটার চার্জ ধরলাম বছরে ২০০ টাকা। মোট ১৭৫০ টাকা। 

তাহলে ঐ মুসলিমের ৬০,০০০+১,৭৫০=৬১,৭৫০ টাকা হাওয়ার উপরে চলে যাবে।

সৌদির সাথে মিল করে রোযা/ঈদ করার সমস্যা


সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা-ঈদ করতে গেলে অন্যসব কিছু বাদ দিলেও যে সমস্যাটা প্রকট লাগে সেটা বলছি। আগে দু'টো ব্যাপার স্টান্ডার্ড ধরে নেই। 


১. সৌদি আরবে চাঁদ বাংলাদেশের তুলনায় আগে উঠে এবং বাংলাদেশে সূর্য ৩ ঘন্টা আগে অস্ত যায়। এমন কখনো হয়েছে কি বাংলাদেশে চাঁদ আগে উঠেছে আর সৌদিতে সূর্য আগে ডুবেছে?

২. সূর্য ডুবলেই চাদের হিসেবে নতুন তারিখ শুরু হয়। 

ধরাযাক, আজকে ২৮ শাবান। বাংলাদেশে মাত্র সূর্য ডুবল। বাংলাদেশের জন্য চাদের নতুন তারিখ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে চাঁদ দেখা যায় নি। কাজেই বাংলাদেশের হিসেবে ২৯ শাবান শুরু হয়ে গেল। ঠিক?

এখন আরও ৩ ঘন্টা পর সৌদি আরবে সূর্য ডোবার পর চাঁদ দেখা গেল। সৌদিতে রমজান শুরু হয়ে গেল। এখন যদি আমরা বাংলাদেশেও পহেলা রমজান ধরি তাহলে তো সন্ধার পর থেকেই ধরব তাইনা? সৌদি সময় সন্ধ্যা ৭ টায় চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে তখন রাত ১০ টা। আমরাতো আর রাত ১০ টা থেকে চাদের নতুন তারিখ ধরব না। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা (সূর্যাস্তের পর পর) থেকে নতুন তারিখ ধরব। কিন্তু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় তো নতুন চাঁদ দেখাই যায় নি! নতুন মাসের তারিখ কিভাবে ধরব? 

এই সমস্যার কি সমাধান?

শিশু সুলভ প্রশ্ন!


অনলাইনে অমুসলিমদের সমালোচনা করলেই এক অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, "ইহুদিদের যদি এতই অপছন্দ তাহলে তাদের আবিষ্কৃত কম্প্যূটার কেন ব্যবহার করেন? মোবাইল কেন ব্যবহার করেন? ইন্টারনেট কেন চালান?" - ইত্যাদি ইত্যাদি! এই আজব প্রশ্নের জবাব দেবার আগে একটু গল্পগুজব করা যাক।

আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের ৩-৪ বছরের ছেলে আছে। তাদের বাসায় বেড়াতে গেলেই সে নানা প্রশ্নবানে আমাকে জর্জরিত করে। সাধ্যমত উত্তর দেবার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে বিরক্তিও বোধ করি। তার কিছু কিছু প্রশ্ন একান্তই শিশুসুলভ।

"আংকেল, চিটাগাং যাইও না। চিটাগাং ভাল না।
"চিটাগাং যাব। চিটাগাং অনেক ভাল।"
"তুমি চিটাগাং যাবা কেন?"
"আমাকে অফিস যেতে হবে।"
"কেন?"
"অফিসে না গেলে টাকা পাওয়া যায় না।"
"কেন?"

ডাকয়োর্থ-লুইস মেথডের যতকথা!


ক্রিকেট পছন্দ করে অথচ ডাকয়োর্থ-লুইস (D/L) মেথডের নাম শোনে নি এমন মানুষ বোধকরি কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বলুন তো ডাকয়োর্থ লুইস মেথড আসলে কি, কিভাবে কাজ করে-তখন কতজন সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারবে? প্রকৃতপক্ষে উত্তরটা এত সহজও নয়। 


