চট্টগ্রামে নিঃসঙ্গ জীবন যাপনে প্রায় ছয় বছর ধৈর্য্য ধরে ছিলাম। খুব খারাপ লাগত। ফ্যামিলি সাথে থাকলে হয়ত এতটা খারাপ লাগত না। আমি ভালভাবেই অনুভূব করছিলাম একজন সঙ্গিনী প্রয়োজন। অবশেষে ২০১৪ তে এসে আমার ধৈর্য্যচূতি ঘটল। বাসায় যেয়ে একটা জরুরী মিটিং ডাকলাম। লজ্জা-শরম পিছনে ফেলে সবার সামনেই বললাম, একা একা আর থাকতে পারছি না। পাত্রী দেখেন। বিয়ে করব।
আগেই শুনেছিলাম, আমার জন্য আমার এক দুঃসম্পর্কের কাজিনকে ফ্যামিলি ঠিক করে রেখেছে। পরিবারের মহিলারা এসব ব্যাপারে আবার খুবই উৎসাহী। মেয়ে নাকি আমাদের বাসায়ও বেড়াতে এসেছিল। অথচ আমি কিছুই জানি না। মিটিং এর প্রায় একমাস পর যখন আবার বাসায় গেলাম তখন মেয়ে দেখতে গেলাম। ইচ্ছা ছিল পুরুষ হিসেবে আমি একা যাব। কিন্তু আরেকজন ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয় ছিলেন। ব্যাপারটা আমার পছন্দ না হলেও চুপ করে রইলাম।
জীবনের প্রথমবারের মত মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। লাইফে ভাইবা, ইন্টারভিউ কয়েকটা দিয়েছি। কিন্তু নেইনি কখনো। কিছুটা নার্ভাসতো অবশ্যই। আগেই একটা খামে কিছু টাকা ভরে মার কাছে দিয়ে দিলাম। দেখাদেখির পর্ব শেষ হলে যেন, মেয়েকে সম্মানি হিসেবে আমাদের তরফ থেকে দেয়া হয়। কি বলব, না বলব সব মনে মনে রিহার্সেল দিয়ে রেখেছিলাম। কি প্রশ্ন করব তাও ভেবে রেখেছিলাম।
গিয়ে বসে আছি। মেয়ে আর আসে না। এরই মধ্যে একগাদা নাস্তা করা হয়ে গিয়েছে। আছরের আযানও হয়ে গিয়েছে। বললাম নামায পড়ে আসি তাহলে। আশেপাশের বাড়ির সব মহিলা জড়ো হয়ে গিয়েছে ততক্ষনে। তাদের উৎসুক দৃষ্টির সামনে থেকে কোনমতে পালিয়ে গেলাম। নামায থেকে ফেরার পর মেয়ে আমার সামনে আসলাম। আমি আর কি নার্ভাস ছিলাম! মেয়ে আমার চেয়ে শতগুন নার্ভাস! তারও প্রথমবার কিনা! সালাম বিনিময়ের পর আমি মুখ খুললাম। নিজের সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ একটা বক্তব্য দিয়ে দিলাম। আমি চেয়েছিলাম মেয়ে যেন আমার সম্পর্কে একটা ধারনা পায়, যেন সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার সাথে আমার মতের মিল হবে কিনা। ঝামেলা যা হবার আগে হয়ে যাওয়াই ভাল। মেয়ের কাছ থেকেও জিজ্ঞেস করে তার সম্পর্কে জেনে নিলাম। ছোট ছোট প্রশ্ন করে আমার যা জানার দরকার ছিল জেনে নিলাম। ৫-১০ মিনিটে হয়ে গেল। আমি মাকে ইশারা দিলাম, বললামও এবার মেয়েকে ভিতরে নিয়ে যাক। আমার দেখা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের ভাবভঙ্গি ছিল আমি আরো কিছুক্ষন দেখি। আমি স্পষ্টত বিরক্ত হলাম।