সোজা কথায় বললে D/L মেথড দ্বারা কোন ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন যদি কোন অনাকাঙ্খিত বাধা (মূলত বৃষ্টি) তৈরি হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত ওভার কমিয়ে দেয়া হয় তাহলে প্রথম দলের স্কোরের উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় দলের জন্য টার্গেট নির্ধারন করার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিখুঁত/কার্যকর পদ্ধতি। এর আগে Average Run Rate এবং Most Productive Over দুটি পদ্ধতিসহ অন্যান্য পদ্ধতি চালু ছিল। অন্যগুলোর তুলনায় Average Run Rate এবং Most Productive Over পদ্ধতির কার্যকারিতা তুলনামূলক বেশি থাকলেও কতটা বাস্তব সম্মত ছিল সেটা দু'টি উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হবে। 

প্রথমে ১৮৮৯ সালের অস্ট্রিলিয়ার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের কথাই বলতে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রিলিয়া বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে ৩৮ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২২৮ রান তুলতে সমর্থ হয়। পরে বৃষ্টির কারনে টার্গেট পুননির্ধারণ করে ৩১.২ ওভারে ১৮০ করা হয়। পুনরায় প্রায় দেড় ঘন্টা বৃষ্টি হয় এবং Average Run Rate মেথড ব্যবহার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ১১.২ ওভারে ৬১ রানের নতুন লক্ষ স্থির করা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব সহজেই ২ উইকেট খরচায় এবং ২৮ বল বাকি থাকতেই অভিষ্ট লক্ষে পৌছে যায়।

হুজুরদের যত দোষ!


আমিঃ মেয়েদের জাতটাই খারাপ!
বুদ্ধিজিবীঃ আপনার মা-বোনওতো তাহলে খারাপ। তারা কি খারাপ কাজ করেছে সেটা আগে বলেন।

আমিঃ ছেলেরা সব প্রতারক!
বুদ্ধিজিবীঃ সবাইকে এক পাল্লায় মাপবেন না। খারাপ ছেলে কয়েকটা। আর অন্যরা কি দোষ করল?

আমিঃ ডাক্তাররা সব কসাই। 
বুদ্দিজিবীঃ রোগ হলে ডাক্তারের কাছে যাবেন আবার গালিও দিবেন এমন ডাবল স্টান্ডার্ড কেন? আর কয়জন ডাক্তারকে চিনেন আপনি? 

আমিঃ সব পুলিশ ঘুষ খায়। কেউ কম খায়, কেউবা বেশি। এটাই তফাৎ। 
বুদ্ধিজিবীঃ ভাই, সব পুলিশ খারাপ না। সবাই খারাপ হলে দেশ চলত না। আমি অমুক কাজে থানায় গিয়েছিলাম ......... (চলন্ত) 

আমিঃ সাংবাদিকরা সব হারাম**!
বুদ্দিজিবীঃ একতরফা কথা বলেন কেন? ধানের বস্তা কি কখনও চিটে ছাড়া হয়? 

আমিঃ মাদ্রাসার হুজুর বলাৎকার করেছে। লাথি মেরে হুজুরদের দেশ থেকে বের করা দেয়া দরকার।
বুদ্ধিজিবীঃ ঠিক বলেছেন ভাই। হুজুররা দেশের ১২টা বাজাচ্ছে। এদেরকে দোর্‌রা মারতে মারতে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে।

[পেঁচা রাস্ট্র করে পেলে কোন ছুতা,
জাননা সূর্য্যের সাথে আমার শত্রুতা?]

হাইকোর্টের মূর্তি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা


কয়েকদিন আগে প্রশ্ন রেখেছিলাম যে, আপনার কাছে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ কি? এবং এর ভিত্তি কি?


কয়েকজন উত্তর দিয়েছেন নিজের মত তবে ভিত্তি কি তা উল্লেখ করেন নি তেমন কেউ। হয়ত ভিত্তির উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন নি। পরিষ্কার করি বিষয়টা। কোনটা ভাল, কোন মন্দ, কোনটা সবচেয়ে ভাল, কোনটা সবচেয়ে মন্দ; সেটা যদি যার যার বিচার-বিবেচনা ও বিবেকের উপর ছেড়ে দেই তাহলে এক এক জন এক এক অপরাধের কথা বলবে। কেউ বলবে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল খুন করা, কেউ বলবে ধর্ষন করা, কেউ বা অন্য কিছু বলবে। কাজেই এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে মানবীয় যুক্তি-বুদ্ধির উর্ধ্বে উঠে আসমানী কিতাব সমূহের দিকে নজর দিতে হবে। সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল-কুরআন অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হল "শিরক তথা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা।" ভিত্তি কুরআন ও হাদীস।

আবুল ওয়ালীদ এবং বিশর (র)...... আব্দুল্লাহ (ইব্‌ন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ
"যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি" (৬:৮২) এ আয়াত নাযিল হলে রাসূল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) এর সাহাবিগণ বললেন, "আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে যুলুম করেনি?" তখন আল্লাহ্‌ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ "নিশ্চয়ই শির্‌ক চরম যুলুম।" (সূরা লোকমান, আয়াত ১৩) (সহিহ বুখারি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৯, ইসলামি ফাউণ্ডেশণ) 

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নে মাস্‌উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, সবচেয়ে বড় পাপ কোনটি? তিনি বললেনঃ (কাউকে) আল্লাহ্‌র প্রতিদ্বন্দ্বী বা সমকক্ষ সাব্যস্ত করা, অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি তাঁকে বললাম, এটা অবশ্যই মহাপাপ। আবার জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তোমার সন্তান তোমার খাদ্যে ভাগ বসাবে এই আশংকায় তুমি তাকে হত্যা করছ। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন্‌টি? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যেনা করা। [সহিহ মুসলিম, পৃষ্ঠা-১৭৪, প্রথম খণ্ড, ইসলামি ফাউণ্ডেশন]

পরীক্ষার ফলাফল জীবনে কেমন কাজে লাগে?


আমি পাইছিলাম ৪.৮৮। দাত দেখাতে দেখাতে স্কুল থেকে বাসায় আসছিলাম। বইনে পাইছে ৪.৯১। তার মন খারাপ।


১৩ বছর আগের শিক্ষাব্যবস্থা আর বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে ব্যপক পার্থক্য তৈরি হয়েছে। ১৩ বছর আগের ৪.৮৮ যে বর্তমানের ৪.৯১ থেকে ভাল সেটা পিচ্চি হলেও বইনে আমার ভালই বুঝে হয়ত। আমার মনে পড়ে না স্কুল পরীক্ষায় আমার পিছনে ছিল আর বোর্ড পরীক্ষায় আমার থেকে ভাল করেছে এমন কেউ আছে। ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। তবে ব্যতিক্রম যখন সীমা অতিক্রম করে তখন প্রশ্ন চলে আসে। 

১. স্কুল টিচাররা কিভাবে খাতা দেখেন যে বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল পরিবর্তন হয়ে যায়? 

২. বোর্ড পরীক্ষকগন কিভাবে খাতা দেখেন যে, স্কুলের রেজাল্টের সাথে মিলে না? 

৩. সারাজীবন ছিল পিছনে, পরীক্ষার আগে কি এমন চেরাগ হাতে আসে যে বোর্ড পরীক্ষায় আগে চলে আসে? 

বড় বোনের এইচ এস সি পরীক্ষার সময় আমি মোটামুটি বড় হইছি। তখন কেন্দ্র পরিবর্তন হত না। যার যার কলেজেই পরীক্ষা হত। কলেজের পিছনে যেয়ে দেখি সানশেডের উপর দাঁড়িয়ে বড় ভাইরা জানালা দিয়ে ধুমছে নকল সাপ্লাই দিচ্ছে। যথারীতি রেজাল্টের পর বড় বইনের মন খারাপ।কেন? কি হইছে? ফেল্টুস ছাত্রীরা নকলের জোড়ে ৫-৬ টা লেটার সহ ফার্স্ট ডিভিশন! মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তো? এতবছর পর যদি আমি তাকে জিজ্ঞেস করি সে কেমন আছে তাহলে কি উত্তর পাওয়া যেতে পারে? খবর নিলে হয়ত দেখা যাবে, তার চেয়ে ভাল রেজাল্ট করা মানুষেরা তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে।

কিভাবে দেয়া হল এন্ড্রয়েডের ফোনের নামগুলো?