তারা টুকটাক কথা বলতে লাগলেন। আমি চুপ করে রইলাম। মেয়ের একটা ছোটবোন ছিল প্রাপ্তবয়স্ক। একসময় আমার সাথে পরিচয় করানোর জন্য তাকেও নিয়ে আসা হল। আমি আবারো বিরক্ত হলাম। খাম খোলার পর মা এসে আমার কাছে জিজ্ঞেস করলেন, এক টাকা আছে কিনা? কেন জিজ্ঞেস করতেই বললেন, বিজোড় টাকা নাকি দিতে হয়! আমি মেজাজ সামলে বললাম, এক টাকা নাই। ৫ টাকা আছে। চলবে? উনি নিয়ে চলে গেলেন। ফটোসেশন করার ইচ্ছে একদমই ছিল না। তবুও মেয়ের ছোটবোন এসে দুটো ছবি তুলে নিল। আর আমার ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয় তার মোবাইলে মেয়ের ছবি তুলে নিলেন অন্যদের দেখানোর জন্য।
মাথার ভিতর চিন্তার ঝড় নিয়ে ফিরে আসলাম। পরেরদিন ওদিক থেকে খবর নিচ্ছে। মা আমাকে জিজ্ঞেস করে। আমি কিছু বলি না। নানাবিধ মানসিক চাপে আমি বিপর্যস্ত প্রায়। জীবনের এত বড় একটা সিদ্ধান্ত! ভেবে-চিন্তে নিতে হবে। তারপরদিন সকালে সামনে এগোতে বলে দিলাম। মা সাথে সাথে ফোন করে জানিয়ে দিলেন। তার দু-একদিন পর চিটাগাং চলে আসলাম।
মেয়ের বাসার নাম্বার নিয়ে এসেছিলাম। ফোন দেব কি দেব না? দোটানায় আরো দু-একদিন কাটল। অবশেষে ফোন দিলাম। আমাদের পারস্পারিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অনেক কথা হল। আমি বুঝলাম ক্যারিয়ারের ব্যাপারটা তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সামনে তার মাস্টার্স পরীক্ষা। তারপর বিসিএস দিবে। হলেতো হল, না হলে অন্যকোন চাকরি করবে। এই ব্যাপারে সে তার আশেপাশের অসংখ্য উদাহরণ টানতে লাগল। আমি যুক্তি দিলাম, আমি থাকি চিটাগাং। আমি যাকে বিয়ে করব সে যদি চাকুরী করে তবে তার চাকুরী চট্টগ্রামে হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। ধরাযাক, তার চাকুরী হল ঢাকায়। আমি চিটাগাং, আমার বউ ঢাকায়। তাহলে আমার বিয়ে করে লাভটা হল কি? আমি যে একা ছিলাম, সে একাই রয়ে গেলাম। সে আমার কথা মেনে নেয়। তার স্বপ্নের কথা শোনায়। তার কোন ভাই নেই। সে চাকুরী করে তার ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দিবে। আমি বলেছি, তার ফ্যামিলিকে আমি দেখব। বিয়ের পর তার বাবা-মাতো আমার বাবা-মা-ই। নিজের বাবা-মাকে দেখতে পারলে তাদেরকেও দেখতে পারব। মেয়ে চুপ হয়ে যায়। সম্ভবত বিশ্বাস করতে পারে না। কারন বিয়ের আগে পাত্র, পাত্রপক্ষ অনেক কথাই বলে। কিন্তু বিয়ের পর উলটো কথা বলে এমনটা আমাদের চারপাশের স্বাভাবিক রীতিতে পরিনত হয়েছে।