এন্ড্রয়েড ফোনের নামগুলো লক্ষ্য করেছেন কি? ললিপপ, কিটক্যাট, জেলিবিন ইত্যাদি। জিবে পানি আসার মত ব্যাপার স্যাপার। যারা একটু কৌতুহলী তারা হয়ত চিন্তা করেছেন এন্ড্রয়েড ফোনের নামগুলো এমন কেন? সবই ডেজার্ট টাইপ খাবার।

ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে সহজেই এর উত্তর পাওয়া গেল। সবার আগে উইকিপিডিয়া অনুযায়ী এন্ড্রয়েডের ভার্সনগুলো দেখে নেই।

ভার্সন 1.1 (Alpha)
ভার্সন 1.2 (Beta/petit four)
ভার্সন 1.5 (Cupcake)
ভার্সন 1.6 (Donut)
ভার্সন 2.0-2.1 (Eclair)
ভার্সন 2.2 - 2.2.3 (Froyo)
ভার্সন 2.3 - 2.3.7 (Gingerbread)
ভার্সন 3.0 - 3.2.6 (Honeycomb)
ভার্সন 4.0 - 4.0.4 (Ice Cream Sandwich)
ভার্সন 4.1 - 4.3.1 (Jelly Bean)
ভার্সন 4.4 - 4.4.4 (KitKat)
ভার্সন 5.0 - 5.1.1(Lollipop)
ভার্সন 6.0 - 6.0.1 (Marshmallow)
ভার্সন 7.0 - 7.1.2 (Nougat)

গুগল বলছে প্রথমটি ছাড়া বাকি সবগুলোই একেক ধরনের ডেজার্ট। বেশিরভাগের সাথেই আমি পরিচিত নই। আপনি?

জিরাপানি/জলজিরার রেসিপি


সফট ড্রিংকস হিসেবে জিরাপানি আমার বেশ ভাল লাগে। বোতলজাত জিরাপানি খেতে একটু বেশি স্বাদ হলেও স্বাস্থ্যের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর। ঘরে বানিয়ে নিলে সে ভয় থাকে না আর বিভিন্ন ধরনেরও ফ্লেভারও পাওয়া যায়। 

উপকরণঃ

১। পানি
২। জিরা গুড়া
৩। গুড় (পাটালি অথবা আখের)
৪। তেতুল
৫। লেবু
৬। লবন
৭। বিট লবণ
৮। কাঁচা মরিচ (ঐচ্ছিক)
৯। ধনে পাতা (ঐচ্ছিক)
১০। পুদিনা পাতা (ঐচ্ছিক)
১১। রুহ আফজা (ঐচ্ছিক) 


প্রক্রিয়াঃ

১. প্রথমেই জিরার গুড়ার প্রসঙ্গে বলি। প্যাকেটজাত জিরাগুড়া ব্যবহার না করে বাজার থেকে জিরা কিনে ওভেনে অথবা চুলায় ভালভাবে গরম করে নিন। এরপর ব্লেন্ডার অথবা শিলপাটায় বেটে গুড়ো করে নিন। এভাবে করে নিলে জিরার ভাল ফ্লেভার পাওয়া যাবে।

২. দ্বিতীয়ত গুড়ের কথা বলতে হয়। বাজারে গুড় পাওয়া কঠিন। খেজুরের গুড় অথবা আখের গুড় দিয়ে জিরাপানি তৈরির আগে এক গ্লাস পানিতে কত চামচ গুড় দিলে আপনার মুখে মিষ্টি লাগে সেটা পরখ করে নিন। জিরাপানি তৈরি সময় পানিতে ঐ পরিমানে গুড় দেবেন। 

৩. তেতুলের টক তৈরি করতে হবে। একগ্লাস পানিতে তেতুল গুলে নিন। বাজারের পাওয়া তেতুলগুলোতে অনেক সময় কালো পোকা থাকে। খেয়াল রাখবেন। আর গাছের তেতুল হলে একগ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন ছড়া তেতুল ভিজিয়ে রেখে টক তৈরি করে নিন। 

৪. ধরাযাক, ৬ গ্লাস জিরাপানি বানাতে চাই। যারা একটু স্পাইসি করতে চান তারা প্রথমে একটি কাঁচা মরিচ লম্বালম্বিভাবে কেটে দুইভাগ করে একভাগের বিচি ফেলে দিন। তারপর ব্লেন্ডারে অল্প একটু পানি দিয়ে ঐ একভাগ ব্লেন্ড করে করে নিন। তারপর ৫ গ্লাস পানি নিন ব্লেন্ডারে।

৫. যারা ঝাল কম পছন্দ করেন তারা সরাসরি ৬ গ্লাসের জন্য পরিমানমত গুড় ব্লেন্ডারের জগে নিন। তারপর ৫ গ্লাস পানি ঢালুন। এরপর তেতুলের টক ঢেলে নিন। অল্প বিট লবণ দিন। ১/২ বা ১/৩ চা-চামচ লবণ নিন। 

৬. এই মিশ্রণকে ভালভাবে ব্লেন্ড করুন। ৩০-৪০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করতে হতে পারে। 

৭. এরপর দেড়-দুই লিটারের বোতলে ঢেলে নিয়ে ফ্রীজে রেখে দিন ঠান্ডা হবার জন্য। 

মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যখন থাকে না


একটা শিশু তার নিষ্পাপতা, সারল্য দিয়ে আমাদের আকৃষ্ট করে থাকে। সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক, একটা হাসি দিবে, কঠিন পাথর হৃদয় তরল হয়ে যাবে। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কেন?


১. চট্টগ্রাম আসার জন্য চিটাগাং রোড থেকে গাড়িতে উঠতে হয় আমাকে। আগে যে বাস সার্ভিস দিয়ে চিটাগাং রোড নামতাম সেটা সুপার লোকাল না হলেও মোটামুটি লোকাল ছিল। যাত্রীতে ঠাসা না হলেও জায়গায় জায়গায় থেমে লোক নিত। নামে সিটিং হলেও চিটিং করে দাঁড়ানো লোক নিত। 

দূরে কর্মরত সকল মানুষের মত বাড়ী থেকে ফেরার পথে ব্যাগ যথেষ্ঠ ভারী থাকত। দেড় থেকে দুই ঘন্টার যাত্রাপথে ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে থাকা ঝামেলার ব্যাপারই বটে। একবার কিছুদূর যাবার পর ভর্তি বাসে এক মেয়ে উঠল। স্বভাবতই সিট ছিল না। পর্দানশীন মেয়েটির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এই মেয়ে বাসে চলাচলে অভ্যস্ত নয়, দাড়িয়েতো নয়ই। বিরক্ত হয়ে সিট ছেড়ে দিলাম। আরো কমপক্ষে দেড় ঘন্টার রাস্তা। ভারী ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থেকে মেয়েটি আমাকে বলল, ব্যাগ তার পায়ের কাছে রাখতে। আমি না না করেও রাখলাম। 

২. এমনই আরেকদিন এক হিন্দু মহিলা স্বামী-সন্তানসহ বাসে উঠলেন। এর একটু আগেই এক বয়স্ক লোক বাসে উঠে তিনটি সিট দখলে নিলেন একদম পিছনের সারিতে। আরো কোন সীট ফাঁকা রইল না। মহিলা লোকটিকে সীট ছাড়তে বললে লোকটি বললেন, এই সীটে লোক আছে, গাড়িতে উঠছে। মহিলা বললেন, মহিলা বসতে দিবেন না? লোকটি বললেন, যারা উঠছে সেখানেও মহিলা আছে। কোলের বাচ্চা আছে। ঐ লোকের পরিচিতরা উঠার পর তারা সিটে বসল। গাড়ি ছেড়ে দেবার পর মহিলা গজ গজ করতে লাগলেন। "মহিলা, কিভাবে দাঁড়িয়ে যায়।" ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের মনে গজগজানির কোন জায়গা নেই। তাই যে যার সিটে বসে রইলাম। 

৩. কোথায় যাচ্ছিলাম খেয়াল নেই। বাসে উঠেই দেখি এক মেয়ে বসে আছে। পাশের সিট খালি। পিছনের দিকে চলে আসলাম। আরো যাত্রী উঠল। তারাও পিছনে চলে আসল। এরই মধ্যে এক বয়স্ক চাচা উঠলেন। কমপক্ষে মেয়েটির বাবার বয়সি। মেয়েটির পাশে যেয়ে বললেন, "এখানে বসা যাবে?" মেয়েটি বলল, পিছনে বসেন। উনি আবার বললেন, "আপনার কি লোক আছে?" মেয়েটি ক্ষেপে গেল। বলল, "মেয়ে দেখলেই পাশে বসতে ইচ্ছে করে? পিছনেতো সিট খালি আছে। যান পিছনে যান।" চুন মুখ করে ভদ্রলোক পিছন দিকে এসে দুঃখের সাথে বলতে লাগলেন, "দেখলেন কি ব্যবহারটা করল। আমি ওর বাবার বয়সি!" 