প্রতিদিন সে একই কথা বলে, আমিও একই জবাব দেই। একপর্যায়ে বুঝতে পারলাম সে ছাড় দিবে না আর একই কথা বার বার বলতে বলতে আমারো ধৈর্য্যচূতি ঘটল। আমি আমার এক বন্ধুকে ফোন করে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলাম। এখানে বিয়ে করব না বলে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলাম। তার ফোনে আবার অটো রেকর্ড চালু ছিল। সে আমার বোনের বাসায় গিয়ে সেই রেকর্ড বাজিয়ে শোনাল।
অভিভাবক পর্যায়ে সেসব কথাবার্তা হয়েছে সেসব আর বলতে চাই না। এখানে সম্পর্ক না হওয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেলেন মা। তার খুব ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ওখানে বিয়ে করাবেন। ফ্যামিলির অন্যান্যরা আমার পক্ষে না থাকলে বিষয়টা ট্যাকল দেয়া আরো কঠিন হত।
কিছুদিন পরে আবারো বিয়ের ব্যাপারে বললাম। এবার বললাম, আমি এক মেয়ের কথা জানি। চলেন দেখে আসি। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর আমরা তিনজন গেলাম মেয়ে দেখতে। আমি, মা আর আমার বোনের শ্বাশুড়ি (মাঐ)। আল্লাহর কি মেহেরবানি! মেয়েকে দু’জনেরই খুব পছন্দ হয়ে গেল। আমার পছন্দ হয়েছিল কিনা সেটা নাহয় নাইবা বললাম। এখানেও আগেই মায়ের হাতে খাম দিয়ে দিয়েছিলাম। আর প্রশ্নও মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম। মেয়ে দেখার পর মেয়ে যখন চলে যাচ্ছিল তখন মা তার মাথায় হাত বুলিয়ে যখন আদর করে দিলেন তখন আমি অসম্ভব আনন্দিত হয়েছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম, মেয়েকে মায়ের খুব পছন্দ হয়েছে। মেয়ে চলে যাবার পর মাঐ আমাকে বললেন, মেয়ে দেখি কত সুন্দর! তুমি আমাদের কি ছবি দেখিয়েছো? ছবির সাথে কোন মিল আছে? তোমার ঐ কাজিনের চেয়েও কত সুন্দর!
আমি বুঝতে পারলাম মেয়ে উনারও পছন্দ হয়েছে। এখন অপেক্ষার পালা। মেয়েপক্ষ আমাকে পছন্দ করে কিনা। অবশ্য আমার মত সহজ-সরল, আলা-ভোলা, ভালা পুলারে অপছন্দ করবেই বা কেন?
grin emoticon
কথা যখন সামনের দিকে এগোবে তখন আমি আমার ছোটভাই ও বন্ধুকে সামনে নিয়ে কিভাবে বিয়ে করতে চাই সে সম্পর্কে বিস্তারিত খুলে বললাম। আমার প্রথম কথা ছিল, বউয়ের কাছে মাফ চাওয়ার মধ্যে আমি নাই। মোহরানার সব টাকা বিয়ের সাথে সাথেই পরিশোধ করব। এক টাকাও বাকি রাখব না। তবে আমি এত টাকা দিতে পারব। এর বেশি হলে আমার জন্য সমস্যা হয়ে যাবে। বললাম যদি বিয়ে এখানেই হয় তবে বিয়ের অনুষ্ঠান বলতে যা বোঝায় এমন কিছু এখানে হবে না। কোন গায়ে হলুদ এখানে হবে না। বরযাত্রীর বিশাল বহর নিয়ে মেয়ের বাপের টাকাও নষ্ট হতে দেব না। শুধু চাচা-মামাদের সাথে নিয়ে যাব। ৩০ জনের বেশি লোক যাবে না। আর আমার প্ল্যান হল, কোন এক শুক্রবার জুমার নামায ঐ এলাকার কোন মসজিদের পড়ব এবং নামাযের পর সেখানেই বিয়ের কাজ শেষ করা হবে। আমার খোলাখুলি কথা বলার কারণে তারা পাত্রী পক্ষের সাথে কথা বলার সময় এই ব্যাপারগুলো খুলে বলতে পেরেছেন। তারাও এই ব্যাপারগুলোতে আপত্তি করেন নি।
আমার ইচ্ছে ছিল পাত্রীপক্ষ আমাদের জন্য যে অনুষ্ঠান করবে তার খরচও আমি দেব। কিন্তু সেটা আর সম্ভবপর হয়নি। এই কথাটা বলাই হয় নি। বলতে সাহস পাই নি। তারপরও যেভাবে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। বিয়ের দিন ভোরে বাসায় পৌছাই। ওরা নাকি আমার জন্য হলুদ বেটে রেখেছিল। কিন্তু ভোরে পৌছাবার কারনে তাদের সেই স্বাধ আর পূরণ হয় নি।
সবকিছু মোটামুটি যেভাবে চেয়েছি সেভাবেই হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ! আমার গেটআপও অসাধারণ কিছু ছিল না। পৌছার পর আমি যে জামাই এটা কেউই বুঝতে পারে নি। ঐপক্ষের যারা আমাকে আগে দেখেনি তারা “জামাই কোনটা? জামাই কোনটা?” বলে ফিসফিসানি করছিল। নামাযের ওয়াক্ত ছিল বলে মাথায় পাগড়িও ছিল না। আর মুখে রুমাল দিলে ঘুড়ে বেড়ানোর মত মানুষ কখনই ছিলাম না। কনফিউশন হওয়াই স্বাভাবিক। ১০-১৫ মিনিটেই বিয়ে পড়ানো হয়ে গেল। বিয়ে পড়ানোর পর খাওয়া দাওয়া করলাম। ঐতিহ্যবাহী ‘সাগর আনা’ বিশাল প্লেটে করে সামনে হাজির করা হল। যারা সাগর আনা চিনেন না তাদের জন্য নিরবতা। আমিও চিনতাম না। বিয়ের পর অনেক কিছুর মত ছাগুরানাও চিনলাম!
এখন মেয়েকে উঠিয়ে আনতে যেতে হবে। বরযাত্রীর মধ্যে একটা ব-ল-দ ছিল। সে আমার বউ না দেখে যাবে না। আমার ইচ্ছে ছিল শুধু বরের গাড়ী যাবে বাড়ীতে। ঐ বলদে আগেই গাড়ীতে উঠে বসে আছে। মনে মনে বলি, হ্লারবাই, আমার বউ আমি দেখমু। তুই দেখতি ক্রে? আমি কি তর বউ দেখতে উষ্ঠা খাইয়া পড়ি? বিয়াডা শেষ হোক, তারপর তরে বুঝাইতাছি। বেদ্দপের বেদ্দপ কুনহানকার!
ফেরার পথে আমি আর উনি গাড়ীতে। ড্রাইভারও আছে অবশ্য। টুকটাক কথা বলছি। হাতটা কি ধরব? ধরি তাহলে... না থাক। কি মনে করবে কে জানে! আমার বউয়ের হাত আমি ধরব না? মনে করলে করবে!