৪. স্থান সিলেট। শহর থেকে শাবিপ্রবি যাব। লোকাল সিএনজিতে উঠলাম। আমার সাথে আমার এক কলিগ। দু'জনই অবিবাহিত। পিছনে বসলাম। একটু এগোনোর পর এক মেয়ে উঠল। একপাশে আমি, মাঝখানে কলিগ, অন্যপাশে মেয়ে। একটু পরেই খেয়াল করলাম কলিগ আমার গায়ে হেলে পড়ছেন। আমি চেপে বসলাম। আমরা যতই চাপি, মেয়ে ততই চাপ দেয়। কিছুদূর যাবার পর মেয়েটি নেমে গেলে আমরা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলি।

ফেসবুকের একটি ফালতু গল্প !

আগে নিচের বানোয়াট গল্পটা সবাই পড়ে নিন।
.
"ছেলে: এই শোনো,তুমি মিষ্টি না?

মেয়ে: হুমম,কিছু বলবেন?

ছেলে: না।

মেয়ে: তাহলে ডাকলেন কেন?

ছেলে: এমনি-ই।

মেয়ে: আপনি কি পাগল নাকি মাথায় ছিট আছে?

ছেলে: বলতে পারো দুটোই!

মেয়ে: পথ ছাড়ুন,আমি কোন পাগলের সাথে কথা বলি না!

ছেলে: আমি তো তোমার জন্যই পাগল হয়েছি!
একমাত্র তুমি-ই আমাকে ভালো করতে পারো!

মেয়ে: মানে?

ছেলে: মানে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই!

মেয়ে: মাইনে কত?

ছেলে: মানে?

মেয়ে: বলছি মাসে কত ইনকাম করেন?

ছেলে: এইতো-সামান্য কিছু!

মেয়ে: আপনি কোন সাহসে আমার সাথে প্রেম করতে এসেছেন? দুই মাস পর একটা কোম্পানির এমডির সাথে আমার বিয়ে হবে!
আপনি তো তার বাড়ীর চাকর হবারও যোগ্য না!

ছেলে: তাই নাকি? আপনি আপনার হবু স্বামীকে দেখেছেন?

মেয়ে: না,আজই তার সাথে দেখা হবে।সে আমাদের বাসায় আসবে!

ছেলে: না।সে আর আপনাদের বাসায় যাবে
না!

মেয়ে: মানে, আপনি জানলেন কি করে?

ছেলে: কারণ সেই মানুষটা আমি-ই!

মেয়ে: তু-তু-তুমি! কি বলছো?

ছেলে: হুমম,যা সত্যি তা-ই বলছি!

মেয়ে: ওয়াও,কি হ্যান্ডসাম তুমি! তোমার মত একজন ছেলেকেই তো আমি মনে মনে খুঁজছিলাম!

ছেলে: কিন্তু আমি আপনার মত মেয়েকে খুঁজিনি। আমি খুঁজেছি এমন একটা মেয়ে, যে আমার টাকাকে নয়, ভালোবাসবে শুধু আমাকেই। আমি সত্যি-ই দুঃখিত! আপনার মত অর্থলোভী মেয়েকে আমি বিয়ে করতে পারবো না! আমি চলে যাচ্ছি।"


এইধরনের গল্পের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। নিত্যনতুন বেশ ধরে এই গল্পগুলো প্রায়ই আমাদের হোমফিডে ঘুরে বেড়ায় যাদের সারাংশ হল "মেয়েরা খারাপ, অর্থলোভী, শয়তান" ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব মুখরোচক গল্পগুলো ফেসবুকে যতটা জনপ্রিয় বাস্তবের সাথে ঠিক ততটাই বেমানান।

যেকোন বিয়ের আগে অভিভাবকগন সাধারণত কিছু বিষয় দেখে থাকেন। ছেলের অভিভাবক দেখেন মেয়ে সুন্দরী কিনা, পড়াশুনায় কেমন, বাবার অবস্থা কেমন, মার্জিত-ভদ্র কিনা- ইত্যাদি ইত্যাদি। অপরদিকে পাত্রী খোজ নেন যে, ছেলের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে, কি করে, মাসিক ইনকাম কত, নিজের মেয়ে সুখে থাকবে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো নানান বিষয়ে খোজ-খবর নেয়া হয় যা যাদের বিয়ে হয়েছে বা হবে হবে করছে তারা ভালভাবেই জানি।