উনার হাতের উপর হাত রাখলাম। ধরলাম হাত। উনিও ধরলেন। পরে শুনলাম অন্যকেউ হলে নাকি আরো আগেই হাত ধরত।
unsure emoticon
আমি এত ব্যাকডেটেড কেন? যাক, ব্যাকডেটেড থেকে যদি ভাল কিছু হয় তাহলে ব্যাকডেটেডই ভাল।
বাসায় ফেরার পর বাসায় ঢুকতে দেয় না। কিসের কুলা, দুর্বা নিয়া আসছে। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। বিল্ডিংয়ের মহিলারা জড়ো হয়ে গেছে। তাদের সামনে সিঙ্ক্রিয়েট করলাম না। দাঁতে দাঁতে চেপে রইলাম। আজাইরা কাজ-কর্মের পর ঘরে ঢুকলাম। বোন নিয়ে আসল মোবাইল। ফটো তুলবে। কাটা কাটা স্বরে মানা করলাম। আমার কথায় তার মুখটা কালো হয়ে গেলেও ছবি তুলেনি আর। এরপর কিছুক্ষন আগের ফালতু কাজের জন্যও রাগ করে দুইটা কথা বললাম। এশার নামায হয় নি। নামাযের জন্য বেড়িয়ে এলাম। সবাই ভাবল রাগ করে বেড়িয়ে গিয়েছি! নামায পড়েই আবার ফিরে আসলাম।
আগের সারারাত জার্নি করেছি। তার আগের দু'দিন নাইট ডিউটি করেছি। সারাদিন বিয়ের ধকল। শরীর ভেঙে আসছে। ঢুলু ঢুলু চোখে রাতের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছি।
বিয়ের মাসখানেক পর ওলীমার আয়োজন করা হল। তখন বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে দাওয়াত দিয়ে একবেলা খাইয়ে দিলাম। তাও খুব বেশী মানুষ হয় নি। ১৫০ জনের মত ছিল। কাকাদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রামের অন্যকাউকে দাওয়াত দেইনি বলে একটু গাইগুই করেছিলেন। আমি পাত্তা দেই নি।
এতকিছু লেখার কারন হল, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। ছেলে যদি সাধারনভাবে বিয়ে করতে চায় তাহলে অনেক অনৈসলামিক কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। ছেলের দৃঢ়তাই আসল কথা। ছেলে যদি বলে যে, আমি যৌতুক এক পয়সাও নিব না, তাহলে পাত্রের বাপেরও সাধ্য নেই পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে কোন টাকা আদায় করে। ছেলে যদি বলে যে, আমার বিয়েতে বরযাত্রী হবে ৩০ জন। তাহলে সেটাও সম্ভব। ইচ্ছাটাই আসল।
সুন্দরী, উচ্চশিক্ষিত, উচ্চতা ৫’৪’’ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে মেয়ে পাওয়া যায়। কিন্তু পাত্রী পাওয়া খুব কঠিন। আপনি এই ব্যাপারে ছাড় দিন। আর অন্যান্য ‘অনাচার’গুলোতে চেপে ধরুন। গায়ে হলুদের অরাজকতা বন্ধ করুন। বরযাত্রীর নামে মেয়ের বাপের উপর অত্যাচার বন্ধ করুন। যৌতুকের মত কঠিন অন্যায়ের পথ থেকে নিজে বাঁচুন। নিজের অভিভাবকেও বাঁচান।
পিতা-মাতার বাধ্যগত হওয়া সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বলে কোন অনৈসলামিক বিষয়ে তাদের বাধ্য হওয়া যাবে না। বয়স ৩০ হয়ে গিয়েছে, যোগ্যতাসম্পন্ন, তবুও বাবা-মা বিয়ের নাম-গন্ধ তুলছেন না। আপনি নিজেই তুলুন। বড় ভাই-বোন থাকলেও তুলুন। আপনার আমলনামা আপনার বড় ভাই-বোন, বাবা-মাকে দেওয়া হবে না। তারপরও তারা বিয়েতে সম্মত না হলে নিজেই বিয়ে করে ফেলুন। সমাজের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। সবসময় মনে রাখবেন, টাকা থাকলে সমাজ আপনার দিকে থাকবে। যখন নিঃস্ব অবস্থায় থাকবেন সমাজ আপনার দিকে থুথুও ছিটাবে না। কাজেই সমাজের চিন্তা করে লাভ নেই।
সমাজের কালচার ভেঙে ফেলুন, পরিবারের কালচাল ভেঙে ফেলুন, এলাকাভিত্তিক কালচার ভেঙে ফেলুন। ইসলামি কালচার ধারণ করুন। অবশ্যই আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন। আর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা যার সহায় হবেন তার কি অন্যকিছুর প্রয়োজন আছে? নেই...